তামান্না-ই-জাহান

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
তামান্না-ই-জাহান

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগেএ সপ্তাহের সিনেমা
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৪ ঘণ্টা আগে