ওসি হারুন: শোনো মলয়, জীবনে দুইটা কথা মনে রাখবা—
এক- সাপের লেজ দিয়ে কখনো কান চুলকাইতে নাই।
দুই- ভুলে যদি চুলকায়াও ফেলো, তাহলে এমনভাবে চুলকাইবা যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে।
হইচই-এর সিরিজ ‘মহানগর’ প্রথম সিজনের সুবাদে ‘ওসি হারুন’ ও ‘মলয়’ চরিত্র দুটি এখন পরিচিত। আর ওসি হারুনের মুখে এমন সংলাপই কি পরিচালক ‘মহানগর ২’-এর জন্য লিখতে বসেছেন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তেমনটাই আভাস দিলেন পরিচালক আশফাক নিপুণ। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘মহানগর ২’ নিয়ে তাঁর ভাবনা। বললেন, দর্শক হিসেবে বলব, ‘মহানগর ২’ অবশ্যই আসা উচিত। তবে, আমাকে তো একটু হজম করতে হবে। অবশ্যই দর্শকের আগ্রহের জায়গাটা বুঝি। আমি কোনো দিন সিরিজ বানাইনি। ‘মহানগর’ করার সময় প্রতিদিন স্ক্রিপ্ট ইমপ্রোভাইজ করতাম। লিখতে লিখতে মনে হতো কেন এই চরিত্রগুলোর সম্ভাবনা নষ্ট করে দিচ্ছি। তখনই ভেবেছিলাম যদি হিট হয়, তাহলে তো আবার হতে পারে। তাই চরিত্রগুলো ওভাবেই লিখেছি যে সিজন টুতেও দেখাতে পারি।
কথায় কথায় আঁচ পাওয়া গেল পরিচালক ‘মহানগর ২’ নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। তিনি জানালেনও, পরের সিজনে অবশ্যই ওসি হারুন থাকবে। সঙ্গে অন্য চরিত্রগুলোও থাকবে। ‘রুপালির জামাই’ একটা চরিত্র আছে। যাকে শুধু ফোনের ওপাশেই পাওয়া গেছে। দেখানো হয়নি। দর্শকরা অনুরোধ জানিয়েছেন সেই রুপালির জামাই যেন দ্বিতীয় সিজনে থাকে। এমন আরও কিছু যোগ হতে পারে দ্বিতীয় সিজনে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর বেঞ্চমার্ক হয়ে গেছে বাংলাদেশের এই কনটেন্ট। ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকেও পাচ্ছেন প্রশংসা। ইতিমধ্যে হইচই থেকে পরিচালককে বলা হয়েছে দ্বিতীয় সিজন করার জন্য। তবে পরিচালক তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছেন। নিপুণ বলেন, মহানগরের যে ধকল গেছে, সেখান থেকে বের হতে পারিনি। তারা বলেছে, যেভাবে মহানগর এর গল্পটা বলছ, সেভাবে যদি তোমার মনে হয় নতুন গল্পটা বলা দরকার। তাহলে তুমি আমাদের জানিও। যখনই তোমার ইচ্ছে হবে শুটিং শুরু করবে।
‘মহানগর’-এর সিজন-২ করার আগ্রহ বেড়েছে ওপার বাংলার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কল পেয়েও। মুম্বাইতে শুটিং করছেন প্রসেনজিৎ। সেখান থেকেই কল দিয়েছেন নিপুণকে। প্রায় ১৫ মিনিটের মতো কথা বলেছেন। পরিচালকের ভাষ্যে, প্রসেনজিৎ খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, একরাতের গল্পকে যে তুমি আটটা পর্বে ভাগ করার সাহস করেছ, টেনে নিয়ে যেতে পেরেছ এতটা সময়, সেটা মুগ্ধ করেছে। আমি টানা দেখেছি এক বসায়। মোশাররফ করিম ভাইয়ের বিষয়ে বলেছেন, তোমার কৃতিত্ব যে ওনাকে এমন একটা চরিত্রে নিয়েছ। উনি সেই ক্যারেক্টারটা যে নিজের মধ্যে ধারণ করতে পেরেছেন সেটাও অন্য রকম। ওনার প্রতিটা সংলাপে চোখ একটা কথা বলে তো মুখ আরেকটা কথা বলে। কিংবা তখন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আরেকটা কথা বলে।
প্রসেনজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক অডিও বার্তায় এই সিরিজি নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা জানান। তিনি বলেন, আমি অভিভূত। অসম্ভব ভালো লেগেছে। আমার এখন প্রচণ্ড ব্যস্ততা যাচ্ছে। এর মধ্যেও আমি নিপুণ ভাইকে ফোন দিয়ে আমার মুগ্ধটা জানিয়েছি। অসম্ভব টাচড। বিশেষ করে ওসির চরিত্রটায় এককথায় মুগ্ধ। বাংলাতে (মোশাররফ) করিম ভাইয়ের মতো এমন একজন অভিনেতা আছেন ভেবে আমার গর্ব হয়। আমি এত এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম যে নিপুণ ভাইয়ের ফোন নম্বর জোগাড় করে কল দিয়েছি। ওয়ান অব দ্য বেস্ট সিরিজ আমি বাংলাতে দেখলাম।
নিপুণ বলেন, আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি! মহানগর-এর গল্প, পারফরম্যান্স, কাস্ট, ক্রু—সবকিছু নিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিৎ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কথায় কথায় ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমার প্রসঙ্গ টানছিলেন, উৎপল দত্তর কথা বলছিলেন! ইউনিটের সবাইকে সালাম আর শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন রাখার আগে বারবার জোর দিয়ে বললেন ‘সিরিজ তো বানাবেনই, কিন্তু আপনার উচিত সিনেমা বানানো। সিনেমা আপনার জায়গা।’
ওসি হারুন: শোনো মলয়, জীবনে দুইটা কথা মনে রাখবা—
এক- সাপের লেজ দিয়ে কখনো কান চুলকাইতে নাই।
দুই- ভুলে যদি চুলকায়াও ফেলো, তাহলে এমনভাবে চুলকাইবা যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে।
হইচই-এর সিরিজ ‘মহানগর’ প্রথম সিজনের সুবাদে ‘ওসি হারুন’ ও ‘মলয়’ চরিত্র দুটি এখন পরিচিত। আর ওসি হারুনের মুখে এমন সংলাপই কি পরিচালক ‘মহানগর ২’-এর জন্য লিখতে বসেছেন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তেমনটাই আভাস দিলেন পরিচালক আশফাক নিপুণ। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘মহানগর ২’ নিয়ে তাঁর ভাবনা। বললেন, দর্শক হিসেবে বলব, ‘মহানগর ২’ অবশ্যই আসা উচিত। তবে, আমাকে তো একটু হজম করতে হবে। অবশ্যই দর্শকের আগ্রহের জায়গাটা বুঝি। আমি কোনো দিন সিরিজ বানাইনি। ‘মহানগর’ করার সময় প্রতিদিন স্ক্রিপ্ট ইমপ্রোভাইজ করতাম। লিখতে লিখতে মনে হতো কেন এই চরিত্রগুলোর সম্ভাবনা নষ্ট করে দিচ্ছি। তখনই ভেবেছিলাম যদি হিট হয়, তাহলে তো আবার হতে পারে। তাই চরিত্রগুলো ওভাবেই লিখেছি যে সিজন টুতেও দেখাতে পারি।
কথায় কথায় আঁচ পাওয়া গেল পরিচালক ‘মহানগর ২’ নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। তিনি জানালেনও, পরের সিজনে অবশ্যই ওসি হারুন থাকবে। সঙ্গে অন্য চরিত্রগুলোও থাকবে। ‘রুপালির জামাই’ একটা চরিত্র আছে। যাকে শুধু ফোনের ওপাশেই পাওয়া গেছে। দেখানো হয়নি। দর্শকরা অনুরোধ জানিয়েছেন সেই রুপালির জামাই যেন দ্বিতীয় সিজনে থাকে। এমন আরও কিছু যোগ হতে পারে দ্বিতীয় সিজনে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর বেঞ্চমার্ক হয়ে গেছে বাংলাদেশের এই কনটেন্ট। ভারত-বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকেও পাচ্ছেন প্রশংসা। ইতিমধ্যে হইচই থেকে পরিচালককে বলা হয়েছে দ্বিতীয় সিজন করার জন্য। তবে পরিচালক তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছেন। নিপুণ বলেন, মহানগরের যে ধকল গেছে, সেখান থেকে বের হতে পারিনি। তারা বলেছে, যেভাবে মহানগর এর গল্পটা বলছ, সেভাবে যদি তোমার মনে হয় নতুন গল্পটা বলা দরকার। তাহলে তুমি আমাদের জানিও। যখনই তোমার ইচ্ছে হবে শুটিং শুরু করবে।
‘মহানগর’-এর সিজন-২ করার আগ্রহ বেড়েছে ওপার বাংলার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কল পেয়েও। মুম্বাইতে শুটিং করছেন প্রসেনজিৎ। সেখান থেকেই কল দিয়েছেন নিপুণকে। প্রায় ১৫ মিনিটের মতো কথা বলেছেন। পরিচালকের ভাষ্যে, প্রসেনজিৎ খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, একরাতের গল্পকে যে তুমি আটটা পর্বে ভাগ করার সাহস করেছ, টেনে নিয়ে যেতে পেরেছ এতটা সময়, সেটা মুগ্ধ করেছে। আমি টানা দেখেছি এক বসায়। মোশাররফ করিম ভাইয়ের বিষয়ে বলেছেন, তোমার কৃতিত্ব যে ওনাকে এমন একটা চরিত্রে নিয়েছ। উনি সেই ক্যারেক্টারটা যে নিজের মধ্যে ধারণ করতে পেরেছেন সেটাও অন্য রকম। ওনার প্রতিটা সংলাপে চোখ একটা কথা বলে তো মুখ আরেকটা কথা বলে। কিংবা তখন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আরেকটা কথা বলে।
প্রসেনজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক অডিও বার্তায় এই সিরিজি নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা জানান। তিনি বলেন, আমি অভিভূত। অসম্ভব ভালো লেগেছে। আমার এখন প্রচণ্ড ব্যস্ততা যাচ্ছে। এর মধ্যেও আমি নিপুণ ভাইকে ফোন দিয়ে আমার মুগ্ধটা জানিয়েছি। অসম্ভব টাচড। বিশেষ করে ওসির চরিত্রটায় এককথায় মুগ্ধ। বাংলাতে (মোশাররফ) করিম ভাইয়ের মতো এমন একজন অভিনেতা আছেন ভেবে আমার গর্ব হয়। আমি এত এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম যে নিপুণ ভাইয়ের ফোন নম্বর জোগাড় করে কল দিয়েছি। ওয়ান অব দ্য বেস্ট সিরিজ আমি বাংলাতে দেখলাম।
নিপুণ বলেন, আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি! মহানগর-এর গল্প, পারফরম্যান্স, কাস্ট, ক্রু—সবকিছু নিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিৎ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কথায় কথায় ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমার প্রসঙ্গ টানছিলেন, উৎপল দত্তর কথা বলছিলেন! ইউনিটের সবাইকে সালাম আর শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন রাখার আগে বারবার জোর দিয়ে বললেন ‘সিরিজ তো বানাবেনই, কিন্তু আপনার উচিত সিনেমা বানানো। সিনেমা আপনার জায়গা।’
গ্লাসগোর রাস্তায় শুটিং দেখতে জড়ো হয়েছেন অনেকে। ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন হল্যান্ড। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি তুলছেন। স্পাইডার-ম্যানের পোশাক পরা এক শিশুকে কাছে টেনে নেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেঅভিনেত্রী ভূমি পেডনেকারও শুরু করলেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে খানিকটা ভিন্ন পথে হেঁটেছেন। মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। এ উদ্যোগে ভূমির সঙ্গে আছেন তাঁর বোন সমীক্ষা পেডনেকার।
১৫ ঘণ্টা আগেসেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় যাতে প্রেমিকাকে বারবার জড়িয়ে ধরতে পারেন ধর্মেন্দ্র, সেই ব্যবস্থা করেছিলেন। স্পটবয়দের প্রত্যেককে ২০ রুপি দিয়ে বলেছিলেন, শটটি কোনো না কোনোভাবে বারবার ভেস্তে দিতে; যাতে বারবার রিটেকের প্রয়োজন হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যক্তিগত বিষয় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। সিনেমা, সমাজ, পরিবেশ, সংস্কৃতি—নানা বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাক্ষাৎকার দিলেও, ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ তিনি সব সময় এড়িয়ে যান। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জয়া জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে আছেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে