মুনতাসির সিয়াম, ঢাকা
শরীর নড়বড়ে। হাঁটতে পারছেন না ঠিকমতো। তবু কণ্ঠের জোর যেন সেই আগের মতোই। তাই তো চিকিৎসকের বারণ উপেক্ষা করেও ঢাকায় উড়ে এসেছেন অঞ্জন দত্ত। হাজার হোক, প্রিয় প্রাক্তনের জন্মদিন বলে কথা! কাল্পনিক জন্মদিন হলেও তা উপেক্ষা করার সুযোগ কই!
অঞ্জন দত্তের জনপ্রিয় গান ‘মালা’র কথা প্রায় সবার জানা। এনটালি সিনেমার পেছনের বস্তির মৌলালির সেই মালা, অপর্ণা সেনের মতো অভিমান করে যে ছেড়ে গিয়েছিল নিজের প্রেমিককে, নিজের জন্মদিন ১২ মে-তে। ছেড়ে চলে গেলেও কি ভোলা যায় প্রেমিকার স্মৃতি! যাঁকে উৎসর্গ করে এক সময় মৌলালির বাসস্টপেজে দুপুরবেলা রুবি রায়ের গান গাইতেন অঞ্জন। ভুলে যাওয়া দায়। তাই সেই জন্মদিন উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে এক দিন আগেই ঢাকায় এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক ও গায়ক। উপলক্ষ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে-সংলগ্ন ৩০০ ফিটে অবস্থিত ঢাকা অ্যারেনায় আয়োজিত ‘অঞ্জন দত্ত মেট্রোপলিস ভলিউম ২.০’ কনসার্ট। আয়োজক যৌথভাবে অ্যাসেন, জার্কুনিয়াম ও আর্কলাইট ইভেন্টস।
কনসার্ট শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। দর্শকের কোলাহলে চারদিক ছিল মুখরিত। প্রিয় শিল্পীর মুখে কাল্পনিক সেই প্রেমিকাকে নিয়ে লেখা গান শুনতে শুনতে শ্রোতারাও যেন নিজের অজান্তে হয়ে উঠেছেন সেই মালার প্রেমিক। সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চে গান গাইতে ওঠেন স্থানীয় দুই শিল্পী নূর ও সৌরভ। তাঁদের গান শেষে সাড়ে ৭টার দিকে মঞ্চে ওঠেন আহমেদ হাসান সানি। তাঁর গান শেষ হলেও শ্রোতাদের অপেক্ষার অবসান হয়নি তখনো। রাত পৌনে ৯টার দিকে মঞ্চে ওঠেন অঞ্জন দত্ত। সঙ্গে ছেলে নীল দত্ত আর গিটারিস্ট অমিত দত্ত।
মঞ্চে উঠে শুরুতেই উপস্থিত শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানান অঞ্জন। বলেন নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা। ভয়াবহ পিঠের ব্যথায় দাঁড়াতেও পারছেন না ঠিকমতো। এ কথা শুনে দর্শকের মন বিচলিত হয়ে উঠল নিমেষেই। তবে অঞ্জন কি আর দমবার পাত্র! সিদ্ধান্ত নিলেন, চেয়ারে বসেই গান গাইবেন। গাইলেনও। তবে মালা নয়, শুরুটা করলেন অঞ্জনের নতুন সিনেমা চালচিত্র এখন-এর গান ‘এই পোড়া শহরে’ দিয়ে।
এরপর একে একে গাইলেন স্যামসন, মেরী অ্যান, বেলা বোসের মতো জনপ্রিয় সব গান। মাঝখানে বিরতিও নিলেন একবার। তবে দর্শককে বিরতি নিতে হয়নি। এই ফাঁকে আইয়ুব বাচ্চুর ‘চলো বদলে যাই’সহ নীল একাই গিটার বাজিয়ে গাইলেন দুটি গান। এরপর আবারও মঞ্চে ফিরলেন অঞ্জন। অমিত দত্ত তখনো বিশ্রাম করছেন। সেই সুযোগে বাপ-ব্যাটা মিলে গাইলেন ‘খাতার ভেতর চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল’।
এরপর অঞ্জন একে একে গাইলেন ‘আমি বৃষ্টি দেখেছি’, ‘রঞ্জনা’, ‘এখনো তাই’, ‘দার্জিলিং’। তবে অঞ্জন কি কেবল গানই গাইবেন? মোটেও না। অঞ্জন মানেই যেহেতু অসংখ্য কথার ফুলঝুরি। তাই গানের ফাঁকে ফাঁকে ডুব দিয়েছেন স্মৃতিতে। সেই স্মৃতির অলিগলি ধরে কখনো উঠে এল চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের গল্প, কখনো তাঁকে উৎসর্গ করে নিজের পরিচালিত ‘চালচ্চিত্র এখন’ সিনেমার কথা।
সবশেষে ছিল মালার জন্মদিনের কেক কাটার পালা। কেক কাটার আগে শ্রোতাদের শোনালেন সেই বহুল প্রতীক্ষিত গান ‘মালা’। যার জন্মদিন উদ্যাপনের উদ্দেশ্যেই মূলত জড়ো হয়েছেন সবাই। কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে অঞ্জনের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। ‘আজ হোক না রং ফ্যাকাশে তোমার আমার আকাশে, চাঁদের হাসি যতই হোক না ক্লান্ত, বৃষ্টি নামুক নাই-বা নামুক, ঝড় উঠুক নাই-বা উঠুক, ফুল ফুটুক নাই-বা ফুটুক আজ বসন্ত—গাইতে গাইতে অঞ্জন যেন বসন্ত নামিয়ে আনলেন প্রকৃতির বুকে।
এবার বিদায় নেওয়ার পালা। মঞ্চ থেকে নামার আগে সবাইকে অনুরোধ জানালেন কাকতাল ব্যান্ডের গান শুনে বাড়ি ফেরার জন্য। বললেন, ‘আমাদের পরে আরেকটা ব্যান্ড এখানে গাইবে। ওরা আমার মতো জনপ্রিয় হয়তো নয়। কিন্তু গানটা হৃদয় থেকেই গাইবে। আপনারা প্লিজ ওদের গানগুলো শুনবেন। আমাদের গান শেষ হলেই বেরিয়ে যাবেন না। আমার শরীরটা খারাপ, তাই ওরা নিজেদের স্লট আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। ওদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। আপনারা যদি ওদের গানটা মন দিয়ে শোনেন, তাহলে আমার ভালো লাগবে।’ এভাবেই তো এক শিল্পী আরেক শিল্পীর পাশে দাঁড়ান, সম্মান করেন, ভালোবাসেন। যে ভালোবাসা ছড়িয়ে যায় দর্শকদের মনেও।
শরীর নড়বড়ে। হাঁটতে পারছেন না ঠিকমতো। তবু কণ্ঠের জোর যেন সেই আগের মতোই। তাই তো চিকিৎসকের বারণ উপেক্ষা করেও ঢাকায় উড়ে এসেছেন অঞ্জন দত্ত। হাজার হোক, প্রিয় প্রাক্তনের জন্মদিন বলে কথা! কাল্পনিক জন্মদিন হলেও তা উপেক্ষা করার সুযোগ কই!
অঞ্জন দত্তের জনপ্রিয় গান ‘মালা’র কথা প্রায় সবার জানা। এনটালি সিনেমার পেছনের বস্তির মৌলালির সেই মালা, অপর্ণা সেনের মতো অভিমান করে যে ছেড়ে গিয়েছিল নিজের প্রেমিককে, নিজের জন্মদিন ১২ মে-তে। ছেড়ে চলে গেলেও কি ভোলা যায় প্রেমিকার স্মৃতি! যাঁকে উৎসর্গ করে এক সময় মৌলালির বাসস্টপেজে দুপুরবেলা রুবি রায়ের গান গাইতেন অঞ্জন। ভুলে যাওয়া দায়। তাই সেই জন্মদিন উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে এক দিন আগেই ঢাকায় এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক ও গায়ক। উপলক্ষ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে-সংলগ্ন ৩০০ ফিটে অবস্থিত ঢাকা অ্যারেনায় আয়োজিত ‘অঞ্জন দত্ত মেট্রোপলিস ভলিউম ২.০’ কনসার্ট। আয়োজক যৌথভাবে অ্যাসেন, জার্কুনিয়াম ও আর্কলাইট ইভেন্টস।
কনসার্ট শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। দর্শকের কোলাহলে চারদিক ছিল মুখরিত। প্রিয় শিল্পীর মুখে কাল্পনিক সেই প্রেমিকাকে নিয়ে লেখা গান শুনতে শুনতে শ্রোতারাও যেন নিজের অজান্তে হয়ে উঠেছেন সেই মালার প্রেমিক। সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চে গান গাইতে ওঠেন স্থানীয় দুই শিল্পী নূর ও সৌরভ। তাঁদের গান শেষে সাড়ে ৭টার দিকে মঞ্চে ওঠেন আহমেদ হাসান সানি। তাঁর গান শেষ হলেও শ্রোতাদের অপেক্ষার অবসান হয়নি তখনো। রাত পৌনে ৯টার দিকে মঞ্চে ওঠেন অঞ্জন দত্ত। সঙ্গে ছেলে নীল দত্ত আর গিটারিস্ট অমিত দত্ত।
মঞ্চে উঠে শুরুতেই উপস্থিত শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানান অঞ্জন। বলেন নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা। ভয়াবহ পিঠের ব্যথায় দাঁড়াতেও পারছেন না ঠিকমতো। এ কথা শুনে দর্শকের মন বিচলিত হয়ে উঠল নিমেষেই। তবে অঞ্জন কি আর দমবার পাত্র! সিদ্ধান্ত নিলেন, চেয়ারে বসেই গান গাইবেন। গাইলেনও। তবে মালা নয়, শুরুটা করলেন অঞ্জনের নতুন সিনেমা চালচিত্র এখন-এর গান ‘এই পোড়া শহরে’ দিয়ে।
এরপর একে একে গাইলেন স্যামসন, মেরী অ্যান, বেলা বোসের মতো জনপ্রিয় সব গান। মাঝখানে বিরতিও নিলেন একবার। তবে দর্শককে বিরতি নিতে হয়নি। এই ফাঁকে আইয়ুব বাচ্চুর ‘চলো বদলে যাই’সহ নীল একাই গিটার বাজিয়ে গাইলেন দুটি গান। এরপর আবারও মঞ্চে ফিরলেন অঞ্জন। অমিত দত্ত তখনো বিশ্রাম করছেন। সেই সুযোগে বাপ-ব্যাটা মিলে গাইলেন ‘খাতার ভেতর চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল’।
এরপর অঞ্জন একে একে গাইলেন ‘আমি বৃষ্টি দেখেছি’, ‘রঞ্জনা’, ‘এখনো তাই’, ‘দার্জিলিং’। তবে অঞ্জন কি কেবল গানই গাইবেন? মোটেও না। অঞ্জন মানেই যেহেতু অসংখ্য কথার ফুলঝুরি। তাই গানের ফাঁকে ফাঁকে ডুব দিয়েছেন স্মৃতিতে। সেই স্মৃতির অলিগলি ধরে কখনো উঠে এল চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের গল্প, কখনো তাঁকে উৎসর্গ করে নিজের পরিচালিত ‘চালচ্চিত্র এখন’ সিনেমার কথা।
সবশেষে ছিল মালার জন্মদিনের কেক কাটার পালা। কেক কাটার আগে শ্রোতাদের শোনালেন সেই বহুল প্রতীক্ষিত গান ‘মালা’। যার জন্মদিন উদ্যাপনের উদ্দেশ্যেই মূলত জড়ো হয়েছেন সবাই। কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে অঞ্জনের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। ‘আজ হোক না রং ফ্যাকাশে তোমার আমার আকাশে, চাঁদের হাসি যতই হোক না ক্লান্ত, বৃষ্টি নামুক নাই-বা নামুক, ঝড় উঠুক নাই-বা উঠুক, ফুল ফুটুক নাই-বা ফুটুক আজ বসন্ত—গাইতে গাইতে অঞ্জন যেন বসন্ত নামিয়ে আনলেন প্রকৃতির বুকে।
এবার বিদায় নেওয়ার পালা। মঞ্চ থেকে নামার আগে সবাইকে অনুরোধ জানালেন কাকতাল ব্যান্ডের গান শুনে বাড়ি ফেরার জন্য। বললেন, ‘আমাদের পরে আরেকটা ব্যান্ড এখানে গাইবে। ওরা আমার মতো জনপ্রিয় হয়তো নয়। কিন্তু গানটা হৃদয় থেকেই গাইবে। আপনারা প্লিজ ওদের গানগুলো শুনবেন। আমাদের গান শেষ হলেই বেরিয়ে যাবেন না। আমার শরীরটা খারাপ, তাই ওরা নিজেদের স্লট আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। ওদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। আপনারা যদি ওদের গানটা মন দিয়ে শোনেন, তাহলে আমার ভালো লাগবে।’ এভাবেই তো এক শিল্পী আরেক শিল্পীর পাশে দাঁড়ান, সম্মান করেন, ভালোবাসেন। যে ভালোবাসা ছড়িয়ে যায় দর্শকদের মনেও।
ঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
৫ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৫ ঘণ্টা আগেমহান মে দিবসে শিশুশিল্পীদের নিয়ে দুরন্ত টিভি প্রচার করবে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোলো তোলো’। অনুষ্ঠানটিতে এম আর ওয়াসেকের নৃত্য পরিচালনায় গণসংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নন্দনকলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পী পুষ্পিতা, অর্পিতা, ইমি, পিউ, ইরা, অর্জন, মাহমুদা, শ্রেষ্ঠা, লাবিবা, সিলভা, সাদিয়া, সিজান, সিফা
৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালে পরপর তিন সিনেমা দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে শাহরুখ খানের। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ দিয়ে সে বছর বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েন বলিউড বাদশা। এরপর কিছুটা বিরতি। গত বছর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি শাহরুখের, এ বছরটাও ফাঁকা যাবে। নতুন সিনেমা নিয়ে তিনি প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন ২০২৬ সালে।
৫ ঘণ্টা আগে