Ajker Patrika

শ্রীরামের ‘ইম্প্যাক্ট’ দর্শন অদৃশ্যই থেকে গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রীরামের ‘ইম্প্যাক্ট’ দর্শন অদৃশ্যই থেকে গেল

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বাংলাদেশের কাছে ছিল মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গাঁটের ডলার খরচ করে দুবাইয়ে একটা প্রস্তুতি ক্যাম্প করতে চেয়েছিল। বিসিবির এই চাওয়া পরে আন্তর্জাতিক সিরিজে রূপ দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ হলেও দুটি ম্যাচই ছিল বাংলাদেশের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মঞ্চ। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, দলের নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের কাছে দুবাই যেন গবেষণাগার। সেখানেই শ্রীরাম প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন তাঁর ইম্প্যাক্ট দর্শন। কিন্তু আমিরাতের বিপক্ষে সেটি দেখা গেল না খুব একটা।

শ্রীরামের ল্যাবরেটরিতে ‘মেক শিফট’ ওপেনার হিসেবে দেখা হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমান। এই পরিকল্পনা যে খুব একটা কাজে দেয়নি, পারফরম্যান্সই বলে দিচ্ছে। ভালো টিকটকার হতে সাব্বির সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইদানীং, ততটা ওপেনার হয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। এই পজিশনে সাব্বির ডাহা ফেল। গত তিন ইনিংসে তাঁর রান ১৭।

সাব্বির ব্যর্থ হলেও মিরাজ বরং কিছুটা আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। গতকালও যেমন ৩৭ বলে করলেন ৪৬ রান। এই মাঠেই এশিয়া কাপে করেছিলেন ৩৮ রান। তবে মিরাজ তুলনামূলক মন্থর হয়ে যাচ্ছেন পাওয়ার প্লে শেষে। মিরাজ কাল পাঁচ বাউন্ডারিতে করেছেন ৪৬ রান; তিনটি বাউন্ডারি এসেছে পাওয়ার প্লেতে। তিনি আউট হয়েছেন ১৫তম ওভারের শেষ বলে। একজন জাত ওপেনার কিংবা বিধ্বংসী ব্যাটার শুরু থেকে ১৫ ওভার টিকে গেলে অনায়াসে ফিফটি পেরিয়ে ইনিংসকে সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা। মিরাজ সেখানে ফিফটিও ছুঁতে পারেননি। পঞ্চম ওভারে তৃতীয় বাউন্ডারি মারার পর যেন ‘শীতনিদ্রায়’ গিয়েছিলেন। পরের বাউন্ডারি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও ১০ ওভার! নতুন ওপেনিং জুটিতে আশানুরূপ ফল মেলেনি, সেটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

আমিরাতের বিপক্ষে ব্যর্থ মিডল অর্ডারও। কঠিন সময়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করা আফিফ হোসেন গতকাল ১৮ রানে ফিরে যাওয়ায় মিডল অর্ডারে কোনো উজ্জ্বল ইনিংস দেখা যায়নি। লোয়ার মিডল অর্ডারে নুরুল হাসান সোহান আর ইয়াসির আলীর চেষ্টায় গতকাল স্কোরটা ১৭০ ছুঁইছুঁই হয়েছে। বাংলাদেশ ছক্কাই মারতে পেরেছে ৫টি, বাউন্ডারি ১৬টি আর ডট খেলেছে ৩৫টি।  বেশিরভাগ ব্যাটারই ইম্প্যাক্ট ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। প্রভাব বিস্তারী ইনিংস কিছুটা সোহানই যা খেলেছেন।

আমিরাতের বিপক্ষেই যদি বড় স্কোর গড়া কিংবা ইম্প্যাক্ট ইনিংস খেলতে   ঘাম ছুটে যায়, অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৮০–২০০ রানের স্কোর কীভাবে গড়া যাবে কিংবা বড় লক্ষ্য তাড়া করা যাবে, সে প্রশ্ন থেকেই গেল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত