তামান্না-ই-জাহান

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১২ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১২ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১২ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১২ ঘণ্টা আগে