সম্পাদকীয়
বিচারপতি ইব্রাহিম একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের ব্যাপারে তাঁর ধারণা খুব ভালো ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরে গিয়েছিলেন তিনি, তাঁকে আইয়ুব খান তাঁর সংবিধান রচনা দলের সদস্য করে নিয়েছিলেন। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের ফলাফল কী হতে পারে, সে বিষয়ে বিচারপতি ইব্রাহিম প্রশ্ন করেছিলেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে। আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘সামরিক আইন এই অবস্থার কোনো উন্নতি করতে পারবে না। এতে খুব অবাক হয়ে বিচারপতি ইব্রাহিম বলেছিলেন, ‘রাজনীতিবিদরা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছে, তাতে এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।’
এর কিছুদিন পর তিনি আইয়ুব খানের মন্ত্রী হন। তারপর আবদুর রাজ্জাককে ডেকে বলেন, ‘আপনি আমাকে একটু সাহায্য করবেন? আপনি তো সংবিধান নিয়ে অনেক নাড়াচাড়া করেছেন, সরকার বলেছে নতুন একটা সংবিধান রচনা করবে। আমাকে তার দায়িত্ব দিয়েছে। তারা বলেছে, আমি যা করব, তা-ই তারা গ্রহণ করবেন।’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আপনি তাই বিশ্বাস করেন?’
অবাক হয়ে ইব্রাহিম বললেন, ‘কেন? কেন?’
আবদুর রাজ্জাক বললেন. ‘আপনি সরল মানুষ, তাই বিশ্বাস করেছেন। আসলে কনস্টিটিউশন ওরাই করবে। ওরা কেবল আপনাকে সই করতে বলবে।’
বিচারপতি ইব্রাহিম বিশ্বাস করলেন না অধ্যাপক রাজ্জাকের কথা। এ সময় আবদুর রাজ্জাক কিছুদিনের জন্য দেশ ছাড়লেন। গেলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
যখন ফিরলেন, তখন বিচারপতি ইব্রাহিম বললেন, ‘রাজ্জাক সাহেব, আপনি ঠিকই বলেছিলেন। ওরা কী একটা তৈরি করেছে। আমার সঙ্গে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ নাই। এখন বলছে, সই করো। আমি ওসব সইটই করব না! আমি ঢাকা এসে বসে আছি।’
আইয়ুব খান যখন সংবিধান জারি করেন, তখন বিচারপতি ইব্রাহিম রাগ করে ঢাকায় বসে ছিলেন। তারপর অসুস্থতার কথা বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আবদুর রাজ্জাকের ধারণাই যে ঠিক ছিল, সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতিসমগ্র ২, পৃষ্ঠা ২৫০-২৫১
বিচারপতি ইব্রাহিম একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের ব্যাপারে তাঁর ধারণা খুব ভালো ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরে গিয়েছিলেন তিনি, তাঁকে আইয়ুব খান তাঁর সংবিধান রচনা দলের সদস্য করে নিয়েছিলেন। আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের ফলাফল কী হতে পারে, সে বিষয়ে বিচারপতি ইব্রাহিম প্রশ্ন করেছিলেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে। আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘সামরিক আইন এই অবস্থার কোনো উন্নতি করতে পারবে না। এতে খুব অবাক হয়ে বিচারপতি ইব্রাহিম বলেছিলেন, ‘রাজনীতিবিদরা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছে, তাতে এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।’
এর কিছুদিন পর তিনি আইয়ুব খানের মন্ত্রী হন। তারপর আবদুর রাজ্জাককে ডেকে বলেন, ‘আপনি আমাকে একটু সাহায্য করবেন? আপনি তো সংবিধান নিয়ে অনেক নাড়াচাড়া করেছেন, সরকার বলেছে নতুন একটা সংবিধান রচনা করবে। আমাকে তার দায়িত্ব দিয়েছে। তারা বলেছে, আমি যা করব, তা-ই তারা গ্রহণ করবেন।’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আপনি তাই বিশ্বাস করেন?’
অবাক হয়ে ইব্রাহিম বললেন, ‘কেন? কেন?’
আবদুর রাজ্জাক বললেন. ‘আপনি সরল মানুষ, তাই বিশ্বাস করেছেন। আসলে কনস্টিটিউশন ওরাই করবে। ওরা কেবল আপনাকে সই করতে বলবে।’
বিচারপতি ইব্রাহিম বিশ্বাস করলেন না অধ্যাপক রাজ্জাকের কথা। এ সময় আবদুর রাজ্জাক কিছুদিনের জন্য দেশ ছাড়লেন। গেলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
যখন ফিরলেন, তখন বিচারপতি ইব্রাহিম বললেন, ‘রাজ্জাক সাহেব, আপনি ঠিকই বলেছিলেন। ওরা কী একটা তৈরি করেছে। আমার সঙ্গে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ নাই। এখন বলছে, সই করো। আমি ওসব সইটই করব না! আমি ঢাকা এসে বসে আছি।’
আইয়ুব খান যখন সংবিধান জারি করেন, তখন বিচারপতি ইব্রাহিম রাগ করে ঢাকায় বসে ছিলেন। তারপর অসুস্থতার কথা বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আবদুর রাজ্জাকের ধারণাই যে ঠিক ছিল, সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম স্মৃতিসমগ্র ২, পৃষ্ঠা ২৫০-২৫১
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫