ফিচার ডেস্ক
১৫০০ সালের পর থেকে ১৫০ প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়েছে। এ সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। একসময় ইউরোপের পরিচিত জলচর পাখি ছিল সরু ঠোঁটের কার্লিউ। শীতকালে এই পাখিগুলো বেশি দেখা যেত আয়ারল্যান্ড ও ফ্রান্সে। দেখা যেত বলা হচ্ছে; কারণ, প্রায় ৩০ বছর ধরে কার্লিউ নামে এ পাখির দেখা মিলছে না। ১৯৯৫ সালে শেষবার পাখিটিকে দেখা গিয়েছিল।
এরপর বিভিন্ন তথ্য ও প্রতিবেদন অনুসন্ধান করে গবেষকেরা পাখিটি বিলুপ্ত হওয়ার ঘোষণা দেন। প্রতিবেদনমতে, কার্লিউ গত ৫০০ বছরে ইউরোপ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হওয়া প্রথম পাখি।
লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে পাখিদের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র কিউরেটর ডা. অ্যালেক্স বন্ড বলেন, মরক্কোতে কার্লিউ পাখির ঝাঁক দেখা যেত। কিন্তু একসময় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রজননের ভিত্তিতে এদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। অ্যালেক্স ও তাঁর সহকর্মীরা এই পাখি হারিয়ে যাওয়ার কারণ গবেষণা করেছেন।
কার্লিউ বা কার্ল একধরনের সরু ঠোঁটযুক্ত জলচর পাখি, অনেকটা সারস বা বকজাতীয়। এই পাখির বিশেষত্ব, এরা দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করতে পারে। মূলত কাজাখস্তান ও দক্ষিণ রাশিয়ায় এদের প্রজনন বিস্তার হতো। শীতকালে এদের যাত্রা বলকান অঞ্চল হয়ে দক্ষিণ ইতালি দিয়ে উত্তর মরক্কোতে শেষ হয়। আবার এদের মধ্যে অনেক পাখি ভারতের উপকূল অথবা মধ্যপ্রাচ্য হয়ে পূর্ব আফ্রিকায় চলে যায়। কার্লিউ মাটিতে বাসা বাঁধে এবং প্রতি মৌসুমে চারটি করে ডিম দেয়। তবে পাখিটি সম্পর্কে খুব কম জানা যায়। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষক অ্যালেক্স আরও বলেন, পৃথিবীতে এই পাখির সংখ্যা খুব বেশি কখনো ছিল না। তাদের বাসা সম্পর্কে বিশ শতকে প্রথম জানা যায় উশাকভ নামের একজন রাশিয়ান জীববিজ্ঞানীর মাধ্যমে।
কার্লিউ বিলুপ্ত হওয়ার প্রধান কারণ শিকার এবং এর বাসস্থান ধ্বংস হওয়া। দক্ষিণ ইউরোপের বাজারে; বিশেষ করে ইতালিতে এগুলো দেদার বিক্রি হতো। কিছু জাদুঘরে কার্লিউ পাখির নমুনা পাওয়া গেছে। এটি বিলুপ্ত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে কৃষিব্যবস্থার পরিবর্তন। একসময় ইউরোপে উড়তে দেখা গেলেও এই পাখি এখন বিলুপ্ত।
গবেষকদের মতে, জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তন চলতে থাকলে এ ধরনের আরও পাখি; বিশেষ করে জলচর প্রজাতির পাখি হারিয়ে যেতে পারে।
সূত্র: ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, লন্ডন
১৫০০ সালের পর থেকে ১৫০ প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়েছে। এ সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। একসময় ইউরোপের পরিচিত জলচর পাখি ছিল সরু ঠোঁটের কার্লিউ। শীতকালে এই পাখিগুলো বেশি দেখা যেত আয়ারল্যান্ড ও ফ্রান্সে। দেখা যেত বলা হচ্ছে; কারণ, প্রায় ৩০ বছর ধরে কার্লিউ নামে এ পাখির দেখা মিলছে না। ১৯৯৫ সালে শেষবার পাখিটিকে দেখা গিয়েছিল।
এরপর বিভিন্ন তথ্য ও প্রতিবেদন অনুসন্ধান করে গবেষকেরা পাখিটি বিলুপ্ত হওয়ার ঘোষণা দেন। প্রতিবেদনমতে, কার্লিউ গত ৫০০ বছরে ইউরোপ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হওয়া প্রথম পাখি।
লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে পাখিদের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র কিউরেটর ডা. অ্যালেক্স বন্ড বলেন, মরক্কোতে কার্লিউ পাখির ঝাঁক দেখা যেত। কিন্তু একসময় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রজননের ভিত্তিতে এদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। অ্যালেক্স ও তাঁর সহকর্মীরা এই পাখি হারিয়ে যাওয়ার কারণ গবেষণা করেছেন।
কার্লিউ বা কার্ল একধরনের সরু ঠোঁটযুক্ত জলচর পাখি, অনেকটা সারস বা বকজাতীয়। এই পাখির বিশেষত্ব, এরা দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করতে পারে। মূলত কাজাখস্তান ও দক্ষিণ রাশিয়ায় এদের প্রজনন বিস্তার হতো। শীতকালে এদের যাত্রা বলকান অঞ্চল হয়ে দক্ষিণ ইতালি দিয়ে উত্তর মরক্কোতে শেষ হয়। আবার এদের মধ্যে অনেক পাখি ভারতের উপকূল অথবা মধ্যপ্রাচ্য হয়ে পূর্ব আফ্রিকায় চলে যায়। কার্লিউ মাটিতে বাসা বাঁধে এবং প্রতি মৌসুমে চারটি করে ডিম দেয়। তবে পাখিটি সম্পর্কে খুব কম জানা যায়। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষক অ্যালেক্স আরও বলেন, পৃথিবীতে এই পাখির সংখ্যা খুব বেশি কখনো ছিল না। তাদের বাসা সম্পর্কে বিশ শতকে প্রথম জানা যায় উশাকভ নামের একজন রাশিয়ান জীববিজ্ঞানীর মাধ্যমে।
কার্লিউ বিলুপ্ত হওয়ার প্রধান কারণ শিকার এবং এর বাসস্থান ধ্বংস হওয়া। দক্ষিণ ইউরোপের বাজারে; বিশেষ করে ইতালিতে এগুলো দেদার বিক্রি হতো। কিছু জাদুঘরে কার্লিউ পাখির নমুনা পাওয়া গেছে। এটি বিলুপ্ত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে কৃষিব্যবস্থার পরিবর্তন। একসময় ইউরোপে উড়তে দেখা গেলেও এই পাখি এখন বিলুপ্ত।
গবেষকদের মতে, জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তন চলতে থাকলে এ ধরনের আরও পাখি; বিশেষ করে জলচর প্রজাতির পাখি হারিয়ে যেতে পারে।
সূত্র: ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, লন্ডন
গত দুইশ বছরে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ ৬০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। একই সময়ে বইপত্র থেকে নদী, শ্যাওলা, ফুলের মতো প্রকৃতিসংক্রান্ত শব্দও প্রায় একই হারে হারিয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেচার কানেকটেডনেসের অধ্যাপক মাইলস রিচার্ডসনের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেগতকালের চেয়ে ঢাকার বায়ুমানে আজ ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আজ শনিবার বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৫০, যা বিশুদ্ধ বাতাসের নির্দেশক। সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকার বায়ুমান তুলনামূলক ভালো থাকে। আজ সকালেও ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, যা এই বিশুদ্ধ বায়ুর...
২০ ঘণ্টা আগেঢাকায় আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এরপরও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে
২ দিন আগে