হোসাইন ময়নুল, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)
সেই ব্রিটিশ আমলে সলপের প্রতাপশালী সান্যাল জমিদারেরা পার্শ্ববর্তী পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ভদ্রকোল গ্রামে একটি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করেছিলেন। নিজেদের গ্রামের নামে সেই স্টেশনের নাম দেওয়া হয় সলপ স্টেশন। এই স্টেশনের পাশের কানসোনা গ্রামের সে সময়কার ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন উৎকৃষ্ট মানের ঘোল, দই ও ঘি তৈরি করে এই সলপ স্টেশনে বিক্রি করতেন। কানসোনা গ্রামের ফেলা ঘোষ, ভোলা ঘোষ, দীনেশ ঘোষসহ অনেকের তৈরি ক্ষীরখাসা দই আর ঘোলের চাহিদা ও সুনাম বাড়তে থাকে। জমিদারেরা সে সবের বেশির ভাগ কিনে নিতেন নিজেদের আর আত্মীয়স্বজনদের খাওয়ানোর জন্য।
দেশভাগের পর ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন ভারত চলে গেলে এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ এই ঘোল তৈরির ঐতিহ্য ধরে রাখেন। জানা যায়, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রাঘববাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী খান রাজশাহীতে একটি মিষ্টির দোকানের এক কারিগরের কাছে ঘোল তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। পরে ফিরে এসে সলপ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আনুমানিক ১৯২২ সালে ঘোল তৈরি শুরু করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে তাঁদের উৎপাদিত ঘোলের বেশির ভাগ কিনে নিতেন সলপ জমিদার পরিবারের লোকজন।
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সলপ গ্রামটি ঘোল আর মাঠা তৈরির জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে দীর্ঘ সময় ধরে। প্রতিদিন ভোরে গ্রামের খামারিদের কাছ থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করা হয়। তারপর তিন থেকে চার ঘণ্টা বড় পাতিলে জ্বাল দেওয়া হয়। জ্বাল দিতে দিতে দুধ যখন ঘন হয়ে আসে, তখন সেই দুধ অন্য একটি পাত্রে রেখে দেওয়া হয় রাতভর। সকালে জমে থাকা সেই দুধের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় সলপের সুস্বাদু ঘোল।
সরেজমিনে উপজেলার সলপ রেলস্টেশন এলাকায় দেখা যায়, স্টেশনের পাশে ঘোলের দোকানগুলো জমে উঠেছে ঘোল বিক্রির জন্য। দোকানের সামনে পাত্রে পসরা সাজিয়ে চলছে বিক্রি। দোকানের পেছনে ঘোল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এই ঘোল খেতে বা কিনতে এসেছেন।
স্থানীয় শামীম হোসেন বলেন, সলপের ঘোল তৈরির পেছনে আছে শত বছরের ঐতিহ্য। আদিকাল থেকে এই ঘোলের সুনাম রয়েছে; বিশেষ করে গরম ও রোজায় এই ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
ঘোল উৎপাদনকারী আবদুল মালেক খান বলেন, ‘এই ব্যবসা আমার বাপ-দাদারা করেছেন। তাঁদের ঐতিহ্য এখন আমরা ধরে রেখেছি। গরম ও রোজার মাসে প্রতিদিন এই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ মণ ঘোল ও মাঠা বিক্রি হয়।’
সলপের ঘোলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথম শুক্রবার সিরাজগঞ্জ প্রভাতী সংঘের আয়োজনে ঘোল উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ বছর এই সলপের ঘোল ১০০ বছর পূর্ণ করবে বলেও জানা যায়।
সেই ব্রিটিশ আমলে সলপের প্রতাপশালী সান্যাল জমিদারেরা পার্শ্ববর্তী পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ভদ্রকোল গ্রামে একটি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করেছিলেন। নিজেদের গ্রামের নামে সেই স্টেশনের নাম দেওয়া হয় সলপ স্টেশন। এই স্টেশনের পাশের কানসোনা গ্রামের সে সময়কার ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন উৎকৃষ্ট মানের ঘোল, দই ও ঘি তৈরি করে এই সলপ স্টেশনে বিক্রি করতেন। কানসোনা গ্রামের ফেলা ঘোষ, ভোলা ঘোষ, দীনেশ ঘোষসহ অনেকের তৈরি ক্ষীরখাসা দই আর ঘোলের চাহিদা ও সুনাম বাড়তে থাকে। জমিদারেরা সে সবের বেশির ভাগ কিনে নিতেন নিজেদের আর আত্মীয়স্বজনদের খাওয়ানোর জন্য।
দেশভাগের পর ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন ভারত চলে গেলে এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ এই ঘোল তৈরির ঐতিহ্য ধরে রাখেন। জানা যায়, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রাঘববাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী খান রাজশাহীতে একটি মিষ্টির দোকানের এক কারিগরের কাছে ঘোল তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। পরে ফিরে এসে সলপ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আনুমানিক ১৯২২ সালে ঘোল তৈরি শুরু করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে তাঁদের উৎপাদিত ঘোলের বেশির ভাগ কিনে নিতেন সলপ জমিদার পরিবারের লোকজন।
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সলপ গ্রামটি ঘোল আর মাঠা তৈরির জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে দীর্ঘ সময় ধরে। প্রতিদিন ভোরে গ্রামের খামারিদের কাছ থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করা হয়। তারপর তিন থেকে চার ঘণ্টা বড় পাতিলে জ্বাল দেওয়া হয়। জ্বাল দিতে দিতে দুধ যখন ঘন হয়ে আসে, তখন সেই দুধ অন্য একটি পাত্রে রেখে দেওয়া হয় রাতভর। সকালে জমে থাকা সেই দুধের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় সলপের সুস্বাদু ঘোল।
সরেজমিনে উপজেলার সলপ রেলস্টেশন এলাকায় দেখা যায়, স্টেশনের পাশে ঘোলের দোকানগুলো জমে উঠেছে ঘোল বিক্রির জন্য। দোকানের সামনে পাত্রে পসরা সাজিয়ে চলছে বিক্রি। দোকানের পেছনে ঘোল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এই ঘোল খেতে বা কিনতে এসেছেন।
স্থানীয় শামীম হোসেন বলেন, সলপের ঘোল তৈরির পেছনে আছে শত বছরের ঐতিহ্য। আদিকাল থেকে এই ঘোলের সুনাম রয়েছে; বিশেষ করে গরম ও রোজায় এই ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
ঘোল উৎপাদনকারী আবদুল মালেক খান বলেন, ‘এই ব্যবসা আমার বাপ-দাদারা করেছেন। তাঁদের ঐতিহ্য এখন আমরা ধরে রেখেছি। গরম ও রোজার মাসে প্রতিদিন এই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ মণ ঘোল ও মাঠা বিক্রি হয়।’
সলপের ঘোলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথম শুক্রবার সিরাজগঞ্জ প্রভাতী সংঘের আয়োজনে ঘোল উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ বছর এই সলপের ঘোল ১০০ বছর পূর্ণ করবে বলেও জানা যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪