মীর রাকিব হাসান, ঢাকা

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৯ ঘণ্টা আগে