সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি ২০০৯ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কার হয়নি। ফলে সড়কে অতিরিক্ত ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িউড়া বাজার থেকে কালিকচ্ছ বাজার পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাকা সড়কটি নির্মাণের ফলে উপজেলার কৃষিনির্ভর নোয়াগাঁও, সরাইল সদর, শাহবাজপুর, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নসহ অন্তত ৬০টি গ্রামের ২ লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রায় নানা পরিবর্তন এসেছে। এটি ওই এলাকার একমাত্র সড়ক হওয়ায় এটি দিয়ে আশপাশের ইউনিয়নের মানুষ হাওর এলাকাসহ শহরে যাতায়াত করেন।
এদিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া বাজার থেকে আঁখিতারা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুপাশ ভেঙে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। সড়কের পিচ ও আস্তরণ উঠে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। খানাখন্দে ভরা এ পথে চলাচলকারী যানবাহনের চালকেরা জানান, দুর্ভোগের এ সড়ক যেন উপজেলাবাসীর জন্য ‘নরকের পথ’।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির দুপাশ ভেঙে গেছে। কোনো কোনো স্থানে ১২ ফুট প্রস্থে মাত্র চার-পাঁচ ফুট বাকি আছে। অবশিষ্ট অংশ ভেঙে গেছে। এতে বিপরীতমুখী দুটি অটোরিকশাও অতিক্রম করতে পারে না। যানবাহন পাশের খাদে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আগামী বর্ষার আগে সড়কটি সংস্কার করা না হলে দুই লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সড়কটি ভাঙাচোরা হওয়ার কারণে ২০ টাকার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। যানবাহন চলাচলের সময় ধোঁয়ার মতো ধুলোবালি ওড়ে। যেন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারপাশ। রাস্তার ওই ধুলোবালির কারণে এলাকার অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুখে ভুগছেন। আর বৃষ্টি হলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন এখানকার মানুষকে হেঁটে পথ পার হতে হয়। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাড়িউড়া-কালিকচ্ছ সড়কটি বেহাল। রোগীদের নিয়ে যাওয়া দূরে থাক, সুস্থ মানুষের পক্ষেও যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে সড়কটির সংস্কারের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সংস্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
গাড়ির চালক শফিক মিয়া বলেন, সড়ক বেহাল হওয়ায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। এ জন্য দুর্ঘটনা অনবরত হয়। গাড়িতেও অনেক সমস্যা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার মিয়া বলেন, সারা দেশের রাস্তাঘাটের উন্নতি হলেও আমাদের এলাকায় কোনো উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। এই সড়কটির দুরবস্থার কারণে আমাদের চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হয়। আত্মীয়-স্বজন যদি একবার আসে দ্বিতীয়বার আর আসতে চায় না। আর দুর্ঘটনাতো আছেই।
আমির খান বলেন, গত ছয় মাসে ছোটবড় দশটির মতো দুর্ঘটনা হয়েছে। একজন মারাও গেছেন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বলেন, ‘সড়কটিতে যাতায়াত একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ রোগীদের জন্য যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়। ছোট-বড় গর্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। বিভিন্ন সময় সরকারি সংস্থার লোকজন সড়কটি মেপে নিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করে জনসাধারণের চলাফেরার ব্যবস্থা করে দেন।’
সরাইল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা চেষ্টা করছি সংস্কার করার জন্য।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি ২০০৯ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কার হয়নি। ফলে সড়কে অতিরিক্ত ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িউড়া বাজার থেকে কালিকচ্ছ বাজার পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাকা সড়কটি নির্মাণের ফলে উপজেলার কৃষিনির্ভর নোয়াগাঁও, সরাইল সদর, শাহবাজপুর, কালিকচ্ছ ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নসহ অন্তত ৬০টি গ্রামের ২ লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রায় নানা পরিবর্তন এসেছে। এটি ওই এলাকার একমাত্র সড়ক হওয়ায় এটি দিয়ে আশপাশের ইউনিয়নের মানুষ হাওর এলাকাসহ শহরে যাতায়াত করেন।
এদিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাড়িউড়া বাজার থেকে আঁখিতারা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুপাশ ভেঙে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। সড়কের পিচ ও আস্তরণ উঠে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। খানাখন্দে ভরা এ পথে চলাচলকারী যানবাহনের চালকেরা জানান, দুর্ভোগের এ সড়ক যেন উপজেলাবাসীর জন্য ‘নরকের পথ’।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির দুপাশ ভেঙে গেছে। কোনো কোনো স্থানে ১২ ফুট প্রস্থে মাত্র চার-পাঁচ ফুট বাকি আছে। অবশিষ্ট অংশ ভেঙে গেছে। এতে বিপরীতমুখী দুটি অটোরিকশাও অতিক্রম করতে পারে না। যানবাহন পাশের খাদে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আগামী বর্ষার আগে সড়কটি সংস্কার করা না হলে দুই লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সড়কটি ভাঙাচোরা হওয়ার কারণে ২০ টাকার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। যানবাহন চলাচলের সময় ধোঁয়ার মতো ধুলোবালি ওড়ে। যেন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারপাশ। রাস্তার ওই ধুলোবালির কারণে এলাকার অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুখে ভুগছেন। আর বৃষ্টি হলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন এখানকার মানুষকে হেঁটে পথ পার হতে হয়। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাড়িউড়া-কালিকচ্ছ সড়কটি বেহাল। রোগীদের নিয়ে যাওয়া দূরে থাক, সুস্থ মানুষের পক্ষেও যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে সড়কটির সংস্কারের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সংস্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
গাড়ির চালক শফিক মিয়া বলেন, সড়ক বেহাল হওয়ায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। এ জন্য দুর্ঘটনা অনবরত হয়। গাড়িতেও অনেক সমস্যা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার মিয়া বলেন, সারা দেশের রাস্তাঘাটের উন্নতি হলেও আমাদের এলাকায় কোনো উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। এই সড়কটির দুরবস্থার কারণে আমাদের চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হয়। আত্মীয়-স্বজন যদি একবার আসে দ্বিতীয়বার আর আসতে চায় না। আর দুর্ঘটনাতো আছেই।
আমির খান বলেন, গত ছয় মাসে ছোটবড় দশটির মতো দুর্ঘটনা হয়েছে। একজন মারাও গেছেন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বলেন, ‘সড়কটিতে যাতায়াত একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ রোগীদের জন্য যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়। ছোট-বড় গর্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। বিভিন্ন সময় সরকারি সংস্থার লোকজন সড়কটি মেপে নিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করে জনসাধারণের চলাফেরার ব্যবস্থা করে দেন।’
সরাইল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা চেষ্টা করছি সংস্কার করার জন্য।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪