Ajker Patrika

অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ৪৯
অভিযোগ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা

অভিনেতা মুশফিক ফারহানের সঙ্গে প্রেমের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ১৬ নভেম্বর মিডিয়ায় যখন এমন খবর ছড়ায়, তখন টিভি চ্যানেলের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ওই সাংবাদিককে ‘উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেন তিনি। নিজের ভুল স্বীকার করে পরদিন ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিশা। ঘণ্টা দুয়েক পর সেই পোস্টটি মুছেও ফেলেন। এবার সেই সাংবাদিকের নামে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ জানালেন তিনি।

গতকাল সোমবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে যান তিশা। সেখান থেকে বেরিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করি, তাঁরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে এখানে (ডিবি অফিস) এসে সহায়তা নিই। কিছুদিন যাবৎ আমি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কোনো কিছু ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও বুলিং ও হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ে সহায়তা নেওয়ার জন্যই ডিবি অফিসে আসা।’

সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘ডিবি অফিসে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে এটা। আমি নির্দিষ্ট একজন সাংবাদিককে এ কথা বলেছি, সবাইকে নয়। সেদিন মানসিক ও শারীরিকভাবে আমি সুস্থ ছিলাম না। ফলে কারও ফোন রিসিভ করতে পারিনি। কিন্তু তামিম নামের একজন সাংবাদিকের মেসেজ পেয়ে তাঁকে ফোন ব্যাক করি। মেসেজটা এমন ছিল যে একজন নারী হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক সেনসেটিভ। আমার মনে হয়েছে কোনো নারীকেই সে এই প্রশ্নটা করতে পারে না, যেটা সে আমাকে করেছে। সেই টেক্সট আমি সবার সামনে প্রকাশ করতে পারব না। যদি কেউ দেখতে চান আমি পারসোনালি দেখাব। এরপর আমি হাইপার হয়ে যাই। তখন তাকে বলি, এমন সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে যদি লেখেন তাহলে আমি মামলা করব, উড়িয়ে দেব। এরপর সে অডিও রেকর্ডটি ফাঁস করে দেয়। সেখানে কিন্তু একবারও সে বলেনি আমাকে কী প্রশ্ন করা হয়েছে। সেই বিষয়ে অভিযোগ জানাতেই এখানে আসা।’

 ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীতক্ষমা চেয়ে লেখা পোস্টটি ডিলিট করা প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘পোস্ট দেওয়ার পর দেখলাম সেটা নিয়েও অনেক বুলিং হচ্ছিল। আমার মনে হয়েছে, এই একটা স্ট্যাটাস পর্যাপ্ত নয়। এ কারণেই ডিলিট করা।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘উনি (তানজিন তিশা) মনে করেছেন কয়েক দিন যাবৎ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এতে তাঁর মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, একজন ব্যক্তি তাঁকে বিভিন্ন ধরনের মেসেজ লিখেছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে উনি ডিবি অফিসে এসেছেন। তাঁর লিখিত অভিযোগ আমরা গ্রহণ করেছি। সাইবার নর্থকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা তদন্ত করে জানাবে।’

এদিকে গতকাল রোববার মধ্যরাতে ফাঁস হয় তানজিন তিশা ও সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের সাবেক স্ত্রী রেহান চৌধুরীর একটি পুরোনো ফোনালাপ। ৯ মিনিটের সেই ফোনালাপে তিশা বারবার জানতে চাইছিলেন, হাবিব রেহানের সঙ্গে আছেন কি না। রেহান ও হাবিব আবার পুরোনো সম্পর্কে ফিরতে চাইছেন কি না। কিন্তু রেহান এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছিলেন না। পুরো ফোনালাপে বোঝা যায়, হাবিবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিশা। কিন্তু সেপারেশনে থাকা রেহানের সঙ্গে হাবিব দেখা করতে যেতেন। একপর্যায়ে তিশা বুঝতে পেরে রেহানকে ফোন দেন।

ক্যারিয়ারের শুরুতেই হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিশা। একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করতে গিয়ে কাছাকাছি আসেন তাঁরা। তবে বেশি দিন টেকেনি সেই প্রেম।

কয়েক মাস আগে শরীফুল রাজের আইডি থেকে ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল তিশাকে। সেখানে লিফটের ভেতরে রাজের ক্যামেরায় মদ্যপ অবস্থায় নাচতে দেখা গেছে তাঁকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীতসর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ছোট পর্দার অভিনেতা মুশফিক ফারহানের সঙ্গে প্রেমের জটিলতার জের ধরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিশা। ফারহানের সঙ্গে একটি ভিডিও ফাঁস হয় তিশার। সেখানে ফারহান ও তিশা দুজনকেই অস্বাভাবিক দেখাচ্ছিল।

সেদিন সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে তিশা জানান, তাঁর আত্মহত্যা চেষ্টার খবর ভুল। তিনি আরও জানান, মিডিয়ার কিছু মানুষ তাঁর ক্ষতির চেষ্টা করছে। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে তিশা জানান, ফেসবুক হ্যাকড হওয়া, অসুস্থতা, ফুড পয়জনিংসহ অনেকগুলো ঝামেলা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন। তাই ভালো ঘুমের জন্য স্লিপিং পিল খেয়েছিলেন। স্লিপিং পিলের পরিমাণ ও পাওয়ার বেশি হওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

ফারহানের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও অস্বীকার করেননি তিশা। জানিয়েছেন, ফারহানের সঙ্গে প্রেম হোক কিংবা অন্য সম্পর্ক, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। যেদিন তাঁর ইচ্ছা হবে, সেদিনই এ বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলবেন। সেদিন রাতেই টিভি চ্যানেলের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে তিশার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়। ওই সাংবাদিক তিশাকে ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন অভিনেত্রী। নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে ওই সাংবাদিককে ‘উড়িয়ে দেওয়া’র হুমকি দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিশার এ বক্তব্য সমালোচিত হয়। এরপর নিজের ভুল স্বীকার করে শনিবার ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চান তিনি। ঘণ্টা দুয়েক পরে সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীতঅভিনয়শিল্পী সংঘের প্রতিক্রিয়া

তানজিন তিশা ডিবিতে অভিযোগ দেওয়ার পর আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ। সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান এক বিবৃতিতে অভিনয়শিল্পীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ইন্ডাস্ট্রি তৈরিতে নিরলসভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আসছি। শুধু নিজের পেশা নয়, সেই সাথে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য শাখা যেমন নাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলীসহ টেলিভিশন, ওটিটি প্লাটফর্ম এবং বিশেষ করে সংবাদমাধ্যম ও তার বিনোদন সাংবাদিকরাও আমাদের পেশার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

‘মাঝে মাঝেই বিভিন্নজনের সাথে আমাদের মতবিরোধ, ভুল-বোঝাবুঝি এমনকি কখনো কখনো অপ্রীতিকর ঘটনারও সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের সকলকেই একটু সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আমরা অভিনয়শিল্পীরা, আমাদের গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে কথা বলার ক্ষেত্রে ভীষণ সচেতন থাকা দরকার। যাতে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমাদের কথায় কষ্ট না পান। অসম্মানিত না হন। অভিনয়শিল্পীদের লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও অনুসারীরাও যেন তার প্রিয় শিল্পীর কোনো আচরণে আহত না হন এবং অশ্রদ্ধা না করেন।

‘একসাথে চলতি পথে সমস্যা হবেই এবং তার সমাধানও হবে। সবাইকে এ বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে আপনি আপনার অগ্রজ ও শ্রদ্ধার অভিনয়শিল্পীর সাথে আলোচনা করুন। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাথে আপনার সমস্যা নিয়ে কথা বলুন। আমরা সব সময়ই আপনার যে কোনো সংকটে আপনার পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকব।

‘কিন্তু অসংযত হয়ে আমরা গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু বলব না যাতে আমাদের সহযাত্রী আমাদের ভুল বুঝবেন। অভিনয়শিল্পীর সাইবার নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাথে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। অভিনয়শিল্পীর আইনগত সহায়তা ও পরামর্শের জন্য আমাদের লিগাল উইং আছে। শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরামর্শের জন্য আমাদের বিভিন্ন আয়োজন আছে। আপনার যে কোনো প্রয়োজনে আমরা সব সময় আছি। তাই উক্ত বিষয়ে সকল অভিনয়শিল্পীদের সচেতন হবার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সুন্দর কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ টিএসসিতে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সঞ্জীব চৌধুরী । ছবি : সংগৃহীত
সঞ্জীব চৌধুরী । ছবি : সংগৃহীত

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব

উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্‌দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।

আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’

সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনের টিভি আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
দুরন্ত টিভির ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’ নাটকের দৃশ্য	ছবি: সংগৃহীত
দুরন্ত টিভির ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’ নাটকের দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।

রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।

এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।

আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।

বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্‌যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।

বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্মানী না পাওয়ার অভিযোগ মতিন চৌধুরীর, অস্বীকার করলেন দীপন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী	ছবি: সংগৃহীত
সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী ছবি: সংগৃহীত

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।

মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’

মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’

ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’

মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’

দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মঞ্চে আসছে শিশুতোষ নাটক ‘আনারসের ঢাকা সফর’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শিশুতোষ নাটক ‘আনারসের  ঢাকা সফর’ । ছবি: সংগৃহীত
শিশুতোষ নাটক ‘আনারসের ঢাকা সফর’ । ছবি: সংগৃহীত

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।

টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।

কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।

ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’

মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত