ফকির আলমগীরের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনে একসঙ্গে পথচলার নিরবচ্ছিন্ন ৫২ বছর অন্তে তাঁর বিচ্ছেদে আমি শোকাহত। বিমর্ষ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
ছোটবেলা থেকেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে গেয়েছি। তাঁর এই চলে যাওয়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর চলে যাওয়ার খবর শুনে মনটা বিষাদে ছেয়ে গেল। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
সাবিনা ইয়াসমিন, সংগীতশিল্পী
গণমানুষের শিল্পী ফকির আলমগীরের অকস্মাৎ মৃত্যুসংবাদে স্বজন হারানোর কষ্ট অনুভব করছি। স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিক-বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি যেমন মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, তেমনি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তিনি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
ফকির আলমগীর সারাজীবন
গণসংগীত নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের মুখপাত্র। তিনি ছিলেন আমাদের গণসংগীতের প্রাণপুরুষ। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাই।
কনক চাঁপা, সংগীতশিল্পী
ফকির ভাই, ভালো থাকবেন। আপনি ছবি তুলতে খুব পছন্দ করতেন। শেষ ছবিটা তোলা হলো না। শ্রদ্ধা।
চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
মাসখানেক আগে চ্যানেল আইয়ে ফকির আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা। বললেন, ছোড ভাই, কখন কার কী হয়ে যায় কে জানে! আসো একটা ছবি তুলি। আজ তাঁর মৃত্যুতে কথাগুলো খুব কানে বাজছে। সেটাই ছিল তাঁর সঙ্গে তোলা শেষ ছবি।
আসিফ আকবর, সংগীতশিল্পী
মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
আমার গবেষণার প্রয়োজনে ফোন দিয়েছিলাম গত ২৪ জুন। প্রায় এক ঘণ্টা কথা শেষে খুব অবাক হয়েছি। উনি কেবল তথ্যই নয়, সংগ্রহে থাকা একাধিক দুর্লভ ছবি পাঠিয়েছিলেন।
মাকসুদ, সংগীতশিল্পী
একনজরে ফকির আলমগীর
জন্ম: ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরে।
শিক্ষাজীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স।
সংগীত ও সংগ্রাম: ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অবদান রাখেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন। স্বাধীনতার পর বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন।
উল্লেখযোগ্য গান: ‘ও সখিনা গেছস কি-না’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’, ‘আহারে কাল্লু মাতাব্বর’ ইত্যাদি।
লেখালেখি: ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’-সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তাঁর।
কর্মজীবন: বিসিআইসি–এর জনসংযোগ বিভাগের সাবেক মহাব্যবস্থাপক। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতিসহ বেশ কিছু সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
সম্মাননা ও পুরস্কার: একুশে পদক (১৯৯৯), শেরেবাংলা পদক, ভাসানী পদক, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননাসহ অসংখ্য পুরস্কার।
আরও পড়ুন
ফকির আলমগীরের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনে একসঙ্গে পথচলার নিরবচ্ছিন্ন ৫২ বছর অন্তে তাঁর বিচ্ছেদে আমি শোকাহত। বিমর্ষ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
ছোটবেলা থেকেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে গেয়েছি। তাঁর এই চলে যাওয়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর চলে যাওয়ার খবর শুনে মনটা বিষাদে ছেয়ে গেল। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
সাবিনা ইয়াসমিন, সংগীতশিল্পী
গণমানুষের শিল্পী ফকির আলমগীরের অকস্মাৎ মৃত্যুসংবাদে স্বজন হারানোর কষ্ট অনুভব করছি। স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিক-বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি যেমন মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, তেমনি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তিনি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
ফকির আলমগীর সারাজীবন
গণসংগীত নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের মুখপাত্র। তিনি ছিলেন আমাদের গণসংগীতের প্রাণপুরুষ। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাই।
কনক চাঁপা, সংগীতশিল্পী
ফকির ভাই, ভালো থাকবেন। আপনি ছবি তুলতে খুব পছন্দ করতেন। শেষ ছবিটা তোলা হলো না। শ্রদ্ধা।
চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
মাসখানেক আগে চ্যানেল আইয়ে ফকির আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা। বললেন, ছোড ভাই, কখন কার কী হয়ে যায় কে জানে! আসো একটা ছবি তুলি। আজ তাঁর মৃত্যুতে কথাগুলো খুব কানে বাজছে। সেটাই ছিল তাঁর সঙ্গে তোলা শেষ ছবি।
আসিফ আকবর, সংগীতশিল্পী
মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
আমার গবেষণার প্রয়োজনে ফোন দিয়েছিলাম গত ২৪ জুন। প্রায় এক ঘণ্টা কথা শেষে খুব অবাক হয়েছি। উনি কেবল তথ্যই নয়, সংগ্রহে থাকা একাধিক দুর্লভ ছবি পাঠিয়েছিলেন।
মাকসুদ, সংগীতশিল্পী
একনজরে ফকির আলমগীর
জন্ম: ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরে।
শিক্ষাজীবন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স।
সংগীত ও সংগ্রাম: ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অবদান রাখেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন। স্বাধীনতার পর বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন।
উল্লেখযোগ্য গান: ‘ও সখিনা গেছস কি-না’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’, ‘আহারে কাল্লু মাতাব্বর’ ইত্যাদি।
লেখালেখি: ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’-সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তাঁর।
কর্মজীবন: বিসিআইসি–এর জনসংযোগ বিভাগের সাবেক মহাব্যবস্থাপক। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতিসহ বেশ কিছু সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
সম্মাননা ও পুরস্কার: একুশে পদক (১৯৯৯), শেরেবাংলা পদক, ভাসানী পদক, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননাসহ অসংখ্য পুরস্কার।
আরও পড়ুন
বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জরিওয়ালা গত শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেখানে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। শেফালির আকস্মিক মৃত্যুতে চলমান তদন্তে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগেমুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে...
২ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে রাশিয়ার কাজান চলচ্চিত্র উৎসবের ২১তম আসর। আগেই জানা গিয়েছিল, এবারের উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘দ্য পেয়ার অব হোয়াইট পিজনস’ এবং তথ্যচিত্র ‘মাইটি আফরিন: ইন দ্য টাইম অব ফ্লাডস’। উৎসবে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের আরেকটি সিনেমা ‘মাস্তুল’...
২ ঘণ্টা আগেহলিউডের বেশ কিছু প্রজেক্টে অভিনয় করে এরই মধ্যে আলোচিত হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস। আরও এক হলিউড সিনেমা আসছে তাঁর। ‘হেডস অব স্টেট’ নামের এ সিনেমায় জন সিনা ও ইদ্রিস এলবার সঙ্গী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এতে তাঁকে অ্যাকশন হিরোর মতোই ভারী অস্ত্র হাতে লড়তে দেখা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে