রাহুল শর্মা
আজকের পত্রিকা: আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাই?
ফুলপরী খাতুন: নতুন শিক্ষার্থী হলে উঠলে সবার সঙ্গেই তাঁরা (ছাত্রলীগ নেত্রী) বাজে আচরণ করেন। এটা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারে পরিণত হয়েছে। আমার সঙ্গে ওরা কী করেছে, তা দেশবাসী জানে। এত বড় অন্যায় কারোরই মুখ বুজে সহ্য করা উচিত নয়। এ ধরনের ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে, তাই সবাইকে (শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক) র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এ ঘটনায় প্রতিবাদ করার সাহস পেলেন কীভাবে?
ফুলপরী খাতুন: অন্যায়ের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে কখনো ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এ জন্যই সাহস করে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছি, রুখে দাঁড়িয়েছি। পরে শুনেছি এ ধরনের ঘটনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই ঘটে। আমার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁরা তদন্ত করে সত্যতা বের করেছেন।
আজকের পত্রিকা: দোষীদের যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে কি আপনি সন্তুষ্ট?
ফুলপরী খাতুন: তাঁরা আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এগুলো ভাবলে আমি এখনো আঁতকে উঠি। তাই আমি চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। আমার পরিবারসহ আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আইনজীবী কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেছেন। এগুলো সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময় আইনি লড়াই (মামলা করা) শুরু করব।
আজকের পত্রিকা: নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত কি না?
ফুলপরী খাতুন: প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। তারপরও মাঝে মাঝে ভয় লাগে। কোন সময় কী হয়। কারণ, ওদের আমার ওপর অনেক রাগ। তবে আমি দমে যাব না। কেউ অন্যায় করলে প্রতিবাদ করবই। আশা করি, এ ঘটনার পর সবাই আমার থেকে বেশি প্রতিবাদ করার সাহস পাবেন।
আজকের পত্রিকা: এ ঘটনায় পরিবার, সহপাঠী ও শিক্ষকদের ভূমিকা কেমন ছিল?
ফুলপরী খাতুন: এখন সবাই আমাকে খুব সমর্থন করছে, পাশে থাকার কথা বলছে। অবশ্য এ ঘটনায় আমার পরিবারের সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছি। আর শিক্ষকেরাও অনেক সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আটজন জড়িত বলে উল্লেখ করেন তিনি। পরে বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনসহ মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি।
এ ছাড়া ৪ মার্চ পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তাঁদের হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আজকের পত্রিকা: আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাই?
ফুলপরী খাতুন: নতুন শিক্ষার্থী হলে উঠলে সবার সঙ্গেই তাঁরা (ছাত্রলীগ নেত্রী) বাজে আচরণ করেন। এটা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারে পরিণত হয়েছে। আমার সঙ্গে ওরা কী করেছে, তা দেশবাসী জানে। এত বড় অন্যায় কারোরই মুখ বুজে সহ্য করা উচিত নয়। এ ধরনের ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে, তাই সবাইকে (শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবক) র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এ ঘটনায় প্রতিবাদ করার সাহস পেলেন কীভাবে?
ফুলপরী খাতুন: অন্যায়ের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে কখনো ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এ জন্যই সাহস করে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছি, রুখে দাঁড়িয়েছি। পরে শুনেছি এ ধরনের ঘটনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই ঘটে। আমার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁরা তদন্ত করে সত্যতা বের করেছেন।
আজকের পত্রিকা: দোষীদের যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে কি আপনি সন্তুষ্ট?
ফুলপরী খাতুন: তাঁরা আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এগুলো ভাবলে আমি এখনো আঁতকে উঠি। তাই আমি চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। আমার পরিবারসহ আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আইনজীবী কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বলেছেন। এগুলো সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময় আইনি লড়াই (মামলা করা) শুরু করব।
আজকের পত্রিকা: নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত কি না?
ফুলপরী খাতুন: প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। তারপরও মাঝে মাঝে ভয় লাগে। কোন সময় কী হয়। কারণ, ওদের আমার ওপর অনেক রাগ। তবে আমি দমে যাব না। কেউ অন্যায় করলে প্রতিবাদ করবই। আশা করি, এ ঘটনার পর সবাই আমার থেকে বেশি প্রতিবাদ করার সাহস পাবেন।
আজকের পত্রিকা: এ ঘটনায় পরিবার, সহপাঠী ও শিক্ষকদের ভূমিকা কেমন ছিল?
ফুলপরী খাতুন: এখন সবাই আমাকে খুব সমর্থন করছে, পাশে থাকার কথা বলছে। অবশ্য এ ঘটনায় আমার পরিবারের সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছি। আর শিক্ষকেরাও অনেক সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আটজন জড়িত বলে উল্লেখ করেন তিনি। পরে বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনসহ মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ও মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন ঊর্মি।
এ ছাড়া ৪ মার্চ পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তাঁদের হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৫ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫