Ajker Patrika

অনু‌মোদন পেল বিশ্ববিদ্যালয় আনন্দে ঠাকুরগাঁওবাসী

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১৬: ২১
অনু‌মোদন পেল বিশ্ববিদ্যালয় আনন্দে ঠাকুরগাঁওবাসী

মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আনন্দে ভাসছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওবাসী। এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন, তা পূরণ হতে যাওয়ায় নানা রকম প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পাওয়ায় এ জেলায় নতুন করে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের। সামাজিকভাবে এগিয়ে যাবে এখানকার মানুষ।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও সফরে এসে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। দীর্ঘ চার বছর পর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখছেন জেলাবাসী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

পৌরশহরের হাজিপাড়ার বাসিন্দা সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এ খুশির কথা ভাষায় বোঝানো যাবে না। শহর থেকে কাছাকাছি মনোরম ও কোলাহলমুক্ত একটি পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টি হোক এটি আমরা চাই।’

সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্তি আক্তার বলে, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ জেলাকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’

একই শ্রেণির সাবিকুন নাহার জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় হলে এ অঞ্চলের মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে বাল্যবিয়ের হার কমবে।

জগন্নাথপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর রহমান জানায়, অসচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতো অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। এখন একটি সুযোগ সৃষ্টি হলো।

অভিভাবক হালিমা বেগম বলেন, ‘সংসারের টানাপোড়েনের জন্য অনেক অভিভাবক সন্তানদের বাইরে পড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এখানেই বিশ্ববিদ্যালয় হলে ঘরে থেকেই লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।’

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেকদৃষ্টি বরাবরই ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য ছিল। এ জেলার মানুষের কর্মসংস্থানের সংকট দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিও বাস্তবায়নের জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। এ ছাড়া মেডিকেল কলেজ এবং ঢাকার সঙ্গে কম সময়ে যোগাযোগের জন্য পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর দাবি করছি।’

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত অনুমোদনের কথা জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় খুশির সংবাদ। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি আসেনি। নির্দেশনা এলেই আমরা কাজ শুরু করব।’

জমি নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে জায়গা নির্ধারণ করা হবে।’

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের জয়জয়কার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে এখন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমানবন্দর এলাকার উত্তরে মুক্তা মেলার পাশে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত