Ajker Patrika

মায়ের সঙ্গে গজেলশাবক

রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) 
মায়ের সঙ্গে গজেলশাবক

ছবি দেখে এত কী ভাবছেন? শিরোনামের সঙ্গে মিলছে না? হরিণের মতো মনে হচ্ছে? নাহ্‌, এটি একদমই হরিণ নয়। দেখতে প্রায় হরিণের মতো হলেও প্রাণীটির নাম থমসন গজেল। আফ্রিকান এ প্রাণীটি এখন মুগ্ধ করছে দেশীয় দর্শনার্থীদের। গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দেখা মিলবে এদের। ছোট্ট ফুটফুটে এক শাবক নিয়ে খুনসুটিতে মত্ত থমসন গজেল পরিবার।  

সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগেও এ পার্কে থমসন গজেল শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তবে হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেনি। নতুন অতিথি নিয়ে সাফারি পার্কে থমসন গজেল পরিবারের সংখ্যা ৩-এ দাঁড়াল। এই শাবকটিকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ নজরদারি জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।

সাফারি পার্কে ওয়ার্ল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে জানান, থমসন গজেল মূলত আফ্রিকান অ্যান্টিলুপ প্রজাতির প্রাণী। দেখতে হরিণের মতো। অভিযাত্রী জোসেফ থমসনের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে প্রাণীটিকে ‘টমি’ নামেও ডাকা হয়। পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার সেরিঙ্গেটি অঞ্চলে এ প্রাণীর মূল আবাসস্থল। এরা তৃণভূমিতে বিচরণ করে থাকে। এদের প্রধান খাবার সবুজ ঘাস। তবে সাফারি পার্কে এরা ঘাসের পাশাপাশি বিভিন্ন গাছের লতা-পাতাও খাচ্ছে। দৈর্ঘ্যে এরা ৮৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ঘণ্টায় দৌড়ের গতি ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।  

সরোয়ার জানান, সারা বিশ্বে চিতাবাঘের পরে চতুর্থ দ্রুততম স্থল প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় থমসন গজেলকে। একটি পুরুষ গজেলের ওজন হয় ২০-৩০ কেজি হয়ে থাকে। স্ত্রীদের ওজন ১৫-২৫ কেজি পর্যন্ত হয়। চোখের চারপাশে সাদা রিং, চোখের কোণ থেকে নাকের দিকে কালো ডোরা, নাকের ওপর একটি কালো দাগ থাকে।

সাফারি পার্কে আসা দর্শনার্থী রোকেয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের নিয়ে সাফারি পার্কে এসে থমসন গজেল দেখলাম। থমসন-শাবকের খেলা দেখে আমার বাচ্চারা খুবই আনন্দ পেয়েছে। এর শিং দেখে আমার ছেলেও বায়না ধরেছে তাঁকে প্লাস্টিকের শিং কিনে দিতে।’

পার্কের কর্মকর্তারা জানান, পুরুষ থমসন গজেলের রিংযুক্ত সুন্দর শিং রয়েছে। তবে স্ত্রী থমসন গজেলের শিং থাকে না। পুরুষ থমসন গজেলই শত্রুর আক্রমণ থেকে পরিবারকে বাঁচাতে সক্রিয় থাকে। স্ত্রী গজেলের গর্ভকাল ১৬৬ দিন। প্রতিবার একটি করে শাবকের জন্ম দেয় এরা। জঙ্গলের ভেতর থেকে এরা খুব একটা বের হতে চায় না। তবে সাফারিতে এসে যাঁরাই প্রাণীটির দেখা পান, তাঁদের ভাগ্যবানই বলতে হবে।    

দর্শনার্থী শাহিন আলম বলেন, ‘দূর থেকে দেখে, আমি এদের হরিণই ভেবেছিলাম। পরে পাশের একজন জানালেন এরা থমসন গজেল। শাবকটিকে দেখে খুব মায়া হচ্ছে। কী সুন্দর, শান্ত! প্রাণী।’ 
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান বলেন, ‘সাফারি পার্কে ১০ ডিসেম্বর নতুন একটি থমসন গজেলের শাবককে ঘুরতে দেখা যায়। গত এক সপ্তাহ আগে এর জন্ম হয়ে থাকতে পারে। নিরাপত্তার কথা ভেবেই হয়তো মা থমসন গজেল শাবকটিকে এত দিন লুকিয়ে রেখেছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

পাথরঘাটায় তিন শিক্ষকের ওপর হামলার‌ অভিযোগ শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে

সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত