মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৩ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৩ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৩ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৩ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৩ ঘণ্টা আগে