জাহীদ রেজা নূর

আশির দশকে ‘ক্রান্তি’ বা ‘শক্তি’ নামে নির্মিত সিনেমার মাধ্যমে দিলীপ কুমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হতে পারত। আমাদের বলতে আশির দশকের তরুণদের কথা বলছি। আশির দশকের শুরুতে যখন একটু একটু করে ভিসিআর এসে হাজির হচ্ছে ঢাকা শহরে, সিনেমা হলের মতো টিকিট কেটে হিন্দি ছবি দেখা হচ্ছে বেগমবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায়, সে সময় নির্ঘাত মাঝবয়সী দিলীপ কুমারকে ছোট্ট টিভি স্ক্রিনে দেখার সৌভাগ্য হতো। একসময় এই ভদ্রলোক ‘ট্র্যাজেডি কিং’ উপাধি পেয়েছিলেন, সে কথা পত্র–পত্রিকার লেখালেখির মাধ্যমে রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করা যেত।
ট্র্যাজেডি শব্দটির সঙ্গে উপভোগ শব্দটিকে কি খুবই বিসদৃশ লাগছে? একটু ভেবে দেখলেই পরিষ্কার হবে, আসলে দিলীপ কুমারের ট্র্যাজেডি মানেই বক্স অফিসে 'কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা'। হলভর্তি দর্শক হাপুস নয়নে কাঁদছে, আর প্রযোজকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—এ এক অন্য খেলা! সেই যখন পেশোয়ারে থাকতেন ইউসুফ খান (পরে দিলীপ কুমার), যখন তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন আরেক কিংবদন্তি কাপুর পরিবার, তখনো আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না দিলীপ কুমারদের। কত খাটাখাটনি, বাবার সঙ্গে ঝগড়া, পালিয়ে গিয়ে আর্মি ক্লাবে চাকরি, ফেরার সময় ৫ হাজার রুপি নিয়ে ঘরে ফেরা—নাহ! দিলীপ কুমারের জীবনী এখানে বলার কোনো প্রয়োজন নেই, যারা এ লেখা পড়ছেন, তাঁরা সবাই জানেন দিলীপের জীবনেতিহাস। এখানে শুধু সে কথাই বলার চেষ্টা করছি, আশির দশকে আসলে আমরা কী করে দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। এবং সেটা পেলাম আস্ত রোমান্টিক এবং ট্র্যাজিক কুমারকেই! মাঝবয়সী চরিত্রাভিনেতাকে নয়।
দুই.
এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নিউ ইস্কাটনের বাড়ি থেকে আমাদের নামিয়ে দিল পুলিশ। বাড়ির আসবাবপত্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে লাগল রাস্তায়। আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশের এই কাণ্ডকীর্তি দেখতে লাগলাম। এ সময় আমার কোনো এক ভাই বুঝতে পারল, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে রাত কাটাতে হবে ফুটপাতে। তাই তখনই বাড়ি খুঁজতে বের হলেন তিনি। একটা ভাড়া বাড়ির খুব প্রয়োজন তখন।
সে সময় জিগাতলা পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়ি পাওয়া গেল। সে এক আকস্মিক ব্যাপার। শুধু তাই নয়, মালপত্র নিয়ে সে বাড়ির একতলায় ওঠার পর দোতলায় বসবাসরত বাড়িওয়ালারা আমাদের মুরগি আর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ালেন রাতে। এ রকম ট্র্যাজেডির মধ্যে এ যেন স্বর্গীয় আদর–যত্ন।
এই জিগাতলায় এলাম বলেই তরুণ দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। কী করে তা সম্ভব হলো, সেটাই বলি। নতুন জায়গা। শহরের কেন্দ্র থেকে বেশ খানিকটা দূরে। ধানমন্ডি, রায়ের বাজার, হাজারিবাগ খুব কাছে। ট্যানারির বীভৎস গন্ধ প্রায় সব সময় নাকে এসে লাগে। তারই মধ্যে নতুন জীবন। হেঁটে হেঁটে জায়গাটার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। হাজারীবাগ গিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে কিছু দূর এগোলেই সুইপার কলোনি। সেটা পার হয়ে আরও কিছুটা এগোলে বিডিআর মিলনায়তন। সেখানে গিয়ে দেখি ছবি চলছে। সাধারণ সিনেমা হলের চেয়ে টিকিটের দাম কম। ছবির নাম ‘বাবুল’। অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার আর নার্গিস। দিলীপ কুমার বড়লোকের ছেলে। পোস্টমাস্টার হয়ে এসেছেন এই ছোট্ট শহরে। গরিব বাবার মেয়ে নার্গিস। ছবিতে যার নাম বেলা। বেলা আর অশোকের মধ্যে খুব ভাব। বেলার বাবা ভাবেন, অশোক নিশ্চয়ই বেলাকে বিয়ে করবে। এ সময় উষা নামে একটি ধনী বাবার কন্যার সঙ্গে পরিচয় হয় অশোকের। অশোক হয় তার গৃহশিক্ষক। উষা প্রেমে 'পড়ে' অশোকের।
এর পর এগিয়ে চলে কাহিনি। যারা দেখেননি, তাদের কাছে ছবিটি দেখার আহ্বান থাকল। এর বেশি কাহিনি বলে দিলে দেখার আগ্রহ নষ্ট হতে পারে। তবে এটুকু বলে রাখি, ছবিজুড়ে শামসাদ বেগম আর তালাত মাহমুদের গাওয়া গান মন ভরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ঢাকা শহরের একটি সিনেমা হলে ভারতীয় হিন্দি ছবি! আমাদের জানা ছিল, ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান–ভারতের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার পর ভারতীয় ছবির আগমন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে প্রিন্টগুলো ছিল এখানে, সেগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো হতো। ফলে বিডিআর মিলনায়তনে বাবুল, বৈজু বাওরা, লুকোচুরির মতো ছবিগুলো চলত। খুবই খারাপ প্রিন্ট। কিন্তু বারবার তা দেখতাম। লুকোচুরি মনে হয় কুড়িবারের বেশি দেখেছিলাম, বাবুল দেখেছিলাম দশবারের বেশি।
তিন.
দুঃসংবাদগুলো দিয়ে রাখি।
দিলীপ কুমারের ছোট ভাই নাসির খান মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৭৪ সালে। তিনিও ছিলেন নামকরা চলচ্চিত্র অভিনেতা। বৈজয়ন্তী মালা আর দিলীপ কুমারের সঙ্গে তিনি ‘গঙ্গা যমুনা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
দিলীপ কুমার তাঁর আরও দুই ভাইকে হারিয়েছেন গত বছর। দুজনেই মারা গেছেন কোভিডে। আসলাম খান মারা গেছেন গত বছর আগস্ট মাসে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এহসান খান মারা গেছেন ৯০ বছর বয়সে, গত বছরেরই সেপ্টেম্বরে।
চার.
অমিতাভ বচ্চন বহু আগেই বলেছিলেন, দিলীপ কুমার ভারতের সেরা অভিনেতাদের একজন এবং শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর সেরা অভিনেতাদের অন্যতম।
কথাটা অমিতাভ বাড়িয়ে বলেননি। আমাদের অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, দিলীপ কুমার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু হলে সেরা অভিনেতার পুরস্কারটা পেয়েছিলেন ১৯৫৪ সালে। ‘দাগ’ ছিল ছবিটার নাম। এর পর আরও সাতবার সেই পুরস্কার জুটেছে তাঁর কপালে। সে সময়কার সেরা অভিনেত্রীরা তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন মধুবালা, বৈজয়ন্তী মালা, নার্গিস, নিম্মি, মিনা কুমারী, কামিনী কৌশল।
এখন তো শিল্পকেও নিয়ন্ত্রণ করে বাণিজ্য। সে কারণেই একটি তথ্য এখানে জানিয়ে রাখতে চাই।
পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
এর পর যদি ষাটের দশকের মুঘল–ই–আজম ছবিটির কথা বলি, তাহলে বলতে হবে, ভারতের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ১১ বছর টিকে ছিল সেটা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। ১৯৭১ সালে নির্মিত ‘হাতি মেরা সাথি’ ছবিটি এই রেকর্ড ভঙ্গ করে। এর পর সে রেকর্ডও ভেঙে যায় ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ মুক্তি পাওয়ার পর। তবে অনেকেই বলে থাকেন, যদি মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রাখা হয়, তাহলে ২০১০ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হিসেবে মুঘল–ই আজমকেই সামনে রাখতে হবে। ২০১১ সালের হিসেবে ১০০০ কোটি টাকা আয়ের কথা বলা হচ্ছে!
মুঘল–ই–আজম ছবিটি রাজপুত্র সেলিমকে নিয়ে। আমরা যাকে জাহাঙ্গীর বলে জানি। সেলিম বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁর বাবা আকবরের বিরুদ্ধে। এই ছবিতে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছিলেন সেলিমের ভূমিকায়। বাবা আকবর হয়েছিলেন রাজ কাপুরের বাবা পৃত্থীরাজ কাপুর। মধুবালা অভিনয় করেছিলেন আনারকলি চরিত্রে। ছবিটি ছিল সাদা–কালো। শুধু দ্বিতীয় ভাগে কিঞ্চিৎ রঙিন ছিল। ২০০৪ সালে পুরো ছবিটি রঙিন করে আবার সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
পাঁচ.
যদিও এই তথ্য অনেকেই জানেন, পত্র–পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে, তারপরও মনে হয়, এখানে উল্লেখ করা দরকার। ব্রিটিশ পরিচালক ডেভিড লিনকে আমরা চিনি লরেন্স অব অ্যারাবিয়া ছবির মাধ্যমে। এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। তিনি সেখানে শেরিফ আলী চরিত্রে দিলীপ কুমারকে চেয়েছিলেন। দিলীপ রাজি হননি। তখন মিসরীয় অভিনেতা ওমর শরিফ ওই চরিত্রে অভিনয় করেন। ওমর শরীফের জীবনে এই ছবি একটি মাইলফলক হয়ে আছে।
যে তথ্য অনেকেই জানেন না, সেটা এখানে বলি। দিলীপ কুমার ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ ছবিটি দেখার পর নির্দ্বিধায় বলেছেন, ‘আমি যদি এই ছবিতে অভিনয় করতাম, তাহলে ওমর শরিফের মতো এত ভালো করতে পারতাম না। তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন।’
ডেভিড লিন ‘তাজমহল’ নামে একটি ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সে ছবির নায়িকা হিসেবে নিয়েছিলেন এলিজাবেথ টেইলরকে। আর নায়ক হিসেবে ভেবেছিলেন দিলীপ কুমারকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি আর হয়নি।
ছয়.
সত্তরের দশকে দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারে ধস নেমেছিল। ছবিগুলো সেভাবে দর্শক টানতে পারছিল না। তবে ১৯৭০ সালটি আমাদের জন্য খুব আনন্দদায়ক। এ বছর তিনি ‘সাগিনা মাহাতো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। দিলীপ কুমার অভিনীত একমাত্র বাংলা ছবি এটি। ১৯৭৪ সালে এই ছবি হিন্দি ভাষায় আবার করেন তিনি। উত্তর–পূর্ব ভারতের একজন চা শ্রমিক চা বাগানের ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তারই বর্ণনা রয়েছে এই ছবিতে। সায়রা বানু, অনিল চ্যাটার্জি, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে। ১৯৭৬ সালে তিনি ছুটি নেন চলচ্চিত্র থেকে। ফিরে আসেন আশির দশকের শুরুতে।
সাত.
লেখাটা এখান থেকেই শুরু করেছিলাম। এ সময় ভিসিআরের মাধ্যমে ছোট পর্দায় দিলীপ কুমারের সঙ্গে মোলাকাত হতে পারত। কিন্তু বিডিআর অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায়ই ট্র্যাজেডির রাজাকে আমরা দেখে ফেলেছিলাম। ‘ক্রান্তি’ ছবিতে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন মনোজ কুমার, শশী কাপুর, হেমা মালিনী, শত্রুঘ্ন সিনহা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন তিনি এই ছবিতে। ভারতের স্বাধীনতার সৈনিক। তারকাবহুল এই ছবি দর্শক লুফে নিয়েছিল। এর পর সুভাষ ঘাইয়ের ‘বিধাতা’। তারপর একই পরিচালকের ‘কর্ম।’ কর্ম নিয়ে একটা কথা বলতে ভালো লাগবে। এই ছবিতে দিলীপ অভিনয় করেছিলেন তাঁরই সমসাময়িক আরেক বড় শিল্পী নুতনের সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, ‘শিকওয়া’ নামের একটি ছবিতে তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন আরও তিন দশক আগে। কিন্তু ছবিটি শেষ করা হয়নি। ১৯৮৯ সালেও দিলীপ–নুতন অভিনয় করেন ‘কানুন আপনা আপনা’ নামে ছবিতে।
শেষ ছবিটি ছিল ‘কিলা’। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এর পর আর অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি।
আট.
এরপরও অনেকগুলো বছর বেঁচেছেন দিলীপ কুমার। বেশ কয়েকবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়েছে আমাদের। পরে তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এবার কিন্তু মৃত্যু সংবাদটা মিথ্যে ছিল না।
৭ জুলাই চলেই গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের শৃঙ্গ স্পর্শ করা এই প্রতিভাবান মানুষটি।

আশির দশকে ‘ক্রান্তি’ বা ‘শক্তি’ নামে নির্মিত সিনেমার মাধ্যমে দিলীপ কুমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হতে পারত। আমাদের বলতে আশির দশকের তরুণদের কথা বলছি। আশির দশকের শুরুতে যখন একটু একটু করে ভিসিআর এসে হাজির হচ্ছে ঢাকা শহরে, সিনেমা হলের মতো টিকিট কেটে হিন্দি ছবি দেখা হচ্ছে বেগমবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায়, সে সময় নির্ঘাত মাঝবয়সী দিলীপ কুমারকে ছোট্ট টিভি স্ক্রিনে দেখার সৌভাগ্য হতো। একসময় এই ভদ্রলোক ‘ট্র্যাজেডি কিং’ উপাধি পেয়েছিলেন, সে কথা পত্র–পত্রিকার লেখালেখির মাধ্যমে রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করা যেত।
ট্র্যাজেডি শব্দটির সঙ্গে উপভোগ শব্দটিকে কি খুবই বিসদৃশ লাগছে? একটু ভেবে দেখলেই পরিষ্কার হবে, আসলে দিলীপ কুমারের ট্র্যাজেডি মানেই বক্স অফিসে 'কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা'। হলভর্তি দর্শক হাপুস নয়নে কাঁদছে, আর প্রযোজকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—এ এক অন্য খেলা! সেই যখন পেশোয়ারে থাকতেন ইউসুফ খান (পরে দিলীপ কুমার), যখন তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন আরেক কিংবদন্তি কাপুর পরিবার, তখনো আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না দিলীপ কুমারদের। কত খাটাখাটনি, বাবার সঙ্গে ঝগড়া, পালিয়ে গিয়ে আর্মি ক্লাবে চাকরি, ফেরার সময় ৫ হাজার রুপি নিয়ে ঘরে ফেরা—নাহ! দিলীপ কুমারের জীবনী এখানে বলার কোনো প্রয়োজন নেই, যারা এ লেখা পড়ছেন, তাঁরা সবাই জানেন দিলীপের জীবনেতিহাস। এখানে শুধু সে কথাই বলার চেষ্টা করছি, আশির দশকে আসলে আমরা কী করে দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। এবং সেটা পেলাম আস্ত রোমান্টিক এবং ট্র্যাজিক কুমারকেই! মাঝবয়সী চরিত্রাভিনেতাকে নয়।
দুই.
এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নিউ ইস্কাটনের বাড়ি থেকে আমাদের নামিয়ে দিল পুলিশ। বাড়ির আসবাবপত্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে লাগল রাস্তায়। আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশের এই কাণ্ডকীর্তি দেখতে লাগলাম। এ সময় আমার কোনো এক ভাই বুঝতে পারল, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে রাত কাটাতে হবে ফুটপাতে। তাই তখনই বাড়ি খুঁজতে বের হলেন তিনি। একটা ভাড়া বাড়ির খুব প্রয়োজন তখন।
সে সময় জিগাতলা পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়ি পাওয়া গেল। সে এক আকস্মিক ব্যাপার। শুধু তাই নয়, মালপত্র নিয়ে সে বাড়ির একতলায় ওঠার পর দোতলায় বসবাসরত বাড়িওয়ালারা আমাদের মুরগি আর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ালেন রাতে। এ রকম ট্র্যাজেডির মধ্যে এ যেন স্বর্গীয় আদর–যত্ন।
এই জিগাতলায় এলাম বলেই তরুণ দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। কী করে তা সম্ভব হলো, সেটাই বলি। নতুন জায়গা। শহরের কেন্দ্র থেকে বেশ খানিকটা দূরে। ধানমন্ডি, রায়ের বাজার, হাজারিবাগ খুব কাছে। ট্যানারির বীভৎস গন্ধ প্রায় সব সময় নাকে এসে লাগে। তারই মধ্যে নতুন জীবন। হেঁটে হেঁটে জায়গাটার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। হাজারীবাগ গিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে কিছু দূর এগোলেই সুইপার কলোনি। সেটা পার হয়ে আরও কিছুটা এগোলে বিডিআর মিলনায়তন। সেখানে গিয়ে দেখি ছবি চলছে। সাধারণ সিনেমা হলের চেয়ে টিকিটের দাম কম। ছবির নাম ‘বাবুল’। অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার আর নার্গিস। দিলীপ কুমার বড়লোকের ছেলে। পোস্টমাস্টার হয়ে এসেছেন এই ছোট্ট শহরে। গরিব বাবার মেয়ে নার্গিস। ছবিতে যার নাম বেলা। বেলা আর অশোকের মধ্যে খুব ভাব। বেলার বাবা ভাবেন, অশোক নিশ্চয়ই বেলাকে বিয়ে করবে। এ সময় উষা নামে একটি ধনী বাবার কন্যার সঙ্গে পরিচয় হয় অশোকের। অশোক হয় তার গৃহশিক্ষক। উষা প্রেমে 'পড়ে' অশোকের।
এর পর এগিয়ে চলে কাহিনি। যারা দেখেননি, তাদের কাছে ছবিটি দেখার আহ্বান থাকল। এর বেশি কাহিনি বলে দিলে দেখার আগ্রহ নষ্ট হতে পারে। তবে এটুকু বলে রাখি, ছবিজুড়ে শামসাদ বেগম আর তালাত মাহমুদের গাওয়া গান মন ভরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ঢাকা শহরের একটি সিনেমা হলে ভারতীয় হিন্দি ছবি! আমাদের জানা ছিল, ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান–ভারতের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার পর ভারতীয় ছবির আগমন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে প্রিন্টগুলো ছিল এখানে, সেগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো হতো। ফলে বিডিআর মিলনায়তনে বাবুল, বৈজু বাওরা, লুকোচুরির মতো ছবিগুলো চলত। খুবই খারাপ প্রিন্ট। কিন্তু বারবার তা দেখতাম। লুকোচুরি মনে হয় কুড়িবারের বেশি দেখেছিলাম, বাবুল দেখেছিলাম দশবারের বেশি।
তিন.
দুঃসংবাদগুলো দিয়ে রাখি।
দিলীপ কুমারের ছোট ভাই নাসির খান মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৭৪ সালে। তিনিও ছিলেন নামকরা চলচ্চিত্র অভিনেতা। বৈজয়ন্তী মালা আর দিলীপ কুমারের সঙ্গে তিনি ‘গঙ্গা যমুনা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
দিলীপ কুমার তাঁর আরও দুই ভাইকে হারিয়েছেন গত বছর। দুজনেই মারা গেছেন কোভিডে। আসলাম খান মারা গেছেন গত বছর আগস্ট মাসে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এহসান খান মারা গেছেন ৯০ বছর বয়সে, গত বছরেরই সেপ্টেম্বরে।
চার.
অমিতাভ বচ্চন বহু আগেই বলেছিলেন, দিলীপ কুমার ভারতের সেরা অভিনেতাদের একজন এবং শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর সেরা অভিনেতাদের অন্যতম।
কথাটা অমিতাভ বাড়িয়ে বলেননি। আমাদের অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, দিলীপ কুমার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু হলে সেরা অভিনেতার পুরস্কারটা পেয়েছিলেন ১৯৫৪ সালে। ‘দাগ’ ছিল ছবিটার নাম। এর পর আরও সাতবার সেই পুরস্কার জুটেছে তাঁর কপালে। সে সময়কার সেরা অভিনেত্রীরা তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন মধুবালা, বৈজয়ন্তী মালা, নার্গিস, নিম্মি, মিনা কুমারী, কামিনী কৌশল।
এখন তো শিল্পকেও নিয়ন্ত্রণ করে বাণিজ্য। সে কারণেই একটি তথ্য এখানে জানিয়ে রাখতে চাই।
পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
এর পর যদি ষাটের দশকের মুঘল–ই–আজম ছবিটির কথা বলি, তাহলে বলতে হবে, ভারতের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ১১ বছর টিকে ছিল সেটা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। ১৯৭১ সালে নির্মিত ‘হাতি মেরা সাথি’ ছবিটি এই রেকর্ড ভঙ্গ করে। এর পর সে রেকর্ডও ভেঙে যায় ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ মুক্তি পাওয়ার পর। তবে অনেকেই বলে থাকেন, যদি মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রাখা হয়, তাহলে ২০১০ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হিসেবে মুঘল–ই আজমকেই সামনে রাখতে হবে। ২০১১ সালের হিসেবে ১০০০ কোটি টাকা আয়ের কথা বলা হচ্ছে!
মুঘল–ই–আজম ছবিটি রাজপুত্র সেলিমকে নিয়ে। আমরা যাকে জাহাঙ্গীর বলে জানি। সেলিম বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁর বাবা আকবরের বিরুদ্ধে। এই ছবিতে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছিলেন সেলিমের ভূমিকায়। বাবা আকবর হয়েছিলেন রাজ কাপুরের বাবা পৃত্থীরাজ কাপুর। মধুবালা অভিনয় করেছিলেন আনারকলি চরিত্রে। ছবিটি ছিল সাদা–কালো। শুধু দ্বিতীয় ভাগে কিঞ্চিৎ রঙিন ছিল। ২০০৪ সালে পুরো ছবিটি রঙিন করে আবার সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
পাঁচ.
যদিও এই তথ্য অনেকেই জানেন, পত্র–পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে, তারপরও মনে হয়, এখানে উল্লেখ করা দরকার। ব্রিটিশ পরিচালক ডেভিড লিনকে আমরা চিনি লরেন্স অব অ্যারাবিয়া ছবির মাধ্যমে। এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। তিনি সেখানে শেরিফ আলী চরিত্রে দিলীপ কুমারকে চেয়েছিলেন। দিলীপ রাজি হননি। তখন মিসরীয় অভিনেতা ওমর শরিফ ওই চরিত্রে অভিনয় করেন। ওমর শরীফের জীবনে এই ছবি একটি মাইলফলক হয়ে আছে।
যে তথ্য অনেকেই জানেন না, সেটা এখানে বলি। দিলীপ কুমার ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ ছবিটি দেখার পর নির্দ্বিধায় বলেছেন, ‘আমি যদি এই ছবিতে অভিনয় করতাম, তাহলে ওমর শরিফের মতো এত ভালো করতে পারতাম না। তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন।’
ডেভিড লিন ‘তাজমহল’ নামে একটি ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সে ছবির নায়িকা হিসেবে নিয়েছিলেন এলিজাবেথ টেইলরকে। আর নায়ক হিসেবে ভেবেছিলেন দিলীপ কুমারকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি আর হয়নি।
ছয়.
সত্তরের দশকে দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারে ধস নেমেছিল। ছবিগুলো সেভাবে দর্শক টানতে পারছিল না। তবে ১৯৭০ সালটি আমাদের জন্য খুব আনন্দদায়ক। এ বছর তিনি ‘সাগিনা মাহাতো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। দিলীপ কুমার অভিনীত একমাত্র বাংলা ছবি এটি। ১৯৭৪ সালে এই ছবি হিন্দি ভাষায় আবার করেন তিনি। উত্তর–পূর্ব ভারতের একজন চা শ্রমিক চা বাগানের ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তারই বর্ণনা রয়েছে এই ছবিতে। সায়রা বানু, অনিল চ্যাটার্জি, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে। ১৯৭৬ সালে তিনি ছুটি নেন চলচ্চিত্র থেকে। ফিরে আসেন আশির দশকের শুরুতে।
সাত.
লেখাটা এখান থেকেই শুরু করেছিলাম। এ সময় ভিসিআরের মাধ্যমে ছোট পর্দায় দিলীপ কুমারের সঙ্গে মোলাকাত হতে পারত। কিন্তু বিডিআর অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায়ই ট্র্যাজেডির রাজাকে আমরা দেখে ফেলেছিলাম। ‘ক্রান্তি’ ছবিতে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন মনোজ কুমার, শশী কাপুর, হেমা মালিনী, শত্রুঘ্ন সিনহা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন তিনি এই ছবিতে। ভারতের স্বাধীনতার সৈনিক। তারকাবহুল এই ছবি দর্শক লুফে নিয়েছিল। এর পর সুভাষ ঘাইয়ের ‘বিধাতা’। তারপর একই পরিচালকের ‘কর্ম।’ কর্ম নিয়ে একটা কথা বলতে ভালো লাগবে। এই ছবিতে দিলীপ অভিনয় করেছিলেন তাঁরই সমসাময়িক আরেক বড় শিল্পী নুতনের সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, ‘শিকওয়া’ নামের একটি ছবিতে তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন আরও তিন দশক আগে। কিন্তু ছবিটি শেষ করা হয়নি। ১৯৮৯ সালেও দিলীপ–নুতন অভিনয় করেন ‘কানুন আপনা আপনা’ নামে ছবিতে।
শেষ ছবিটি ছিল ‘কিলা’। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এর পর আর অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি।
আট.
এরপরও অনেকগুলো বছর বেঁচেছেন দিলীপ কুমার। বেশ কয়েকবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়েছে আমাদের। পরে তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এবার কিন্তু মৃত্যু সংবাদটা মিথ্যে ছিল না।
৭ জুলাই চলেই গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের শৃঙ্গ স্পর্শ করা এই প্রতিভাবান মানুষটি।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৯ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৭ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
২০ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৭ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
২০ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
২০ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৯ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৭ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৯ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৭ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
২০ ঘণ্টা আগে