Ajker Patrika

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে রোগীর চাপ

দাকোপ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৫২
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে রোগীর চাপ

শীতের শুরুতেই দাকোপের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাঁরা ভিড় জমাচ্ছেন নিকটবর্তী কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে রোগীদের লম্বা লাইন। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথায় ব্যথা, চোখ ওঠা, আমাশয়, ডায়রিয়া, দুর্বলতাসহ বিভিন্ন রোগের লক্ষণ নিয়ে এসে হাজির হয়েছেন তাঁরা। তবে এখানে আগত রোগীর মধ্যে জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।

শীতের আগমনে এলাকার শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও আক্রান্ত হয়েছেন ঠান্ডাজনিত রোগে। চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছেন বাড়ির পাশের ক্লিনিকে। ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মনোযোগ দিয়ে রোগীদের সমস্যার কথা শুনছেন এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। ক্লিনিকে আগত প্রত্যেক রোগীকে স্বাস্থ্য শিক্ষা দিচ্ছেন। সমস্যা বেশি হলে রেফার করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

কথা হয় কয়েক জন রোগীর সঙ্গে। পানখালী হোগলাবুনিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান শেখ (৬৫) জানান, বয়স বেড়েছে। শরীর অনেক দুর্বল। তার ওপর আবার ঠান্ডা লেগেছে। আবার শরীর গরম-গরম লাগছে। মাঝে মধ্যে হাঁচি ও কাশি হচ্ছে। এখানে এসেছিলেন ওষুধ নিতে। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন। বলেছে সেরে যাবে। তিন দিন পর তাঁকে আবার আসতে বলেছে।

খোনা খাটাইল এলাকার কুলসুম বেগম (৩০) বলেন, ‘আমার বাচ্চার বয়স ৬ মাস। কয়েক তিন ধরে একটু কাশি দিচ্ছে। তাই এসেছিলাম ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার ভালোভাবে পরীক্ষা করে ওষুধ দিয়েছে।’

সুতারখালি এলাকার সকিনা বেগম (৫৮) বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাতে গা গরম হচ্ছিল। এখন আবার সর্দি কাশিতে চাপ দিয়েছে। ডাক্তার ভালো কইরে দেখে ওষুধ দেছে। তিন দিন পর আবার আসতে কইছে।’

উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রুপের সভাপতি বলেন, ‘এখানে আগত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা যারা সিজি ও সিএসজি গ্রুপে আছি তাঁরা ও ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীরা মিলে এলাকার মানুষকে ঠান্ডাজনিত রোগসহ করোনার বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত বেশকয়েক জন সিএইচসিপির সঙ্গে কথা হয় তাঁরা জানান, শীতের শুরুতে সর্দি, কাশি ও জ্বরের রোগীর চাপ একটু বেশি। ক্লিনিকে আগত রোগীদের মাস্ক ব্যবহার ও সাবান দিয়ে হাত ধুতে ও তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, ‘দাকোপ উপজেলায় ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। মানুষ জ্বর-সর্দি কাশি নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আসছেন। এটা সিজিনাল ডিজিজ। সেখানে কর্মরত সিএইচসিপিরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতন করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত