রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক মারা গেছেন। রোববার ভোরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। ৯ এপ্রিল (শুক্রবার) সুস্থ হয়ে বাসায়ও ফিরেছিলেন। কিন্তু ঠিক একদিন পর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর।
এরপর মিতা হককে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু এবার আর ফেরা হলো না শিল্পীর। সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মিতা হকের মৃত্যুতে এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন তারকারা। তাঁর প্রিয় শিষ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অণিমা রায় লেখেন, ‘মিতা আপা। গুরু আমার। আমিতো কাঙ্গাল হয়ে গেলাম।’
নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু লেখেন, ‘আহা! অমন পরিশীলিত সুরেলা কন্ঠের দেখা মেলা ভার। আর মিলবে কিনা জানিনা। জীবন ও শিল্পের এমন শুদ্ধতম মিলন কালে ভদ্রে ঘটে। আনন্দের মাঝেই জীবন উথলিয়া ওঠে একথা মিতাকে দেখলেই মনে হতো। দু:খকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে জীবনের আনন্দে শিশুর মত করতালি দিতো। এইতো মাত্র সাতদিন আগে হাসপাতাল থেকে ফোনে চিৎকার করে বলে- বাচ্চুভাই, আমারতো এইখানে ভাল্লাগেনা, ভাল্লাগেনা, ভাল্লাগেনা। আমারে বাসায় নিয়ে যায়না কেন! । তার দু'তিনদিন পর কন্যা জয়ীতা ও সন্তানসম শাহীন ওদের করোনামুক্ত মাকে কেরাণীগঞ্জের বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরশু হঠৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারো হাসপাতাল। আর আজ প্রত্যুষে আমার কন্যা এশা ও পুত্রবৎ সাকি হাসপাতাল থেকে ফিরে জানালো ‘মিতামা’ মারা গেছে। আমি নির্বাক।নিস্তব্ধতায় নিমজ্জিত হই। ভাবি মিতার মত জীবনকে ভালেবাসতে আমি কাউকে দেখিনি। এমনভাবে কাউকে জীবন উদযাপন করতে দেখিনি। শত কষ্ট-দু:খের মাঝে কলকলিয়ে এভাবে হাসতেও দেখিনি কাউকে..চোখের জলে চৈত্রের ভোরের আকাশটাকে ধূসর দেখতে থাকি। ভাবি ঐ ধূসরে মিলিয়ে গেলে মানুষ আর কখনো ফিরে আসেনা.....
‘তুমি কেমন করে গাণ করো হে গুণী... আমি অবাক হয়ে শুনি কেবল শুনি.....’ বিদায় প্রিয় মিতা হক।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন,‘মিতা আপু এখন শান্তিতে ঘুমাও। সকাল ৬:২০ মিনিটে চলেই গেলে! আহা! সাত সকালে এইটা কি শুনলাম মিতা আপু! পরপারে ভালো থেকো। ফারিন খান জয়ীতার সাথে ২ দিন আগেই কথা হলো। কী সান্তনা দেই বলোতো। আমি তো আজ আটকা পড়ে আছি। হে ঈশ্বর রক্ষা করো..’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লেখেন,‘ উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। আমাদের প্রাণের মানুষ, মিতা আপা। চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে। আর কোনদিন দেখতে পাবো না, শুনতে পাবো না আপনার গান। গভীর শ্রদ্ধা..’
সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক আশিকুজ্জামান টুলু লেখেন, ‘মিতা হক চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। বিশ্বাস করা সম্ভব না।’
সংগীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমার ‘চিরবন্ধু, চিরনির্ভব’ মিতা হক আর নাই। ‘চিরপ্রীতি সুধানির্ঝর তুমি হে হৃদয়েশ’। কীভাবে বিদায বলি তাঁকে! আমি শোকগ্রস্ত। গভীর শোক আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। সে চলে গেল, বলে গেল না.. সে কোথায় গেল ফিরে এল না। সে যেতে যেতে চেয়ে গেল, কী যেন গেয়ে গেল.. তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে।’
অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর লেখেন, ‘আমার চোখে পুরো বিশ্বের বুকে যেই শিল্পীর গান এবং ব্যক্তিত্ব সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়, যার গান শুনে আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে। আমার সবচেয়ে প্রিয় সেই বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী, শিক্ষক মিতা হক একটু আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আপা আপনি ভালো থাকবেন।’
ঊর্মিলা আরও লেখেন, ‘আপনি সবসময় আমার প্রিয় শিল্পী ছিলেন আর আজীবন থাকবেন। দেখা হবে হয়তো অন্য কোনও দেশে, অন্য কোনওভাবে। ঈশ্বর আপনাকে ভালো রাখুক। আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালোবেসেছি, অসংখ্যবার ভালোবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালোবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।’
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক মারা গেছেন। রোববার ভোরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। ৯ এপ্রিল (শুক্রবার) সুস্থ হয়ে বাসায়ও ফিরেছিলেন। কিন্তু ঠিক একদিন পর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর।
এরপর মিতা হককে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু এবার আর ফেরা হলো না শিল্পীর। সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মিতা হকের মৃত্যুতে এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন তারকারা। তাঁর প্রিয় শিষ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অণিমা রায় লেখেন, ‘মিতা আপা। গুরু আমার। আমিতো কাঙ্গাল হয়ে গেলাম।’
নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু লেখেন, ‘আহা! অমন পরিশীলিত সুরেলা কন্ঠের দেখা মেলা ভার। আর মিলবে কিনা জানিনা। জীবন ও শিল্পের এমন শুদ্ধতম মিলন কালে ভদ্রে ঘটে। আনন্দের মাঝেই জীবন উথলিয়া ওঠে একথা মিতাকে দেখলেই মনে হতো। দু:খকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে জীবনের আনন্দে শিশুর মত করতালি দিতো। এইতো মাত্র সাতদিন আগে হাসপাতাল থেকে ফোনে চিৎকার করে বলে- বাচ্চুভাই, আমারতো এইখানে ভাল্লাগেনা, ভাল্লাগেনা, ভাল্লাগেনা। আমারে বাসায় নিয়ে যায়না কেন! । তার দু'তিনদিন পর কন্যা জয়ীতা ও সন্তানসম শাহীন ওদের করোনামুক্ত মাকে কেরাণীগঞ্জের বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরশু হঠৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারো হাসপাতাল। আর আজ প্রত্যুষে আমার কন্যা এশা ও পুত্রবৎ সাকি হাসপাতাল থেকে ফিরে জানালো ‘মিতামা’ মারা গেছে। আমি নির্বাক।নিস্তব্ধতায় নিমজ্জিত হই। ভাবি মিতার মত জীবনকে ভালেবাসতে আমি কাউকে দেখিনি। এমনভাবে কাউকে জীবন উদযাপন করতে দেখিনি। শত কষ্ট-দু:খের মাঝে কলকলিয়ে এভাবে হাসতেও দেখিনি কাউকে..চোখের জলে চৈত্রের ভোরের আকাশটাকে ধূসর দেখতে থাকি। ভাবি ঐ ধূসরে মিলিয়ে গেলে মানুষ আর কখনো ফিরে আসেনা.....
‘তুমি কেমন করে গাণ করো হে গুণী... আমি অবাক হয়ে শুনি কেবল শুনি.....’ বিদায় প্রিয় মিতা হক।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন,‘মিতা আপু এখন শান্তিতে ঘুমাও। সকাল ৬:২০ মিনিটে চলেই গেলে! আহা! সাত সকালে এইটা কি শুনলাম মিতা আপু! পরপারে ভালো থেকো। ফারিন খান জয়ীতার সাথে ২ দিন আগেই কথা হলো। কী সান্তনা দেই বলোতো। আমি তো আজ আটকা পড়ে আছি। হে ঈশ্বর রক্ষা করো..’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লেখেন,‘ উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। আমাদের প্রাণের মানুষ, মিতা আপা। চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে। আর কোনদিন দেখতে পাবো না, শুনতে পাবো না আপনার গান। গভীর শ্রদ্ধা..’
সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক আশিকুজ্জামান টুলু লেখেন, ‘মিতা হক চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। বিশ্বাস করা সম্ভব না।’
সংগীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমার ‘চিরবন্ধু, চিরনির্ভব’ মিতা হক আর নাই। ‘চিরপ্রীতি সুধানির্ঝর তুমি হে হৃদয়েশ’। কীভাবে বিদায বলি তাঁকে! আমি শোকগ্রস্ত। গভীর শোক আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। সে চলে গেল, বলে গেল না.. সে কোথায় গেল ফিরে এল না। সে যেতে যেতে চেয়ে গেল, কী যেন গেয়ে গেল.. তাই আপন-মনে বসে আছি কুসুমবনেতে।’
অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর লেখেন, ‘আমার চোখে পুরো বিশ্বের বুকে যেই শিল্পীর গান এবং ব্যক্তিত্ব সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়, যার গান শুনে আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে। আমার সবচেয়ে প্রিয় সেই বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী, শিক্ষক মিতা হক একটু আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আপা আপনি ভালো থাকবেন।’
ঊর্মিলা আরও লেখেন, ‘আপনি সবসময় আমার প্রিয় শিল্পী ছিলেন আর আজীবন থাকবেন। দেখা হবে হয়তো অন্য কোনও দেশে, অন্য কোনওভাবে। ঈশ্বর আপনাকে ভালো রাখুক। আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালোবেসেছি, অসংখ্যবার ভালোবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালোবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।’
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নায়ক রুবেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশের পাশাপাশি যাঁরা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের হুঁশিয়ার করে দিলেন রুবেলের বড় ভাই অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্দেশক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
৯ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানের সঙ্গে ৬ দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। দুই দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম এই বিষয়ে সেই অর্থে কোনো তথ্য দেয়নি।
১২ ঘণ্টা আগেঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
১৯ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে