সম্পাদকীয়
একদিন কাজী নজরুল ইসলামকে আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘কাজীদা, এই যে পিয়ারু কাওয়াল, কাল্লু কাওয়াল—এরা উর্দু কাওয়ালি গায়, এই ধরনের বাংলায় ইসলামি গান দিলে হয় না?’
কথাটা তার মনে লাগল। তিনি বললেন, ‘আব্বাস, তুমি ভগবতীবাবুকে বলে তাঁর মত নাও।’ ভগবতীবাবু ছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল-ইন-চার্জ। তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বললেন, ‘না না না, ওসব গান চলতে পারে না।’
এর মাস ছয় পর ভগবতীবাবু রাজি হলেন। নজরুল লিখে ফেললেন, ‘ও মন রমযানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ রেকর্ডের অপর পিঠে ‘ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর।’
রেকর্ড হয়ে গেল গান দুটির। এবং রেকর্ড বের হতেই তা হু হু করে বিক্রি হতে লাগল। এরপর থেকে নিয়মিত ইসলামি গান প্রকাশিত হতে লাগল গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে। কিন্তু প্রতি মাসে একজনের গান বের হলে তা একঘেয়ে হয়ে যায়। তাই আব্বাসউদ্দীন ছাড়াও অন্যরা গাইতে লাগলেন ইসলামি গান। কে মল্লিক ছিলেন মুসলমান। কিন্তু মুসলমানের কণ্ঠে শ্যামা সংগীত তো শুনতে চাইত না হিন্দু জনগণ। এ কারণেই তিনি নাম ভাড়িয়ে হয়েছেন কে মল্লিক। আসলে তাঁর নাম মুনশী মোহাম্মদ কাশেম। মজার ব্যাপার হলো, মুনশী মোহাম্মদ কাশেমকে কে মল্লিক নাম ভাড়াতে হয়েছিল হিন্দুরা তাঁর গান শুনবে না বলে। এবার ইসলামি গান রেকর্ডের বাজারে সাড়া ফেলতেই ঘটল উল্টো ঘটনা। মুসলমানেরা তো হিন্দুদের কণ্ঠে ইসলামি গান শুনবে না। তাই ধীরেন দাস গাইলেন গনি মিয়া নামে, চিত্ত রায় সাজলেন দেলোয়ার হোসেন, আশ্চর্যময়ীর নাম হলো সকিনা বেগম, হরিমতী হলেন আমিনা বেগম। গিরিণ চক্রবর্তীর নাম হলো সোনা মিয়া।
নজরুল তখন অবিশ্রান্তভাবে লিখে চলেছেন ইসলামি গান। তাতে মুসলমান সমাজ ঋদ্ধ হচ্ছে নতুন গান পেয়ে। আর সেই গানে থাকছে পুনর্জাগরণের বার্তা।
সূত্র: আব্বাসউদ্দীন, আমার শিল্পীজীবনের কথা, পৃষ্ঠা ৭৫-৭৭
একদিন কাজী নজরুল ইসলামকে আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘কাজীদা, এই যে পিয়ারু কাওয়াল, কাল্লু কাওয়াল—এরা উর্দু কাওয়ালি গায়, এই ধরনের বাংলায় ইসলামি গান দিলে হয় না?’
কথাটা তার মনে লাগল। তিনি বললেন, ‘আব্বাস, তুমি ভগবতীবাবুকে বলে তাঁর মত নাও।’ ভগবতীবাবু ছিলেন গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল-ইন-চার্জ। তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বললেন, ‘না না না, ওসব গান চলতে পারে না।’
এর মাস ছয় পর ভগবতীবাবু রাজি হলেন। নজরুল লিখে ফেললেন, ‘ও মন রমযানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ রেকর্ডের অপর পিঠে ‘ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর।’
রেকর্ড হয়ে গেল গান দুটির। এবং রেকর্ড বের হতেই তা হু হু করে বিক্রি হতে লাগল। এরপর থেকে নিয়মিত ইসলামি গান প্রকাশিত হতে লাগল গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে। কিন্তু প্রতি মাসে একজনের গান বের হলে তা একঘেয়ে হয়ে যায়। তাই আব্বাসউদ্দীন ছাড়াও অন্যরা গাইতে লাগলেন ইসলামি গান। কে মল্লিক ছিলেন মুসলমান। কিন্তু মুসলমানের কণ্ঠে শ্যামা সংগীত তো শুনতে চাইত না হিন্দু জনগণ। এ কারণেই তিনি নাম ভাড়িয়ে হয়েছেন কে মল্লিক। আসলে তাঁর নাম মুনশী মোহাম্মদ কাশেম। মজার ব্যাপার হলো, মুনশী মোহাম্মদ কাশেমকে কে মল্লিক নাম ভাড়াতে হয়েছিল হিন্দুরা তাঁর গান শুনবে না বলে। এবার ইসলামি গান রেকর্ডের বাজারে সাড়া ফেলতেই ঘটল উল্টো ঘটনা। মুসলমানেরা তো হিন্দুদের কণ্ঠে ইসলামি গান শুনবে না। তাই ধীরেন দাস গাইলেন গনি মিয়া নামে, চিত্ত রায় সাজলেন দেলোয়ার হোসেন, আশ্চর্যময়ীর নাম হলো সকিনা বেগম, হরিমতী হলেন আমিনা বেগম। গিরিণ চক্রবর্তীর নাম হলো সোনা মিয়া।
নজরুল তখন অবিশ্রান্তভাবে লিখে চলেছেন ইসলামি গান। তাতে মুসলমান সমাজ ঋদ্ধ হচ্ছে নতুন গান পেয়ে। আর সেই গানে থাকছে পুনর্জাগরণের বার্তা।
সূত্র: আব্বাসউদ্দীন, আমার শিল্পীজীবনের কথা, পৃষ্ঠা ৭৫-৭৭
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫