অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানেন তাঁরা।
ওই সময় ফারিয়া জানিয়েছিলেন, দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁরা বিচ্ছেদের দিকে এগিয়েছেন।
কিন্তু ঠিক কী কারণে দাম্পত্য সম্পর্কের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন ফারিয়া? কতটা তিক্ত ছিল সেই অভিজ্ঞতা? এ নিয়ে বিচ্ছেদের এক বছরেরও বেশি সময় পর মুখ খুলেছেন ফারিয়া। জানিয়েছেন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিজের কথাও বলেন ফারিয়া। বুধবার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেছিলেন, ‘মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পিছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে, কিভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙ্গা হাত নিয়ে করেছি। যখন কেউ জানতে চেয়েছে, কি হয়েছে? বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কিভাবে ব্যথা পেয়েছি। কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কি বলবে!’
কিন্তু বিচ্ছেদের এত দিন পর কেন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন ফারিয়া। এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
ইংরেজি ভাষায় লেখা ওই স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার। কারও ভাবমূর্তি নষ্ট করার কিংবা অ্যাটেনশন পাওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না (যদিও না চাইলেও আমি সব সময় অ্যাটেনশন পেয়ে যাই)। আগের পোস্টটি দেওয়ার মূল কারণ হলো, এই সমাজের প্রতি আঙুল তোলা।’
দুর্বিষহ এই ঘটনা সামনে আনা মোটেই সহজ ছিল না ফারিয়ার কাছে। সে জন্যই এতটা সময় লেগেছে বলে জানান তিনি। ফারিয়া লিখেছেন, ‘এই ঘটনা সামনে আনা মোটেও সহজ ছিল না। যদি হতো, তাহলে আরও আগেই এটা প্রকাশ্যে আনতাম। আমি দেখেছি, কীভাবে মানুষ পরিস্থিতি উল্টে আমার দিকে আঙুল তুলেছে। ঠিক এই কারণেই আমরা অনেক বেশি পারিবারিক নির্যাতন দেখছি। এই সমাজ পুরুষদের বাহবা দেয়, আর নারীকে লজ্জা দিতে পছন্দ করে। যদি তুমি মরে যাও, মানুষের মন খারাপ হবে। কিন্তু যদি তুমি নিজেকে রক্ষা করতে বিবাহবিচ্ছেদ করো, তাহলে ‘‘তুমি খারাপ’’।’
কিন্তু নিজের দাম্পত্যের অভিজ্ঞতা তিক্ত হলেও বিয়ের বিরুদ্ধে কিংবা বিচ্ছেদের পক্ষে নন ফারিয়া। কেউ তাঁর কাছে বিচ্ছেদের ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে, তিনি সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।
ফারিয়া লিখেছেন, ‘বিয়ে একটি অসাধারণ ব্যাপার। আমি বিচ্ছেদকে নিরুৎসাহিত করি। এমনকি আমার কোনো বন্ধু যদি ডিভোর্সের ব্যাপারে বলে, আমি তাদের প্রথমেই বলি, ‘‘সময় নাও’’। কেউ মারা গেলে সমাজের মানুষ কান্না করে। কিন্তু যখন কারও বিবাহবিচ্ছেদ হয়, পুরো ঘটনা জানার আগেই মানুষ ধরে নেয়, এটা নারীর ব্যর্থতা। তারা নারীর দোষ খুঁজতে চেষ্টা করে, তার চারিত্রিক সনদ অব্দি দিয়ে দেয়, আর আমরা সবাই হাসি!’
অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানেন তাঁরা।
ওই সময় ফারিয়া জানিয়েছিলেন, দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁরা বিচ্ছেদের দিকে এগিয়েছেন।
কিন্তু ঠিক কী কারণে দাম্পত্য সম্পর্কের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন ফারিয়া? কতটা তিক্ত ছিল সেই অভিজ্ঞতা? এ নিয়ে বিচ্ছেদের এক বছরেরও বেশি সময় পর মুখ খুলেছেন ফারিয়া। জানিয়েছেন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিজের কথাও বলেন ফারিয়া। বুধবার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেছিলেন, ‘মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পিছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে, কিভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙ্গা হাত নিয়ে করেছি। যখন কেউ জানতে চেয়েছে, কি হয়েছে? বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কিভাবে ব্যথা পেয়েছি। কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কি বলবে!’
কিন্তু বিচ্ছেদের এত দিন পর কেন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন ফারিয়া। এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
ইংরেজি ভাষায় লেখা ওই স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার। কারও ভাবমূর্তি নষ্ট করার কিংবা অ্যাটেনশন পাওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না (যদিও না চাইলেও আমি সব সময় অ্যাটেনশন পেয়ে যাই)। আগের পোস্টটি দেওয়ার মূল কারণ হলো, এই সমাজের প্রতি আঙুল তোলা।’
দুর্বিষহ এই ঘটনা সামনে আনা মোটেই সহজ ছিল না ফারিয়ার কাছে। সে জন্যই এতটা সময় লেগেছে বলে জানান তিনি। ফারিয়া লিখেছেন, ‘এই ঘটনা সামনে আনা মোটেও সহজ ছিল না। যদি হতো, তাহলে আরও আগেই এটা প্রকাশ্যে আনতাম। আমি দেখেছি, কীভাবে মানুষ পরিস্থিতি উল্টে আমার দিকে আঙুল তুলেছে। ঠিক এই কারণেই আমরা অনেক বেশি পারিবারিক নির্যাতন দেখছি। এই সমাজ পুরুষদের বাহবা দেয়, আর নারীকে লজ্জা দিতে পছন্দ করে। যদি তুমি মরে যাও, মানুষের মন খারাপ হবে। কিন্তু যদি তুমি নিজেকে রক্ষা করতে বিবাহবিচ্ছেদ করো, তাহলে ‘‘তুমি খারাপ’’।’
কিন্তু নিজের দাম্পত্যের অভিজ্ঞতা তিক্ত হলেও বিয়ের বিরুদ্ধে কিংবা বিচ্ছেদের পক্ষে নন ফারিয়া। কেউ তাঁর কাছে বিচ্ছেদের ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে, তিনি সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।
ফারিয়া লিখেছেন, ‘বিয়ে একটি অসাধারণ ব্যাপার। আমি বিচ্ছেদকে নিরুৎসাহিত করি। এমনকি আমার কোনো বন্ধু যদি ডিভোর্সের ব্যাপারে বলে, আমি তাদের প্রথমেই বলি, ‘‘সময় নাও’’। কেউ মারা গেলে সমাজের মানুষ কান্না করে। কিন্তু যখন কারও বিবাহবিচ্ছেদ হয়, পুরো ঘটনা জানার আগেই মানুষ ধরে নেয়, এটা নারীর ব্যর্থতা। তারা নারীর দোষ খুঁজতে চেষ্টা করে, তার চারিত্রিক সনদ অব্দি দিয়ে দেয়, আর আমরা সবাই হাসি!’
ঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
৬ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৬ ঘণ্টা আগেমহান মে দিবসে শিশুশিল্পীদের নিয়ে দুরন্ত টিভি প্রচার করবে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোলো তোলো’। অনুষ্ঠানটিতে এম আর ওয়াসেকের নৃত্য পরিচালনায় গণসংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নন্দনকলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পী পুষ্পিতা, অর্পিতা, ইমি, পিউ, ইরা, অর্জন, মাহমুদা, শ্রেষ্ঠা, লাবিবা, সিলভা, সাদিয়া, সিজান, সিফা
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালে পরপর তিন সিনেমা দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে শাহরুখ খানের। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ দিয়ে সে বছর বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েন বলিউড বাদশা। এরপর কিছুটা বিরতি। গত বছর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি শাহরুখের, এ বছরটাও ফাঁকা যাবে। নতুন সিনেমা নিয়ে তিনি প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন ২০২৬ সালে।
৭ ঘণ্টা আগে