Ajker Patrika

সমাহিত হলেন মিতা হক

সমাহিত হলেন মিতা হক

বাবা ও মায়ের কবরের মাঝখানে স্থান পেলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী মিতা হক। আজ (১১ এপ্রিল) বেলা দুইটায় কেরানীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে শিল্পীকে দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন প্রয়াতের জামাতা মোস্তাফিজ শাহীন। এর আগে সেখানেই হয়েছে জানাজা।

মোস্তাফিজ শাহীন বলেন, ‘বাদ জোহর জানাজা শেষে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে আম্মাকে দাফন করা হয়েছে। এসময়ও বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।’

রবিবার (১১ এপ্রিল) ভোর ৬টা ২০ মিনিটে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পী না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তার এই অকাল প্রস্থানে বিষণ্নতার সুর বেজেছে সংগীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।

শ্রদ্ধা জানাতে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ছায়ানট ভবনে আনা হয়েছিল মরদেহ। সেখানে হক পরিবারের সদস্য ছাড়াও শেষবিদায় জানাতে ছুটে এসেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বহুজন।

১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন মিতা হক। তিনি প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করতেন।

২০২০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন মিতা হক। তারও আগে ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এরপর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়।

তিনি সুরতীর্থ নামে সংগীতশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। এছাড়া মিতা ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতিও ছিলেন।

সংগীতশিল্পী মিতা হক প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। মেয়ে ফারহিন খান জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

অপারেশন সিঁদুরে নেতৃত্ব দেওয়া অফিসার হচ্ছেন ভারতের র-এর প্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত