রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ যথাযথ সম্মান পাননি। সেই অভিমান থেকেই তিনি মৃত্যুকে বেছে নেন বলে মনে করছেন তাঁর কাছের মানুষেরা। সাদি মহম্মদের ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ। তিনি নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি। সঙ্গে তিনি সাদি মহম্মদের পদক না পাওয়ার বিষয়েও মুখ খুললেন।
শিবলীর কথায়, ‘এত পদক এত মানুষ পায়, কিন্তু আমার ভাইকে কখনোই কেউ ভাবে না। এটা নিয়ে ওর মনে অনেক কষ্ট ছিল। আমরা দুই ভাই প্রায়ই বলতাম মৃত্যুর পর আমাদের পুরস্কার দিতে চাইলে আমার গ্রহণ করব না।’
এ বছর নৃত্যকলায় একুশে পদক পেয়েছেন শিবলী মোহাম্মদ। শিবলীর মতে বড় ভাই সাদি মহম্মদের আগে একুশে পদক পাওয়া তাঁর জন্য বিব্রতকর ছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি এ বছর একুশে পদক পেয়েছি। কিন্তু সাদি মহম্মদ তো আমার বড়। আমি যখন পদক নিতে যাই সেটা আমার জন্য যে কতটা বিব্রতকর ছিল, বলে বোঝাতে পারব না! আমার কত লজ্জা হয়েছে যেতে!’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমনও বলেছি, ভাই আমি নেব না এ পদক। সে আমাকে বলল, কেন তুই নিবি না। তুই তো নাচের জন্য দেশের হয়ে কম করিসনি। আমি তাকে বললাম, তুমিও তো রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কম করো নাই। উত্তরে আমাকে বলল, তুই পেলেই আমি খুশি। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের দাওয়া কার্ড এল। ওকে দাওয়াত কার্ড দেওয়ার পর বলল, থাকরে তুই যা। তুই নিলে আমি অনেক খুশি হব। সেখানে লোকে আমাকে দেখে প্রশ্ন করবে, করুণা দেখাবে, জানতে চাইবে, আপনাকে কেন দেয় না। আমি এগুলো নিতে পারব না।’
‘সত্যি কথা বলতে কী, আমার কাছে এখনো এগুলো কোনো ম্যাটার মনে হয় না। শিল্পীরা কোনো পদক বা প্রাপ্তির জন্য কাজ করে না। মানুষের ভালোবাসাই তাদের সব। কিন্তু আমার ভাই সাদি মহম্মদ যে বড্ড অভিমানী, সেটা তো অস্বীকার করতে পারব না!’ যোগ করেন শিবলী।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাদি মহম্মদের ঘর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছর মায়ের মৃত্যুর থেকে ট্রমার মধ্যে চলে যান তিনি।
উল্লেখ্য, সাদি মহম্মদ রবীন্দ্রসংগীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তাঁর ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি, ২০১২ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে।
১৯৭১ সালে সাদি মহম্মদের বাবা সলিম উল্লাহকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে। তাঁর বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিম উল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে। সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মোহাম্মদ প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ যথাযথ সম্মান পাননি। সেই অভিমান থেকেই তিনি মৃত্যুকে বেছে নেন বলে মনে করছেন তাঁর কাছের মানুষেরা। সাদি মহম্মদের ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ। তিনি নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি। সঙ্গে তিনি সাদি মহম্মদের পদক না পাওয়ার বিষয়েও মুখ খুললেন।
শিবলীর কথায়, ‘এত পদক এত মানুষ পায়, কিন্তু আমার ভাইকে কখনোই কেউ ভাবে না। এটা নিয়ে ওর মনে অনেক কষ্ট ছিল। আমরা দুই ভাই প্রায়ই বলতাম মৃত্যুর পর আমাদের পুরস্কার দিতে চাইলে আমার গ্রহণ করব না।’
এ বছর নৃত্যকলায় একুশে পদক পেয়েছেন শিবলী মোহাম্মদ। শিবলীর মতে বড় ভাই সাদি মহম্মদের আগে একুশে পদক পাওয়া তাঁর জন্য বিব্রতকর ছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি এ বছর একুশে পদক পেয়েছি। কিন্তু সাদি মহম্মদ তো আমার বড়। আমি যখন পদক নিতে যাই সেটা আমার জন্য যে কতটা বিব্রতকর ছিল, বলে বোঝাতে পারব না! আমার কত লজ্জা হয়েছে যেতে!’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমনও বলেছি, ভাই আমি নেব না এ পদক। সে আমাকে বলল, কেন তুই নিবি না। তুই তো নাচের জন্য দেশের হয়ে কম করিসনি। আমি তাকে বললাম, তুমিও তো রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কম করো নাই। উত্তরে আমাকে বলল, তুই পেলেই আমি খুশি। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের দাওয়া কার্ড এল। ওকে দাওয়াত কার্ড দেওয়ার পর বলল, থাকরে তুই যা। তুই নিলে আমি অনেক খুশি হব। সেখানে লোকে আমাকে দেখে প্রশ্ন করবে, করুণা দেখাবে, জানতে চাইবে, আপনাকে কেন দেয় না। আমি এগুলো নিতে পারব না।’
‘সত্যি কথা বলতে কী, আমার কাছে এখনো এগুলো কোনো ম্যাটার মনে হয় না। শিল্পীরা কোনো পদক বা প্রাপ্তির জন্য কাজ করে না। মানুষের ভালোবাসাই তাদের সব। কিন্তু আমার ভাই সাদি মহম্মদ যে বড্ড অভিমানী, সেটা তো অস্বীকার করতে পারব না!’ যোগ করেন শিবলী।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাদি মহম্মদের ঘর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছর মায়ের মৃত্যুর থেকে ট্রমার মধ্যে চলে যান তিনি।
উল্লেখ্য, সাদি মহম্মদ রবীন্দ্রসংগীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তাঁর ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি, ২০১২ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে।
১৯৭১ সালে সাদি মহম্মদের বাবা সলিম উল্লাহকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে। তাঁর বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিম উল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে। সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মোহাম্মদ প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী।
প্রবীণ বলিউড অভিনেতা অচ্যুত পোতদার মারা গেছেন। জনপ্রিয় সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ অধ্যাপকের চরিত্রে তাঁর অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ৯১ বছর বয়সে ভারতের থানে শহরের জুপিটার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৩ মিনিট আগেকম্পিউটার নাকি ‘রাম’ এর নামে চলে, কারণ ‘র্যাম (RAM)’ শব্দটি হিন্দু দেবতা রামের নামের মতো শোনায়। একটি পডকাস্টে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী কৈলাশ খের। দুই মাস আগের ওই ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার কৈলাশ খেরের ওই মন্তব্যে তোলপাড় নেট দুনিয়া। রীতিমতো সমালোচ
২ ঘণ্টা আগেগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন দেশের মাটিতে কোনো ওপেন এয়ার কনসার্টে অংশ নিতে পারেননি আসিফ আকবর। পাসপোর্ট নবায়নের অনুমোদন না পাওয়ায় যেতে পারেননি বিদেশের কনসার্টেও। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২৩ সালে ই-পাসপোর্ট হাতে পান আসিফ।
৮ ঘণ্টা আগেআজ থেকে বৈশাখী টিভিতে শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘গিট্টু’। দুই পরিবারের গল্প নিয়ে তৈরি ধারাবাহিকটি রচনা করেছেন সুস্ময় সুমন। পরিচালনা করেছেন রুমান রুনি। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচারিত হবে গিট্টু।
৮ ঘণ্টা আগে