
এ বছরের শুরুতে চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ফেলে রাখা কাপড়ের পাহাড়ের একটি স্যাটেলাইট ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান এ কাপড়ের স্তূপ ফ্যাশন শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলা ও পশমের মতো প্রাকৃতিক তন্তুগুলোতে পচন ধরলেও, পলিস্টার এবং নাইলনের মতো কৃত্রিম তন্তু প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয়। এগুলো শত শত বছর অক্ষত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বৈজ্ঞানিক সংগঠন পলিস্টার এবং নাইলন বর্জ্যের জলদি পচনের প্রাকৃতিক উপায় বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাভিত্তিক বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বেথ র্যাটনার বলেন, ‘আমরা এই জটিল যৌগগুলোকে কীভাবে ভাঙা যায় তা খোঁজার চেষ্টা করছি, বিশেষ করে এমন উপায়ে যেন এতে ব্যবহৃত রং ও প্রলেপের বিষাক্ত প্রভাব থেকে আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নতুন কাঁচামাল তৈরির জন্য এনজাইম বা ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক উপাদান ব্যবহার করছি।’
চলতি বছরেই বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের ‘ডিজাইন ফর ডিকম্পোজিশন’ প্রকল্পটির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগী বাছাই করা হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এর ওপর কাজ শুরু হবে।
র্যাটনার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে যে শুধু এ তন্তুগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভেঙে ফেলা যাবে তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতে নতুন উপকরণের ভিত্তিও তৈরি করা যাবে। পানি রোধক এবং মসৃণ করতে বর্তমানে পলিমারে রং বা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। একই কাজ তন্তুর গঠন পরিবর্তন করেই করা সম্ভব। তন্তুর এমন কাঠামো পানি নিরোধক এবং কুঁচকানো রোধ করার জন্য প্রলেপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তাঁরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না।
ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন প্রোগ্রামের নেতা জুলস লেনন বলেন, ‘এর মানে হলো, আজকালকার ফ্যাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ে বেশি পোশাক তৈরি হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি কম। বার্ষিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নৌপরিবহনের চেয়ে ফ্যাশন শিল্প বেশি দায়ী।’
লেনন বিবিসিকে বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধোয়া ও রং করার প্রক্রিয়ার কারণে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় এটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’
বিশেষ ইলাস্টিসিটি (স্থিতিস্থাপক) সম্পন্ন তন্তু লাইক্রার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ববিষয়ক প্রধান জিন হেগেডাসও এ সমস্যা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। বিবিসিকে জিন বলেন, ‘ধারণা করা হয়, মোট কার্বন নিঃসরণের ৮ থেকে ১০ শতাংশই টেক্সটাইল এবং কাপড়ের কারখানাগুলো থেকে আসে। তাই আমরা জানি, আমাদের বদলাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইক্রার জন্য পরিবর্তন মানে হলো কৃত্রিম তন্তু যেমন—পেট্রোলিয়াম থেকে পলিস্টার ও নাইলন কাপড় তৈরির জন্য কোনো প্রাকৃতিক বিকল্প খোঁজা।
জিন বলেন, লাইক্রার ৭০ শতাংশই পেট্রোলিয়ামভিত্তিক তন্তু। এটিকে নবায়নযোগ্য তন্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৪৪ শতাংশ কমবে।
এ নতুন কাঁচামালের খোঁজে লাইক্রা পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। সেখানে কোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি ভুট্টা থেকে কিরা নামের নতুন তন্তু তৈরি করার চেষ্টা করছে।
জিন বলেন, ‘এ তন্তুর মূল কাঁচামালটি মজার। এটি “শিল্পজাত মৃত ভুট্টা” থেকে তৈরি। অর্থাৎ এটা মানুষের খাওয়ার ভুট্টা থেকে তৈরি নয়। এ ভুট্টা বিশেষ করে, কাপড়, কাগজ বা পশুর খাবার তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়।’
অনেক পোশাক প্রতিষ্ঠানই এখন প্রাকৃতিক কাঁচামালের দিকে ঝুঁকছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাইকোওয়ার্কস প্রতিষ্ঠান একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি মাশরুমের মাইসিলিয়াম (ছত্রাকের শেকড়) থেকে তৈরি চামড়া সদৃশ কাপড় তৈরি করে। চলতি বছরের শেষের দিকেই সাউথ ক্যারোলাইনাতে এ প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক কয়েক লাখ বর্গফুট রেইশি নামের এ কাপড় তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেবার ফিউচার মাটিতে থাকা স্ট্রেপটোমাইসিস সেলিকালার নামের এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এটি পোশাক শিল্পের রং করার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক জীবনচক্রের অংশ হিসেবেই রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এ রঙের মধ্যে উজ্জ্বল নীল থেকে হালকা হলুদের মতো রংধনুর সাতটি রং রয়েছে।
ফিনল্যান্ডের স্পিন্নোভা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঠের মণ্ড থেকে কাপড় তৈরি করে।
এইচঅ্যান্ডএম এবং অ্যাডিডাসের মতো খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর পশ্চিম ফিনল্যান্ডের জিভাসকাইলাতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে। স্পিন্নোভার উদ্দেশ্য হলো, ২০৩৩ সাল নাগাদ বার্ষিক ১০ লাখ টন তন্তু উৎপাদন করা। এ কারখানাটি কার্বন নিউট্রাল। অর্থাৎ কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। এ কারখানাতে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়, যা এর তাপ নিয়ন্ত্রকেই আবার ফেরত পাঠানো হয়। স্পিন্নোভার তন্তু নবায়নযোগ্য।
অনেক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানই এখন ‘ফেরতযোগ্য’ স্কিমে লেনদেন করে। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পুরোনো কাপড় ফেরত দিতে পারে, সেটি পরে নবায়ন করা হয়। তবে চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেরত দেওয়া ২১টি আইটেমের এক-তৃতীয়াংশই হয় ধ্বংস করা হয়েছে, না হয় কারখানাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কয়েক হাজার মাইল দূরে আফ্রিকায় নতুন এক বর্জ্যের পাহাড় তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ বছরের শুরুতে চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ফেলে রাখা কাপড়ের পাহাড়ের একটি স্যাটেলাইট ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান এ কাপড়ের স্তূপ ফ্যাশন শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলা ও পশমের মতো প্রাকৃতিক তন্তুগুলোতে পচন ধরলেও, পলিস্টার এবং নাইলনের মতো কৃত্রিম তন্তু প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয়। এগুলো শত শত বছর অক্ষত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বৈজ্ঞানিক সংগঠন পলিস্টার এবং নাইলন বর্জ্যের জলদি পচনের প্রাকৃতিক উপায় বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাভিত্তিক বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বেথ র্যাটনার বলেন, ‘আমরা এই জটিল যৌগগুলোকে কীভাবে ভাঙা যায় তা খোঁজার চেষ্টা করছি, বিশেষ করে এমন উপায়ে যেন এতে ব্যবহৃত রং ও প্রলেপের বিষাক্ত প্রভাব থেকে আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নতুন কাঁচামাল তৈরির জন্য এনজাইম বা ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক উপাদান ব্যবহার করছি।’
চলতি বছরেই বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের ‘ডিজাইন ফর ডিকম্পোজিশন’ প্রকল্পটির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগী বাছাই করা হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এর ওপর কাজ শুরু হবে।
র্যাটনার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে যে শুধু এ তন্তুগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভেঙে ফেলা যাবে তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতে নতুন উপকরণের ভিত্তিও তৈরি করা যাবে। পানি রোধক এবং মসৃণ করতে বর্তমানে পলিমারে রং বা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। একই কাজ তন্তুর গঠন পরিবর্তন করেই করা সম্ভব। তন্তুর এমন কাঠামো পানি নিরোধক এবং কুঁচকানো রোধ করার জন্য প্রলেপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তাঁরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না।
ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন প্রোগ্রামের নেতা জুলস লেনন বলেন, ‘এর মানে হলো, আজকালকার ফ্যাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ে বেশি পোশাক তৈরি হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি কম। বার্ষিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নৌপরিবহনের চেয়ে ফ্যাশন শিল্প বেশি দায়ী।’
লেনন বিবিসিকে বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধোয়া ও রং করার প্রক্রিয়ার কারণে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় এটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’
বিশেষ ইলাস্টিসিটি (স্থিতিস্থাপক) সম্পন্ন তন্তু লাইক্রার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ববিষয়ক প্রধান জিন হেগেডাসও এ সমস্যা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। বিবিসিকে জিন বলেন, ‘ধারণা করা হয়, মোট কার্বন নিঃসরণের ৮ থেকে ১০ শতাংশই টেক্সটাইল এবং কাপড়ের কারখানাগুলো থেকে আসে। তাই আমরা জানি, আমাদের বদলাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইক্রার জন্য পরিবর্তন মানে হলো কৃত্রিম তন্তু যেমন—পেট্রোলিয়াম থেকে পলিস্টার ও নাইলন কাপড় তৈরির জন্য কোনো প্রাকৃতিক বিকল্প খোঁজা।
জিন বলেন, লাইক্রার ৭০ শতাংশই পেট্রোলিয়ামভিত্তিক তন্তু। এটিকে নবায়নযোগ্য তন্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৪৪ শতাংশ কমবে।
এ নতুন কাঁচামালের খোঁজে লাইক্রা পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। সেখানে কোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি ভুট্টা থেকে কিরা নামের নতুন তন্তু তৈরি করার চেষ্টা করছে।
জিন বলেন, ‘এ তন্তুর মূল কাঁচামালটি মজার। এটি “শিল্পজাত মৃত ভুট্টা” থেকে তৈরি। অর্থাৎ এটা মানুষের খাওয়ার ভুট্টা থেকে তৈরি নয়। এ ভুট্টা বিশেষ করে, কাপড়, কাগজ বা পশুর খাবার তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়।’
অনেক পোশাক প্রতিষ্ঠানই এখন প্রাকৃতিক কাঁচামালের দিকে ঝুঁকছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাইকোওয়ার্কস প্রতিষ্ঠান একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি মাশরুমের মাইসিলিয়াম (ছত্রাকের শেকড়) থেকে তৈরি চামড়া সদৃশ কাপড় তৈরি করে। চলতি বছরের শেষের দিকেই সাউথ ক্যারোলাইনাতে এ প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক কয়েক লাখ বর্গফুট রেইশি নামের এ কাপড় তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেবার ফিউচার মাটিতে থাকা স্ট্রেপটোমাইসিস সেলিকালার নামের এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এটি পোশাক শিল্পের রং করার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক জীবনচক্রের অংশ হিসেবেই রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এ রঙের মধ্যে উজ্জ্বল নীল থেকে হালকা হলুদের মতো রংধনুর সাতটি রং রয়েছে।
ফিনল্যান্ডের স্পিন্নোভা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঠের মণ্ড থেকে কাপড় তৈরি করে।
এইচঅ্যান্ডএম এবং অ্যাডিডাসের মতো খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর পশ্চিম ফিনল্যান্ডের জিভাসকাইলাতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে। স্পিন্নোভার উদ্দেশ্য হলো, ২০৩৩ সাল নাগাদ বার্ষিক ১০ লাখ টন তন্তু উৎপাদন করা। এ কারখানাটি কার্বন নিউট্রাল। অর্থাৎ কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। এ কারখানাতে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়, যা এর তাপ নিয়ন্ত্রকেই আবার ফেরত পাঠানো হয়। স্পিন্নোভার তন্তু নবায়নযোগ্য।
অনেক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানই এখন ‘ফেরতযোগ্য’ স্কিমে লেনদেন করে। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পুরোনো কাপড় ফেরত দিতে পারে, সেটি পরে নবায়ন করা হয়। তবে চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেরত দেওয়া ২১টি আইটেমের এক-তৃতীয়াংশই হয় ধ্বংস করা হয়েছে, না হয় কারখানাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কয়েক হাজার মাইল দূরে আফ্রিকায় নতুন এক বর্জ্যের পাহাড় তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ বছরের শুরুতে চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ফেলে রাখা কাপড়ের পাহাড়ের একটি স্যাটেলাইট ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান এ কাপড়ের স্তূপ ফ্যাশন শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলা ও পশমের মতো প্রাকৃতিক তন্তুগুলোতে পচন ধরলেও, পলিস্টার এবং নাইলনের মতো কৃত্রিম তন্তু প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয়। এগুলো শত শত বছর অক্ষত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বৈজ্ঞানিক সংগঠন পলিস্টার এবং নাইলন বর্জ্যের জলদি পচনের প্রাকৃতিক উপায় বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাভিত্তিক বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বেথ র্যাটনার বলেন, ‘আমরা এই জটিল যৌগগুলোকে কীভাবে ভাঙা যায় তা খোঁজার চেষ্টা করছি, বিশেষ করে এমন উপায়ে যেন এতে ব্যবহৃত রং ও প্রলেপের বিষাক্ত প্রভাব থেকে আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নতুন কাঁচামাল তৈরির জন্য এনজাইম বা ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক উপাদান ব্যবহার করছি।’
চলতি বছরেই বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের ‘ডিজাইন ফর ডিকম্পোজিশন’ প্রকল্পটির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগী বাছাই করা হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এর ওপর কাজ শুরু হবে।
র্যাটনার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে যে শুধু এ তন্তুগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভেঙে ফেলা যাবে তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতে নতুন উপকরণের ভিত্তিও তৈরি করা যাবে। পানি রোধক এবং মসৃণ করতে বর্তমানে পলিমারে রং বা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। একই কাজ তন্তুর গঠন পরিবর্তন করেই করা সম্ভব। তন্তুর এমন কাঠামো পানি নিরোধক এবং কুঁচকানো রোধ করার জন্য প্রলেপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তাঁরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না।
ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন প্রোগ্রামের নেতা জুলস লেনন বলেন, ‘এর মানে হলো, আজকালকার ফ্যাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ে বেশি পোশাক তৈরি হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি কম। বার্ষিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নৌপরিবহনের চেয়ে ফ্যাশন শিল্প বেশি দায়ী।’
লেনন বিবিসিকে বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধোয়া ও রং করার প্রক্রিয়ার কারণে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় এটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’
বিশেষ ইলাস্টিসিটি (স্থিতিস্থাপক) সম্পন্ন তন্তু লাইক্রার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ববিষয়ক প্রধান জিন হেগেডাসও এ সমস্যা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। বিবিসিকে জিন বলেন, ‘ধারণা করা হয়, মোট কার্বন নিঃসরণের ৮ থেকে ১০ শতাংশই টেক্সটাইল এবং কাপড়ের কারখানাগুলো থেকে আসে। তাই আমরা জানি, আমাদের বদলাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইক্রার জন্য পরিবর্তন মানে হলো কৃত্রিম তন্তু যেমন—পেট্রোলিয়াম থেকে পলিস্টার ও নাইলন কাপড় তৈরির জন্য কোনো প্রাকৃতিক বিকল্প খোঁজা।
জিন বলেন, লাইক্রার ৭০ শতাংশই পেট্রোলিয়ামভিত্তিক তন্তু। এটিকে নবায়নযোগ্য তন্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৪৪ শতাংশ কমবে।
এ নতুন কাঁচামালের খোঁজে লাইক্রা পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। সেখানে কোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি ভুট্টা থেকে কিরা নামের নতুন তন্তু তৈরি করার চেষ্টা করছে।
জিন বলেন, ‘এ তন্তুর মূল কাঁচামালটি মজার। এটি “শিল্পজাত মৃত ভুট্টা” থেকে তৈরি। অর্থাৎ এটা মানুষের খাওয়ার ভুট্টা থেকে তৈরি নয়। এ ভুট্টা বিশেষ করে, কাপড়, কাগজ বা পশুর খাবার তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়।’
অনেক পোশাক প্রতিষ্ঠানই এখন প্রাকৃতিক কাঁচামালের দিকে ঝুঁকছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাইকোওয়ার্কস প্রতিষ্ঠান একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি মাশরুমের মাইসিলিয়াম (ছত্রাকের শেকড়) থেকে তৈরি চামড়া সদৃশ কাপড় তৈরি করে। চলতি বছরের শেষের দিকেই সাউথ ক্যারোলাইনাতে এ প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক কয়েক লাখ বর্গফুট রেইশি নামের এ কাপড় তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেবার ফিউচার মাটিতে থাকা স্ট্রেপটোমাইসিস সেলিকালার নামের এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এটি পোশাক শিল্পের রং করার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক জীবনচক্রের অংশ হিসেবেই রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এ রঙের মধ্যে উজ্জ্বল নীল থেকে হালকা হলুদের মতো রংধনুর সাতটি রং রয়েছে।
ফিনল্যান্ডের স্পিন্নোভা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঠের মণ্ড থেকে কাপড় তৈরি করে।
এইচঅ্যান্ডএম এবং অ্যাডিডাসের মতো খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর পশ্চিম ফিনল্যান্ডের জিভাসকাইলাতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে। স্পিন্নোভার উদ্দেশ্য হলো, ২০৩৩ সাল নাগাদ বার্ষিক ১০ লাখ টন তন্তু উৎপাদন করা। এ কারখানাটি কার্বন নিউট্রাল। অর্থাৎ কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। এ কারখানাতে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়, যা এর তাপ নিয়ন্ত্রকেই আবার ফেরত পাঠানো হয়। স্পিন্নোভার তন্তু নবায়নযোগ্য।
অনেক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানই এখন ‘ফেরতযোগ্য’ স্কিমে লেনদেন করে। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পুরোনো কাপড় ফেরত দিতে পারে, সেটি পরে নবায়ন করা হয়। তবে চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেরত দেওয়া ২১টি আইটেমের এক-তৃতীয়াংশই হয় ধ্বংস করা হয়েছে, না হয় কারখানাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কয়েক হাজার মাইল দূরে আফ্রিকায় নতুন এক বর্জ্যের পাহাড় তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ বছরের শুরুতে চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ফেলে রাখা কাপড়ের পাহাড়ের একটি স্যাটেলাইট ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান এ কাপড়ের স্তূপ ফ্যাশন শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও একবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুলা ও পশমের মতো প্রাকৃতিক তন্তুগুলোতে পচন ধরলেও, পলিস্টার এবং নাইলনের মতো কৃত্রিম তন্তু প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয়। এগুলো শত শত বছর অক্ষত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বৈজ্ঞানিক সংগঠন পলিস্টার এবং নাইলন বর্জ্যের জলদি পচনের প্রাকৃতিক উপায় বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাভিত্তিক বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক বেথ র্যাটনার বলেন, ‘আমরা এই জটিল যৌগগুলোকে কীভাবে ভাঙা যায় তা খোঁজার চেষ্টা করছি, বিশেষ করে এমন উপায়ে যেন এতে ব্যবহৃত রং ও প্রলেপের বিষাক্ত প্রভাব থেকে আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নতুন কাঁচামাল তৈরির জন্য এনজাইম বা ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক উপাদান ব্যবহার করছি।’
চলতি বছরেই বায়োমিমিক্রি ইনস্টিটিউটের ‘ডিজাইন ফর ডিকম্পোজিশন’ প্রকল্পটির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগী বাছাই করা হবে এবং ২০২৪ সাল থেকে এর ওপর কাজ শুরু হবে।
র্যাটনার বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে যে শুধু এ তন্তুগুলোকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভেঙে ফেলা যাবে তা-ই নয়, বরং ভবিষ্যতে নতুন উপকরণের ভিত্তিও তৈরি করা যাবে। পানি রোধক এবং মসৃণ করতে বর্তমানে পলিমারে রং বা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। একই কাজ তন্তুর গঠন পরিবর্তন করেই করা সম্ভব। তন্তুর এমন কাঠামো পানি নিরোধক এবং কুঁচকানো রোধ করার জন্য প্রলেপের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তাঁরা বলছেন, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না।
ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের ফ্যাশন প্রোগ্রামের নেতা জুলস লেনন বলেন, ‘এর মানে হলো, আজকালকার ফ্যাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ে বেশি পোশাক তৈরি হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেগুলো ব্যবহার করছি কম। বার্ষিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নৌপরিবহনের চেয়ে ফ্যাশন শিল্প বেশি দায়ী।’
লেনন বিবিসিকে বলেন, ‘ফ্যাশন শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়া, ধোয়া ও রং করার প্রক্রিয়ার কারণে মাটি ও পানি দূষিত হওয়ায় এটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে।’
বিশেষ ইলাস্টিসিটি (স্থিতিস্থাপক) সম্পন্ন তন্তু লাইক্রার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ববিষয়ক প্রধান জিন হেগেডাসও এ সমস্যা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত। বিবিসিকে জিন বলেন, ‘ধারণা করা হয়, মোট কার্বন নিঃসরণের ৮ থেকে ১০ শতাংশই টেক্সটাইল এবং কাপড়ের কারখানাগুলো থেকে আসে। তাই আমরা জানি, আমাদের বদলাতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লাইক্রার জন্য পরিবর্তন মানে হলো কৃত্রিম তন্তু যেমন—পেট্রোলিয়াম থেকে পলিস্টার ও নাইলন কাপড় তৈরির জন্য কোনো প্রাকৃতিক বিকল্প খোঁজা।
জিন বলেন, লাইক্রার ৭০ শতাংশই পেট্রোলিয়ামভিত্তিক তন্তু। এটিকে নবায়নযোগ্য তন্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা গেলে প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৪৪ শতাংশ কমবে।
এ নতুন কাঁচামালের খোঁজে লাইক্রা পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। সেখানে কোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি ভুট্টা থেকে কিরা নামের নতুন তন্তু তৈরি করার চেষ্টা করছে।
জিন বলেন, ‘এ তন্তুর মূল কাঁচামালটি মজার। এটি “শিল্পজাত মৃত ভুট্টা” থেকে তৈরি। অর্থাৎ এটা মানুষের খাওয়ার ভুট্টা থেকে তৈরি নয়। এ ভুট্টা বিশেষ করে, কাপড়, কাগজ বা পশুর খাবার তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়।’
অনেক পোশাক প্রতিষ্ঠানই এখন প্রাকৃতিক কাঁচামালের দিকে ঝুঁকছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাইকোওয়ার্কস প্রতিষ্ঠান একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি মাশরুমের মাইসিলিয়াম (ছত্রাকের শেকড়) থেকে তৈরি চামড়া সদৃশ কাপড় তৈরি করে। চলতি বছরের শেষের দিকেই সাউথ ক্যারোলাইনাতে এ প্রতিষ্ঠানটি বড় আকারে উৎপাদন শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক কয়েক লাখ বর্গফুট রেইশি নামের এ কাপড় তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেবার ফিউচার মাটিতে থাকা স্ট্রেপটোমাইসিস সেলিকালার নামের এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এটি পোশাক শিল্পের রং করার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক জীবনচক্রের অংশ হিসেবেই রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এ রঙের মধ্যে উজ্জ্বল নীল থেকে হালকা হলুদের মতো রংধনুর সাতটি রং রয়েছে।
ফিনল্যান্ডের স্পিন্নোভা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঠের মণ্ড থেকে কাপড় তৈরি করে।
এইচঅ্যান্ডএম এবং অ্যাডিডাসের মতো খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বছর পশ্চিম ফিনল্যান্ডের জিভাসকাইলাতে একটি কারখানা নির্মাণ করেছে। স্পিন্নোভার উদ্দেশ্য হলো, ২০৩৩ সাল নাগাদ বার্ষিক ১০ লাখ টন তন্তু উৎপাদন করা। এ কারখানাটি কার্বন নিউট্রাল। অর্থাৎ কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। এ কারখানাতে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়, যা এর তাপ নিয়ন্ত্রকেই আবার ফেরত পাঠানো হয়। স্পিন্নোভার তন্তু নবায়নযোগ্য।
অনেক ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানই এখন ‘ফেরতযোগ্য’ স্কিমে লেনদেন করে। এ ব্যবস্থায় ক্রেতা পুরোনো কাপড় ফেরত দিতে পারে, সেটি পরে নবায়ন করা হয়। তবে চলতি বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০টি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেরত দেওয়া ২১টি আইটেমের এক-তৃতীয়াংশই হয় ধ্বংস করা হয়েছে, না হয় কারখানাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এর বেশির ভাগই কয়েক হাজার মাইল দূরে আফ্রিকায় নতুন এক বর্জ্যের পাহাড় তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে।

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তারা বলছে, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না
০৯ অক্টোবর ২০২৩
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তারা বলছে, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না
০৯ অক্টোবর ২০২৩
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তারা বলছে, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না
০৯ অক্টোবর ২০২৩
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের (ফাস্ট ফ্যাশন) যুগে সস্তা কাপড়ের ব্যবহার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন কাপড় পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রচার চালিয়ে থাকে। তারা বলছে, সারা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রাক ময়লার সমান কাপড় ফেলে দেওয়া হয়। এর এক শতাংশও নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না
০৯ অক্টোবর ২০২৩
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগে