Ajker Patrika

সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৪: ৪৮
সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ

ঢাকা: সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্র বেশির ভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। মূলত তাঁর তৈরি করা ফিচার ফিল্মগুলোর দিকেই চোখ থাকে মানুষের।

বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাস জানে, বিভিন্ন দেশের সেরা মনীষীদের নিয়ে অনেক তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। সেই মানুষদের জীবনের পথ অথবা তাঁদের শৈল্পিক পদচারণা বিবৃত হয়েছে তাতে। এসব তথ্যচিত্র নির্মাতাদের কেউ কেউ নির্মাণে রাখতে পেরেছেন তাঁর স্বকীয়তার স্বাক্ষর, বলেছেন নতুন কথা। আবার কেউ কেউ পেশাদারি ভঙ্গিতে স্রেফ তুলে ধরেছেন জীবনালেখ্য।

সত্যজিৎ রায়ও বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। তবে সেগুলোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন নিয়ে করা তথ্যচিত্রটির কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হয়। রবীন্দ্রনাথের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে।

একটু আগে থেকেই শুরু করি। ১৯৫৯ সালে অনেকে বুঝতে পারলেন, বাংলা ভাষার সেরা কবির জন্মশতবার্ষিকী দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে, এখন কিছু একটা করা দরকার। তখন একটি শতবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটি গঠন করা হলো। সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেয়, এ উপলক্ষে রবীন্দ্র–জীবনভিত্তিক একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হবে। কে করবেন ছবি নির্মাণ? কে লিখবেন চিত্রনাট্য? সত্যজিৎ রায় তো ছিলেনই। তবে তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিলেন আরও কেউ কেউ। সত্যজিৎকে যারা সমর্থন করলেন, তাঁরা বললেন, সত্যজিতের মধ্যে রাবীন্দ্রিকতা আছে। রবীন্দ্রনাথকে বোঝেন সত্যজিৎ। ১৯৬১ সালেই সত্যজিতের তিন কন্যা মুক্তি পায় (পোস্টমাস্টার, মনিহারা আর সমাপ্তি)। এর পর সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের কাহিনি নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘নষ্টনীড়’ আর ‘ঘরে বাইরে’। আমরা অবশ্য তথ্যচিত্রটির দিকেই দৃষ্টি রাখব।

যারা সত্যজিতের মতো শিল্পীর হাতে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের কথা হলো—জন্মশতবার্ষিকীতে যদি ছবি করতেই হয়, তাহলে তার ভার দেওয়া উচিত কোনো ইতিহাসবিদকে। কারণ, ইতিহাসবিদই রবীন্দ্রনাথকে সাল অনুযায়ী তুলে ধরতে পারবেন। এটা ইতিহাসবিদেরই কাজ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীতএই বিতর্ককে বাড়তে দেননি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ছিলেন উদ্‌যাপন কমিটির একজন সদস্য। এ কথা নতুন করে বলার দরকার পড়ে না যে, রাজনীতিবিদের বাইরেও একজন ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে জওহরলাল নেহরুর সুনাম ছিল। নেহরু দৃঢ়ভাবে বললেন, তথ্যচিত্র নির্মাণ করা কোনো ইতিহাসবিদের কাজ নয়; এটা নির্মাণ করতে পারেন কোনো শিল্পী। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য নেহরুর প্রস্তাবে সায় দিলেন। সত্যজিৎ রায় পেলেন ছবিটি তৈরি করার ভার। সত্যজিৎ রায়ের এই দায়িত্বভার পাওয়াটা আকস্মিক ব্যাপার ছিল না। যৌবনকাল থেকেই রবীন্দ্রনাথের গুণগ্রাহী ছিলেন সত্যজিৎ। সত্যজিৎ অবশ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি, তাঁর কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেননি, শুধু একবার তিনি রবীন্দ্রনাথকে দেখেছিলেন ও তাঁর বক্তব্য শুনেছিলেন শান্তিনিকেতনে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নান্দনিক দর্শন, সামাজিক মূল্যবোধ বিপুলভাবে প্রভাব ফেলেছিল সত্যজিৎ রায়ের ওপর। সত্যজিৎ রায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাববলয়ের ভেতরের মানুষ—এ কথা বলা হলে তা বাড়িয়ে বলা হবে না বোধ হয়। তাই তথ্যচিত্রের জন্য সেই রবীন্দ্রনাথকেই তুলে আনলেন সত্যজিৎ, যে রবীন্দ্রনাথ তাঁর পরিচিত।

এখন অনেকেই জেনে ফেলেছে, তথ্যচিত্রটি দুভাবে তৈরি হয়েছিল। একটি ছিল বড়, তাতে ছিল ছয়টি অংশ। এই তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছিল ইংরেজি ভাষায়। এখানে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন। এই ছবি দেখানো হয়েছিল বাংলায়, আর বাইরের দেশগুলোয়। অন্যটিতে ছিল দুটি অংশ। ভারতের অন্যান্য প্রদেশে দেখানোর জন্য। অনেকগুলো ভাষায় তা নির্মিত হয়েছিল। যে প্রদেশে দেখানো হচ্ছিল, সে প্রদেশের ভাষায় তাতে কণ্ঠ দেওয়া হয়েছিল। আলোচিত হয়েছে বড় তথ্যচিত্রটিই।

তথ্যচিত্রটি শুরু হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু ও শেষকৃত্য দিয়ে। সেখানে নিরাসক্ত ভঙ্গিতে সত্যজিৎ ইংরেজিতে যা বলছেন, তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট কলকাতায় মারা গেছেন একজন মানুষ। তাঁর দেহ পোড়ানো হলো আগুনে। কিন্তু তিনি যে সম্পদ রেখে গেছেন, কোনো আগুনেরই ক্ষমতা নেই, তা পুড়িয়ে দেবে।’ শ্মশানের লেলিহান শিখার জায়গায় এর পর দেখা যায় ভোরের সূর্য, সেটাই প্রতিনিধিত্ব করে রবীন্দ্রনাথের। যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল উদ্‌যাপন কমিটিতে—কে বানাবেন ছবি, সে বিতর্কের গায়ে যেন কালি লেপে দিলেন সত্যজিৎ। ইতিহাসের পথ ধরে না এগিয়ে সূর্যের ছবি তুলে তিনি বলে দিলেন, ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’। বাঙালি জীবনের সুকঠিন বাস্তবতায় ঠাকুর পরিবারের লড়াইকে টেনে আনলেন। রবীন্দ্রনাথের গল্প বলতে গিয়ে কবির শৈশব থেকে শুরু করেন না সত্যজিৎ, বরং চলে যান তাঁর পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুরের কাছে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের গল্প বলে তিনি দর্শক–শ্রোতাকে প্রস্তুত করেন পরের দুই প্রজন্মের গল্প শোনার জন্য। পরের প্রজন্মের জীবনে দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রভাব একটি বড় বিষয়। যদিও একেবারে বিপরীতমুখী ভাবনার অধিকারী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মস্ত প্রভাব ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর, কিন্তু পুরো পরিবারের সংগ্রামী জীবনটা উঠে এসেছে দ্বারকানাথ ঠাকুরের মাধ্যমেই, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না।

রবীন্দ্রনাথ তথ্যচিত্রের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীতছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রীয় সমস্যায় পড়েছিলেন সত্যজিৎ। তথ্যচিত্র তৈরি করতে গেলে অনেক নির্মাতাই এ ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। ছবিটিকে প্রাণবন্ত ও সত্য করে তোলার জন্য, চলচ্চিত্রের ভাষা তৈরি করার জন্য এমন কিছু চলচ্চিত্রীয় উপাদান তিনি গ্রহণ করেন, যা ছবিটিকে বিশ্বাসযোগ্য ও উপভোগ্য করে তোলে। ছবির শুরুর দিকের অনেক কিছুই তাই পুনর্নির্মাণ করতে হয়। সেখানে নতুনভাবে অভিনয় করিয়ে ঘটনা তুলে আনতে হয়, তাতে রবীন্দ্রনাথের পরিবার উঠে আসে অনবদ্যভাবে। আর সেই পুনর্নির্মিত সেলুলয়েডের অন্তর ভেদ করে বাজতে থাকে সত্যজিতের প্রায় নিরাসক্ত বর্ণনার সুর। ছবিটি দেখলে যে কেউ এই অসাধারণ ব্যাপারটি লক্ষ্য করবেন। কিন্তু সবাই এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাবে না। ছবিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কখনো কখনো যা করা হয়েছে, তাতে খাদ রয়েছে। যেমন, দ্বারকানাথ ঠাকুর লন্ডনের হাইডপার্কে যাচ্ছেন গাড়িতে চড়ে, সেটা দেখাচ্ছেন সত্যজিৎ, কিন্তু দর্শক দেখতে পাচ্ছে নাটকের পোশাকে গাড়িতে করে একজন চলেছেন পথে, পেছনে প্রজেক্টরে ভেসে উঠছে হাইডপার্ক। এই পুনর্নির্মাণের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তথ্যের মাধ্যমে বিষয়টা তুলে ধরলে কাজটি সহজ হতো। কিন্তু সত্যজিৎ তো শুধু কাহিনি বর্ণনা করতে চাননি। তিনি তো মূর্ত করে তুলতে চেয়েছেন ঠাকুর পরিবারের যাত্রাপথ। সাধারণ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের পথ ধরে সত্যজিতের এই ছবির বিচার হয় না। তথ্যচিত্রের অভ্যাসের বাইরের একটা ব্যাপারই ঘটিয়েছেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে জীবন বর্ণনার পথ বেছে না নিয়ে তিনি ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সঙ্গে রবীন্দ্র–জীবন যুক্ত করে তার আবেগীয় বর্ণনা দিয়ে দর্শককে আকৃষ্ট করেছেন।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন রবীন্দ্রনাথকে জমিদারী রক্ষার জন্য গ্রামবাংলায় পাঠান, তখনকার কোনো ছবিই তো পাওয়া যাচ্ছে না মহাফেজখানায়। সত্যজিৎ এখানেও করলেন পুনর্নির্মাণ। অবাক কাণ্ড হলো, এত বছর পরও সে এলাকার কৃষকের জীবনযাত্রা খুব কম বদলেছে। মনে হতে পারে, রবীন্দ্রনাথের জমিদারিতে তাঁরই উপস্থিতিতে বুঝি ছবি তোলা হলো।

ছবিতে রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষপর্ব যেখানে বর্ণনা করা হচ্ছে, সেখানে মূর্ত হয়ে উঠেছে তৎকালীন সংকট। ফ্যাসিজম, আর নাৎসিজমের অন্ধকারে পৃথিবী তখন নিমজ্জিত। সে সময়ই রবীন্দ্রনাথ তাঁর আশি বছরের জন্মদিন উপলক্ষে লিখলেন ‘সভ্যতার সংকট’। চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মতোই সত্যজিৎ রায় তা বর্ণনা করলেন। সাইরেনের শব্দ, মাদ্রিদে ভয়ার্ত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা, গুলিতে অবসিত মানুষের মৃত্যু—এ রকম অসংখ্য নৃশংস দৃশ্য একটার সঙ্গে একটা শুধু বদল হতে থাকে, আর তার সঙ্গে চলদে থাকে সভ্যতার সংকট নিয়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা থেকে সত্যজিতের পাঠ। মানুষের প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তার পরাজয়ে তখন তিনি শোকার্ত। কিন্তু পর মুহূর্তেই ভেসে আসে কবির উচ্চারণ, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে।'

এবং তারপর?

এবং তারপর পর্দাজুড়ে ভোরের আকাশ, ধীরে ধীরে সূর্যোদয় হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ মূর্ত হয়ে ওঠেন। তথ্যচিত্রটিকে পরিণত করেন নান্দনিক এক শিল্পে।

এই তথ্যচিত্রের পেছনে বিস্তর সময় দিয়েছিলেন সত্যজিৎ। যেকোনো চলচ্চিত্র নির্মাণের চেয়েও বেশি সময় দিয়েছেন। ফিচার ফিল্ম আর তথ্যচিত্র এক নয়, সেটা হয়তো ছবি প্রলম্বিত হওয়ার একটা কারণ, কিন্তু সবচেয়ে বড় কারণ ছিল নির্মাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। নির্মাতা ছবিটিকে তৈরি করেছেন `আপন মনের মাধুরি মিশায়ে'।

কতটা সফল হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়? সত্যিই কি এই তথ্যচিত্রে শিল্পের শক্তি ছিল?

অন্য কিছু বলব না। শুধু একটি তথ্য দিয়েই আজকের লেখা শেষ করব।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ছবিটি প্রদর্শিত হয় ১৯৬১ সালের ৪ মার্চ। সেদিন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মন ছিল খুব খারাপ। কাছের এক বন্ধু মারা গেছেন। তাই মন ছিল বিধ্বস্ত। বিধ্বস্ত মন নিয়েই তিনি দেখতে বসেছিলেন ছবিটি। ছবি শেষ হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের মানবিক আত্মবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে। বিধ্বস্ত নেহরু যেন তা থেকে প্রাণ খুঁজে পেলেন। এক ঘণ্টা আগের মুমূর্ষু অবস্থা কাটিয়ে উঠলেন তিনি। ফিরে পেলেন আত্মবিশ্বাস।

এর দু মাস পর যখন সত্যজিৎ রায়ের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছিলেন নেহরু, তখন তিনি সত্যজিৎ রায়ের এই অসামান্য সৃষ্টির কথা স্মরণ করেছিলেন শ্রদ্ধাভরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আন্ধার’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মুক্তি আগামী বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।

রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’

সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’

আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’

এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থিয়েটার হান্টের প্রথম নাটক ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।

ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।

থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নেই শিল্পীদের নাম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’

সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুশবু ছড়ানো কিস্যাকারের চরিত্রে সোমেন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মেহেদী হাসান সোমেন। ছবি: সংগৃহীত
মেহেদী হাসান সোমেন। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।

জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।

এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।

সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।

২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত