খায়রুল বাসার নির্ঝর
ঢাকা: প্রতি ঈদের পর দেশের কয়েকটি পত্রিকা থেকে যোগাযোগ করা হয় সিনিয়র অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতাদের সঙ্গে। জানতে চাওয়া হয়, ঈদে প্রচারিত নাটকগুলো তাঁরা দেখেছেন কি না। কেমন লেগেছে। কোনো আশাতীত পরিবর্তন আসলেই আসছে কি না। তবে গত কয়েক ঈদে এই ফলাফল খুব বেশি সন্তোষজনক নয়।
সিনিয়র তারকাদের প্রায় সবাই অভিযোগ করছেন, নাটক আর নাটক থাকছে না, হয়ে যাচ্ছে কৌতুক। কমেডি বানানোর নাম করে দর্শককে জোর করে হাসানোর একটা প্রচেষ্টা করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। এ ধরনের নাটক যারা নির্মাণ করেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা অভিযোগের আঙুল ঘোরালেন চ্যানেলের দিকে। বললেন, এটা চ্যানেলের ডিমান্ড। তারা চাইছে বলেই এ ধরনের নাটক বানাতে হচ্ছে।
যেটা দেখে দর্শক হাসে, প্রচারের ক্ষেত্রে এমন প্রোডাকশন অগ্রাধিকার পায়। পরিচালক জুয়েল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন, ‘এখান থেকে পাঁচ বছর আগেও ঈদের নাটকের ক্ষেত্রে ভালো গল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হতো। কিন্তু এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটা আর নেই। চ্যানেল থেকে ইদানীং বলেই দিচ্ছে, হাসির না হলে নাটকটি চলবে না।’
একই রকম কথা বললেন নির্মাতা সৈয়দ আওলাদ। প্রসঙ্গক্রমে তিনি টানলেন নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত নাটকগুলোর উদাহরণ। বললেন, হাসির নাটক তখনো প্রচারিত হতো। কিন্তু আগে যেটা হতো সেটা ছিল গল্প করে হাসানো। আর এখন হাসানোটাকে টার্গেট রেখে আজেবাজে গল্প ফেঁদে বিভিন্ন কাণ্ডকীর্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন ওঠা খুব স্বাভাবিক যে, ঈদের নাটক বলতে আসলে কী বোঝানো হয়? হাসির নাটক মানেই কি ঈদের নাটক? অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ দিবসের জন্য নির্মিত নাটক ঈদে প্রচারের জন্য চ্যানেলে জমা পড়ে। সেগুলো প্রচারিতও হয়। তাহলে ঈদ স্পেশাল বলে কী থাকল? জবাবে এনটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান আলফ্রেড খোকন বললেন, ‘ঈদের নাটক বলতে আলাদা কোনো ব্যাপার আসলে নেই। ঈদে প্রচারের জন্য আমাদের কাছে যেসব প্রোডাকশন জমা পড়ে, গল্প আর নির্মাণ দেখে বাছাই করে আমরা সেগুলো প্রচার করি।’
কোন ধরনের গল্প প্রাধান্য দেওয়া হয়? জবাবে তিনি বললেন দর্শকের কথা। তাঁর মতে, ঈদে সবাই একটু ফুরফুরে মেজাজে থাকে বলে এ সময় হালকা কমেডি ধাঁচের নাটকই বেশি চলে। কমেডির বাইরের গল্প নিয়েও ঈদের নাটক হতে পারে এবং সেটা হচ্ছেও।
পুরো বিষয়টা এখানে এসে প্যাঁচ খেলে গেল সামান্য। ঈদের নাটক যদি আর দশটা দিবসের সঙ্গে মিশে যায়, তাহলে চ্যানেলের দাবিকৃত ‘ঈদ স্পেশাল’ শব্দটার অস্তিত্ব কোথায়? পরিচালক মারুফ মিঠুর মতে, স্পেশাল শব্দটার অস্তিত্ব বাজেটে। ঈদের নাটকে একটু বেশি গ্ল্যামারাস অ্যারেঞ্জমেন্ট দেখাতে হয়। সে কারণে টাকা লাগে বেশি। ঈদে প্রচারিত হলে চ্যানেল থেকে কিছু টাকা বেশি পাওয়া যায়। অর্থপ্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় কিছুটা দ্রুততাও আসে। প্রযোজক-নির্মাতাদের কাছে এটাই স্পেশাল।
দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেত প্রতি ঈদেই একটি করে নাটক উপহার দিয়ে আসছেন। ঈদের নাটক বলতে তিনি কী বোঝাতে চান? তিনি বললেন, ‘ঈদের নাটক হওয়া উচিত জীবনের সহজ ও সাধারণ ঘটনায় সমৃদ্ধ। এখানে কমেডি থাকতেই হবে এমনটি মুখ্য নয়। মানুষের জীবনের গল্প যেহেতু সুখ-দুঃখ উভয়ের সংমিশ্রণ, সেহেতু নাটকে হাসি থাকতেই পারে। তবে মানুষকে হাসাতে গিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা যেন আমরা নির্মাতারা ভুলে না যাই।’
নাটক নির্মাণের মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের কথা বললেন নির্মাতা দিপংকর দিপনও। তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বিনোদন শব্দটির ভুল প্রয়োগ হচ্ছে। বিনোদন মানেই কিন্তু শুধু হাসি নয়, এটা হচ্ছে এমন কিছু পাওয়া, যা সাধারণত অভিজ্ঞতায় থাকে না। মানুষ একটি চলচ্চিত্র অথবা নাটক দেখে নতুন যে অভিজ্ঞতা অর্জন করল, সেটাই কিন্তু তার কাছে বিনোদন।’
ঢাকা: প্রতি ঈদের পর দেশের কয়েকটি পত্রিকা থেকে যোগাযোগ করা হয় সিনিয়র অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতাদের সঙ্গে। জানতে চাওয়া হয়, ঈদে প্রচারিত নাটকগুলো তাঁরা দেখেছেন কি না। কেমন লেগেছে। কোনো আশাতীত পরিবর্তন আসলেই আসছে কি না। তবে গত কয়েক ঈদে এই ফলাফল খুব বেশি সন্তোষজনক নয়।
সিনিয়র তারকাদের প্রায় সবাই অভিযোগ করছেন, নাটক আর নাটক থাকছে না, হয়ে যাচ্ছে কৌতুক। কমেডি বানানোর নাম করে দর্শককে জোর করে হাসানোর একটা প্রচেষ্টা করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। এ ধরনের নাটক যারা নির্মাণ করেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা অভিযোগের আঙুল ঘোরালেন চ্যানেলের দিকে। বললেন, এটা চ্যানেলের ডিমান্ড। তারা চাইছে বলেই এ ধরনের নাটক বানাতে হচ্ছে।
যেটা দেখে দর্শক হাসে, প্রচারের ক্ষেত্রে এমন প্রোডাকশন অগ্রাধিকার পায়। পরিচালক জুয়েল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন, ‘এখান থেকে পাঁচ বছর আগেও ঈদের নাটকের ক্ষেত্রে ভালো গল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হতো। কিন্তু এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটা আর নেই। চ্যানেল থেকে ইদানীং বলেই দিচ্ছে, হাসির না হলে নাটকটি চলবে না।’
একই রকম কথা বললেন নির্মাতা সৈয়দ আওলাদ। প্রসঙ্গক্রমে তিনি টানলেন নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত নাটকগুলোর উদাহরণ। বললেন, হাসির নাটক তখনো প্রচারিত হতো। কিন্তু আগে যেটা হতো সেটা ছিল গল্প করে হাসানো। আর এখন হাসানোটাকে টার্গেট রেখে আজেবাজে গল্প ফেঁদে বিভিন্ন কাণ্ডকীর্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন ওঠা খুব স্বাভাবিক যে, ঈদের নাটক বলতে আসলে কী বোঝানো হয়? হাসির নাটক মানেই কি ঈদের নাটক? অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ দিবসের জন্য নির্মিত নাটক ঈদে প্রচারের জন্য চ্যানেলে জমা পড়ে। সেগুলো প্রচারিতও হয়। তাহলে ঈদ স্পেশাল বলে কী থাকল? জবাবে এনটিভির অনুষ্ঠানপ্রধান আলফ্রেড খোকন বললেন, ‘ঈদের নাটক বলতে আলাদা কোনো ব্যাপার আসলে নেই। ঈদে প্রচারের জন্য আমাদের কাছে যেসব প্রোডাকশন জমা পড়ে, গল্প আর নির্মাণ দেখে বাছাই করে আমরা সেগুলো প্রচার করি।’
কোন ধরনের গল্প প্রাধান্য দেওয়া হয়? জবাবে তিনি বললেন দর্শকের কথা। তাঁর মতে, ঈদে সবাই একটু ফুরফুরে মেজাজে থাকে বলে এ সময় হালকা কমেডি ধাঁচের নাটকই বেশি চলে। কমেডির বাইরের গল্প নিয়েও ঈদের নাটক হতে পারে এবং সেটা হচ্ছেও।
পুরো বিষয়টা এখানে এসে প্যাঁচ খেলে গেল সামান্য। ঈদের নাটক যদি আর দশটা দিবসের সঙ্গে মিশে যায়, তাহলে চ্যানেলের দাবিকৃত ‘ঈদ স্পেশাল’ শব্দটার অস্তিত্ব কোথায়? পরিচালক মারুফ মিঠুর মতে, স্পেশাল শব্দটার অস্তিত্ব বাজেটে। ঈদের নাটকে একটু বেশি গ্ল্যামারাস অ্যারেঞ্জমেন্ট দেখাতে হয়। সে কারণে টাকা লাগে বেশি। ঈদে প্রচারিত হলে চ্যানেল থেকে কিছু টাকা বেশি পাওয়া যায়। অর্থপ্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় কিছুটা দ্রুততাও আসে। প্রযোজক-নির্মাতাদের কাছে এটাই স্পেশাল।
দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেত প্রতি ঈদেই একটি করে নাটক উপহার দিয়ে আসছেন। ঈদের নাটক বলতে তিনি কী বোঝাতে চান? তিনি বললেন, ‘ঈদের নাটক হওয়া উচিত জীবনের সহজ ও সাধারণ ঘটনায় সমৃদ্ধ। এখানে কমেডি থাকতেই হবে এমনটি মুখ্য নয়। মানুষের জীবনের গল্প যেহেতু সুখ-দুঃখ উভয়ের সংমিশ্রণ, সেহেতু নাটকে হাসি থাকতেই পারে। তবে মানুষকে হাসাতে গিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা যেন আমরা নির্মাতারা ভুলে না যাই।’
নাটক নির্মাণের মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের কথা বললেন নির্মাতা দিপংকর দিপনও। তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বিনোদন শব্দটির ভুল প্রয়োগ হচ্ছে। বিনোদন মানেই কিন্তু শুধু হাসি নয়, এটা হচ্ছে এমন কিছু পাওয়া, যা সাধারণত অভিজ্ঞতায় থাকে না। মানুষ একটি চলচ্চিত্র অথবা নাটক দেখে নতুন যে অভিজ্ঞতা অর্জন করল, সেটাই কিন্তু তার কাছে বিনোদন।’
অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পরিচালিত জয়া আহসান অভিনীত ‘ডিয়ার মা’ সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় রেকর্ড গড়েছে। প্রথম দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ১ লাখ ১ হাজার ১০০ ডলার। এর আগে কলকাতার কোনো সিনেমা প্রথম দিনে এত আয় করেনি।
৬ ঘণ্টা আগে‘ভদ্রলোক’ নাটকে মোশাররফ করিমের সঙ্গে প্রথম অভিনয় করেন মিম চৌধুরী। এরপর একসঙ্গে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তাঁরা দুজন। এবার তাঁরা একসঙ্গে অভিনয় করলেন একই পরিচালকের দুটি ধারাবাহিক নাটকে। শামস করিম পরিচালিত ধারাবাহিক দুটি হলো ‘রঙ্গিলা পুতুল’ ও ‘৭ কিলো ১ গ্রাম’।
৭ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক শিশু। তীব্র খাদ্যসংকটে শিশুরা অনাহার ও অপুষ্টিতে প্রাণ হারাচ্ছে। শিশুদের এই কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না মার্কিন পপতারকা ম্যাডোনা।
৯ ঘণ্টা আগেভৌতিক গল্পের প্রতি আলাদা টান রয়েছে অর্থহীন ব্যান্ডের সাইদুস সালেহীন সুমন ও ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর। দুই বন্ধু মিলে দেখেছেন অনেক হরর সিনেমা। ভৌতিক গল্পের সন্ধানে ছুটে গেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
২০ ঘণ্টা আগে