বেলাল হোসেন, জাবি
ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে। বেড়েই চলেছে। গরিব মানুষের আমিষের প্রয়োজন অনেকটাই মেটায় ব্রয়লার মুরগি। গরিব পড়েছে বিপদে।
তবে আশার কথা শোনাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)। তাদের দাবি, এমন একটি মুরগির জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যার মাংস হবে অনেক বেশি। দেশীয় জার্মপ্লাজম, ধারাবাহিক সিলেকশন ও ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে এ মুরগির জাত উন্নত করা হয়েছে। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে নতুন জাতের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ বা এমসিটিসি।
দেশের মানুষকে আমিষের জোগান দেওয়ার ভাবনা ছিল বিএলআরআইয়ের গবেষকদের মনে। তাই মাংসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ প্রকল্প চলছে এখন। দেশের পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় এই মুরগিগুলো টিকে থাকবে ভালো। এমসিটিসির মাংসের স্বাদ ও গুণাগুণ দেশি মুরগির মতোই। মাত্র আট সপ্তাহেই এর ওজন হবে ৯৭৫ গ্রাম থেকে এক কেজি। যেখানে সাধারণ দেশি মুরগির সময়ের প্রয়োজন তিন মাস। এই মুরগির মাংসের স্বাদ হবে দেশি মুরগির মতোই। আর পালকের রং হবে দেশি মুরগির পালকের মতো মিশ্র রঙের। ব্রয়লার মুরগির মতো সাদা নয়।
বিএলআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আতাউল গনি রাব্বানী বলেন, ‘এটি আমাদের নিজস্ব প্রকল্প ছিল। উদ্যোগ নেওয়া ও কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এমসিটিসির প্রকল্পটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে ব্যাপক প্রসারের জন্য বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ের খামারে এটিকে নিরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রকল্প সফল হয়েছে। পরবর্তীকালে সুবিধাজনক সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর জাত উদ্ভাবনের ঘোষণা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এমসিটিসির প্যানেল টেস্ট করা হয়েছে। এ-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এই জাতের মুরগি পালনে জায়গার পরিমাণ, ব্রিডিং, তাপমাত্রা, আলো ও বায়ু ব্যবস্থাপনা অন্যান্য মুরগির মতোই। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় সর্বোচ্চ ১.৫ শতাংশ মৃত্যুহার পাওয়া গেছে উদ্ভাবিত মুরগির।’
নতুন উদ্ভাবিত মাংসল জাতের মুরগি খামারি পর্যায়ে সম্প্রসারণ সফলভাবে করা সম্ভব। এতে খামারিরা প্রচলিত সোনালি বা অন্যান্য ককরেল মুরগির তুলনায় বাজারমূল্য বেশি পাবেন। ফলে স্বল্পমূল্যে প্রান্তিক খামারিরা অধিক মাংস উৎপাদনকারী মুরগি জাতের বাচ্চা পাবেন।
মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে উৎপাদনক্ষমতা, অভিযোজনক্ষমতা, মৃত্যুহার, রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব ইতিমধ্যে মূল্যায়ন করা হয়েছে। বাণিজ্যিক খামার পর্যায়ে মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য প্রথমে ‘আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড কোম্পানি’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং তাদের সঙ্গে যৌথ গবেষণা এখনো চলমান।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল জলিল বলেন, ‘এমসিটিসি মুরগির জাতটি “দেশি ব্রয়লার” বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এটিকে সাভারের দুটি, চট্টগ্রামে ১টি ও যশোরের ১টি সরকারি ফার্মে এবং প্রাইভেট দুটি ফার্মের মাধ্যমে আউটার ফার্মিং ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুরো বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে মুরগির অভিযোজনসক্ষমতা নিরূপণ করা হবে। এটি দেখভাল করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে। বেড়েই চলেছে। গরিব মানুষের আমিষের প্রয়োজন অনেকটাই মেটায় ব্রয়লার মুরগি। গরিব পড়েছে বিপদে।
তবে আশার কথা শোনাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)। তাদের দাবি, এমন একটি মুরগির জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যার মাংস হবে অনেক বেশি। দেশীয় জার্মপ্লাজম, ধারাবাহিক সিলেকশন ও ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে এ মুরগির জাত উন্নত করা হয়েছে। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে নতুন জাতের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাল্টি কালার টেবিল চিকেন’ বা এমসিটিসি।
দেশের মানুষকে আমিষের জোগান দেওয়ার ভাবনা ছিল বিএলআরআইয়ের গবেষকদের মনে। তাই মাংসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ প্রকল্প চলছে এখন। দেশের পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় এই মুরগিগুলো টিকে থাকবে ভালো। এমসিটিসির মাংসের স্বাদ ও গুণাগুণ দেশি মুরগির মতোই। মাত্র আট সপ্তাহেই এর ওজন হবে ৯৭৫ গ্রাম থেকে এক কেজি। যেখানে সাধারণ দেশি মুরগির সময়ের প্রয়োজন তিন মাস। এই মুরগির মাংসের স্বাদ হবে দেশি মুরগির মতোই। আর পালকের রং হবে দেশি মুরগির পালকের মতো মিশ্র রঙের। ব্রয়লার মুরগির মতো সাদা নয়।
বিএলআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আতাউল গনি রাব্বানী বলেন, ‘এটি আমাদের নিজস্ব প্রকল্প ছিল। উদ্যোগ নেওয়া ও কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এমসিটিসির প্রকল্পটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে ব্যাপক প্রসারের জন্য বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ের খামারে এটিকে নিরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রকল্প সফল হয়েছে। পরবর্তীকালে সুবিধাজনক সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর জাত উদ্ভাবনের ঘোষণা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে এমসিটিসির প্যানেল টেস্ট করা হয়েছে। এ-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এই জাতের মুরগি পালনে জায়গার পরিমাণ, ব্রিডিং, তাপমাত্রা, আলো ও বায়ু ব্যবস্থাপনা অন্যান্য মুরগির মতোই। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় সর্বোচ্চ ১.৫ শতাংশ মৃত্যুহার পাওয়া গেছে উদ্ভাবিত মুরগির।’
নতুন উদ্ভাবিত মাংসল জাতের মুরগি খামারি পর্যায়ে সম্প্রসারণ সফলভাবে করা সম্ভব। এতে খামারিরা প্রচলিত সোনালি বা অন্যান্য ককরেল মুরগির তুলনায় বাজারমূল্য বেশি পাবেন। ফলে স্বল্পমূল্যে প্রান্তিক খামারিরা অধিক মাংস উৎপাদনকারী মুরগি জাতের বাচ্চা পাবেন।
মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে উৎপাদনক্ষমতা, অভিযোজনক্ষমতা, মৃত্যুহার, রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব ইতিমধ্যে মূল্যায়ন করা হয়েছে। বাণিজ্যিক খামার পর্যায়ে মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য প্রথমে ‘আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড কোম্পানি’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং তাদের সঙ্গে যৌথ গবেষণা এখনো চলমান।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল জলিল বলেন, ‘এমসিটিসি মুরগির জাতটি “দেশি ব্রয়লার” বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এটিকে সাভারের দুটি, চট্টগ্রামে ১টি ও যশোরের ১টি সরকারি ফার্মে এবং প্রাইভেট দুটি ফার্মের মাধ্যমে আউটার ফার্মিং ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুরো বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে মুরগির অভিযোজনসক্ষমতা নিরূপণ করা হবে। এটি দেখভাল করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স—একিউআইয়ের আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ১৭১, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২য়। গতকাল সোমবার একই সময়ের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৩১, অবস্থান ছিল ৭ম।
৫ ঘণ্টা আগেআজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মিলিমিটার।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেদই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের তাপমাত্রা আজ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, আজ আট বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে
২ দিন আগে