Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

কোক স্টুডিও বাংলায় গান গেয়েছি, শুটিংও হয়েছে

রুনা লায়লা। ছবি: মোহসীন আহমেদ কাওছার

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। আজও গানের সঙ্গে কাটে তাঁর দিনরাত। সময় সুযোগ হলে নিজে যেমন গাইছেন, তেমনি সুর করছেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য। তাঁরাও রুনা লায়লার সঙ্গে গানের সাধনায় মেতে সমৃদ্ধ হচ্ছেন। আজ রুনা লায়লার জন্মদিন। ১৯৫২ সালে সিলেটে জন্ম তাঁর। জন্মদিনের আয়োজন এবং সংগীতের নানা বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

এম এস রানা
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ২৭

জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন?

অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই তো আছি ভালোই। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটছে।

জন্মদিনের কোনো আয়োজন করছেন?

না, সে রকম কোনো আয়োজন করছি না। পরিবারের মানুষদের নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটাব।

প্রতিবছর চ্যানেল আইয়ে আপনাকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন থাকে। এবারও থাকছে নিশ্চয়ই?

হ্যাঁ, চ্যানেল আইয়ে দুপুর ১২টায় একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেব (অনন্যা রুমার প্রযোজনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সানজিদা রহমানের উপস্থাপনায় ‘তারকা কথন’)। অনুষ্ঠানে অনেকেই (মানাম আহমেদ, আগুন, আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, শওকত আলী ইমন প্রমুখ) আসবেন, শুভেচ্ছা জানাবেন।

আপনার স্বামী অভিনেতা আলমগীর প্রতিবছর এদিনে আপনাকে সারপ্রাইজ গিফট দেন। এ বছর কী সারপ্রাইজ দিচ্ছেন তিনি? কোনো আভাস পাচ্ছেন?

হ্যাঁ, উনি তো প্রতিবছরই সারপ্রাইজ দেন। এ বছরও নিশ্চয়ই দেবেন। তবে কী দেবেন, তা এখনো (গতকাল) বুঝতে পারছি না। দেওয়ার পরে বুঝতে পারব।

এম এ আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবে প্রথম কাজ করেছেন, জাতীয় পুরস্কারও জিতেছেন। এরপর অনেকেই গেয়েছেন আপনার সুরে। নতুন কোনো গানে সুর করছেন?

করছি। বেশ কিছু গানের সুর করেও রেখেছি। প্রপার প্ল্যাটফর্ম লাগবে গানগুলোর জন্য। পুরোপুরি তৈরি হলে, ভালো প্ল্যাটফর্ম পেলে ধারাবাহিকভাবে রিলিজ দেব।

আপনার সুরে দেশের শিল্পীদের পাশাপাশি উপমহাদেশের খ্যাতিমান শিল্পীরাও কণ্ঠ দিয়েছেন। নতুন গানগুলোতে কারা কণ্ঠ দেবেন?

এখনো ঠিক করিনি। গান তৈরির পর শিল্পী নির্বাচন করব। তবে দেশের শিল্পীরা গাইবেন, এটা নিশ্চিত।

কোক স্টুডিও বাংলায় গাইবেন বলেছিলেন। তার কী খবর?

কোক স্টুডিও বাংলায় গান গেয়েছি, শুটিংও হয়েছে। এখন তো গান রিলিজ স্থগিত আছে। আবার শুরু হলে, সময় সুযোগ বুঝে রিলিজ দেওয়া হবে গানটি।

কোন গানটি গেয়েছেন?

এখন বলা যাবে না। এটা সারপ্রাইজ। রিলিজের পরই জানা যাবে।

একসময় সিনেমার গানগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরত। এখনো যে গান হিট হচ্ছে না তা নয়, সিনেমা হচ্ছে, কিন্তু সেই তুলনায় গান জনপ্রিয় হচ্ছে না। এর কারণ কী বলে মনে করেন?

এখন আগের মতো সিনেমা দেখা হয় না আমার, তেমন করে গানও শোনা হয় না। তবে আগের মতো তো নেই সব, বদলে গেছে অনেক কিছু। নতুন ট্রেন্ড চলছে। কিছু গান শ্রোতারা ভালোভাবে নিচ্ছে, জনপ্রিয় হয়েছে। আমিও শুনেছি কিছু গান।

প্রতিদিন গানের রেওয়াজ করা, সাধনা করা—ব্যাপারগুলো কি এখনকার শিল্পীদের মধ্যে দেখতে পান?

আসলে এখন সবকিছু ঝটপট সেরে ফেলা হয়। পুরো গান এখন গাইতে হয় না, একটা-দুটো করে লাইন গেয়ে গেয়ে পুরো গান করে ফেলা যায়। আগে অনেক প্র্যাকটিসের পর মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে পুরো গান গেয়ে রেকর্ডিং হতো। তখন অনেক কষ্ট করতে হতো। এখন সব সহজ হয়েছে। তাই সাধনা কমেছে।

এভাবে একটা গান হয়, কিন্তু স্টেজে বা সরাসরি গাইতে গেলে অসুবিধা হওয়ার কথা। আপনি তো নতুনদের সঙ্গে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে কি সেই দরদ বা সাধনা দেখতে পান?

এটা সত্যি, সাধনা না থাকলে প্রপার গান হয় না। একেবারেই যে দেখি না তা নয়, অনেকেই নিয়মিত চর্চা করে, ভালো গাইছেও। আমি তো শুনি, আমাকে পাঠায় মাঝেমধ্যে, আমি শুনে মন্তব্যও করি। তারা চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের জন্য ভালো প্ল্যাটফর্ম লাগবে; তখন তারা উৎসাহী হবে, ভালো শিল্পী বেরিয়ে আসবে। এখন সেমিক্ল্যাসিক্যাল গান খুব কম হয়। আমি কয়েকজনকে গাইয়েছিলাম, চেষ্টা করেছিলাম ওই আঙ্গিকের কিছু গান ওরা গাক। কারণ, ওরা তো সে রকম গান পায় না। ওরা খুব এনজয় করেছে, খুব খেটেছে, ভালো গেয়েছে।

আগে যাঁরা গান লিখতেন—আলাউদ্দীন আলী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার বা আরও অনেকে; তাঁরা যেমনটা লিখতেন, তেমন লেখনী বা শব্দচয়ন কি এখনকার গানে দেখতে পান? নাকি এখানেও চর্চা কমেছে?

এ ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, আমরা বলিউডকে ফলো করছি। আবার মানুষের টেস্টও বদলে গেছে। সস্তা কথার ধুমধাড়াক্কা গান বেশি পছন্দ করছে। আগে যে ধরনের সিনেমা হতো গল্পনির্ভর, ফ্যামিলি ড্রামা; সেসব তো এখন দেখি না। আগের সুরকার, গীতিকার, সংগীত পরিচালকদের অনেকেই নেই। এ প্রজন্মের যারা কাজ করছে, তারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করছে।

তাহলে কি প্রযুক্তিনির্ভরতা এই সময়ের শিল্পীদের শিল্পচর্চা বা সাধনার জায়গা থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে?

হ্যাঁ, সেটা তো হচ্ছেই। তবে যেভাবেই গান হোক, চর্চা কিন্তু লাগবেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা ও করাচির দুই উৎসবে বয়াতির ‘নয়া মানুষ’

বিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার পোস্টার; ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার পোস্টার; ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।

২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় রওনক হাসান। ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় রওনক হাসান। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’। 

এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।

নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

‘নয়া মানুষ’ সিনেমার দৃশ্যে মৌসুমী হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার দৃশ্যে মৌসুমী হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।

আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কবরীর শেষ সিনেমার প্রিমিয়ার হবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিনেত্রী কবরী। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী কবরী। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।

২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।

শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’

তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।

পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিলারা জামানকে নিয়ে ৭ পর্বের ধারাবাহিক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।

মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

জামিল হোসেন
জামিল হোসেন

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’

দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’

উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কনসার্টের জন্য প্রস্তুত আজম খানের ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত