রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
‘লবলঙ্গ নদী খননকাজের শুরুতে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু খননকাজের কিছুই হয়নি। কোদাল দিয়ে শুধু কিছু ময়লা পাড়ে উঠানো হয়েছে। এতে খনন যেমন হয়নি, তেমনি হয়নি কৃষকদের কোনো উপকার।’ কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বেরাইদের চালা এলাকার কৃষক আলী হোসেন।
শুধু আলী হোসেনই নন, এমন অভিযোগ লবলঙ্গ নদীপারের বাসিন্দাদেরও। সম্প্রতি সরেজমিনেও এমনটি দেখা গেছে। উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলা লবলঙ্গ নদী দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। দেখে বোঝার উপায় নেই, গত বছরের নভেম্বরেই এই নদীর খননকাজ শেষ হয়েছে।
নদীপারের বাসিন্দারা জানান, মৃতপ্রায় লবলঙ্গকে বাঁচাতে ১১ কিলোমিটার এলাকা খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। খননও শুরু হয়। কিছুদিন একটি এক্সকাভেটর দিয়ে সামান্য কিছু জায়গার ময়লা সরানো হলেও ফের সেগুলো নদীতে এসে আগের অবস্থায় ভরাট হয়েছে। পরে কোদাল দিয়েও মাটি সরানোর অভিনয় করা হয়।
মূলত দুই দফায় মাত্র চার কিলোমিটার এলাকার ময়লা সরানো হয়। সে জন্য নদীর বিভিন্ন অংশ এখনো ঝোপঝাড়ে ভরে রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্ট ভরাট হওয়ার কারণে গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে নদীর। সবচেয়ে বড় কথা, নদী খননের নামে সরকারি অর্থ লোপাট করা হয়েছে।
মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী এলাকার বাসিন্দা সোহাগ মিয়া বলেন, যে কাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে পারে, সেই কাজ তারা বছরের পর বছর করেছে। এত সময় নিয়েও নয়ছয় করে সরকারি অর্থের অপচয় করেছে। এক্সকাভেটর দিয়ে নদী খননের কথা থাকলেও কোদাল দিয়ে কিছু অংশ খনন করা হয়েছে। পাড় বাঁধা হয়নি, হয়নি নদীর ময়লা-বর্জ্য পরিষ্কার। তাহলে কী খনন হয়েছে? নদী খনন হলে তো এত তাড়াতাড়ি ভরাট হওয়ার কথা নয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কোনো অফিস নেই গাজীপুরে। তাই গাজীপুরে নদীকেন্দ্রিক সব কাজ হয় নরসিংদী পাউবোর আওতায়। নরসিংদী পাউবোর তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শ্রীপুরে লবলঙ্গ নদীর ১১ কিলোমিটার খননকাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য বরাদ্দ ধরা হয় ৯৪ লাখ টাকা। এসিএল ডেজার্সের তত্ত্বাবধানে সাধারণ এক্সকাভেটর দিয়ে গত বছরের নভেম্বরে খননকাজ শেষ হয়।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতা খোরশেদ আলম বলেন, সলিং মোড় বিলাইঘাটা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এসে শেষ হয় প্রথম পর্যায়ের খনন। এরপর দীর্ঘদিন খননকাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তী সময়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালে লিথি গ্রুপের অংশে খনন শুরু করে দোখলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার খনন করা হয়। বাকি অংশে হাত দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, কয়েক দিন কোদাল দিয়ে খনন করে পাউবো।
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘খনন শেষ না করেই দুবার কাজ শেষ করতে দেখেছি। শেষে এসে কোদাল দিয়ে খনন করা হয়েছে। অনেকাংশে লবলঙ্গের সীমানা চিহ্নিত হয়নি। দখল উচ্ছেদ করে খনন না করলে লবলঙ্গের মৃত্যুই নিশ্চিত করা হবে।’ তাই খননের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
নরসিংদী পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১১ কিলোমিটার নদী খননের জন্য ৯৪ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। বিভিন্ন সমস্যার কারণে পুরোপুরি খনন করা যায়নি, ৭৫ শতাংশ খনন করা হয়েছে। সে মোতাবেক বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। দখল-দূষণের কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ময়লা-বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলার কারণে সুফল পাওয়া খুবই কঠিন।
কোদাল দিয়ে ২৫ শতাংশ খননের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত কাদার কারণে যেখানে এক্সকাভেটর নেওয়া সম্ভব হয়নি, সেসব স্থানে কোদাল ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থের অপচয়ের বিষয়টি সঠিক নয়।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি থাকলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লবলঙ্গ নদীকে বাঁচাতে ইতিমধ্যে সব ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
‘লবলঙ্গ নদী খননকাজের শুরুতে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু খননকাজের কিছুই হয়নি। কোদাল দিয়ে শুধু কিছু ময়লা পাড়ে উঠানো হয়েছে। এতে খনন যেমন হয়নি, তেমনি হয়নি কৃষকদের কোনো উপকার।’ কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বেরাইদের চালা এলাকার কৃষক আলী হোসেন।
শুধু আলী হোসেনই নন, এমন অভিযোগ লবলঙ্গ নদীপারের বাসিন্দাদেরও। সম্প্রতি সরেজমিনেও এমনটি দেখা গেছে। উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলা লবলঙ্গ নদী দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। দেখে বোঝার উপায় নেই, গত বছরের নভেম্বরেই এই নদীর খননকাজ শেষ হয়েছে।
নদীপারের বাসিন্দারা জানান, মৃতপ্রায় লবলঙ্গকে বাঁচাতে ১১ কিলোমিটার এলাকা খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। খননও শুরু হয়। কিছুদিন একটি এক্সকাভেটর দিয়ে সামান্য কিছু জায়গার ময়লা সরানো হলেও ফের সেগুলো নদীতে এসে আগের অবস্থায় ভরাট হয়েছে। পরে কোদাল দিয়েও মাটি সরানোর অভিনয় করা হয়।
মূলত দুই দফায় মাত্র চার কিলোমিটার এলাকার ময়লা সরানো হয়। সে জন্য নদীর বিভিন্ন অংশ এখনো ঝোপঝাড়ে ভরে রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্ট ভরাট হওয়ার কারণে গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে নদীর। সবচেয়ে বড় কথা, নদী খননের নামে সরকারি অর্থ লোপাট করা হয়েছে।
মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী এলাকার বাসিন্দা সোহাগ মিয়া বলেন, যে কাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে পারে, সেই কাজ তারা বছরের পর বছর করেছে। এত সময় নিয়েও নয়ছয় করে সরকারি অর্থের অপচয় করেছে। এক্সকাভেটর দিয়ে নদী খননের কথা থাকলেও কোদাল দিয়ে কিছু অংশ খনন করা হয়েছে। পাড় বাঁধা হয়নি, হয়নি নদীর ময়লা-বর্জ্য পরিষ্কার। তাহলে কী খনন হয়েছে? নদী খনন হলে তো এত তাড়াতাড়ি ভরাট হওয়ার কথা নয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কোনো অফিস নেই গাজীপুরে। তাই গাজীপুরে নদীকেন্দ্রিক সব কাজ হয় নরসিংদী পাউবোর আওতায়। নরসিংদী পাউবোর তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শ্রীপুরে লবলঙ্গ নদীর ১১ কিলোমিটার খননকাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য বরাদ্দ ধরা হয় ৯৪ লাখ টাকা। এসিএল ডেজার্সের তত্ত্বাবধানে সাধারণ এক্সকাভেটর দিয়ে গত বছরের নভেম্বরে খননকাজ শেষ হয়।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতা খোরশেদ আলম বলেন, সলিং মোড় বিলাইঘাটা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এসে শেষ হয় প্রথম পর্যায়ের খনন। এরপর দীর্ঘদিন খননকাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তী সময়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালে লিথি গ্রুপের অংশে খনন শুরু করে দোখলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার খনন করা হয়। বাকি অংশে হাত দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, কয়েক দিন কোদাল দিয়ে খনন করে পাউবো।
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘খনন শেষ না করেই দুবার কাজ শেষ করতে দেখেছি। শেষে এসে কোদাল দিয়ে খনন করা হয়েছে। অনেকাংশে লবলঙ্গের সীমানা চিহ্নিত হয়নি। দখল উচ্ছেদ করে খনন না করলে লবলঙ্গের মৃত্যুই নিশ্চিত করা হবে।’ তাই খননের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
নরসিংদী পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১১ কিলোমিটার নদী খননের জন্য ৯৪ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। বিভিন্ন সমস্যার কারণে পুরোপুরি খনন করা যায়নি, ৭৫ শতাংশ খনন করা হয়েছে। সে মোতাবেক বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। দখল-দূষণের কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ময়লা-বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলার কারণে সুফল পাওয়া খুবই কঠিন।
কোদাল দিয়ে ২৫ শতাংশ খননের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত কাদার কারণে যেখানে এক্সকাভেটর নেওয়া সম্ভব হয়নি, সেসব স্থানে কোদাল ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থের অপচয়ের বিষয়টি সঠিক নয়।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি থাকলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লবলঙ্গ নদীকে বাঁচাতে ইতিমধ্যে সব ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে উগান্ডার কাম্পালা। শহরটির বায়ুমান ১৮০, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫২,১৫০, ১৩১ ও ১৩০।
৪ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
১ দিন আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুহুরী, গোমতী, সোমেশ্বরী ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
২ দিন আগে