এম এস রানা, ঢাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঙালি গাঙ্গুলি (গঙ্গোপাধ্যায়) পরিবার। থিতু হয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায়। সেই পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান আভাস কুমার গাঙ্গুলি। পরে যিনি কিশোর কুমার নামে খ্যাতি অর্জন করেন। বাবা কাঞ্জিলাল গাঙ্গুলি ছিলেন উকিল। মার নাম গৌরী দেবী। বড় ভাই অশোক কুমার চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ। প্রথম জীবনে তাঁর প্রভাব এড়াতে পারেননি কিশোর। তাঁর সুবাদেই সুযোগ পেয়েছিলেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের। কিন্তু অভিনয় নাকি ততটা পছন্দ করতেন না কিশোর, যতটা পছন্দ করতেন গাইতে। অথচ গানে ইতিহাস গড়া এই মানুষটার গান নিয়ে তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই ছিল না। প্রকৃতির দেওয়া সুরেলা কণ্ঠ দিয়েই গেয়েছেন গান।
বড় ভাই অশোক কুমার একবার মজা করে বলেছিলেন, ছোটবেলায় নাকি চরম বেসুরো ছিলেন কিশোর, একবার পায়ে আঘাত পেয়ে টানা তিন দিন কেঁদেছিলেন। তারপর থেকেই নাকি সুরেলা হয়ে ওঠে কিশোরের কণ্ঠ। ১৯৬৫ সালের দিকে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কিশোর কুমার। নায়ক হিসেবে দর্শক তাঁকে নিচ্ছিল না। শচীন দেববর্মন তাঁকে দিয়ে গাওয়ালেন গান। শুরুতে কুন্দন লাল সায়গালকে অনুকরণ করে গাইতেন কিশোর। পরে শচীন দেববর্মনের পরামর্শেই নিজস্ব গায়কি তৈরি করেন। কিশোর কুমার গলা ভেঙে এমন কায়দায় গাইতে শুরু করেন, যা আগে শোনা যায়নি। কিশোরের এই গায়কী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
খাবারের বেলায় কিশোরের ছিল চরম বাছবিচার। নিজে যেমন খেতে পছন্দ করতেন, তেমনি খাওয়াতেও পছন্দ করতেন। তবে খাবারের মেন্যুতে বাঙালি খাবার লুচি, আলুর দম, বেগুনভাজাই বেশি থাকত। আর ইলিশের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ ঝোঁক। তাই শচীন দেববর্মনসহ অনেকেই কলকাতায় গেলে তাঁর জন্য ইলিশ নিয়ে আসতেন। অনেকেই কিশোর কুমারকে কাজে রাজি করাতে তাঁর বাড়িতে ইলিশ পাঠাতেন। দুটো খাবার ভীষণ ভয় পেতেন—একটি শিঙাড়া, অন্যটি বিরিয়ানি। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে শিঙাড়া খাওয়া ছেড়ে দেন আর রেকর্ডিংয়ের কদিন আগেই বন্ধ হয়ে যেত বিরিয়ানি। তাঁর ধারণা ছিল, বিরিয়ানি খেলে গলা দিয়ে ঠিকমতো সুর বেরোবে না। ধূমপান আর মদ্যপান এড়িযে চলতেন। নিজে যেমন পান করতেন না, তেমনি নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য মদ্যপানের ব্যবস্থা রাখতেন না।
কাজের বেলায়ও ব্যক্তিগত পছন্দ আর স্টাইলকেই প্রাধান্য দিতেন কিশোর। গাইতেন নেচে-কুঁদে। এমনকি স্টেজ শোর আগে জেনে নিতেন মঞ্চের মাপ। কারণ, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গাইতে পারতেন না তিনি। বড় স্টেজ লাগত তাঁর। আর মঞ্চে তিনি এমন সব কাণ্ডকারখানা করতেন, সবাই হতবাক বনে যেতেন।
যত বড় পরিচালকই হোক না কেন, সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক না পাওয়া পর্যন্ত গান রেকর্ডিং করতেন না। একবার এক প্রযোজক অর্ধেক পারিশ্রমিক দিয়ে বলেছিলেন, বাকি অর্ধেক কাজ শেষে দেবেন। কিশোর কুমার অর্ধেক চুল–গোঁফ কামিয়ে স্টুডিওতে হাজির হয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাকি অর্ধেক পারিশ্রমিক না পাওয়া পর্যন্ত এভাবেই কাজ করবেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকরের অসম্ভব ভক্ত ছিলেন কিশোর। তাঁর সম্মানে সব সময় পারিশ্রমিক নিতেন লতার চেয়ে এক টাকা কম। অভিনয়ও করতেন নিজের মতো করে। অভিনয়ে কিশোর কুমার নিজে থেকেই এমন সব কাণ্ড করতেন, যা স্ক্রিপ্টে থাকত না। পরে সেই ঘটনাগুলোই জনপ্রিয় হয়ে উঠত।
কিশোর কুমারের বাড়ির গেটে একটা বোর্ড ঝুলত, যেখানে লেখা ছিল ‘কিশোর হতে সাবধান’। খান্ডোয়ায় তাঁর বাড়ির সামনে নিজেই লাগিয়েছিলেন ‘মেন্টাল হসপিটাল’ লেখা সাইনবোর্ড।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঙালি গাঙ্গুলি (গঙ্গোপাধ্যায়) পরিবার। থিতু হয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায়। সেই পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান আভাস কুমার গাঙ্গুলি। পরে যিনি কিশোর কুমার নামে খ্যাতি অর্জন করেন। বাবা কাঞ্জিলাল গাঙ্গুলি ছিলেন উকিল। মার নাম গৌরী দেবী। বড় ভাই অশোক কুমার চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ। প্রথম জীবনে তাঁর প্রভাব এড়াতে পারেননি কিশোর। তাঁর সুবাদেই সুযোগ পেয়েছিলেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের। কিন্তু অভিনয় নাকি ততটা পছন্দ করতেন না কিশোর, যতটা পছন্দ করতেন গাইতে। অথচ গানে ইতিহাস গড়া এই মানুষটার গান নিয়ে তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই ছিল না। প্রকৃতির দেওয়া সুরেলা কণ্ঠ দিয়েই গেয়েছেন গান।
বড় ভাই অশোক কুমার একবার মজা করে বলেছিলেন, ছোটবেলায় নাকি চরম বেসুরো ছিলেন কিশোর, একবার পায়ে আঘাত পেয়ে টানা তিন দিন কেঁদেছিলেন। তারপর থেকেই নাকি সুরেলা হয়ে ওঠে কিশোরের কণ্ঠ। ১৯৬৫ সালের দিকে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কিশোর কুমার। নায়ক হিসেবে দর্শক তাঁকে নিচ্ছিল না। শচীন দেববর্মন তাঁকে দিয়ে গাওয়ালেন গান। শুরুতে কুন্দন লাল সায়গালকে অনুকরণ করে গাইতেন কিশোর। পরে শচীন দেববর্মনের পরামর্শেই নিজস্ব গায়কি তৈরি করেন। কিশোর কুমার গলা ভেঙে এমন কায়দায় গাইতে শুরু করেন, যা আগে শোনা যায়নি। কিশোরের এই গায়কী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
খাবারের বেলায় কিশোরের ছিল চরম বাছবিচার। নিজে যেমন খেতে পছন্দ করতেন, তেমনি খাওয়াতেও পছন্দ করতেন। তবে খাবারের মেন্যুতে বাঙালি খাবার লুচি, আলুর দম, বেগুনভাজাই বেশি থাকত। আর ইলিশের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ ঝোঁক। তাই শচীন দেববর্মনসহ অনেকেই কলকাতায় গেলে তাঁর জন্য ইলিশ নিয়ে আসতেন। অনেকেই কিশোর কুমারকে কাজে রাজি করাতে তাঁর বাড়িতে ইলিশ পাঠাতেন। দুটো খাবার ভীষণ ভয় পেতেন—একটি শিঙাড়া, অন্যটি বিরিয়ানি। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে শিঙাড়া খাওয়া ছেড়ে দেন আর রেকর্ডিংয়ের কদিন আগেই বন্ধ হয়ে যেত বিরিয়ানি। তাঁর ধারণা ছিল, বিরিয়ানি খেলে গলা দিয়ে ঠিকমতো সুর বেরোবে না। ধূমপান আর মদ্যপান এড়িযে চলতেন। নিজে যেমন পান করতেন না, তেমনি নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য মদ্যপানের ব্যবস্থা রাখতেন না।
কাজের বেলায়ও ব্যক্তিগত পছন্দ আর স্টাইলকেই প্রাধান্য দিতেন কিশোর। গাইতেন নেচে-কুঁদে। এমনকি স্টেজ শোর আগে জেনে নিতেন মঞ্চের মাপ। কারণ, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গাইতে পারতেন না তিনি। বড় স্টেজ লাগত তাঁর। আর মঞ্চে তিনি এমন সব কাণ্ডকারখানা করতেন, সবাই হতবাক বনে যেতেন।
যত বড় পরিচালকই হোক না কেন, সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক না পাওয়া পর্যন্ত গান রেকর্ডিং করতেন না। একবার এক প্রযোজক অর্ধেক পারিশ্রমিক দিয়ে বলেছিলেন, বাকি অর্ধেক কাজ শেষে দেবেন। কিশোর কুমার অর্ধেক চুল–গোঁফ কামিয়ে স্টুডিওতে হাজির হয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাকি অর্ধেক পারিশ্রমিক না পাওয়া পর্যন্ত এভাবেই কাজ করবেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকরের অসম্ভব ভক্ত ছিলেন কিশোর। তাঁর সম্মানে সব সময় পারিশ্রমিক নিতেন লতার চেয়ে এক টাকা কম। অভিনয়ও করতেন নিজের মতো করে। অভিনয়ে কিশোর কুমার নিজে থেকেই এমন সব কাণ্ড করতেন, যা স্ক্রিপ্টে থাকত না। পরে সেই ঘটনাগুলোই জনপ্রিয় হয়ে উঠত।
কিশোর কুমারের বাড়ির গেটে একটা বোর্ড ঝুলত, যেখানে লেখা ছিল ‘কিশোর হতে সাবধান’। খান্ডোয়ায় তাঁর বাড়ির সামনে নিজেই লাগিয়েছিলেন ‘মেন্টাল হসপিটাল’ লেখা সাইনবোর্ড।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নায়ক রুবেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশের পাশাপাশি যাঁরা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের হুঁশিয়ার করে দিলেন রুবেলের বড় ভাই অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্দেশক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
৭ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানের সঙ্গে ৬ দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। দুই দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম এই বিষয়ে সেই অর্থে কোনো তথ্য দেয়নি।
১০ ঘণ্টা আগেঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
১৮ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে