Ajker Patrika

পাবলিক বাসে মতিয়া চৌধুরী, ছবি ভাইরাল

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ১২
পাবলিক বাসে মতিয়া  চৌধুরী, ছবি ভাইরাল

ছিলেন তিন দফার মন্ত্রী। এবারসহ পাঁচ দফায় নির্বাচিত হয়েছেন শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাংসদ হিসেবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও তিনি।

শেরপুর থেকে পাবলিক বাসেই নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত করলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনার বাংলা সার্ভিসের একটি বাসযোগে নকলা শহরের জালালপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে বিদায় জানান।

জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা থেকে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মেধাবী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য নকলায় আসেন সাংসদ মতিয়া চৌধুরী। এরপর গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার নকলা ও নালিতাবাড়ীতে কম্বল বিতরণ করেন।

পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবারের মতোই পাবলিক বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তাঁর পাবলিক বাসে বসে থাকার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ছবিটি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এজন্যই তিনি ব্যতিক্রম...। নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলায় মেধাবী শিক্ষার্থী, দরিদ্র অসহায় শীতার্ত মানুষ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে পাবলিক বাসে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি’।

নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই অনেক লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বেগম মতিয়া চৌধুরী বেশ আগে থেকেই জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে তাঁর সাধাসিধে জীবনযাপনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। পোশাকপরিচ্ছদ ও চলাফেরাতেও তার একই ধরন।

মন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করলেও তাঁর আগে তিনি বাসেই যাতায়াত করতেন, এখনো করছেন।

এ ব্যাপারে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলার অগ্নিকন্যা খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরী একজনই। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বিএনপি-জামায়াত জোট বিরোধী আন্দোলনে তিনি এক সাহসী ও পরীক্ষিত নেত্রী। আমাদের লোভ-লালসার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে মিতব্যয়, সততা, নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও ত্যাগ স্বীকার প্রশ্নে তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। যে কারণে তিনি খুব সহজ ও স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত।

আর তাই ক্ষমতাসীন দলের একজন কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ার পরও তাঁর মাঝে কোনো অহমিকা ও উচ্চাভিলাষ নেই। পরিবর্তিত অবস্থায় পাবলিক বাসে চেপে নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত-তার সাদামাটা জীবনযাপনেরই অংশ।

উল্লেখ্য, পুলিশ পরিবারের সন্তান হয়েও মতিয়া চৌধুরী রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক জাতীয় ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছিলেন ডাকসুর জিএস।

এরপর দীর্ঘদিন বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার পর যোগ দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে। প্রথিতযশা নির্ভীক সাংবাদিক বজলুর রহমানের সহধর্মিণী মতিয়া চৌধুরী ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সাল ব্যতীত প্রতিবারই দলীয় মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বও সফলভাবে পালন করেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত