Ajker Patrika

রাগ সংবরণ মুমিনের বৈশিষ্ট্য

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২২, ১৫: ৫৮
রাগ সংবরণ মুমিনের বৈশিষ্ট্য

রাগ মানুষের একটি খারাপ বৈশিষ্ট্য। সমাজে বাস করতে গিয়ে বিভিন্ন কারণে মানুষ রেগে যায়। কিন্তু রেগে যাওয়া যেমন পরিবেশ নষ্ট করে, তেমনি রাগান্বিত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সব সময় রাগ সংবরণ করাই শ্রেয়। একদিন মহানবী (সা.)-এর কাছে এক ব্যক্তি এসে উপদেশ চাইলেন। তিনি বললেন, ‘তুমি রাগ করবে না, তুমি রাগ করবে না।’ (বুখারি) রাগ সংবরণ করা ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।

এতে ব্যক্তির বংশীয় আভিজাত্য প্রকাশিত হয়। কথায় কথায় রাগ করা ব্যক্তিকে তুচ্ছ করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কুস্তি করে যে জয়লাভ করে সে শক্তিশালী নয়, বরং যে স্বীয় রাগ সংবরণ করতে পারে সে-ই প্রকৃত শক্তিশালী।’ (বুখারি) 

এরপরেও কেউ রেগে গেলে তা সংবরণের পদ্ধতি বাতলিয়ে দিয়েছে ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাগ আসে শয়তান থেকে, আর শয়তান সৃজিত হয়েছে আগুন থেকে এবং আগুন পানি দিয়ে নেভাতে হয়। সুতরাং তোমরা রেগে গেলে অজু করবে।’

(আবু দাউদ) সাহাবি আবুজর গিফারি (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) আমাদের বলতেন, ‘তোমরা যখন দাঁড়ানো অবস্থায় রেগে যাবে তখন বসে পড়বে।

এতেও রাগ প্রশমিত না হলে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ) মহানবী (সা.)-এর সাহাবিরা যখন কোনো বিষয়ে রেগে যেতেন তখন ক্ষমা করে দিতেন।

আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রেগে যায় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।’ (সুরা শুরা: ৩৭)

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

বিশ্বে প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়ানোর পথে কি পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ

লঞ্চের ওপর তরুণীকে প্রকাশ্যে পেটাচ্ছিলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

ভারতের সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত