অনলাইন ডেস্ক
ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস। গত রোববার রাত ৩টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাতাসের অবস্থা ছিল ‘দুর্যোগপূর্ণ’। এই সময়ে এয়ার কোয়ালিটি (একিউ) ইনডেক্সে ঢাকার স্কোর ছিল ৪২০।
এদিকে গতকাল সকালে বিশ্বের ১২৬টি দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা। সকাল ৮টায় ঢাকার একিউ ইনডেক্স স্কোর ছিল ৩০৫। বায়ুর মান ৩০০ পার হলেই তাকে দুর্যোগপূর্ণ বলা হয়। সকাল ৯টায় দূষণের মাত্রা ছিল ২৭৯। এ সময় বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিসরের কায়রো, স্কোর ২১১। আবার বিকেল ৫টায় ঢাকার স্কোর ছিল ২১০। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার নিকেতন এলাকায় বায়ুমান ছিল ২০৪, আদাবরে ২৫৫, মিরপুরে ২৬০, কল্যাণপুরে ২৫২ ও গুলশানে ১৯৯।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। গতকাল ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৬ দশমিক ৭ গুণ বেশি। এত বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকায় রাত ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ থাকে। রাতে আন্তজেলা বাসগুলো ঢাকার মধ্য দিয়ে চলাচল করে। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে ট্রাক চলাচল করে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার শুরু করেন। পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগ—সবাই জানে কোথা থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। কিন্তু এটা বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ঢাকার বায়ুদূষণ কমানোর সক্ষমতাই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের।
পরিবেশ অধিদপ্তরের (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) পরিচালক মো. জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তিনি বলেন, সরকারি সব কাজে ব্লক ইট ব্যবহারের কথা বলা হলেও সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করার পর তারা আবার শুরু করে দিচ্ছে। এখানে অন্য সংস্থার সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশের বাইরে থেকে ৩০ ভাগ দূষণ আসে, সেটা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। বর্জ্য পোড়ানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দিলেও তা পালন হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকে এটা দেখা উচিত।
ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস। গত রোববার রাত ৩টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাতাসের অবস্থা ছিল ‘দুর্যোগপূর্ণ’। এই সময়ে এয়ার কোয়ালিটি (একিউ) ইনডেক্সে ঢাকার স্কোর ছিল ৪২০।
এদিকে গতকাল সকালে বিশ্বের ১২৬টি দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা। সকাল ৮টায় ঢাকার একিউ ইনডেক্স স্কোর ছিল ৩০৫। বায়ুর মান ৩০০ পার হলেই তাকে দুর্যোগপূর্ণ বলা হয়। সকাল ৯টায় দূষণের মাত্রা ছিল ২৭৯। এ সময় বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিসরের কায়রো, স্কোর ২১১। আবার বিকেল ৫টায় ঢাকার স্কোর ছিল ২১০। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার নিকেতন এলাকায় বায়ুমান ছিল ২০৪, আদাবরে ২৫৫, মিরপুরে ২৬০, কল্যাণপুরে ২৫২ ও গুলশানে ১৯৯।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। গতকাল ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৬ দশমিক ৭ গুণ বেশি। এত বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকায় রাত ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ থাকে। রাতে আন্তজেলা বাসগুলো ঢাকার মধ্য দিয়ে চলাচল করে। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে ট্রাক চলাচল করে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার শুরু করেন। পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগ—সবাই জানে কোথা থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। কিন্তু এটা বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ঢাকার বায়ুদূষণ কমানোর সক্ষমতাই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের।
পরিবেশ অধিদপ্তরের (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) পরিচালক মো. জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তিনি বলেন, সরকারি সব কাজে ব্লক ইট ব্যবহারের কথা বলা হলেও সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করার পর তারা আবার শুরু করে দিচ্ছে। এখানে অন্য সংস্থার সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশের বাইরে থেকে ৩০ ভাগ দূষণ আসে, সেটা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। বর্জ্য পোড়ানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দিলেও তা পালন হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকে এটা দেখা উচিত।
বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স—একিউআইয়ের আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ১৭১, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২য়। গতকাল সোমবার একই সময়ের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৩১, অবস্থান ছিল ৭ম।
৮ ঘণ্টা আগেআজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মিলিমিটার।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেদই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের তাপমাত্রা আজ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, আজ আট বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে
২ দিন আগে