
৮০-এর দশকে শিশুশিল্পী হিসেবে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদের। মাঝে বিরতি দিয়ে ২০০০ সালে আবার ছোট পর্দায় ফেরেন। একক ও ধারাবাহিক নাটকের নিয়মিত মুখ নাদিয়ার অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। নাদিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। কেমন ছিল এই জার্নি?
এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। সহকর্মী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সমর্থন পেয়েছি। আমি থিয়েটার করা শিল্পী নই। যা শিখেছি তাদের কাছ থেকেই। নিজেকে আমি পরিচালকের শিল্পী ভাবতে পছন্দ করি। তাদের গাইডের কারণেই আমার চলার পথ আরও মসৃণ হয়েছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই গল্পটা শুনতে চাই।
একদম ছোটবেলায় নাচ দিয়ে সংস্কৃতিচর্চা শুরু। অভিনয় শুরু হয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়। সেখানে নাচের পাশাপাশি অভিনয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিই। আমার বাবার বন্ধু ম হামিদ তখন টেলিভিশনের প্রযোজক। ওনার থিয়েটার দল থেকে এডওয়ার্ড বাড়ই নামে একজনকে পাঠান। উনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’-এর রতন চরিত্রের একক অভিনয়টুকু শেখান। অভিনয় করে আমি তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাই আমার কাছে প্রথম পুরস্কারের মতো ছিল। এরপর বিটিভি থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য ডাকা হয়। ইমদাদুল হক মিলনের লেখা এবং আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে বৈচি চরিত্রে অভিনয় করি। নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। অনেকে আমাকে বৈচি নামে ডাকা শুরু করে। মানুষজন চিনতে পারছে, সেটা ভালো লাগলেও তখনো অভিনয়ের প্রতি আমার ভালো লাগা তৈরি হয়নি। নাচটাই আমার প্রথম ভালোবাসা ছিল। এ ছাড়া তখন আমি স্কুলে পড়ি, তাই অভিনয়ে নিয়মিত হইনি।
নিয়মিত হলেন কীভাবে?
অভিনয়ে আসার পেছনেও ছিল নাচের প্রতি ভালোবাসা। নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়াটা কঠিন ছিল। ছোটবেলায় বড় বড় অনেক প্রোগ্রাম করেছি, কিন্তু একটু বড় হয়ে দেখলাম, যাঁরা মডেলিং বা অভিনয় করেন, তাঁদেরকেই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানে সলো পারফরম্যান্সের জন্য ডাকা হয়। অনেকে আমাকে বলত অভিনয় বা মডেলিং করতে। তাই সিদ্ধান্ত নিই মডেলিং করার। এরপর নাটকে এলাম। প্রথম অভিনয় করি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ ধারাবাহিকে। কিন্তু প্রথম প্রচারিত হয় রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’। ১৯৯৯ সাল থেকে অভিনয় শুরু। টিভিতে প্রচার শুরু ২০০০ সালে থেকে। শুরুতে কিছুটা অনিয়মিত হলেও ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত অভিনয় করি।
ক্যারিয়ারের ২৫ বছরে এসে নিজেকে কতটুকু সন্তুষ্ট মনে হয়?
আমি শুরু থেকে একজন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবনে দুটি জিনিসের প্রয়োজন বেশি—সম্মান ও ভালোবাসা। শিল্পী হিসেবে সেটা আমি পেয়েছি। পছন্দের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পেরেছি, সেটাই বড় সন্তুষ্টির জায়গা। আমি সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। অনেক কিছুর প্রয়োজন আমার হয় না কখনোই। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে খুশি। তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করে, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। যেদিন আমার ২৫ বছর পূর্তির নিউজ হলো, সেদিন অনেকে কমেন্ট করেছিল, মিডিয়ার সবচেয়ে লক্ষ্মী মেয়ে। সব সময় এ রকম একটা ট্যাগ আমাকে দেওয়া হয়। এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সবার ভালোবাসা পাওয়া খুব কঠিন, সেই সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।

কোনো অপ্রাপ্তি আছে?
আমি ভিন্ন ধরনের অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। সেগুলো এখনো করা হয়ে ওঠেনি। যদি পরিচালকেরা আমাকে সে ধরনের চরিত্রে ভাবেন, তাহলে ক্যারিয়ারে আরও প্রাপ্তি যোগ হবে।
অভিনীত কোন চরিত্রটি এখনো আপনার মনে দাগ কাটে?
সাহিত্যের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেকগুলো কাজ করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সময়ে আমার অভিনীত একটি চরিত্র নিয়ে অনেকে বলছে। বকুলপুর ধারাবাহিকের দিবা চরিত্র। এই ধারাবাহিকে পাঁচ বছর কাজ করেছি। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৫ বছর একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি, এটা তো বিশাল ব্যাপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও জনপ্রিয় হয়েছে ধারাবাহিকটি।
ওটিটিতে কাজ করছেন না কেন?
কারণটা নির্মাতারা জানেন। প্রায় সময় এই প্রশ্ন শুনতে হয়। ওটিটির প্রস্তাব যে একেবারে আসেনি তা নয়। দু-একটা প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু গল্প সেভাবে টানেনি। এমন একটি কাজ দিয়ে ওটিটিতে আসতে চাই, যে গল্প ও চরিত্র আমার ভালো লাগবে।
এ মুহূর্তে আমাদের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি এখন নিম্নগামী। ভালো গল্পের অভাব, ভালো লেখকদের কাজ কম। যাঁরা আগে ভালো নাটক লিখতেন, তাঁদের কাছ থেকে গল্প নেওয়া হয় না। গল্প এখন খাওয়ার জিনিস। যে ধরনের গল্প দর্শক খায়, সেটা নিয়েই কাজ হয়। আগে পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে অনেক কাজ হতো। আমি মনে করি, এখনো এমন কাজের প্রয়োজন আছে। অনেকে বলে, নাটক দেখে শেখার কিছু নেই, এখানে জ্ঞান দিতে আসিনি। কিন্তু আমি মনে করি, নাটক থেকে শেখার অনেক বিষয় আছে। এখান থেকে ভাষাচর্চা যেমন হয়, তেমনি কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে, সেটাও শেখা যায়। নাটককে বলা হয় সমাজবদলের হাতিয়ার। এখনো সেটাই হওয়া উচিত।
এখন কাজের ক্ষেত্রেও ভিউ, ভাইরাল প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
অনলাইনে নাটক আসার পর প্রচারের ব্যাপকতা বেড়েছে। আমি যে সময় কাজ শুরু করেছি, তখন এমনটা ছিল না। তখন ইউটিউবের ব্যাপারটা থাকলে অনেক দর্শক আমাদের কাজ দেখতে পারত। বাংলা নাটক আরও ছড়িয়ে যেত। তখনকার কাজগুলোতে মূল্যবোধের যে বিষয় ছিল, সেটা এখন নেই। এখন সব শর্টকাট হয়ে গেছে। তাই স্বল্প সময়ে হাসি বা আনন্দের কিছু দেখতেই পছন্দ করছে সবাই। এখন হালকা বিষয়ের ভিউ বেশি। ভিউর বিচারে কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। কী দিলে ভিউ বেশি হবে, সবার মাথায় সেই চিন্তা। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। শিল্পী বাছাইয়েও ভিউ হয়ে উঠছে মানদণ্ড। যার যত ভিউ, তার তত কাজ। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ঘুরেফিরে সব একই চেহারা। তাই শিল্পীদের কাজ কমে গেছে, গুণী অনেক শিল্পী হারিয়ে যাচ্ছেন।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে বলুন।
ছোটবেলায় মা আমাকে শিশু একাডেমিতে নাচের ক্লাসে ভর্তি করান। আমার গুরু ছিলেন প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। খুব ছোট থাকতেই জাতীয় শিশু পুরস্কার পাই। সেখান থেকে ১৯৮৯ সালে শিশু প্রতিনিধিদলের হয়ে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য নির্বাচিত হই। এরপর আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সাত বছরের একটি ডিপ্লোমা করি। রেজাল্ট ছিল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এরপর শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নিপার কাছে শিখেছি। দীপা খন্দকারের কাছে ফোক শিখেছি, তামান্না রহমানের কাছে মণিপুরি, বেলায়েত হোসেনের কাছে ভরতনাট্যম শিখেছি। আরও অনেকের কাছে শেখা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে লিখনের সঙ্গে আমার একটা জুটি তৈরি হয়। সে সময় নাচের জুটির প্রচলন ছিল। শেখা, পারফর্ম, বিদেশ সফর মিলিয়ে চলেছে আমার নৃত্যের ক্যারিয়ার। নাচের কারণেই তো আমার অভিনয়ে আসা।
নৃত্যকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছে?
আমাদের দেশে অসংখ্য নৃত্যশিল্পী আছেন। আমার সিনিয়র অনেকে শুধু নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কোনো অনুষ্ঠান কিন্তু নাচ ছাড়া চলে না। তবে অভিনয়শিল্পটা যেভাবে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে গেছে, নাচের ক্ষেত্রে অতটা হয়নি।
অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। কেমন ছিল এই জার্নি?
এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। সহকর্মী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সমর্থন পেয়েছি। আমি থিয়েটার করা শিল্পী নই। যা শিখেছি তাদের কাছ থেকেই। নিজেকে আমি পরিচালকের শিল্পী ভাবতে পছন্দ করি। তাদের গাইডের কারণেই আমার চলার পথ আরও মসৃণ হয়েছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই গল্পটা শুনতে চাই।
একদম ছোটবেলায় নাচ দিয়ে সংস্কৃতিচর্চা শুরু। অভিনয় শুরু হয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়। সেখানে নাচের পাশাপাশি অভিনয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিই। আমার বাবার বন্ধু ম হামিদ তখন টেলিভিশনের প্রযোজক। ওনার থিয়েটার দল থেকে এডওয়ার্ড বাড়ই নামে একজনকে পাঠান। উনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’-এর রতন চরিত্রের একক অভিনয়টুকু শেখান। অভিনয় করে আমি তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাই আমার কাছে প্রথম পুরস্কারের মতো ছিল। এরপর বিটিভি থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য ডাকা হয়। ইমদাদুল হক মিলনের লেখা এবং আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে বৈচি চরিত্রে অভিনয় করি। নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। অনেকে আমাকে বৈচি নামে ডাকা শুরু করে। মানুষজন চিনতে পারছে, সেটা ভালো লাগলেও তখনো অভিনয়ের প্রতি আমার ভালো লাগা তৈরি হয়নি। নাচটাই আমার প্রথম ভালোবাসা ছিল। এ ছাড়া তখন আমি স্কুলে পড়ি, তাই অভিনয়ে নিয়মিত হইনি।
নিয়মিত হলেন কীভাবে?
অভিনয়ে আসার পেছনেও ছিল নাচের প্রতি ভালোবাসা। নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়াটা কঠিন ছিল। ছোটবেলায় বড় বড় অনেক প্রোগ্রাম করেছি, কিন্তু একটু বড় হয়ে দেখলাম, যাঁরা মডেলিং বা অভিনয় করেন, তাঁদেরকেই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানে সলো পারফরম্যান্সের জন্য ডাকা হয়। অনেকে আমাকে বলত অভিনয় বা মডেলিং করতে। তাই সিদ্ধান্ত নিই মডেলিং করার। এরপর নাটকে এলাম। প্রথম অভিনয় করি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ ধারাবাহিকে। কিন্তু প্রথম প্রচারিত হয় রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’। ১৯৯৯ সাল থেকে অভিনয় শুরু। টিভিতে প্রচার শুরু ২০০০ সালে থেকে। শুরুতে কিছুটা অনিয়মিত হলেও ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত অভিনয় করি।
ক্যারিয়ারের ২৫ বছরে এসে নিজেকে কতটুকু সন্তুষ্ট মনে হয়?
আমি শুরু থেকে একজন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবনে দুটি জিনিসের প্রয়োজন বেশি—সম্মান ও ভালোবাসা। শিল্পী হিসেবে সেটা আমি পেয়েছি। পছন্দের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পেরেছি, সেটাই বড় সন্তুষ্টির জায়গা। আমি সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। অনেক কিছুর প্রয়োজন আমার হয় না কখনোই। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে খুশি। তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করে, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। যেদিন আমার ২৫ বছর পূর্তির নিউজ হলো, সেদিন অনেকে কমেন্ট করেছিল, মিডিয়ার সবচেয়ে লক্ষ্মী মেয়ে। সব সময় এ রকম একটা ট্যাগ আমাকে দেওয়া হয়। এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সবার ভালোবাসা পাওয়া খুব কঠিন, সেই সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।

কোনো অপ্রাপ্তি আছে?
আমি ভিন্ন ধরনের অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। সেগুলো এখনো করা হয়ে ওঠেনি। যদি পরিচালকেরা আমাকে সে ধরনের চরিত্রে ভাবেন, তাহলে ক্যারিয়ারে আরও প্রাপ্তি যোগ হবে।
অভিনীত কোন চরিত্রটি এখনো আপনার মনে দাগ কাটে?
সাহিত্যের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেকগুলো কাজ করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সময়ে আমার অভিনীত একটি চরিত্র নিয়ে অনেকে বলছে। বকুলপুর ধারাবাহিকের দিবা চরিত্র। এই ধারাবাহিকে পাঁচ বছর কাজ করেছি। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৫ বছর একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি, এটা তো বিশাল ব্যাপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও জনপ্রিয় হয়েছে ধারাবাহিকটি।
ওটিটিতে কাজ করছেন না কেন?
কারণটা নির্মাতারা জানেন। প্রায় সময় এই প্রশ্ন শুনতে হয়। ওটিটির প্রস্তাব যে একেবারে আসেনি তা নয়। দু-একটা প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু গল্প সেভাবে টানেনি। এমন একটি কাজ দিয়ে ওটিটিতে আসতে চাই, যে গল্প ও চরিত্র আমার ভালো লাগবে।
এ মুহূর্তে আমাদের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি এখন নিম্নগামী। ভালো গল্পের অভাব, ভালো লেখকদের কাজ কম। যাঁরা আগে ভালো নাটক লিখতেন, তাঁদের কাছ থেকে গল্প নেওয়া হয় না। গল্প এখন খাওয়ার জিনিস। যে ধরনের গল্প দর্শক খায়, সেটা নিয়েই কাজ হয়। আগে পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে অনেক কাজ হতো। আমি মনে করি, এখনো এমন কাজের প্রয়োজন আছে। অনেকে বলে, নাটক দেখে শেখার কিছু নেই, এখানে জ্ঞান দিতে আসিনি। কিন্তু আমি মনে করি, নাটক থেকে শেখার অনেক বিষয় আছে। এখান থেকে ভাষাচর্চা যেমন হয়, তেমনি কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে, সেটাও শেখা যায়। নাটককে বলা হয় সমাজবদলের হাতিয়ার। এখনো সেটাই হওয়া উচিত।
এখন কাজের ক্ষেত্রেও ভিউ, ভাইরাল প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
অনলাইনে নাটক আসার পর প্রচারের ব্যাপকতা বেড়েছে। আমি যে সময় কাজ শুরু করেছি, তখন এমনটা ছিল না। তখন ইউটিউবের ব্যাপারটা থাকলে অনেক দর্শক আমাদের কাজ দেখতে পারত। বাংলা নাটক আরও ছড়িয়ে যেত। তখনকার কাজগুলোতে মূল্যবোধের যে বিষয় ছিল, সেটা এখন নেই। এখন সব শর্টকাট হয়ে গেছে। তাই স্বল্প সময়ে হাসি বা আনন্দের কিছু দেখতেই পছন্দ করছে সবাই। এখন হালকা বিষয়ের ভিউ বেশি। ভিউর বিচারে কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। কী দিলে ভিউ বেশি হবে, সবার মাথায় সেই চিন্তা। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। শিল্পী বাছাইয়েও ভিউ হয়ে উঠছে মানদণ্ড। যার যত ভিউ, তার তত কাজ। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ঘুরেফিরে সব একই চেহারা। তাই শিল্পীদের কাজ কমে গেছে, গুণী অনেক শিল্পী হারিয়ে যাচ্ছেন।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে বলুন।
ছোটবেলায় মা আমাকে শিশু একাডেমিতে নাচের ক্লাসে ভর্তি করান। আমার গুরু ছিলেন প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। খুব ছোট থাকতেই জাতীয় শিশু পুরস্কার পাই। সেখান থেকে ১৯৮৯ সালে শিশু প্রতিনিধিদলের হয়ে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য নির্বাচিত হই। এরপর আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সাত বছরের একটি ডিপ্লোমা করি। রেজাল্ট ছিল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এরপর শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নিপার কাছে শিখেছি। দীপা খন্দকারের কাছে ফোক শিখেছি, তামান্না রহমানের কাছে মণিপুরি, বেলায়েত হোসেনের কাছে ভরতনাট্যম শিখেছি। আরও অনেকের কাছে শেখা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে লিখনের সঙ্গে আমার একটা জুটি তৈরি হয়। সে সময় নাচের জুটির প্রচলন ছিল। শেখা, পারফর্ম, বিদেশ সফর মিলিয়ে চলেছে আমার নৃত্যের ক্যারিয়ার। নাচের কারণেই তো আমার অভিনয়ে আসা।
নৃত্যকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছে?
আমাদের দেশে অসংখ্য নৃত্যশিল্পী আছেন। আমার সিনিয়র অনেকে শুধু নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কোনো অনুষ্ঠান কিন্তু নাচ ছাড়া চলে না। তবে অভিনয়শিল্পটা যেভাবে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে গেছে, নাচের ক্ষেত্রে অতটা হয়নি।

৮০-এর দশকে শিশুশিল্পী হিসেবে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদের। মাঝে বিরতি দিয়ে ২০০০ সালে আবার ছোট পর্দায় ফেরেন। একক ও ধারাবাহিক নাটকের নিয়মিত মুখ নাদিয়ার অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। নাদিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। কেমন ছিল এই জার্নি?
এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। সহকর্মী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সমর্থন পেয়েছি। আমি থিয়েটার করা শিল্পী নই। যা শিখেছি তাদের কাছ থেকেই। নিজেকে আমি পরিচালকের শিল্পী ভাবতে পছন্দ করি। তাদের গাইডের কারণেই আমার চলার পথ আরও মসৃণ হয়েছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই গল্পটা শুনতে চাই।
একদম ছোটবেলায় নাচ দিয়ে সংস্কৃতিচর্চা শুরু। অভিনয় শুরু হয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়। সেখানে নাচের পাশাপাশি অভিনয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিই। আমার বাবার বন্ধু ম হামিদ তখন টেলিভিশনের প্রযোজক। ওনার থিয়েটার দল থেকে এডওয়ার্ড বাড়ই নামে একজনকে পাঠান। উনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’-এর রতন চরিত্রের একক অভিনয়টুকু শেখান। অভিনয় করে আমি তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাই আমার কাছে প্রথম পুরস্কারের মতো ছিল। এরপর বিটিভি থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য ডাকা হয়। ইমদাদুল হক মিলনের লেখা এবং আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে বৈচি চরিত্রে অভিনয় করি। নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। অনেকে আমাকে বৈচি নামে ডাকা শুরু করে। মানুষজন চিনতে পারছে, সেটা ভালো লাগলেও তখনো অভিনয়ের প্রতি আমার ভালো লাগা তৈরি হয়নি। নাচটাই আমার প্রথম ভালোবাসা ছিল। এ ছাড়া তখন আমি স্কুলে পড়ি, তাই অভিনয়ে নিয়মিত হইনি।
নিয়মিত হলেন কীভাবে?
অভিনয়ে আসার পেছনেও ছিল নাচের প্রতি ভালোবাসা। নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়াটা কঠিন ছিল। ছোটবেলায় বড় বড় অনেক প্রোগ্রাম করেছি, কিন্তু একটু বড় হয়ে দেখলাম, যাঁরা মডেলিং বা অভিনয় করেন, তাঁদেরকেই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানে সলো পারফরম্যান্সের জন্য ডাকা হয়। অনেকে আমাকে বলত অভিনয় বা মডেলিং করতে। তাই সিদ্ধান্ত নিই মডেলিং করার। এরপর নাটকে এলাম। প্রথম অভিনয় করি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ ধারাবাহিকে। কিন্তু প্রথম প্রচারিত হয় রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’। ১৯৯৯ সাল থেকে অভিনয় শুরু। টিভিতে প্রচার শুরু ২০০০ সালে থেকে। শুরুতে কিছুটা অনিয়মিত হলেও ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত অভিনয় করি।
ক্যারিয়ারের ২৫ বছরে এসে নিজেকে কতটুকু সন্তুষ্ট মনে হয়?
আমি শুরু থেকে একজন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবনে দুটি জিনিসের প্রয়োজন বেশি—সম্মান ও ভালোবাসা। শিল্পী হিসেবে সেটা আমি পেয়েছি। পছন্দের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পেরেছি, সেটাই বড় সন্তুষ্টির জায়গা। আমি সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। অনেক কিছুর প্রয়োজন আমার হয় না কখনোই। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে খুশি। তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করে, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। যেদিন আমার ২৫ বছর পূর্তির নিউজ হলো, সেদিন অনেকে কমেন্ট করেছিল, মিডিয়ার সবচেয়ে লক্ষ্মী মেয়ে। সব সময় এ রকম একটা ট্যাগ আমাকে দেওয়া হয়। এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সবার ভালোবাসা পাওয়া খুব কঠিন, সেই সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।

কোনো অপ্রাপ্তি আছে?
আমি ভিন্ন ধরনের অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। সেগুলো এখনো করা হয়ে ওঠেনি। যদি পরিচালকেরা আমাকে সে ধরনের চরিত্রে ভাবেন, তাহলে ক্যারিয়ারে আরও প্রাপ্তি যোগ হবে।
অভিনীত কোন চরিত্রটি এখনো আপনার মনে দাগ কাটে?
সাহিত্যের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেকগুলো কাজ করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সময়ে আমার অভিনীত একটি চরিত্র নিয়ে অনেকে বলছে। বকুলপুর ধারাবাহিকের দিবা চরিত্র। এই ধারাবাহিকে পাঁচ বছর কাজ করেছি। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৫ বছর একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি, এটা তো বিশাল ব্যাপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও জনপ্রিয় হয়েছে ধারাবাহিকটি।
ওটিটিতে কাজ করছেন না কেন?
কারণটা নির্মাতারা জানেন। প্রায় সময় এই প্রশ্ন শুনতে হয়। ওটিটির প্রস্তাব যে একেবারে আসেনি তা নয়। দু-একটা প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু গল্প সেভাবে টানেনি। এমন একটি কাজ দিয়ে ওটিটিতে আসতে চাই, যে গল্প ও চরিত্র আমার ভালো লাগবে।
এ মুহূর্তে আমাদের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি এখন নিম্নগামী। ভালো গল্পের অভাব, ভালো লেখকদের কাজ কম। যাঁরা আগে ভালো নাটক লিখতেন, তাঁদের কাছ থেকে গল্প নেওয়া হয় না। গল্প এখন খাওয়ার জিনিস। যে ধরনের গল্প দর্শক খায়, সেটা নিয়েই কাজ হয়। আগে পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে অনেক কাজ হতো। আমি মনে করি, এখনো এমন কাজের প্রয়োজন আছে। অনেকে বলে, নাটক দেখে শেখার কিছু নেই, এখানে জ্ঞান দিতে আসিনি। কিন্তু আমি মনে করি, নাটক থেকে শেখার অনেক বিষয় আছে। এখান থেকে ভাষাচর্চা যেমন হয়, তেমনি কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে, সেটাও শেখা যায়। নাটককে বলা হয় সমাজবদলের হাতিয়ার। এখনো সেটাই হওয়া উচিত।
এখন কাজের ক্ষেত্রেও ভিউ, ভাইরাল প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
অনলাইনে নাটক আসার পর প্রচারের ব্যাপকতা বেড়েছে। আমি যে সময় কাজ শুরু করেছি, তখন এমনটা ছিল না। তখন ইউটিউবের ব্যাপারটা থাকলে অনেক দর্শক আমাদের কাজ দেখতে পারত। বাংলা নাটক আরও ছড়িয়ে যেত। তখনকার কাজগুলোতে মূল্যবোধের যে বিষয় ছিল, সেটা এখন নেই। এখন সব শর্টকাট হয়ে গেছে। তাই স্বল্প সময়ে হাসি বা আনন্দের কিছু দেখতেই পছন্দ করছে সবাই। এখন হালকা বিষয়ের ভিউ বেশি। ভিউর বিচারে কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। কী দিলে ভিউ বেশি হবে, সবার মাথায় সেই চিন্তা। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। শিল্পী বাছাইয়েও ভিউ হয়ে উঠছে মানদণ্ড। যার যত ভিউ, তার তত কাজ। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ঘুরেফিরে সব একই চেহারা। তাই শিল্পীদের কাজ কমে গেছে, গুণী অনেক শিল্পী হারিয়ে যাচ্ছেন।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে বলুন।
ছোটবেলায় মা আমাকে শিশু একাডেমিতে নাচের ক্লাসে ভর্তি করান। আমার গুরু ছিলেন প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। খুব ছোট থাকতেই জাতীয় শিশু পুরস্কার পাই। সেখান থেকে ১৯৮৯ সালে শিশু প্রতিনিধিদলের হয়ে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য নির্বাচিত হই। এরপর আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সাত বছরের একটি ডিপ্লোমা করি। রেজাল্ট ছিল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এরপর শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নিপার কাছে শিখেছি। দীপা খন্দকারের কাছে ফোক শিখেছি, তামান্না রহমানের কাছে মণিপুরি, বেলায়েত হোসেনের কাছে ভরতনাট্যম শিখেছি। আরও অনেকের কাছে শেখা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে লিখনের সঙ্গে আমার একটা জুটি তৈরি হয়। সে সময় নাচের জুটির প্রচলন ছিল। শেখা, পারফর্ম, বিদেশ সফর মিলিয়ে চলেছে আমার নৃত্যের ক্যারিয়ার। নাচের কারণেই তো আমার অভিনয়ে আসা।
নৃত্যকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছে?
আমাদের দেশে অসংখ্য নৃত্যশিল্পী আছেন। আমার সিনিয়র অনেকে শুধু নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কোনো অনুষ্ঠান কিন্তু নাচ ছাড়া চলে না। তবে অভিনয়শিল্পটা যেভাবে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে গেছে, নাচের ক্ষেত্রে অতটা হয়নি।
অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। কেমন ছিল এই জার্নি?
এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। সহকর্মী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সমর্থন পেয়েছি। আমি থিয়েটার করা শিল্পী নই। যা শিখেছি তাদের কাছ থেকেই। নিজেকে আমি পরিচালকের শিল্পী ভাবতে পছন্দ করি। তাদের গাইডের কারণেই আমার চলার পথ আরও মসৃণ হয়েছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই গল্পটা শুনতে চাই।
একদম ছোটবেলায় নাচ দিয়ে সংস্কৃতিচর্চা শুরু। অভিনয় শুরু হয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়। সেখানে নাচের পাশাপাশি অভিনয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিই। আমার বাবার বন্ধু ম হামিদ তখন টেলিভিশনের প্রযোজক। ওনার থিয়েটার দল থেকে এডওয়ার্ড বাড়ই নামে একজনকে পাঠান। উনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’-এর রতন চরিত্রের একক অভিনয়টুকু শেখান। অভিনয় করে আমি তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাই আমার কাছে প্রথম পুরস্কারের মতো ছিল। এরপর বিটিভি থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য ডাকা হয়। ইমদাদুল হক মিলনের লেখা এবং আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে বৈচি চরিত্রে অভিনয় করি। নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। অনেকে আমাকে বৈচি নামে ডাকা শুরু করে। মানুষজন চিনতে পারছে, সেটা ভালো লাগলেও তখনো অভিনয়ের প্রতি আমার ভালো লাগা তৈরি হয়নি। নাচটাই আমার প্রথম ভালোবাসা ছিল। এ ছাড়া তখন আমি স্কুলে পড়ি, তাই অভিনয়ে নিয়মিত হইনি।
নিয়মিত হলেন কীভাবে?
অভিনয়ে আসার পেছনেও ছিল নাচের প্রতি ভালোবাসা। নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়াটা কঠিন ছিল। ছোটবেলায় বড় বড় অনেক প্রোগ্রাম করেছি, কিন্তু একটু বড় হয়ে দেখলাম, যাঁরা মডেলিং বা অভিনয় করেন, তাঁদেরকেই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানে সলো পারফরম্যান্সের জন্য ডাকা হয়। অনেকে আমাকে বলত অভিনয় বা মডেলিং করতে। তাই সিদ্ধান্ত নিই মডেলিং করার। এরপর নাটকে এলাম। প্রথম অভিনয় করি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ ধারাবাহিকে। কিন্তু প্রথম প্রচারিত হয় রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’। ১৯৯৯ সাল থেকে অভিনয় শুরু। টিভিতে প্রচার শুরু ২০০০ সালে থেকে। শুরুতে কিছুটা অনিয়মিত হলেও ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত অভিনয় করি।
ক্যারিয়ারের ২৫ বছরে এসে নিজেকে কতটুকু সন্তুষ্ট মনে হয়?
আমি শুরু থেকে একজন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবনে দুটি জিনিসের প্রয়োজন বেশি—সম্মান ও ভালোবাসা। শিল্পী হিসেবে সেটা আমি পেয়েছি। পছন্দের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পেরেছি, সেটাই বড় সন্তুষ্টির জায়গা। আমি সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। অনেক কিছুর প্রয়োজন আমার হয় না কখনোই। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে খুশি। তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করে, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। যেদিন আমার ২৫ বছর পূর্তির নিউজ হলো, সেদিন অনেকে কমেন্ট করেছিল, মিডিয়ার সবচেয়ে লক্ষ্মী মেয়ে। সব সময় এ রকম একটা ট্যাগ আমাকে দেওয়া হয়। এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সবার ভালোবাসা পাওয়া খুব কঠিন, সেই সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।

কোনো অপ্রাপ্তি আছে?
আমি ভিন্ন ধরনের অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। সেগুলো এখনো করা হয়ে ওঠেনি। যদি পরিচালকেরা আমাকে সে ধরনের চরিত্রে ভাবেন, তাহলে ক্যারিয়ারে আরও প্রাপ্তি যোগ হবে।
অভিনীত কোন চরিত্রটি এখনো আপনার মনে দাগ কাটে?
সাহিত্যের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেকগুলো কাজ করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সময়ে আমার অভিনীত একটি চরিত্র নিয়ে অনেকে বলছে। বকুলপুর ধারাবাহিকের দিবা চরিত্র। এই ধারাবাহিকে পাঁচ বছর কাজ করেছি। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৫ বছর একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি, এটা তো বিশাল ব্যাপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও জনপ্রিয় হয়েছে ধারাবাহিকটি।
ওটিটিতে কাজ করছেন না কেন?
কারণটা নির্মাতারা জানেন। প্রায় সময় এই প্রশ্ন শুনতে হয়। ওটিটির প্রস্তাব যে একেবারে আসেনি তা নয়। দু-একটা প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু গল্প সেভাবে টানেনি। এমন একটি কাজ দিয়ে ওটিটিতে আসতে চাই, যে গল্প ও চরিত্র আমার ভালো লাগবে।
এ মুহূর্তে আমাদের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি এখন নিম্নগামী। ভালো গল্পের অভাব, ভালো লেখকদের কাজ কম। যাঁরা আগে ভালো নাটক লিখতেন, তাঁদের কাছ থেকে গল্প নেওয়া হয় না। গল্প এখন খাওয়ার জিনিস। যে ধরনের গল্প দর্শক খায়, সেটা নিয়েই কাজ হয়। আগে পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে অনেক কাজ হতো। আমি মনে করি, এখনো এমন কাজের প্রয়োজন আছে। অনেকে বলে, নাটক দেখে শেখার কিছু নেই, এখানে জ্ঞান দিতে আসিনি। কিন্তু আমি মনে করি, নাটক থেকে শেখার অনেক বিষয় আছে। এখান থেকে ভাষাচর্চা যেমন হয়, তেমনি কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে, সেটাও শেখা যায়। নাটককে বলা হয় সমাজবদলের হাতিয়ার। এখনো সেটাই হওয়া উচিত।
এখন কাজের ক্ষেত্রেও ভিউ, ভাইরাল প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
অনলাইনে নাটক আসার পর প্রচারের ব্যাপকতা বেড়েছে। আমি যে সময় কাজ শুরু করেছি, তখন এমনটা ছিল না। তখন ইউটিউবের ব্যাপারটা থাকলে অনেক দর্শক আমাদের কাজ দেখতে পারত। বাংলা নাটক আরও ছড়িয়ে যেত। তখনকার কাজগুলোতে মূল্যবোধের যে বিষয় ছিল, সেটা এখন নেই। এখন সব শর্টকাট হয়ে গেছে। তাই স্বল্প সময়ে হাসি বা আনন্দের কিছু দেখতেই পছন্দ করছে সবাই। এখন হালকা বিষয়ের ভিউ বেশি। ভিউর বিচারে কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। কী দিলে ভিউ বেশি হবে, সবার মাথায় সেই চিন্তা। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। শিল্পী বাছাইয়েও ভিউ হয়ে উঠছে মানদণ্ড। যার যত ভিউ, তার তত কাজ। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ঘুরেফিরে সব একই চেহারা। তাই শিল্পীদের কাজ কমে গেছে, গুণী অনেক শিল্পী হারিয়ে যাচ্ছেন।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে বলুন।
ছোটবেলায় মা আমাকে শিশু একাডেমিতে নাচের ক্লাসে ভর্তি করান। আমার গুরু ছিলেন প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। খুব ছোট থাকতেই জাতীয় শিশু পুরস্কার পাই। সেখান থেকে ১৯৮৯ সালে শিশু প্রতিনিধিদলের হয়ে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য নির্বাচিত হই। এরপর আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সাত বছরের একটি ডিপ্লোমা করি। রেজাল্ট ছিল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এরপর শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নিপার কাছে শিখেছি। দীপা খন্দকারের কাছে ফোক শিখেছি, তামান্না রহমানের কাছে মণিপুরি, বেলায়েত হোসেনের কাছে ভরতনাট্যম শিখেছি। আরও অনেকের কাছে শেখা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে লিখনের সঙ্গে আমার একটা জুটি তৈরি হয়। সে সময় নাচের জুটির প্রচলন ছিল। শেখা, পারফর্ম, বিদেশ সফর মিলিয়ে চলেছে আমার নৃত্যের ক্যারিয়ার। নাচের কারণেই তো আমার অভিনয়ে আসা।
নৃত্যকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছে?
আমাদের দেশে অসংখ্য নৃত্যশিল্পী আছেন। আমার সিনিয়র অনেকে শুধু নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কোনো অনুষ্ঠান কিন্তু নাচ ছাড়া চলে না। তবে অভিনয়শিল্পটা যেভাবে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে গেছে, নাচের ক্ষেত্রে অতটা হয়নি।

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৬ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৬ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৬ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৬ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৬ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৬ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৬ ঘণ্টা আগে