হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইমার্জেন্সি তহবিল থেকে রাঙামাটির বরকল উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ আনা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পাহাড়ের ওপরে নির্মিত। তাই বিদ্যালয় ভবন পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে সেগুলো ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে এ বরাদ্দ আনা হয় বলে জানা গেছে। বরাদ্দ পাওয়া স্কুলপ্রধানদের অনেকে বলেছেন, তাঁরা কোথাও আবেদন করেননি। শিক্ষা অফিস সবকিছু করেছে। বরাদ্দের টাকা পাওয়া কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানতেনই না তাঁর বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়াই লাখ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে রকবিবছড়া বটটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাগলকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১), তাগলকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২), ডলুছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২), বামে মহালছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালাপুনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দবীঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট হরিণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালুক্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিকসেন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ছাড়া দুই লাখ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১), সুবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঠেগা চাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এই বিদ্যালয়গুলোর মধ্য সাতটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী বড় হরিণা ইউনিয়নে, পাঁচটি ভূষণছড়া ইউনিয়নে এবং তিনটি আইমাছড়া ইউনিয়নে। একেবারে দুর্গম এলাকায়।
বরাদ্দ পাওয়া এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধন কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে আমার স্কুল ক্ষতিগ্রস্তের সুযোগ নেই। আমি কোথাও আবেদন করিনি। শিক্ষা অফিস থেকে খবর পেয়ে গিয়েছি। আমার স্কুলের নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। সেখান থেকে আমাকে কিছু দেওয়া হয়।’
বরাদ্দ পাওয়া অন্য একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমার স্কুলটি পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা নেই। স্কুলের নামে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এ টাকা উত্তোলনের আগে টিইও স্যার এক লাখ টাকা নিয়ে নেন।’
নিকসেন্দ্রা স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আবু সালেহ বলেন, মিটিংয়ে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, টিইওকে টাকা দিতে হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে সোলার কেনা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার উদয়ন চাকমা বলেন, বরাদ্দ আনার পুরো কাজটি সমন্বয় করেছেন ভাইবোনছড়া স্কুলের শিক্ষক বিমলেন্দু চাকমা। তিনি স্কুলে না গিয়ে সারা দিন টিইও স্যারের এখানে পড়ে থাকেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বিমলেন্দু চাকমা বলেন, ‘এ টাকা ছাড় করাতে আমাকে এক টাকাও দিতে হয়নি। আমরা সব টাকা পেয়েছি। স্যার (টিইও) কারও কাছ থেকে টাকা নেননি।’
বড় হরিণা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিলাময় চাকমা বলেন, ‘দুর্গমতাকে কাজে লাগিয়ে এই অনিয়ম করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি কথা বলায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে শিক্ষকেরা নালিশ দিয়েছেন যে আমি নাকি জেএসএস করি।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন, বরকলের স্কুলগুলো পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত বলা হয়েছে, তার অধিকাংশের শিক্ষকই স্কুলে যান না।
তবে অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বরকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, বরাদ্দের টাকা স্কুলগুলোকে দেওয়া হয়েছে। এর কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইমার্জেন্সি তহবিল থেকে রাঙামাটির বরকল উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ আনা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পাহাড়ের ওপরে নির্মিত। তাই বিদ্যালয় ভবন পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে সেগুলো ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে এ বরাদ্দ আনা হয় বলে জানা গেছে। বরাদ্দ পাওয়া স্কুলপ্রধানদের অনেকে বলেছেন, তাঁরা কোথাও আবেদন করেননি। শিক্ষা অফিস সবকিছু করেছে। বরাদ্দের টাকা পাওয়া কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানতেনই না তাঁর বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়াই লাখ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে রকবিবছড়া বটটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাগলকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১), তাগলকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২), ডলুছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২), বামে মহালছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালাপুনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দবীঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট হরিণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালুক্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিকসেন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ছাড়া দুই লাখ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছে ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১), সুবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঠেগা চাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এই বিদ্যালয়গুলোর মধ্য সাতটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী বড় হরিণা ইউনিয়নে, পাঁচটি ভূষণছড়া ইউনিয়নে এবং তিনটি আইমাছড়া ইউনিয়নে। একেবারে দুর্গম এলাকায়।
বরাদ্দ পাওয়া এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধন কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে আমার স্কুল ক্ষতিগ্রস্তের সুযোগ নেই। আমি কোথাও আবেদন করিনি। শিক্ষা অফিস থেকে খবর পেয়ে গিয়েছি। আমার স্কুলের নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। সেখান থেকে আমাকে কিছু দেওয়া হয়।’
বরাদ্দ পাওয়া অন্য একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমার স্কুলটি পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা নেই। স্কুলের নামে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এ টাকা উত্তোলনের আগে টিইও স্যার এক লাখ টাকা নিয়ে নেন।’
নিকসেন্দ্রা স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আবু সালেহ বলেন, মিটিংয়ে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, টিইওকে টাকা দিতে হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে সোলার কেনা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার উদয়ন চাকমা বলেন, বরাদ্দ আনার পুরো কাজটি সমন্বয় করেছেন ভাইবোনছড়া স্কুলের শিক্ষক বিমলেন্দু চাকমা। তিনি স্কুলে না গিয়ে সারা দিন টিইও স্যারের এখানে পড়ে থাকেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বিমলেন্দু চাকমা বলেন, ‘এ টাকা ছাড় করাতে আমাকে এক টাকাও দিতে হয়নি। আমরা সব টাকা পেয়েছি। স্যার (টিইও) কারও কাছ থেকে টাকা নেননি।’
বড় হরিণা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিলাময় চাকমা বলেন, ‘দুর্গমতাকে কাজে লাগিয়ে এই অনিয়ম করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি কথা বলায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে শিক্ষকেরা নালিশ দিয়েছেন যে আমি নাকি জেএসএস করি।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন, বরকলের স্কুলগুলো পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত বলা হয়েছে, তার অধিকাংশের শিক্ষকই স্কুলে যান না।
তবে অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বরকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, বরাদ্দের টাকা স্কুলগুলোকে দেওয়া হয়েছে। এর কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫