Ajker Patrika

অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ৪৯
অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা

অভিনেতা মুশফিক ফারহানের সঙ্গে প্রেমের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ১৬ নভেম্বর মিডিয়ায় যখন এমন খবর ছড়ায়, তখন টিভি চ্যানেলের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ওই সাংবাদিককে ‘উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেন তিনি। নিজের ভুল স্বীকার করে পরদিন ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিশা। ঘণ্টা দুয়েক পর সেই পোস্টটি মুছেও ফেলেন। এবার সেই সাংবাদিকের নামে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ জানালেন তিনি।

গতকাল সোমবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে যান তিশা। সেখান থেকে বেরিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করি, তাঁরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে এখানে (ডিবি অফিস) এসে সহায়তা নিই। কিছুদিন যাবৎ আমি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কোনো কিছু ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও বুলিং ও হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ে সহায়তা নেওয়ার জন্যই ডিবি অফিসে আসা।’

সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘ডিবি অফিসে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে এটা। আমি নির্দিষ্ট একজন সাংবাদিককে এ কথা বলেছি, সবাইকে নয়। সেদিন মানসিক ও শারীরিকভাবে আমি সুস্থ ছিলাম না। ফলে কারও ফোন রিসিভ করতে পারিনি। কিন্তু তামিম নামের একজন সাংবাদিকের মেসেজ পেয়ে তাঁকে ফোন ব্যাক করি। মেসেজটা এমন ছিল যে একজন নারী হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক সেনসেটিভ। আমার মনে হয়েছে কোনো নারীকেই সে এই প্রশ্নটা করতে পারে না, যেটা সে আমাকে করেছে। সেই টেক্সট আমি সবার সামনে প্রকাশ করতে পারব না। যদি কেউ দেখতে চান আমি পারসোনালি দেখাব। এরপর আমি হাইপার হয়ে যাই। তখন তাকে বলি, এমন সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে যদি লেখেন তাহলে আমি মামলা করব, উড়িয়ে দেব। এরপর সে অডিও রেকর্ডটি ফাঁস করে দেয়। সেখানে কিন্তু একবারও সে বলেনি আমাকে কী প্রশ্ন করা হয়েছে। সেই বিষয়ে অভিযোগ জানাতেই এখানে আসা।’

 ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীতক্ষমা চেয়ে লেখা পোস্টটি ডিলিট করা প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘পোস্ট দেওয়ার পর দেখলাম সেটা নিয়েও অনেক বুলিং হচ্ছিল। আমার মনে হয়েছে, এই একটা স্ট্যাটাস পর্যাপ্ত নয়। এ কারণেই ডিলিট করা।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘উনি (তানজিন তিশা) মনে করেছেন কয়েক দিন যাবৎ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এতে তাঁর মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, একজন ব্যক্তি তাঁকে বিভিন্ন ধরনের মেসেজ লিখেছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে উনি ডিবি অফিসে এসেছেন। তাঁর লিখিত অভিযোগ আমরা গ্রহণ করেছি। সাইবার নর্থকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা তদন্ত করে জানাবে।’

এদিকে গতকাল রোববার মধ্যরাতে ফাঁস হয় তানজিন তিশা ও সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের সাবেক স্ত্রী রেহান চৌধুরীর একটি পুরোনো ফোনালাপ। ৯ মিনিটের সেই ফোনালাপে তিশা বারবার জানতে চাইছিলেন, হাবিব রেহানের সঙ্গে আছেন কি না। রেহান ও হাবিব আবার পুরোনো সম্পর্কে ফিরতে চাইছেন কি না। কিন্তু রেহান এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছিলেন না। পুরো ফোনালাপে বোঝা যায়, হাবিবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিশা। কিন্তু সেপারেশনে থাকা রেহানের সঙ্গে হাবিব দেখা করতে যেতেন। একপর্যায়ে তিশা বুঝতে পেরে রেহানকে ফোন দেন।

ক্যারিয়ারের শুরুতেই হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিশা। একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করতে গিয়ে কাছাকাছি আসেন তাঁরা। তবে বেশি দিন টেকেনি সেই প্রেম।

কয়েক মাস আগে শরীফুল রাজের আইডি থেকে ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল তিশাকে। সেখানে লিফটের ভেতরে রাজের ক্যামেরায় মদ্যপ অবস্থায় নাচতে দেখা গেছে তাঁকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীতসর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ছোট পর্দার অভিনেতা মুশফিক ফারহানের সঙ্গে প্রেমের জটিলতার জের ধরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিশা। ফারহানের সঙ্গে একটি ভিডিও ফাঁস হয় তিশার। সেখানে ফারহান ও তিশা দুজনকেই অস্বাভাবিক দেখাচ্ছিল।

সেদিন সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে তিশা জানান, তাঁর আত্মহত্যা চেষ্টার খবর ভুল। তিনি আরও জানান, মিডিয়ার কিছু মানুষ তাঁর ক্ষতির চেষ্টা করছে। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে তিশা জানান, ফেসবুক হ্যাকড হওয়া, অসুস্থতা, ফুড পয়জনিংসহ অনেকগুলো ঝামেলা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন। তাই ভালো ঘুমের জন্য স্লিপিং পিল খেয়েছিলেন। স্লিপিং পিলের পরিমাণ ও পাওয়ার বেশি হওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

ফারহানের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও অস্বীকার করেননি তিশা। জানিয়েছেন, ফারহানের সঙ্গে প্রেম হোক কিংবা অন্য সম্পর্ক, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। যেদিন তাঁর ইচ্ছা হবে, সেদিনই এ বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলবেন। সেদিন রাতেই টিভি চ্যানেলের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে তিশার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়। ওই সাংবাদিক তিশাকে ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন অভিনেত্রী। নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে ওই সাংবাদিককে ‘উড়িয়ে দেওয়া’র হুমকি দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিশার এ বক্তব্য সমালোচিত হয়। এরপর নিজের ভুল স্বীকার করে শনিবার ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চান তিনি। ঘণ্টা দুয়েক পরে সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীতঅভিনয়শিল্পী সংঘের প্রতিক্রিয়া

তানজিন তিশা ডিবিতে অভিযোগ দেওয়ার পর আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ। সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান এক বিবৃতিতে অভিনয়শিল্পীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ইন্ডাস্ট্রি তৈরিতে নিরলসভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আসছি। শুধু নিজের পেশা নয়, সেই সাথে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য শাখা যেমন নাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলীসহ টেলিভিশন, ওটিটি প্লাটফর্ম এবং বিশেষ করে সংবাদমাধ্যম ও তার বিনোদন সাংবাদিকরাও আমাদের পেশার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

‘মাঝে মাঝেই বিভিন্নজনের সাথে আমাদের মতবিরোধ, ভুল-বোঝাবুঝি এমনকি কখনো কখনো অপ্রীতিকর ঘটনারও সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের সকলকেই একটু সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আমরা অভিনয়শিল্পীরা, আমাদের গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে কথা বলার ক্ষেত্রে ভীষণ সচেতন থাকা দরকার। যাতে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমাদের কথায় কষ্ট না পান। অসম্মানিত না হন। অভিনয়শিল্পীদের লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও অনুসারীরাও যেন তার প্রিয় শিল্পীর কোনো আচরণে আহত না হন এবং অশ্রদ্ধা না করেন।

‘একসাথে চলতি পথে সমস্যা হবেই এবং তার সমাধানও হবে। সবাইকে এ বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে আপনি আপনার অগ্রজ ও শ্রদ্ধার অভিনয়শিল্পীর সাথে আলোচনা করুন। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাথে আপনার সমস্যা নিয়ে কথা বলুন। আমরা সব সময়ই আপনার যে কোনো সংকটে আপনার পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকব।

‘কিন্তু অসংযত হয়ে আমরা গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু বলব না যাতে আমাদের সহযাত্রী আমাদের ভুল বুঝবেন। অভিনয়শিল্পীর সাইবার নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাথে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। অভিনয়শিল্পীর আইনগত সহায়তা ও পরামর্শের জন্য আমাদের লিগাল উইং আছে। শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরামর্শের জন্য আমাদের বিভিন্ন আয়োজন আছে। আপনার যে কোনো প্রয়োজনে আমরা সব সময় আছি। তাই উক্ত বিষয়ে সকল অভিনয়শিল্পীদের সচেতন হবার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সুন্দর কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা ও করাচির দুই উৎসবে বয়াতির ‘নয়া মানুষ’

বিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার পোস্টার; ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার পোস্টার; ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।

২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় রওনক হাসান। ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় রওনক হাসান। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’। 

এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।

নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

‘নয়া মানুষ’ সিনেমার দৃশ্যে মৌসুমী হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার দৃশ্যে মৌসুমী হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।

আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কবরীর শেষ সিনেমার প্রিমিয়ার হবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিনেত্রী কবরী। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী কবরী। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।

২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।

শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’

তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।

পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিলারা জামানকে নিয়ে ৭ পর্বের ধারাবাহিক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।

মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

জামিল হোসেন
জামিল হোসেন

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’

দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’

উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কনসার্টের জন্য প্রস্তুত আজম খানের ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত