বিনোদন ডেস্ক
মঞ্চে তখন টেলর সুইফট। ‘বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম’ বিভাগের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবেন তিনি। হাতে থাকা ধূসর খাম খুলে বিজয়ীর নামটি পড়েই একরাশ হাসি ছড়িয়ে পড়ল তাঁর চোখমুখে। উচ্ছ্বাস নিয়ে জানিয়ে দিলেন, ‘অ্যান্ড দ্য গ্র্যামি গোজ টু... কাউবয় কার্টার।’ মঞ্চের সামনে যেখানে শিল্পীদের বসার জায়গা, মেয়েকে নিয়ে সেখানে বসে ছিলেন বিয়ন্সে। নিজের অ্যালবামের নামটি শুনেই চমকে উঠলেন। ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় লাগল। ততক্ষণে হাজারো দর্শকের করতালিতে মুখর প্রাঙ্গণ। অন্য শিল্পীরাও দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন বিয়ন্সেকে। চোখমুখে বিস্ময় নিয়ে এগিয়ে গেলেন মঞ্চের দিকে। টেলর সুইফটের হাত থেকে পুরস্কারটি নিয়ে, তাঁকে আলতো চুমু খেয়ে প্রথমেই বললেন, ‘এই পুরস্কার যে পাব, তা আশা করিনি।’
প্রতিবছর গ্র্যামির মঞ্চে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে হাজির থাকেন বিয়ন্সে। সর্বোচ্চসংখ্যক ৩৫টি গ্র্যামি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ৯৯টি মনোনয়ন পেয়ে গ্র্যামির সর্বোচ্চ মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীও তিনি। এবারও ১১টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম বিভাগে মনোনয়ন এই প্রথম। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘কাউবয় কার্টার’ অ্যালবামটি মূলত আমেরিকার পশ্চিম অংশে বসবাসকারী কৃষ্ণাঙ্গ পশুপালকদের নিয়ে। অ্যালবামের ‘টু মোস্ট ওয়ান্টেড’ গানে বিয়ন্সের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মাইলি সাইরাস। ‘বেস্ট কান্ট্রি ডুয়ো/গ্রুপ পারফরম্যান্স’ বিভাগে সেরার পুরস্কার পেল গানটি।
৬৭তম গ্র্যামির আসরটি অনুষ্ঠিত হলো ২ ফেব্রুয়ারি, লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম অ্যারেনায়। ৯০টির বেশি বিভাগে মনোনীত শিল্পীদের দেওয়া হলো পুরস্কার। এবার সর্বোচ্চসংখ্যক পুরস্কার পেয়েছেন র্যাপার কেনড্রিক লামার। ‘নট লাইক আস’ গানের জন্য ঘরে তুলেছেন পাঁচটি সোনালি গ্রামোফোন ট্রফি।
গ্র্যামির এবারের আসরটি হবে কি না, কয়েক সপ্তাহ আগেও তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কারণ, লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানল। সেই দুর্যোগ পেরিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শহর। প্রয়োজন পর্যাপ্ত সাহায্য-সহযোগিতার। অগ্নিদুর্ঘটনাকে তাই এবারের গ্র্যামির মূল থিম রাখা হয়েছিল। বিবিসি জানিয়েছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ হয়েছে গ্র্যামির আসর থেকে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ফায়ার বিভাগের যেসব কর্মী জীবন বাজি রেখে এ দুর্যোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে লড়েছেন, গ্র্যামির মঞ্চে সম্মাননা জানানো হয়েছে তাঁদের। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন মঞ্চে আসেন, তখন সব শিল্পী ও দর্শক দাঁড়িয়ে করতালি দেন তাঁদের উদ্দেশে। গ্র্যামির মঞ্চে এমন অভূতপূর্ব ঘটনা এবারই প্রথম দেখল দর্শক। এমনকি গ্র্যামির সর্বোচ্চ পুরস্কারটিও দেওয়া হয়েছে ফায়ার ফাইটার্সদের হাত দিয়ে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন ও ক্যাপ্টেন শেইলা কেল্লিহের বারখো তখন মঞ্চে। গ্র্যামির সবচেয়ে প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। শেইলা ঘোষণা করলেন, ‘রেকর্ডিং একাডেমির ১৩ হাজার ভোটিং মেম্বারদের মতের ভিত্তিতে এবারের অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার হয়েছে কাউবয় কার্টার।’ দর্শক সারিতে বসে থাকা বিয়ন্সে এবার আর অশ্রু সামাল দিতে পারলেন না। তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন কন্যা ব্লু আইভি কার্টার ও স্বামী জে-জি। হাত ধরে তাঁকে মঞ্চ পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন মেয়ে। এই মুহূর্তের জন্যই দীর্ঘ বছরের অপেক্ষা ছিল বিয়ন্সের। গ্র্যামিতে সর্বোচ্চসংখ্যক মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি, পুরস্কারও পেয়েছেন সর্বোচ্চ। কিন্তু আসরের সেরা পুরস্কারটি এত দিন ছিল তাঁর অধরা। ৬৭তম গ্র্যামির আসরে সেই আক্ষেপ ঘুচল বিয়ন্সের।
গ্র্যামির উল্লেখযোগ্য তালিকা
বিগ ফোর অ্যাওয়ার্ডস
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার
কাউবয় কার্টার (বিয়ন্সে)
রেকর্ড অব দ্য ইয়ার
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
সং অব দ্য ইয়ার
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
বেস্ট নিউ আর্টিস্ট
চ্যাপেল রোয়ান
পপ অ্যান্ড ড্যান্স
পপ ভোকাল অ্যালবাম
শর্ট অ্যান্ড সুইট (সাবরিনা কার্পেন্টার)
পপ সলো পারফরম্যান্স
এসপ্রেসো (সাবরিনা কার্পেন্টার)
পপ ডুয়ো/গ্রুপ পারফরম্যান্স
ডাই উইথ আ স্মাইল (লেডি গাগা, ব্রুনো মার্স)
ড্যান্স/ইলেকট্রিক অ্যালবাম
চার্লি এক্সসিএক্স (ব্র্যাট)
রক অ্যান্ড মেটাল
রক পারফরম্যান্স
নাউ অ্যান্ড দেন (বিটলস)
রক সং
ব্রোকেন ম্যান (সেন্ট ভিনসেন্ট)
রক অ্যালবাম
হ্যাকনি ডায়মন্ডস (দ্য রোলিং স্টোনস)
র্যাপ
র্যাপ পারফরম্যান্স
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
র্যাপ সং
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
র্যাপ অ্যালবাম
অ্যালিগেটর বাইটস নেভার হিল (দোয়েচি)
মঞ্চে তখন টেলর সুইফট। ‘বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম’ বিভাগের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবেন তিনি। হাতে থাকা ধূসর খাম খুলে বিজয়ীর নামটি পড়েই একরাশ হাসি ছড়িয়ে পড়ল তাঁর চোখমুখে। উচ্ছ্বাস নিয়ে জানিয়ে দিলেন, ‘অ্যান্ড দ্য গ্র্যামি গোজ টু... কাউবয় কার্টার।’ মঞ্চের সামনে যেখানে শিল্পীদের বসার জায়গা, মেয়েকে নিয়ে সেখানে বসে ছিলেন বিয়ন্সে। নিজের অ্যালবামের নামটি শুনেই চমকে উঠলেন। ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় লাগল। ততক্ষণে হাজারো দর্শকের করতালিতে মুখর প্রাঙ্গণ। অন্য শিল্পীরাও দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন বিয়ন্সেকে। চোখমুখে বিস্ময় নিয়ে এগিয়ে গেলেন মঞ্চের দিকে। টেলর সুইফটের হাত থেকে পুরস্কারটি নিয়ে, তাঁকে আলতো চুমু খেয়ে প্রথমেই বললেন, ‘এই পুরস্কার যে পাব, তা আশা করিনি।’
প্রতিবছর গ্র্যামির মঞ্চে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে হাজির থাকেন বিয়ন্সে। সর্বোচ্চসংখ্যক ৩৫টি গ্র্যামি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ৯৯টি মনোনয়ন পেয়ে গ্র্যামির সর্বোচ্চ মনোনয়ন পাওয়া শিল্পীও তিনি। এবারও ১১টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম বিভাগে মনোনয়ন এই প্রথম। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘কাউবয় কার্টার’ অ্যালবামটি মূলত আমেরিকার পশ্চিম অংশে বসবাসকারী কৃষ্ণাঙ্গ পশুপালকদের নিয়ে। অ্যালবামের ‘টু মোস্ট ওয়ান্টেড’ গানে বিয়ন্সের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মাইলি সাইরাস। ‘বেস্ট কান্ট্রি ডুয়ো/গ্রুপ পারফরম্যান্স’ বিভাগে সেরার পুরস্কার পেল গানটি।
৬৭তম গ্র্যামির আসরটি অনুষ্ঠিত হলো ২ ফেব্রুয়ারি, লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম অ্যারেনায়। ৯০টির বেশি বিভাগে মনোনীত শিল্পীদের দেওয়া হলো পুরস্কার। এবার সর্বোচ্চসংখ্যক পুরস্কার পেয়েছেন র্যাপার কেনড্রিক লামার। ‘নট লাইক আস’ গানের জন্য ঘরে তুলেছেন পাঁচটি সোনালি গ্রামোফোন ট্রফি।
গ্র্যামির এবারের আসরটি হবে কি না, কয়েক সপ্তাহ আগেও তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কারণ, লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানল। সেই দুর্যোগ পেরিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শহর। প্রয়োজন পর্যাপ্ত সাহায্য-সহযোগিতার। অগ্নিদুর্ঘটনাকে তাই এবারের গ্র্যামির মূল থিম রাখা হয়েছিল। বিবিসি জানিয়েছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ হয়েছে গ্র্যামির আসর থেকে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ফায়ার বিভাগের যেসব কর্মী জীবন বাজি রেখে এ দুর্যোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে লড়েছেন, গ্র্যামির মঞ্চে সম্মাননা জানানো হয়েছে তাঁদের। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন মঞ্চে আসেন, তখন সব শিল্পী ও দর্শক দাঁড়িয়ে করতালি দেন তাঁদের উদ্দেশে। গ্র্যামির মঞ্চে এমন অভূতপূর্ব ঘটনা এবারই প্রথম দেখল দর্শক। এমনকি গ্র্যামির সর্বোচ্চ পুরস্কারটিও দেওয়া হয়েছে ফায়ার ফাইটার্সদের হাত দিয়ে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন ও ক্যাপ্টেন শেইলা কেল্লিহের বারখো তখন মঞ্চে। গ্র্যামির সবচেয়ে প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। শেইলা ঘোষণা করলেন, ‘রেকর্ডিং একাডেমির ১৩ হাজার ভোটিং মেম্বারদের মতের ভিত্তিতে এবারের অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার হয়েছে কাউবয় কার্টার।’ দর্শক সারিতে বসে থাকা বিয়ন্সে এবার আর অশ্রু সামাল দিতে পারলেন না। তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন কন্যা ব্লু আইভি কার্টার ও স্বামী জে-জি। হাত ধরে তাঁকে মঞ্চ পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন মেয়ে। এই মুহূর্তের জন্যই দীর্ঘ বছরের অপেক্ষা ছিল বিয়ন্সের। গ্র্যামিতে সর্বোচ্চসংখ্যক মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি, পুরস্কারও পেয়েছেন সর্বোচ্চ। কিন্তু আসরের সেরা পুরস্কারটি এত দিন ছিল তাঁর অধরা। ৬৭তম গ্র্যামির আসরে সেই আক্ষেপ ঘুচল বিয়ন্সের।
গ্র্যামির উল্লেখযোগ্য তালিকা
বিগ ফোর অ্যাওয়ার্ডস
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার
কাউবয় কার্টার (বিয়ন্সে)
রেকর্ড অব দ্য ইয়ার
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
সং অব দ্য ইয়ার
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
বেস্ট নিউ আর্টিস্ট
চ্যাপেল রোয়ান
পপ অ্যান্ড ড্যান্স
পপ ভোকাল অ্যালবাম
শর্ট অ্যান্ড সুইট (সাবরিনা কার্পেন্টার)
পপ সলো পারফরম্যান্স
এসপ্রেসো (সাবরিনা কার্পেন্টার)
পপ ডুয়ো/গ্রুপ পারফরম্যান্স
ডাই উইথ আ স্মাইল (লেডি গাগা, ব্রুনো মার্স)
ড্যান্স/ইলেকট্রিক অ্যালবাম
চার্লি এক্সসিএক্স (ব্র্যাট)
রক অ্যান্ড মেটাল
রক পারফরম্যান্স
নাউ অ্যান্ড দেন (বিটলস)
রক সং
ব্রোকেন ম্যান (সেন্ট ভিনসেন্ট)
রক অ্যালবাম
হ্যাকনি ডায়মন্ডস (দ্য রোলিং স্টোনস)
র্যাপ
র্যাপ পারফরম্যান্স
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
র্যাপ সং
নট লাইক আস (কেনড্রিক লামার)
র্যাপ অ্যালবাম
অ্যালিগেটর বাইটস নেভার হিল (দোয়েচি)
বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘কুরাক’ চলচ্চিত্রকে বাংলাদেশের জুলাই মেমোরিয়াল পদকে ভূষিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমার পরিচালক এর্কে জুমাকমাতোভার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
৪ ঘণ্টা আগেগত আগস্টে বঙ্গরঙ্গ নাট্যদল নিয়ে এসেছিল তাদের নতুন নাটক ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’। আবারও মঞ্চে উঠছে নাটকটি। আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে মৃত্যুহীন প্রাণ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
৯ ঘণ্টা আগেছন্দে ফিরেছে কোক স্টুডিও বাংলা। এক বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর হাশিম মাহমুদের ‘বাজি’ গান দিয়ে আবার শুরু হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের কার্যক্রম। এরপর প্রকাশ পেয়েছে অংকন কুমার ও শেখ মুমতাহিনা মেহজাবিনের গাওয়া ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’। এবার কোক স্টুডিওতে আসছেন সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের দুষ্ট-মিষ্টি সময়ের গল্পের ওয়েব ফিল্ম ‘লিটল মিস ক্যাওস’। বানিয়েছেন মাহমুদা সুলতানা রীমা। এটি নির্মাতার প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদ সালমি নাওভী ও সাদনিমা বিনতে নোমান।
১৯ ঘণ্টা আগে