অর্ণব সান্যাল

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
পুরো সিরিজ দেখার নিখুঁত আহ্বান বলা চলে। তাতে সাড়া দিতে গিয়েই প্রায় তিনটি ঘণ্টা চলে গেল। একেবারে জলে কি গেল সময়? না। হোঁচট খেতে খেতেও পপাত ধরণিতল না হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে যেমন বোধ হয়, ঠিক তেমনটাই অনুভূতি এখন। সেই সঙ্গে আছে ‘পার্ট টু’ দেখার উদগ্র আগ্রহ। ‘কামিং সুন’ শব্দদুটো যত দ্রুত উঠে গিয়ে ‘এসে গেছে’ হয়, ততই যেন স্বস্তি! অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে কার না ভালো লাগে, বলুন?
বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের জগতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে বেশ। পরিবর্তন সব সময় ধীরে-সুস্থেই আসে। তবে হাওয়াটা টের পাওয়া যায়। বোঝা যায় পরিণত হওয়ার রেশ। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজটিতে সেই পরিবর্তিত হাওয়ার গন্ধ মেলে। ঠিক যেমনটা পাওয়া গিয়েছিল ‘সাবরিনা’ বা ‘কাইজার’-এও।
সৈয়দ আহমেদ শাওকীর তৈরি নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ১৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের পার্ট ওয়ান। সাতটি পর্বে সাজানো এই প্রথম অধ্যায়। এর আগে ‘তাকদীর’ দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক শাওকী। সুতরাং এবারের সিরিজ নিয়ে কিছুটা আগ্রহ আগে থেকেই মনে পোষা ছিল।
‘কারাগার’-এর গল্পটা নিয়ে হইচই লিখেছে, ‘আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলের সেল নাম্বার ১৪৫ গত পাঁচ দশক ধরে বন্ধ। অথচ সেই সেলেই উদয় হয়েছে এক অচেনা, অজানা, রহস্যময় কয়েদির। কে এই আগন্তুক আর সে এখানে কি করে পৌঁছাল?’
রহস্যের এই শুরুতে আসতে বেশি দেরি করেনি ‘কারাগার’। প্রথম পর্বেই আবির্ভাব ঘটে আগন্তুকের। এর পর থেকেই সেই রহস্যের জাল আরও জটিল হয়েছে ধীরে ধীরে। কখনো তাতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মীরজাফর এসেছে, কখনো এসেছে আন্দামানের সেই বিখ্যাত কারাগারের কথা। আবার কখনো আগন্তুকের আধিভৌতিক আচরণ ও অজানা জানার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দর্শকের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। তুলেছে অনেকগুলো প্রশ্ন, যার উত্তর পেতেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পার্ট টু-এর জন্য।
রহস্যকে অবলম্বন করে যত ওয়েব সিরিজ হয়, তাতে এই রহস্যাবৃত আবহকে টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ওটিটির দুনিয়ায় এই চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। অন্তত কারাগার-এর মুক্তি পাওয়া প্রথম অধ্যায়ের সাত নম্বর পর্বটি দেখার পর বলাই যায় যে, সেই চ্যালেঞ্জে পরিচালক উতরে গেছেন ভালোভাবেই। হ্যাঁ, চার নম্বর পর্ব থেকে মনে হতেই পারে, ‘এত আজগুবি বিষয়-আশয় টেনে আনা হচ্ছে কেন?’ কিন্তু পার্ট ওয়ানের শেষটায় এসে ঠিকই আগের সব ঘটনার কার্যকারণ স্পষ্ট রূপ পেতে শুরু করে। আর এখানটাতেই গল্প-চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অকুণ্ঠ বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
সাধারণভাবেই ওটিটির দুনিয়ায় ওয়েব সিরিজের এক সিজনে দুটি অধ্যায়ের সূচনা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, দর্শককে আটকে রাখতে হয় লম্বা সময় ধরে। শুধু গল্পে চমক আর অগণিত প্রশ্নের উদ্রেক করেই সেই কৌতূহল টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেটা এতটাই ঠাস-বুনটে করতে হয়, যাতে করে দর্শককুল ‘পার্ট টু, কামিং সুন’ দেখে উত্তর পাওয়ার বিষয়ে মানসিকভাবে আশ্বস্ত হতে পারেন এবং অপেক্ষার প্রহর গুনতে গররাজি হওয়ার সুযোগ না পান। এই কাজটি ‘কারাগার’ বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে, তবে আপাতত। পার্ট টু-ই হয়তো সেই ‘আপাতত’-কে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ তাতেই বোঝা যাবে, চকচক করা বস্তুটি আসলেই সোনা কিনা!
‘কারাগার’-এ অভিনয় করেছেন দক্ষ শিল্পীরা। পারিবারিক সমস্যার অস্থিরতায় আক্রান্ত জেলখানার হর্তাকর্তার ভূমিকায় ইন্তেখাব দিনার দুর্দান্ত। প্রথম থেকে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত একজন রহস্যে ঘেরা জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ আফজাল হোসেনের অভিনয় বলে দেয়, আসছে পর্বে তাঁর ভূমিকা হবে গল্পের মোড় ঘোরানো। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো ‘নির্ভেজাল’ কয়েদি হয়ে থাকবেন? মন মানে না! আর চঞ্চল চৌধুরী যেন প্রতি আয়োজনেই পর্দায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। হাওয়া থেকে কারাগারের শতবর্ষী সেলে আবির্ভূত হওয়া আগন্তুকের চরিত্রে তিনি ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য। বধির ও বোবার চরিত্রেও অবিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ দেননি। ঠিক যে সময়টায় গল্পের স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে আমাদের চমকে দিলেন, তা এতটাই পেলব কিন্তু প্রভাববিস্তারী ছিল যে, মনেই হয়নি এর অন্যথাও হতে পারত!
তবে রহস্যের জাল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে অন্যদিকে কিছু তালগোল পাকিয়েছে। জেলার আর তার ডিবি কর্মকর্তা বন্ধুটির বয়স বা সার্বিক পরিস্থিতি কি মিলেছে বাস্তবতা অনুযায়ী? শুধু পাকা চুলেই কি বয়স নির্ধারিত হয় সব সময়? আর সেটি হলে কতটা হয়? ইন্তেখাব দিনার বা বিজরী বরকতউল্লাহর সঙ্গে এফ এস নাঈম এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাসনিয়া ফারিণের চরিত্রটি কি বয়সের মাপকাঠিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে? খটকা কিন্তু থেকেই যায়। আরও খটকা লাগে একজন জেলারের ছেলেকে পুলিশের ইনফরমার হওয়ার দরুন প্রাণ বাঁচাতে বন্দীজীবন বেছে নেওয়ার কাহিনিতে। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের (তা সীমান্তের এপার হোক বা ওপার) বাস্তবতা অনুযায়ী এমন কাহিনিতে আস্থা রাখতে একটু কষ্টই হয় বটে। আবার সিরিজটির কিছু কিছু দৃশ্যে বুঝতে কষ্ট হয় ডায়লগও। হয়তো দৃশ্যের প্রয়োজনেই তেমনটা করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের কান পর্যন্ত না পৌঁছালে লাভটা কী?
ক্যামেরার চোখে ‘কারাগার’ সুন্দর। পর্দায় দেখানো এক রহস্যময় নারীর একজোড়া চোখও আকর্ষণীয়। কালো বোরকা পরিহিত সেই নারীর দু চোখেই পাওয়া যায় আরও রহস্যের আভাস। দুই চোখের চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীর নাম চোখ পড়ে বলাই যায়। কিন্তু থাক না কিছু না বলা। পাঠক, বরং নিজেই দেখে নিতে পারেন। পুরো ওয়েব সিরিজ দেখতে সময় নেবে কয়েক ঘণ্টাই তো। ‘সময়টা নষ্ট হলো’—এই কথাটা ভাবার অবকাশ পাবেন না, সেটি আশ্বস্ত করতে পারি।
প্রথম সিজনের পার্ট টু দেখার আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে ‘কারাগার’ সফল। সার্থকতার মাপকাঠিতে এই সৃষ্টিকর্মটি কত নম্বর পাবে, সেটি ঠিক করতে অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কারণ, মূল পরীক্ষা যে হবে পার্ট টু-তে। বরং আস্থা রাখ যাক ‘কামিং সুন’ বলা ঘোষণাটিতেই!

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
পুরো সিরিজ দেখার নিখুঁত আহ্বান বলা চলে। তাতে সাড়া দিতে গিয়েই প্রায় তিনটি ঘণ্টা চলে গেল। একেবারে জলে কি গেল সময়? না। হোঁচট খেতে খেতেও পপাত ধরণিতল না হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে যেমন বোধ হয়, ঠিক তেমনটাই অনুভূতি এখন। সেই সঙ্গে আছে ‘পার্ট টু’ দেখার উদগ্র আগ্রহ। ‘কামিং সুন’ শব্দদুটো যত দ্রুত উঠে গিয়ে ‘এসে গেছে’ হয়, ততই যেন স্বস্তি! অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে কার না ভালো লাগে, বলুন?
বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের জগতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে বেশ। পরিবর্তন সব সময় ধীরে-সুস্থেই আসে। তবে হাওয়াটা টের পাওয়া যায়। বোঝা যায় পরিণত হওয়ার রেশ। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজটিতে সেই পরিবর্তিত হাওয়ার গন্ধ মেলে। ঠিক যেমনটা পাওয়া গিয়েছিল ‘সাবরিনা’ বা ‘কাইজার’-এও।
সৈয়দ আহমেদ শাওকীর তৈরি নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ১৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের পার্ট ওয়ান। সাতটি পর্বে সাজানো এই প্রথম অধ্যায়। এর আগে ‘তাকদীর’ দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক শাওকী। সুতরাং এবারের সিরিজ নিয়ে কিছুটা আগ্রহ আগে থেকেই মনে পোষা ছিল।
‘কারাগার’-এর গল্পটা নিয়ে হইচই লিখেছে, ‘আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলের সেল নাম্বার ১৪৫ গত পাঁচ দশক ধরে বন্ধ। অথচ সেই সেলেই উদয় হয়েছে এক অচেনা, অজানা, রহস্যময় কয়েদির। কে এই আগন্তুক আর সে এখানে কি করে পৌঁছাল?’
রহস্যের এই শুরুতে আসতে বেশি দেরি করেনি ‘কারাগার’। প্রথম পর্বেই আবির্ভাব ঘটে আগন্তুকের। এর পর থেকেই সেই রহস্যের জাল আরও জটিল হয়েছে ধীরে ধীরে। কখনো তাতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মীরজাফর এসেছে, কখনো এসেছে আন্দামানের সেই বিখ্যাত কারাগারের কথা। আবার কখনো আগন্তুকের আধিভৌতিক আচরণ ও অজানা জানার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দর্শকের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। তুলেছে অনেকগুলো প্রশ্ন, যার উত্তর পেতেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পার্ট টু-এর জন্য।
রহস্যকে অবলম্বন করে যত ওয়েব সিরিজ হয়, তাতে এই রহস্যাবৃত আবহকে টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ওটিটির দুনিয়ায় এই চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। অন্তত কারাগার-এর মুক্তি পাওয়া প্রথম অধ্যায়ের সাত নম্বর পর্বটি দেখার পর বলাই যায় যে, সেই চ্যালেঞ্জে পরিচালক উতরে গেছেন ভালোভাবেই। হ্যাঁ, চার নম্বর পর্ব থেকে মনে হতেই পারে, ‘এত আজগুবি বিষয়-আশয় টেনে আনা হচ্ছে কেন?’ কিন্তু পার্ট ওয়ানের শেষটায় এসে ঠিকই আগের সব ঘটনার কার্যকারণ স্পষ্ট রূপ পেতে শুরু করে। আর এখানটাতেই গল্প-চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অকুণ্ঠ বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
সাধারণভাবেই ওটিটির দুনিয়ায় ওয়েব সিরিজের এক সিজনে দুটি অধ্যায়ের সূচনা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, দর্শককে আটকে রাখতে হয় লম্বা সময় ধরে। শুধু গল্পে চমক আর অগণিত প্রশ্নের উদ্রেক করেই সেই কৌতূহল টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেটা এতটাই ঠাস-বুনটে করতে হয়, যাতে করে দর্শককুল ‘পার্ট টু, কামিং সুন’ দেখে উত্তর পাওয়ার বিষয়ে মানসিকভাবে আশ্বস্ত হতে পারেন এবং অপেক্ষার প্রহর গুনতে গররাজি হওয়ার সুযোগ না পান। এই কাজটি ‘কারাগার’ বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে, তবে আপাতত। পার্ট টু-ই হয়তো সেই ‘আপাতত’-কে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ তাতেই বোঝা যাবে, চকচক করা বস্তুটি আসলেই সোনা কিনা!
‘কারাগার’-এ অভিনয় করেছেন দক্ষ শিল্পীরা। পারিবারিক সমস্যার অস্থিরতায় আক্রান্ত জেলখানার হর্তাকর্তার ভূমিকায় ইন্তেখাব দিনার দুর্দান্ত। প্রথম থেকে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত একজন রহস্যে ঘেরা জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ আফজাল হোসেনের অভিনয় বলে দেয়, আসছে পর্বে তাঁর ভূমিকা হবে গল্পের মোড় ঘোরানো। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো ‘নির্ভেজাল’ কয়েদি হয়ে থাকবেন? মন মানে না! আর চঞ্চল চৌধুরী যেন প্রতি আয়োজনেই পর্দায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। হাওয়া থেকে কারাগারের শতবর্ষী সেলে আবির্ভূত হওয়া আগন্তুকের চরিত্রে তিনি ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য। বধির ও বোবার চরিত্রেও অবিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ দেননি। ঠিক যে সময়টায় গল্পের স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে আমাদের চমকে দিলেন, তা এতটাই পেলব কিন্তু প্রভাববিস্তারী ছিল যে, মনেই হয়নি এর অন্যথাও হতে পারত!
তবে রহস্যের জাল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে অন্যদিকে কিছু তালগোল পাকিয়েছে। জেলার আর তার ডিবি কর্মকর্তা বন্ধুটির বয়স বা সার্বিক পরিস্থিতি কি মিলেছে বাস্তবতা অনুযায়ী? শুধু পাকা চুলেই কি বয়স নির্ধারিত হয় সব সময়? আর সেটি হলে কতটা হয়? ইন্তেখাব দিনার বা বিজরী বরকতউল্লাহর সঙ্গে এফ এস নাঈম এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাসনিয়া ফারিণের চরিত্রটি কি বয়সের মাপকাঠিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে? খটকা কিন্তু থেকেই যায়। আরও খটকা লাগে একজন জেলারের ছেলেকে পুলিশের ইনফরমার হওয়ার দরুন প্রাণ বাঁচাতে বন্দীজীবন বেছে নেওয়ার কাহিনিতে। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের (তা সীমান্তের এপার হোক বা ওপার) বাস্তবতা অনুযায়ী এমন কাহিনিতে আস্থা রাখতে একটু কষ্টই হয় বটে। আবার সিরিজটির কিছু কিছু দৃশ্যে বুঝতে কষ্ট হয় ডায়লগও। হয়তো দৃশ্যের প্রয়োজনেই তেমনটা করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের কান পর্যন্ত না পৌঁছালে লাভটা কী?
ক্যামেরার চোখে ‘কারাগার’ সুন্দর। পর্দায় দেখানো এক রহস্যময় নারীর একজোড়া চোখও আকর্ষণীয়। কালো বোরকা পরিহিত সেই নারীর দু চোখেই পাওয়া যায় আরও রহস্যের আভাস। দুই চোখের চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীর নাম চোখ পড়ে বলাই যায়। কিন্তু থাক না কিছু না বলা। পাঠক, বরং নিজেই দেখে নিতে পারেন। পুরো ওয়েব সিরিজ দেখতে সময় নেবে কয়েক ঘণ্টাই তো। ‘সময়টা নষ্ট হলো’—এই কথাটা ভাবার অবকাশ পাবেন না, সেটি আশ্বস্ত করতে পারি।
প্রথম সিজনের পার্ট টু দেখার আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে ‘কারাগার’ সফল। সার্থকতার মাপকাঠিতে এই সৃষ্টিকর্মটি কত নম্বর পাবে, সেটি ঠিক করতে অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কারণ, মূল পরীক্ষা যে হবে পার্ট টু-তে। বরং আস্থা রাখ যাক ‘কামিং সুন’ বলা ঘোষণাটিতেই!

কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (৮৯) স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে যখন তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন আজ মঙ্গলবার সকালে সেই খবরকে উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী (৭৭)।
৬ ঘণ্টা আগে
বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাঁর বয়স ৮৯ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দলের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
৭ ঘণ্টা আগে
শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
৯ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (৮৯) স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে যখন তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন আজ মঙ্গলবার সকালে সেই খবরকে উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী (৭৭)। বর্তমানে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা ধর্মেন্দ্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং স্থিতিশীল আছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
আজ সকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে হেমা মালিনী এই ধরনের গুজবের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি লেখেন: ‘যা ঘটছে তা অমার্জনীয়! যে ব্যক্তি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হচ্ছেন, দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমগুলো কীভাবে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়াতে পারে? এটা চরম অসম্মানজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। দয়া করে পরিবারকে মর্যাদা দিন এবং তাদের ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকারকে সম্মান জানান।’
ধর্মেন্দ্রের স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানোর জন্য তিনি সরাসরি কিছু ‘দায়িত্বশীল চ্যানেল’-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
হেমা মালিনীর আগে তাঁদের জ্যেষ্ঠ কন্যা এষা দেওলও ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে বাবার মৃত্যুর খবরকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। তিনি লেখেন, ‘গণমাধ্যম যেন আজ অতিরিক্ত তৎপর এবং তারা মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল এবং সুস্থ হচ্ছেন। আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবারকে কিছুটা ব্যক্তিগত পরিসর দিন। বাবার দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার জন্য ধন্যবাদ।’ এষা তাঁর পোস্টের কমেন্ট সেকশনও বন্ধ করে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের পুত্র সানি দেওলও একটি বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘ধর্মেন্দ্র জি স্থিতিশীল এবং পর্যবেক্ষণে আছেন। পরবর্তী মন্তব্য ও আপডেটগুলো যথাসময়ে জানানো হবে। দয়া করে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। দ্রুত আরোগ্যের জন্য সকলের কাছে প্রার্থনা এবং পরিবারের ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ রইল।’
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১০ নভেম্বর থেকে তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন। তবে পরিবার জানিয়েছে যে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
অভিনেতার অসুস্থতার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূল ধারার কয়েকটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভিড় করেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বলিউড তারকারা। হেমা মালিনী, সানি দেওল, ববি দেওল ছাড়াও হাসপাতালে ধর্মেন্দ্রকে দেখতে গিয়েছিলেন সালমান খান, শাহরুখ খান এবং গোবিন্দার মতো তারকারা। সুস্থতার জন্য গোটা বলিউড ও ভক্তরা তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন।

কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (৮৯) স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে যখন তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন আজ মঙ্গলবার সকালে সেই খবরকে উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী (৭৭)। বর্তমানে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা ধর্মেন্দ্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং স্থিতিশীল আছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
আজ সকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে হেমা মালিনী এই ধরনের গুজবের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি লেখেন: ‘যা ঘটছে তা অমার্জনীয়! যে ব্যক্তি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হচ্ছেন, দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমগুলো কীভাবে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়াতে পারে? এটা চরম অসম্মানজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। দয়া করে পরিবারকে মর্যাদা দিন এবং তাদের ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকারকে সম্মান জানান।’
ধর্মেন্দ্রের স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানোর জন্য তিনি সরাসরি কিছু ‘দায়িত্বশীল চ্যানেল’-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
হেমা মালিনীর আগে তাঁদের জ্যেষ্ঠ কন্যা এষা দেওলও ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে বাবার মৃত্যুর খবরকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। তিনি লেখেন, ‘গণমাধ্যম যেন আজ অতিরিক্ত তৎপর এবং তারা মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল এবং সুস্থ হচ্ছেন। আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবারকে কিছুটা ব্যক্তিগত পরিসর দিন। বাবার দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার জন্য ধন্যবাদ।’ এষা তাঁর পোস্টের কমেন্ট সেকশনও বন্ধ করে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের পুত্র সানি দেওলও একটি বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘ধর্মেন্দ্র জি স্থিতিশীল এবং পর্যবেক্ষণে আছেন। পরবর্তী মন্তব্য ও আপডেটগুলো যথাসময়ে জানানো হবে। দয়া করে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। দ্রুত আরোগ্যের জন্য সকলের কাছে প্রার্থনা এবং পরিবারের ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ রইল।’
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১০ নভেম্বর থেকে তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন। তবে পরিবার জানিয়েছে যে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
অভিনেতার অসুস্থতার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূল ধারার কয়েকটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভিড় করেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বলিউড তারকারা। হেমা মালিনী, সানি দেওল, ববি দেওল ছাড়াও হাসপাতালে ধর্মেন্দ্রকে দেখতে গিয়েছিলেন সালমান খান, শাহরুখ খান এবং গোবিন্দার মতো তারকারা। সুস্থতার জন্য গোটা বলিউড ও ভক্তরা তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন।

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাঁর বয়স ৮৯ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দলের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
৭ ঘণ্টা আগে
শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
৯ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাঁর বয়স ৮৯ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দলের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
তবে, পরে ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী ও তাঁর মেয়ে এষা দেউল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, মৃত্যুর খবর ভুয়া। ধর্মেন্দ্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
বলিউডের ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিত এই অভিনেতার ছয় দশকের বেশি সময়ে গড়া এক অসাধারণ চলচ্চিত্রজীবন। তাঁর মৃত্যুর খবরে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে। অসংখ্য অনুরাগী শোকাহত হয়েছেন। অন্তর্জালে সবাই শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন ধর্মেন্দ্রকে। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্ত্রী হেমা মালিনী, দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল, আমিশা প্যাটেল, শাহরুখ খান, সালমান খানসহ অনেকে।
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সোমবার সকাল থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। এই অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
সোমবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তাঁকে রুটিন চেকআপ ও চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ধর্মেন্দ্রর টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি কিছুটা দুর্বল হয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রাম নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না।’ ধর্মেন্দ্রর ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, ‘এখন উনি আইসিইউতে আছেন। লাইফ সাপোর্টের খবর ভুল। উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’
ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী ও অভিনেত্রী হেমা মালিনী জানান, ‘ওর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। আমরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ তবে শেষ পর্যন্ত ভক্তদের আশঙ্কাই সত্যি হলো।
ধর্মেন্দ্রর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, পাঞ্জাবের নসরালি গ্রামে। প্রকৃত নাম ধর্মসিং দেওল। ১৯৬০ সালে অভিনয়জীবন শুরু হলেও এর আগে ধর্মেন্দ্রর পথ মোটেই সহজ ছিল না। এক সাধারণ গ্রামের ছেলেকে যে লড়াই করে তারকা হতে হয়েছিল, তা সিনেমার চেয়েও নাটকীয়।
দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান হয়েও ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি ছিল প্রবল টান। পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে তরুণ বয়সে ধর্মেন্দ্র ভারতীয় রেলে কেরানির পদে চাকরি নেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর। তখন তাঁর প্রথম বিয়ে হয় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১২৫ রুপি। কিন্তু ধর্মেন্দ্র বুঝেছিলেন, রেলের চাকরিতে তাঁর মন বসছে না। তিনি জানতেন, জীবনের উদ্দেশ্য অন্য কোথাও—সিনেমায়, আলোয় আর ক্যামেরার সামনে।
১৯৬০ সালে ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতা জিতে তাঁর মুম্বাইয়ে যাত্রা। সেখান থেকেই শুরু ইতিহাস। পরিচালক অর্জুন হিঙ্গোরানির ছবিতে ‘দিল ভি তেরা, হাম ভি তেরে’তে (১৯৬০) প্রথম সুযোগ পান ধর্মেন্দ্র। পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মাত্র ৫১ রুপি। সেখান থেকেই শুরু এক কিংবদন্তির যাত্রা। ‘ফুল অউর পাত্থার’ (১৯৬৬) ধর্মেন্দ্রকে একঝটকায় বলিউডের অ্যাকশন নায়কে পরিণত করে। পরের দুই দশকে তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দি সিনেমার এক অপ্রতিরোধ্য মুখ। ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘জাদুগর’, ‘ধরম বীর’, ‘দোস্ত’, ‘আনপাড়’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’—প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তিনি যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন।
ধর্মেন্দ্রর জীবনের বড় অধ্যায় হেমা মালিনীকে ঘিরে। ১৯৮০ সালে এই জুটির বিয়ে হয়, যা বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি। একসঙ্গে তাঁরা কাজ করেছেন ৩০টির বেশি ছবিতে। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘ড্রিমগার্ল’, ‘শরিফ বদমাশ’, ‘জুগনু’, ‘দোস্ত’ আজও জনপ্রিয়। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সংসারে ধর্মেন্দ্রর দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল—দুজনেই বলিউডের পরিচিত মুখ। হেমা মালিনীর সংসারে তাঁর দুই মেয়ে—এশা দেওল ও অহনা দেওল।

বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাঁর বয়স ৮৯ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দলের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
তবে, পরে ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী ও তাঁর মেয়ে এষা দেউল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, মৃত্যুর খবর ভুয়া। ধর্মেন্দ্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
বলিউডের ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিত এই অভিনেতার ছয় দশকের বেশি সময়ে গড়া এক অসাধারণ চলচ্চিত্রজীবন। তাঁর মৃত্যুর খবরে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে। অসংখ্য অনুরাগী শোকাহত হয়েছেন। অন্তর্জালে সবাই শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন ধর্মেন্দ্রকে। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্ত্রী হেমা মালিনী, দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল, আমিশা প্যাটেল, শাহরুখ খান, সালমান খানসহ অনেকে।
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সোমবার সকাল থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। এই অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
সোমবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তাঁকে রুটিন চেকআপ ও চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ধর্মেন্দ্রর টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি কিছুটা দুর্বল হয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রাম নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না।’ ধর্মেন্দ্রর ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, ‘এখন উনি আইসিইউতে আছেন। লাইফ সাপোর্টের খবর ভুল। উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’
ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী ও অভিনেত্রী হেমা মালিনী জানান, ‘ওর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। আমরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ তবে শেষ পর্যন্ত ভক্তদের আশঙ্কাই সত্যি হলো।
ধর্মেন্দ্রর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, পাঞ্জাবের নসরালি গ্রামে। প্রকৃত নাম ধর্মসিং দেওল। ১৯৬০ সালে অভিনয়জীবন শুরু হলেও এর আগে ধর্মেন্দ্রর পথ মোটেই সহজ ছিল না। এক সাধারণ গ্রামের ছেলেকে যে লড়াই করে তারকা হতে হয়েছিল, তা সিনেমার চেয়েও নাটকীয়।
দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান হয়েও ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি ছিল প্রবল টান। পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে তরুণ বয়সে ধর্মেন্দ্র ভারতীয় রেলে কেরানির পদে চাকরি নেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর। তখন তাঁর প্রথম বিয়ে হয় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১২৫ রুপি। কিন্তু ধর্মেন্দ্র বুঝেছিলেন, রেলের চাকরিতে তাঁর মন বসছে না। তিনি জানতেন, জীবনের উদ্দেশ্য অন্য কোথাও—সিনেমায়, আলোয় আর ক্যামেরার সামনে।
১৯৬০ সালে ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতা জিতে তাঁর মুম্বাইয়ে যাত্রা। সেখান থেকেই শুরু ইতিহাস। পরিচালক অর্জুন হিঙ্গোরানির ছবিতে ‘দিল ভি তেরা, হাম ভি তেরে’তে (১৯৬০) প্রথম সুযোগ পান ধর্মেন্দ্র। পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মাত্র ৫১ রুপি। সেখান থেকেই শুরু এক কিংবদন্তির যাত্রা। ‘ফুল অউর পাত্থার’ (১৯৬৬) ধর্মেন্দ্রকে একঝটকায় বলিউডের অ্যাকশন নায়কে পরিণত করে। পরের দুই দশকে তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দি সিনেমার এক অপ্রতিরোধ্য মুখ। ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘জাদুগর’, ‘ধরম বীর’, ‘দোস্ত’, ‘আনপাড়’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’—প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তিনি যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন।
ধর্মেন্দ্রর জীবনের বড় অধ্যায় হেমা মালিনীকে ঘিরে। ১৯৮০ সালে এই জুটির বিয়ে হয়, যা বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি। একসঙ্গে তাঁরা কাজ করেছেন ৩০টির বেশি ছবিতে। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘ড্রিমগার্ল’, ‘শরিফ বদমাশ’, ‘জুগনু’, ‘দোস্ত’ আজও জনপ্রিয়। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সংসারে ধর্মেন্দ্রর দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল—দুজনেই বলিউডের পরিচিত মুখ। হেমা মালিনীর সংসারে তাঁর দুই মেয়ে—এশা দেওল ও অহনা দেওল।

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (৮৯) স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে যখন তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন আজ মঙ্গলবার সকালে সেই খবরকে উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী (৭৭)।
৬ ঘণ্টা আগে
শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
৯ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের। ‘লাইভ’, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’, ‘টগর’, ‘জীবন জুয়া’সহ এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ১০টির মতো সিনেমা। কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তবে এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি আদরের কোনো সিনেমা। সম্প্রতি নিজের এই ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা।
সাফল্য না পেলেও পিছু হটেননি আদর। নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সিনেমায়। সম্প্রতি আদর আজাদ যুক্ত হয়েছেন জাহিদ হোসেনের ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ সিনেমায়। এর মহরতে নিজের ব্যর্থতা নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘সিনেমা আসলে ওয়ান ম্যান শো না। এটি পুরো টিমের জার্নি। সিনেমায় যদি ১০০টি বিভাগ থাকে, তাহলে কোনো বিভাগেই বিন্দুমাত্র খাদ রাখা যাবে না। আমার সিনেমাগুলোতে হয়তো ওই ধরনের ত্রুটি ছিল। গল্পে কোনো ত্রুটি ছিল, তা বলব না। যখন কোনো গল্প আমাকে ভাবায়, তখনই কাজটা করি। প্রতিটি গল্প, প্রতিটি চরিত্র আমার কাছে নতুন। ঠিক কোন কারণে ক্লিক হচ্ছে না বা কী ধরনের ভুল ছিল, তা বলতে পারব না। তবে ভুল থেকেই তো মানুষ শিক্ষা নেয়।’
সিনেমার ব্যর্থতায় নিজের দোষ নেই বলে মনে করেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, ‘কোনো সিনেমায় পারফরমার হিসেবে আমাকে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না। উদাহরণ দিয়ে বলি, তিরন্দাজ যখন তির ছোড়ে, তখন বাতাসের গতিবিধিও মাথায় রাখতে হয়। বাতাস কোন দিকে বইছে, সেই হিসাবে টার্গেট পয়েন্ট ঠিক করতে হয়। কখনো ১০-এ ১০ হয়, কখনো হয় না। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছে। সিনেমার সব বিভাগের কাজ যখন একই মানের হবে, তখনই ক্লিক করবে।’
আদর আজাদ মনে করেন, অভিনেতা হিসেবে তিনি ভালো করছেন বলেই নিয়মিত সিনেমায় সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘মাত্রই ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ নামের একটি সিনেমা শেষ করলাম। এখন ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যদি খারাপ করতাম, তাহলে আমাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করত না। আমাকে নিয়ে কিন্তু চিন্তা করা হচ্ছে, পরিকল্পনা হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। এটাই আমার কাছে অনেক কিছু। আমার ক্যারিয়ার হয়তো কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে, কিন্তু কাজ তো হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, একটা চলচ্চিত্রে সবার মেধা ব্যবহার করতে হবে। প্রমোশন, মার্কেটিং থেকে শুরু করে সবকিছু ১০-এ ১০ হওয়া উচিত। তাহলেই একটা বিগ সাকসেস অচিরেই আমরা পেয়ে যাব।’

শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের। ‘লাইভ’, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’, ‘টগর’, ‘জীবন জুয়া’সহ এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ১০টির মতো সিনেমা। কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তবে এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি আদরের কোনো সিনেমা। সম্প্রতি নিজের এই ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা।
সাফল্য না পেলেও পিছু হটেননি আদর। নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সিনেমায়। সম্প্রতি আদর আজাদ যুক্ত হয়েছেন জাহিদ হোসেনের ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ সিনেমায়। এর মহরতে নিজের ব্যর্থতা নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘সিনেমা আসলে ওয়ান ম্যান শো না। এটি পুরো টিমের জার্নি। সিনেমায় যদি ১০০টি বিভাগ থাকে, তাহলে কোনো বিভাগেই বিন্দুমাত্র খাদ রাখা যাবে না। আমার সিনেমাগুলোতে হয়তো ওই ধরনের ত্রুটি ছিল। গল্পে কোনো ত্রুটি ছিল, তা বলব না। যখন কোনো গল্প আমাকে ভাবায়, তখনই কাজটা করি। প্রতিটি গল্প, প্রতিটি চরিত্র আমার কাছে নতুন। ঠিক কোন কারণে ক্লিক হচ্ছে না বা কী ধরনের ভুল ছিল, তা বলতে পারব না। তবে ভুল থেকেই তো মানুষ শিক্ষা নেয়।’
সিনেমার ব্যর্থতায় নিজের দোষ নেই বলে মনে করেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, ‘কোনো সিনেমায় পারফরমার হিসেবে আমাকে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না। উদাহরণ দিয়ে বলি, তিরন্দাজ যখন তির ছোড়ে, তখন বাতাসের গতিবিধিও মাথায় রাখতে হয়। বাতাস কোন দিকে বইছে, সেই হিসাবে টার্গেট পয়েন্ট ঠিক করতে হয়। কখনো ১০-এ ১০ হয়, কখনো হয় না। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছে। সিনেমার সব বিভাগের কাজ যখন একই মানের হবে, তখনই ক্লিক করবে।’
আদর আজাদ মনে করেন, অভিনেতা হিসেবে তিনি ভালো করছেন বলেই নিয়মিত সিনেমায় সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘মাত্রই ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ নামের একটি সিনেমা শেষ করলাম। এখন ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যদি খারাপ করতাম, তাহলে আমাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করত না। আমাকে নিয়ে কিন্তু চিন্তা করা হচ্ছে, পরিকল্পনা হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। এটাই আমার কাছে অনেক কিছু। আমার ক্যারিয়ার হয়তো কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে, কিন্তু কাজ তো হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, একটা চলচ্চিত্রে সবার মেধা ব্যবহার করতে হবে। প্রমোশন, মার্কেটিং থেকে শুরু করে সবকিছু ১০-এ ১০ হওয়া উচিত। তাহলেই একটা বিগ সাকসেস অচিরেই আমরা পেয়ে যাব।’

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (৮৯) স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে যখন তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন আজ মঙ্গলবার সকালে সেই খবরকে উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী (৭৭)।
৬ ঘণ্টা আগে
বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাঁর বয়স ৮৯ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দলের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। গতকাল বিয়ের পরদিন ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব রওনা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও রাকিবুল। ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁদের।
এর আগে বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, তিনি এমন একজন ছেলেকে বিয়ে করতে চান, যিনি ধর্মপরায়ণ ও ভালো মনের মানুষ এবং প্রিয়াঙ্কাকে অনেক ভালোবাসবে। সৌদি যাওয়ার আগে প্রিয়াঙ্কা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাকিবের সঙ্গে পরিচয় বেশি দিনের নয়। অল্প দিনের পরিচয়ে আমি তাকে জানার চেষ্টা করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি সে কেমন মানুষ, তার মানসিকতা কেমন। আমার মনে হয়েছে, জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখেছি, রাকিব ঠিক তেমন একজন। তার বিনয় এবং কেয়ারিং আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিয়ের পরদিনই আমরা ওমরাহ করার জন্য সৌদি যাচ্ছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি এবং বাকি জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা জামান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকায় তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা জামান সজীব চিশতীর ‘গয়নার বাক্স’সহ আরও দুটি নাটকে কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জে শুটিং করেছেন কামরুল হুদার রচনা ও কামরুল হাসান সুজনের পরিচালনায় ২৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘মার্ডার’-এর। প্রিয়াঙ্কা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ডিপজল প্রযোজিত ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে তাঁর। এই তালিকায় আছে মান্নান গাজীপুরীর ‘কী করে বলবো তোমায়’, অপূর্ব রানার ‘যন্ত্রণা’, মোহাম্মদ আসলামের ‘তবুও প্রেম দামী’ ইত্যাদি।

বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। গতকাল বিয়ের পরদিন ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব রওনা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও রাকিবুল। ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁদের।
এর আগে বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, তিনি এমন একজন ছেলেকে বিয়ে করতে চান, যিনি ধর্মপরায়ণ ও ভালো মনের মানুষ এবং প্রিয়াঙ্কাকে অনেক ভালোবাসবে। সৌদি যাওয়ার আগে প্রিয়াঙ্কা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাকিবের সঙ্গে পরিচয় বেশি দিনের নয়। অল্প দিনের পরিচয়ে আমি তাকে জানার চেষ্টা করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি সে কেমন মানুষ, তার মানসিকতা কেমন। আমার মনে হয়েছে, জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখেছি, রাকিব ঠিক তেমন একজন। তার বিনয় এবং কেয়ারিং আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিয়ের পরদিনই আমরা ওমরাহ করার জন্য সৌদি যাচ্ছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি এবং বাকি জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা জামান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকায় তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা জামান সজীব চিশতীর ‘গয়নার বাক্স’সহ আরও দুটি নাটকে কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জে শুটিং করেছেন কামরুল হুদার রচনা ও কামরুল হাসান সুজনের পরিচালনায় ২৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘মার্ডার’-এর। প্রিয়াঙ্কা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ডিপজল প্রযোজিত ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে তাঁর। এই তালিকায় আছে মান্নান গাজীপুরীর ‘কী করে বলবো তোমায়’, অপূর্ব রানার ‘যন্ত্রণা’, মোহাম্মদ আসলামের ‘তবুও প্রেম দামী’ ইত্যাদি।

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (৮৯) স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে যখন তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন আজ মঙ্গলবার সকালে সেই খবরকে উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী (৭৭)।
৬ ঘণ্টা আগে
বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাঁর বয়স ৮৯ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দলের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
৭ ঘণ্টা আগে
শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের।
৯ ঘণ্টা আগে