
ঢাকা: বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমায় বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কলকাতার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর ‘থালাইভি’, ‘আশ্চর্য’, ‘মায়েস্ত্রো’র মতো বড় বাজেটের সিনেমা। সেসব শুটিং শেষ করে ফের কাজ শুরু করেছেন কলকাতায়।
প্রায় দুই বছর পর ‘বাবা, বেবি ও’ দিয়ে কলকাতার ছবিতে ফিরলেন যীশু। শুটিং শেষ। কয়েকটি কারণে প্রত্যাশা বাড়াচ্ছে ছবিটি। প্রথমত, এই সিনেমার জুটি। যীশু-সোলাঙ্কির পর্দার রসায়ন দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা। সোলাঙ্কি রায় সিরিয়াল জগতের পরিচিত মুখ।
ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের জুটি। ছবিটির মূল চরিত্রে দুই শিশু। তাঁদের ঘিরেই গল্প। পর্দায় এই দুই শিশু যীশুর সন্তান। ছবির সেটে সারাক্ষণ সামলাতে হয়েছে দুই শিশুকে।
ছবিতে যে ৪০ বছরের ব্যক্তির গল্প উঠে আসবে, তাঁর নাম মেঘ। এই চরিত্রে দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। তিনি বিয়ে করবেন না বলেই ঠিক করেন, কিন্তু বাবা হতে চান। আর তাই সারোগেসির মাধ্যমে তিনি যমজ সন্তানের বাবা হন।
পরবর্তীকালে ওই দুই সন্তানের বাবা মেঘ একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন। যাঁর নাম বৃষ্টি। এই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে সোলাঙ্কিকে। তিনি আবার মেঘকে পছন্দ করলেও তাঁকে বিবাহিত ভেবে বসেন। আর আসল সমস্যা হলো এটাই যে বৃষ্টি বাচ্চা একেবারেই পছন্দ করে না। আর তা নিয়েই কমেডির মোড়কে রোমান্টিক সিনেমা ‘বাবা, বেবি ও’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে যীশু সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। সব সময় মন ভালো থাকে। একটা ইতিবাচক অনুভূতি কাজ করে। আমি প্রায় এক বছর পর আবার বাংলা ছবিতে কাজ করছি। সব মিলিয়ে এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’
লকডাউনে বাড়িতে বসেই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন জিনিয়া সেন। ২১ মার্চ কলকাতায় শুরু হয়েছিল ছবির শুটিং। ৯ এপ্রিল শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
ছবির প্রযোজক নন্দিতা রায় বলছেন, ‘যীশু সেনগুপ্তর সঙ্গে শেষ কাজ করেছিলাম পোস্ত সিনেমায়। তারপর বাবা, বেবি ও। যীশুর সঙ্গে কাজ করতে সব সময় ভালো লাগে। এই সিনেমার বিষয়বস্তু বেশ অন্য রকম। জিনিয়া চিত্রনাট্য বেশ গুছিয়ে লিখেছেন। আর মেঘের চরিত্রটার জন্য যীশুর থেকে ভালো আর কেউ হতে পারত না।’
উইন্ডোজ প্রযোজিত শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের সিনেমা ‘বেলা শুরু’ মুক্তি পাওয়ার কথা এই মাসের শেষে। প্রযোজনা সংস্থার পরিকল্পনা এরপরই মুক্তি পাবে ‘লক্ষ্মীছেলে’।

ঢাকা: বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমায় বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কলকাতার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর ‘থালাইভি’, ‘আশ্চর্য’, ‘মায়েস্ত্রো’র মতো বড় বাজেটের সিনেমা। সেসব শুটিং শেষ করে ফের কাজ শুরু করেছেন কলকাতায়।
প্রায় দুই বছর পর ‘বাবা, বেবি ও’ দিয়ে কলকাতার ছবিতে ফিরলেন যীশু। শুটিং শেষ। কয়েকটি কারণে প্রত্যাশা বাড়াচ্ছে ছবিটি। প্রথমত, এই সিনেমার জুটি। যীশু-সোলাঙ্কির পর্দার রসায়ন দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা। সোলাঙ্কি রায় সিরিয়াল জগতের পরিচিত মুখ।
ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের জুটি। ছবিটির মূল চরিত্রে দুই শিশু। তাঁদের ঘিরেই গল্প। পর্দায় এই দুই শিশু যীশুর সন্তান। ছবির সেটে সারাক্ষণ সামলাতে হয়েছে দুই শিশুকে।
ছবিতে যে ৪০ বছরের ব্যক্তির গল্প উঠে আসবে, তাঁর নাম মেঘ। এই চরিত্রে দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। তিনি বিয়ে করবেন না বলেই ঠিক করেন, কিন্তু বাবা হতে চান। আর তাই সারোগেসির মাধ্যমে তিনি যমজ সন্তানের বাবা হন।
পরবর্তীকালে ওই দুই সন্তানের বাবা মেঘ একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন। যাঁর নাম বৃষ্টি। এই চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে সোলাঙ্কিকে। তিনি আবার মেঘকে পছন্দ করলেও তাঁকে বিবাহিত ভেবে বসেন। আর আসল সমস্যা হলো এটাই যে বৃষ্টি বাচ্চা একেবারেই পছন্দ করে না। আর তা নিয়েই কমেডির মোড়কে রোমান্টিক সিনেমা ‘বাবা, বেবি ও’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে যীশু সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। সব সময় মন ভালো থাকে। একটা ইতিবাচক অনুভূতি কাজ করে। আমি প্রায় এক বছর পর আবার বাংলা ছবিতে কাজ করছি। সব মিলিয়ে এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’
লকডাউনে বাড়িতে বসেই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন জিনিয়া সেন। ২১ মার্চ কলকাতায় শুরু হয়েছিল ছবির শুটিং। ৯ এপ্রিল শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
ছবির প্রযোজক নন্দিতা রায় বলছেন, ‘যীশু সেনগুপ্তর সঙ্গে শেষ কাজ করেছিলাম পোস্ত সিনেমায়। তারপর বাবা, বেবি ও। যীশুর সঙ্গে কাজ করতে সব সময় ভালো লাগে। এই সিনেমার বিষয়বস্তু বেশ অন্য রকম। জিনিয়া চিত্রনাট্য বেশ গুছিয়ে লিখেছেন। আর মেঘের চরিত্রটার জন্য যীশুর থেকে ভালো আর কেউ হতে পারত না।’
উইন্ডোজ প্রযোজিত শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের সিনেমা ‘বেলা শুরু’ মুক্তি পাওয়ার কথা এই মাসের শেষে। প্রযোজনা সংস্থার পরিকল্পনা এরপরই মুক্তি পাবে ‘লক্ষ্মীছেলে’।

২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছে ‘কিং’ সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। প্রথম ঝলকে অ্যাকশন মুডে চমক দিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর লুকও এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি শাহরুখের কস্টিউম জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
৫ মিনিট আগে
ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
১ দিন আগে
যমজ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও বোন প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ২ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ৩টায়। ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি।
১ দিন আগে
ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় বারবার ফিরে এসেছে মানুষের ছিন্নমূল হওয়ার যন্ত্রণাদীর্ণ জীবনগাথা, সম্পর্কের জটিলতা ও ভাঙন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় সেখান থেকে সরে এসে একটি জনপদে বহমান জীবনকে পর্দায় প্রতিফলিত করেন তিনি। এ সিনেমা তৈরি হওয়ার গল্প জানিয়েছেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছে ‘কিং’ সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। প্রথম ঝলকে অ্যাকশন মুডে চমক দিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর লুকও এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি শাহরুখের কস্টিউম জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওটির একটি দৃশ্যে শাহরুখকে দেখা যায়, নীল শার্টের সঙ্গে মাস্টার্ড ইয়েলো জ্যাকেট পরা, চোখে কালো চশমা। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে দাবি করেন, শাহরুখের এই লুক হলিউডের ‘এফ ওয়ান’ সিনেমায় ব্র্যাড পিটের লুক থেকে কপি করা। অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে নকল করেই তিনি এমন পোশাক পরেছেন, চুলের রং সাদা করেছেন। তবে শাহরুখ ভক্তরা প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা মেনে নিতে নারাজ। এবার শাহরুখের এই লুক নিয়ে কথা বললেন কিং সিনেমার নির্মাতা সিদ্ধার্থ আনন্দ।
শাহরুখ ও পিটের কস্টিউম নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বইছে, তখন আপনা বলিউড নামের এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, ‘হেটার্সদের যুক্তিগুলো বেশ মজার। বলিউড সিনেমায় যদি ফাইটার জেট থাকে, তবে সেটি টপ গানের নকল। জাহাজ হলে টাইটানিকের নকল। পোশাক মিলে গেলে এফ ওয়ানের নকল, কমলা রঙের পোশাক মানে হিন্দুবিরোধী, এদের আইকিউ লেভেল যেন সেই ১৯৪৭ সাল থেকে বাফারিং হয়েই চলেছে।’

ওই পোস্টে কোলাজ করা কিং এবং এফ ওয়ান সিনেমার ছবির সঙ্গে ‘জব হ্যারি মেট সেজল’ সিনেমার একটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে শাহরুখকে একই ধরনের পোশাকে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, শাহরুখ তো একই ধরনের পোশাক আট বছর আগেই পরেছেন। সেই পোস্টে দুটি হাসির ইমোজি দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। এর আগে তাঁর ‘ফাইটার’ সিনেমাকে ‘টপ গান’-এর নকল বলা হয়েছিল। আবার শাহরুখের ‘পাঠান’ সিনেমায় দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনি নিয়েও উঠেছিল ধর্মীয় বিতর্ক।
কিং সিনেমার শুটিং এখনো চলছে। এতে শাহরুখ ছাড়া আরও আছেন দীপিকা পাড়ুকোন, অভিষেক বচ্চন, অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফ, আরশাদ ওয়ারসি, সুহানা খান প্রমুখ। অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওতে ঘোষণা করা হয়েছে, ২০২৬ সালে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছে ‘কিং’ সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। প্রথম ঝলকে অ্যাকশন মুডে চমক দিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর লুকও এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি শাহরুখের কস্টিউম জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওটির একটি দৃশ্যে শাহরুখকে দেখা যায়, নীল শার্টের সঙ্গে মাস্টার্ড ইয়েলো জ্যাকেট পরা, চোখে কালো চশমা। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে দাবি করেন, শাহরুখের এই লুক হলিউডের ‘এফ ওয়ান’ সিনেমায় ব্র্যাড পিটের লুক থেকে কপি করা। অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে নকল করেই তিনি এমন পোশাক পরেছেন, চুলের রং সাদা করেছেন। তবে শাহরুখ ভক্তরা প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা মেনে নিতে নারাজ। এবার শাহরুখের এই লুক নিয়ে কথা বললেন কিং সিনেমার নির্মাতা সিদ্ধার্থ আনন্দ।
শাহরুখ ও পিটের কস্টিউম নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বইছে, তখন আপনা বলিউড নামের এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, ‘হেটার্সদের যুক্তিগুলো বেশ মজার। বলিউড সিনেমায় যদি ফাইটার জেট থাকে, তবে সেটি টপ গানের নকল। জাহাজ হলে টাইটানিকের নকল। পোশাক মিলে গেলে এফ ওয়ানের নকল, কমলা রঙের পোশাক মানে হিন্দুবিরোধী, এদের আইকিউ লেভেল যেন সেই ১৯৪৭ সাল থেকে বাফারিং হয়েই চলেছে।’

ওই পোস্টে কোলাজ করা কিং এবং এফ ওয়ান সিনেমার ছবির সঙ্গে ‘জব হ্যারি মেট সেজল’ সিনেমার একটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে শাহরুখকে একই ধরনের পোশাকে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, শাহরুখ তো একই ধরনের পোশাক আট বছর আগেই পরেছেন। সেই পোস্টে দুটি হাসির ইমোজি দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। এর আগে তাঁর ‘ফাইটার’ সিনেমাকে ‘টপ গান’-এর নকল বলা হয়েছিল। আবার শাহরুখের ‘পাঠান’ সিনেমায় দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনি নিয়েও উঠেছিল ধর্মীয় বিতর্ক।
কিং সিনেমার শুটিং এখনো চলছে। এতে শাহরুখ ছাড়া আরও আছেন দীপিকা পাড়ুকোন, অভিষেক বচ্চন, অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফ, আরশাদ ওয়ারসি, সুহানা খান প্রমুখ। অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওতে ঘোষণা করা হয়েছে, ২০২৬ সালে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

ছবিতে যে ৪০ বছরের ব্যক্তির গল্প উঠে আসবে, তাঁর নাম মেঘ। এই চরিত্রে দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। তিনি বিয়ে করবেন না বলেই ঠিক করেন, কিন্তু বাবা হতে চান। আর তাই সারোগেসির মাধ্যমে তিনি যমজ সন্তানের বাবা হন।
১০ মে ২০২১
ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
১ দিন আগে
যমজ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও বোন প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ২ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ৩টায়। ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি।
১ দিন আগে
ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় বারবার ফিরে এসেছে মানুষের ছিন্নমূল হওয়ার যন্ত্রণাদীর্ণ জীবনগাথা, সম্পর্কের জটিলতা ও ভাঙন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় সেখান থেকে সরে এসে একটি জনপদে বহমান জীবনকে পর্দায় প্রতিফলিত করেন তিনি। এ সিনেমা তৈরি হওয়ার গল্প জানিয়েছেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক। তাঁর হাতেই অনেকখানি জীবনবোধ শিখেছে, আন্তর্জাতিকতা পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। ঢাকায় তাঁর জন্ম। রাজশাহীতে যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। দেশভাগের কারণে ঠাঁই হয় কলকাতায়। নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এই কষ্ট সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর প্রতিটি কাজেও সেটাই হয়ে উঠেছে প্রধান বিষয়। আজ এই বাংলা চলচ্চিত্রের দামাল প্রতিভার জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

ঋত্বিক আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি
সত্যজিৎ রায়, নির্মাতা
ঋত্বিকের সঙ্গে সামনাসামনি পরিচয় হবার আগে আমি তাঁকে প্রথম চিনি নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমার অভিনেতা হিসেবে। অরোরা কোম্পানির আপিসে ঋত্বিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তার কিছু আগে ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পেয়েছে, ঋত্বিক সে ছবি দেখেছে, এবং তার খুব বেশি রকম ভালো লেগেছিল। সে কথা সে প্রাণ খুলে আমার কাছে বলে। কিন্তু আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছিল, সে যেভাবে ছবিটাকে বিশ্লেষণ করেছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল, ঋত্বিক যদি ছবি করে তাহলে সে খুবই ভালো করবে।
‘অযান্ত্রিক’ ছবির প্রথম শোতে আমি উপস্থিত ছিলাম। দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, একজন সত্যিকারের শিল্পী যদি কাজের সুযোগ পায়, তাহলে সে কতটা এগিয়ে যেতে পারে! উনিশ শ ত্রিশ বা পঁচিশ থেকে শুরু করে প্রায় ষাট অবধি আমরা হলিউডের বাইরে খুব বেশি ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। আমাদের সকলের মধ্যেই তাই কিছু কিছু হলিউডের প্রভাব ঢুকে পড়েছে। কিন্তু ঋত্বিক এক রহস্যময় কারণে সম্পূর্ণ সে প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল, তার মধ্যে হলিউডের কোনো ছাপ নেই। এটা যে কী করে হয়েছে, সেটা আমার কাছে রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। ঋত্বিক মনেপ্রাণে বাঙালি পরিচালক ছিল, বাঙালি শিল্পী ছিল—আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি। আমার কাছে সেইটেই তার সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং তার সবচেয়ে মূল্যবান এবং লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া
মৃণাল সেন, নির্মাতা
ঋত্বিক, সলিল চৌধুরী, তাপস সেন, হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় আর আমি; এই নিয়ে আমাদের একটা ছোট্ট দল ছিল তখন। কখনো বিজন ভট্টাচার্য এসে জুটতেন, কখনোবা কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋত্বিক ছিল দলের সবচেয়ে লম্বাটে, সবচেয়ে রোগাটে এবং অবশ্যই সবচেয়ে ডাকসাইটে শরিক। সকাল হতেই বেরিয়ে পড়তাম, হাজরা রোডের ওপর ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে ভিড় করতাম। সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চলত একটানা আসর। সূর্যের তলায় যা কিছু ছিল সবই তুলে ধরতাম চায়ের টেবিলে, বিচারে আর বিশ্লেষণে মুখর হয়ে উঠতাম প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু বারবার নানা কথার মধ্যেও যে প্রশ্নে, যে তর্কে, যে বিষয়ে ফিরে আসতাম তা হলো সিনেমা। সিনেমাকে বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে আমরা চলতে শিখেছিলাম সেদিন থেকেই। এই প্রাণচঞ্চল আসরগুলোয় যার গলা সবচেয়ে উঁচু পর্দায় বাঁধা ছিল, সে হলো ঋত্বিক। ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া। কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করত না।
ঋত্বিকের বেপরোয়া মেজাজ পরবর্তীকালে দর্শক প্রত্যক্ষ করেছেন ‘অযান্ত্রিক’-এ, ‘মেঘে ঢাকা তারা’য়, ‘সুবর্ণরেখা’য়, ওর কথাবার্তায়, ওর লিখিত বক্তব্যে। আমরা ঝগড়াও করেছি প্রচুর। তখন এবং পরবর্তী জীবনে। ঝগড়া করেছি, মতান্তর ঘটেছে, আবার সময় আর ঘটনার মধ্য দিয়ে মিশে গিয়েছি আগেকার মতোই, একসঙ্গে চলেছি।

অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো
মার্টিন স্করসেসি, হলিউড নির্মাতা
সত্যজিৎ রায় একবার ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে হয়তো হলিউডের অস্তিত্বই ছিল না কখনো। কথাটা খুবই দারুণ লেগেছিল। আমরা ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট শুরু করি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো অনেক সিনেমা আড়ালে পড়ে গেছে, সেসব সিনেমাকে সংরক্ষণ করে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। অনেক সময় এমন হয়, নির্মাতার জীবদ্দশায় তাঁর কাজের যথেষ্ট স্বীকৃতি মেলে না। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল। জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন তিনি।
অনেক বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে ভারতীয় চলচ্চিত্র মানেই ছিল সত্যজিৎ রায়। তারপর আসে বলিউড। সময় যত গড়িয়েছে, আমাদের দৃষ্টিসীমা যত প্রসারিত হয়েছে, ঋত্বিক ঘটকের মতো অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘নাগরিক’ তৈরি হয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’রও বছরখানেক আগে। সময়মতো মুক্তি পেলে এটিই হতে পারত প্রথম বাংলা আর্ট ফিল্ম। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ শিল্পী ছিলেন ঘটক। মাত্র ৮টি সিনেমা তৈরি করেছেন। তবে সিনেমা সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই পরিষ্কার। তাঁর প্রতিটি সিনেমা ভিজ্যুয়ালি এবং থিমের জায়গা থেকে খুবই সমৃদ্ধ। ভারতের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো।
একনজরে ঋত্বিক ঘটক

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক। তাঁর হাতেই অনেকখানি জীবনবোধ শিখেছে, আন্তর্জাতিকতা পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। ঢাকায় তাঁর জন্ম। রাজশাহীতে যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। দেশভাগের কারণে ঠাঁই হয় কলকাতায়। নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এই কষ্ট সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর প্রতিটি কাজেও সেটাই হয়ে উঠেছে প্রধান বিষয়। আজ এই বাংলা চলচ্চিত্রের দামাল প্রতিভার জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

ঋত্বিক আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি
সত্যজিৎ রায়, নির্মাতা
ঋত্বিকের সঙ্গে সামনাসামনি পরিচয় হবার আগে আমি তাঁকে প্রথম চিনি নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমার অভিনেতা হিসেবে। অরোরা কোম্পানির আপিসে ঋত্বিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তার কিছু আগে ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পেয়েছে, ঋত্বিক সে ছবি দেখেছে, এবং তার খুব বেশি রকম ভালো লেগেছিল। সে কথা সে প্রাণ খুলে আমার কাছে বলে। কিন্তু আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছিল, সে যেভাবে ছবিটাকে বিশ্লেষণ করেছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল, ঋত্বিক যদি ছবি করে তাহলে সে খুবই ভালো করবে।
‘অযান্ত্রিক’ ছবির প্রথম শোতে আমি উপস্থিত ছিলাম। দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, একজন সত্যিকারের শিল্পী যদি কাজের সুযোগ পায়, তাহলে সে কতটা এগিয়ে যেতে পারে! উনিশ শ ত্রিশ বা পঁচিশ থেকে শুরু করে প্রায় ষাট অবধি আমরা হলিউডের বাইরে খুব বেশি ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। আমাদের সকলের মধ্যেই তাই কিছু কিছু হলিউডের প্রভাব ঢুকে পড়েছে। কিন্তু ঋত্বিক এক রহস্যময় কারণে সম্পূর্ণ সে প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল, তার মধ্যে হলিউডের কোনো ছাপ নেই। এটা যে কী করে হয়েছে, সেটা আমার কাছে রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। ঋত্বিক মনেপ্রাণে বাঙালি পরিচালক ছিল, বাঙালি শিল্পী ছিল—আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি। আমার কাছে সেইটেই তার সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং তার সবচেয়ে মূল্যবান এবং লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া
মৃণাল সেন, নির্মাতা
ঋত্বিক, সলিল চৌধুরী, তাপস সেন, হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় আর আমি; এই নিয়ে আমাদের একটা ছোট্ট দল ছিল তখন। কখনো বিজন ভট্টাচার্য এসে জুটতেন, কখনোবা কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋত্বিক ছিল দলের সবচেয়ে লম্বাটে, সবচেয়ে রোগাটে এবং অবশ্যই সবচেয়ে ডাকসাইটে শরিক। সকাল হতেই বেরিয়ে পড়তাম, হাজরা রোডের ওপর ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে ভিড় করতাম। সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চলত একটানা আসর। সূর্যের তলায় যা কিছু ছিল সবই তুলে ধরতাম চায়ের টেবিলে, বিচারে আর বিশ্লেষণে মুখর হয়ে উঠতাম প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু বারবার নানা কথার মধ্যেও যে প্রশ্নে, যে তর্কে, যে বিষয়ে ফিরে আসতাম তা হলো সিনেমা। সিনেমাকে বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে আমরা চলতে শিখেছিলাম সেদিন থেকেই। এই প্রাণচঞ্চল আসরগুলোয় যার গলা সবচেয়ে উঁচু পর্দায় বাঁধা ছিল, সে হলো ঋত্বিক। ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া। কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করত না।
ঋত্বিকের বেপরোয়া মেজাজ পরবর্তীকালে দর্শক প্রত্যক্ষ করেছেন ‘অযান্ত্রিক’-এ, ‘মেঘে ঢাকা তারা’য়, ‘সুবর্ণরেখা’য়, ওর কথাবার্তায়, ওর লিখিত বক্তব্যে। আমরা ঝগড়াও করেছি প্রচুর। তখন এবং পরবর্তী জীবনে। ঝগড়া করেছি, মতান্তর ঘটেছে, আবার সময় আর ঘটনার মধ্য দিয়ে মিশে গিয়েছি আগেকার মতোই, একসঙ্গে চলেছি।

অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো
মার্টিন স্করসেসি, হলিউড নির্মাতা
সত্যজিৎ রায় একবার ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে হয়তো হলিউডের অস্তিত্বই ছিল না কখনো। কথাটা খুবই দারুণ লেগেছিল। আমরা ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট শুরু করি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো অনেক সিনেমা আড়ালে পড়ে গেছে, সেসব সিনেমাকে সংরক্ষণ করে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। অনেক সময় এমন হয়, নির্মাতার জীবদ্দশায় তাঁর কাজের যথেষ্ট স্বীকৃতি মেলে না। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল। জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন তিনি।
অনেক বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে ভারতীয় চলচ্চিত্র মানেই ছিল সত্যজিৎ রায়। তারপর আসে বলিউড। সময় যত গড়িয়েছে, আমাদের দৃষ্টিসীমা যত প্রসারিত হয়েছে, ঋত্বিক ঘটকের মতো অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘নাগরিক’ তৈরি হয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’রও বছরখানেক আগে। সময়মতো মুক্তি পেলে এটিই হতে পারত প্রথম বাংলা আর্ট ফিল্ম। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ শিল্পী ছিলেন ঘটক। মাত্র ৮টি সিনেমা তৈরি করেছেন। তবে সিনেমা সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই পরিষ্কার। তাঁর প্রতিটি সিনেমা ভিজ্যুয়ালি এবং থিমের জায়গা থেকে খুবই সমৃদ্ধ। ভারতের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো।
একনজরে ঋত্বিক ঘটক

ছবিতে যে ৪০ বছরের ব্যক্তির গল্প উঠে আসবে, তাঁর নাম মেঘ। এই চরিত্রে দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। তিনি বিয়ে করবেন না বলেই ঠিক করেন, কিন্তু বাবা হতে চান। আর তাই সারোগেসির মাধ্যমে তিনি যমজ সন্তানের বাবা হন।
১০ মে ২০২১
২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছে ‘কিং’ সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। প্রথম ঝলকে অ্যাকশন মুডে চমক দিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর লুকও এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি শাহরুখের কস্টিউম জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
৫ মিনিট আগে
যমজ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও বোন প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ২ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ৩টায়। ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি।
১ দিন আগে
ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় বারবার ফিরে এসেছে মানুষের ছিন্নমূল হওয়ার যন্ত্রণাদীর্ণ জীবনগাথা, সম্পর্কের জটিলতা ও ভাঙন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় সেখান থেকে সরে এসে একটি জনপদে বহমান জীবনকে পর্দায় প্রতিফলিত করেন তিনি। এ সিনেমা তৈরি হওয়ার গল্প জানিয়েছেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

যমজ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও বোন প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ২ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ৩টায়। ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অভিনেতা আবুল হায়াত, মফিদুল হক, সুলতানা কামালসহ অনেকে।
রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটকের বসতভিটায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি। আজ বিকেল ৪টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত, প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিককে নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর বায়োপিক ‘মেঘে ঢাকা তারা’র প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম হাতে নিয়েছে বছরব্যাপী ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠান। আজ বিকেল ৫টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে রয়েছে উদ্বোধনী আয়োজন। প্রদর্শিত হবে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।
আজ বিকেল ৪টায় রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ সেমিনার ‘ঋত্বিক ঘটকের তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্র: মালো জীবন-বাস্তবতার মহাকাব্যিক নির্মাণ’। উপস্থিত থাকবেন হাবিবুর রহমান খান, ড. মো. সেলিম রেজা, অধ্যাপক ড. ফাহমিদা আক্তার, ড. জাকির হোসেন রাজু ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আজ বেলা ৩টায় রয়েছে ‘শতবর্ষে ঋত্বিক ঘটক’। স্মারক বক্তৃতা দেবেন মইনুদ্দীন খালেদ। বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘কোমল গান্ধার’ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘অযান্ত্রিক’। আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ।
জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আয়োজনে লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ বিকেল ৪টায় রয়েছে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন। থাকবে প্রবন্ধ পাঠ, মুক্ত আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
চট্টগ্রাম ফিল্ম ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান। ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে দেখানো হবে ‘মেঘে ঢাকা তারা’ এবং ৮ নভেম্বর ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। ১৪ নভেম্বর একই স্থানে থাকবে স্মারক বক্তৃতা।

যমজ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও বোন প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ২ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ৩টায়। ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অভিনেতা আবুল হায়াত, মফিদুল হক, সুলতানা কামালসহ অনেকে।
রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটকের বসতভিটায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি। আজ বিকেল ৪টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত, প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিককে নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর বায়োপিক ‘মেঘে ঢাকা তারা’র প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম হাতে নিয়েছে বছরব্যাপী ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠান। আজ বিকেল ৫টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে রয়েছে উদ্বোধনী আয়োজন। প্রদর্শিত হবে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।
আজ বিকেল ৪টায় রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ সেমিনার ‘ঋত্বিক ঘটকের তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্র: মালো জীবন-বাস্তবতার মহাকাব্যিক নির্মাণ’। উপস্থিত থাকবেন হাবিবুর রহমান খান, ড. মো. সেলিম রেজা, অধ্যাপক ড. ফাহমিদা আক্তার, ড. জাকির হোসেন রাজু ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আজ বেলা ৩টায় রয়েছে ‘শতবর্ষে ঋত্বিক ঘটক’। স্মারক বক্তৃতা দেবেন মইনুদ্দীন খালেদ। বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘কোমল গান্ধার’ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘অযান্ত্রিক’। আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ।
জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আয়োজনে লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ বিকেল ৪টায় রয়েছে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন। থাকবে প্রবন্ধ পাঠ, মুক্ত আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
চট্টগ্রাম ফিল্ম ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠান। ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে দেখানো হবে ‘মেঘে ঢাকা তারা’ এবং ৮ নভেম্বর ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। ১৪ নভেম্বর একই স্থানে থাকবে স্মারক বক্তৃতা।

ছবিতে যে ৪০ বছরের ব্যক্তির গল্প উঠে আসবে, তাঁর নাম মেঘ। এই চরিত্রে দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। তিনি বিয়ে করবেন না বলেই ঠিক করেন, কিন্তু বাবা হতে চান। আর তাই সারোগেসির মাধ্যমে তিনি যমজ সন্তানের বাবা হন।
১০ মে ২০২১
২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছে ‘কিং’ সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। প্রথম ঝলকে অ্যাকশন মুডে চমক দিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর লুকও এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি শাহরুখের কস্টিউম জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
৫ মিনিট আগে
ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
১ দিন আগে
ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় বারবার ফিরে এসেছে মানুষের ছিন্নমূল হওয়ার যন্ত্রণাদীর্ণ জীবনগাথা, সম্পর্কের জটিলতা ও ভাঙন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় সেখান থেকে সরে এসে একটি জনপদে বহমান জীবনকে পর্দায় প্রতিফলিত করেন তিনি। এ সিনেমা তৈরি হওয়ার গল্প জানিয়েছেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় বারবার ফিরে এসেছে মানুষের ছিন্নমূল হওয়ার যন্ত্রণাদীর্ণ জীবনগাথা, সম্পর্কের জটিলতা ও ভাঙন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় সেখান থেকে সরে এসে একটি জনপদে বহমান জীবনকে পর্দায় প্রতিফলিত করেন তিনি। এ সিনেমা তৈরি হওয়ার গল্প জানিয়েছেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।
১৯৬৪-৬৫ সালে পত্রপত্রিকায় ঋত্বিক ঘটকের কিছু লেখা পড়ে আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের উপায় হয় ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একুশে ফেব্রুয়ারি পালন উপলক্ষে আমাদের এক সংগঠনের আয়োজনে সত্যজিৎ রায়, শ্যামল মিত্র ঢাকায় আসেন। সত্যজিৎ রায়ের পিএস বরুণ বক্সি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সত্যজিৎ বাবুর ছবি করবেন?’ বললাম, সিনেমা একটি করতে পারি, যদি ঋত্বিক ঘটককে পাওয়া যায়। মাস দেড়েক পরে ফোন দিলেন, ‘ঋত্বিককে পেয়েছি, চলে আসেন’। চলে গেলাম। ঋত্বিকের সঙ্গে দেখা হলো, কথা হলো। তাঁর ছবি দেখলাম, স্পেশালি অ্যারেঞ্জ করা হলো ‘সুবর্ণরেখা’। দেখার পর মনে হচ্ছিল, কোনো মানুষ এই ছবি বানায়নি। তাঁকে বললাম, ‘আমি আপনার কোন সিনেমা করব?’ তিনি বললেন, ‘আমার তো তিতাস করার শখ।’ বললাম, ডান। একটি ট্রাস্টের কাছে তিতাসের রাইট ছিল। তাতে ট্রাস্টি ছিলেন সত্যজিৎ রায়। যখন জানালাম, আমরা ঋত্বিক ঘটককে দিয়ে উপন্যাসটি অবলম্বনে সিনেমা করতে চাই, তখন সত্যজিৎ বলেন, ‘ঋত্বিকবাবু যদি করেন, তাহলে এটি দেওয়া যেতে পারে।’
ঋত্বিক ঘটককে লোকেশন দেখানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে এলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আরিচা, নারায়ণগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে লোকেশন দেখলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই শুটিং শুরু হয়েছে, ১৯৭৩ সালের ২৭ জুলাই রিলিজ হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি দিন ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে এক খাটে ঘুমিয়েছি, যতবার ইন্ডিয়ায় গেছেন, সঙ্গে গেছি। এক কাজে মুম্বাই গেলেন, আমিও গেলাম। তাঁর তো ঠিক নেই, খেয়ালি মানুষ—তাই সব সময় তাঁর সঙ্গে থাকতাম।
কলাকুশলী, অভিনেতা—সব তিনি দেখে দেখে নিয়েছেন। আমরা তাঁকে সাহায্য করেছি। তিতাসের পারে প্রায় ২৫ শতাংশ শুটিং হয়েছে। সেখানে আমরা সেট তৈরি করে শুটিং করেছি। আমাদের কাছে একটি বড় জেনারেটর ছিল, সেটি লঞ্চের সঙ্গে বাঁধা থাকত। তখন বর্ষাকাল, পানি অনেক। কোনো অসুবিধা ছিল না। যেখানে খুশি জেনারেটর লাগিয়ে নিতাম। লঞ্চে অবশ্য অনেক কষ্ট করে শুটিং ইউনিট থাকত। এফডিসিতে তিন-চার দিন ইনডোর শুটিং হয়েছে। জেলেপাড়ার শুটিং দুই জায়গায় হয়েছে। কিছু আরিচায়, কিছু তিতাসের ঘাটে।
শুটিং, ডাবিং—সব কাজেই ছিলেন ঋত্বিক ঘটক। এডিটিংয়ের শেষ পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় এডিটরকে বললেন, ‘এই বাকিটুকু কেটেকুটে ছবিটিকে রিলিজ করে দেবেন।’ বললাম, আর কেউ আপনার ছবিতে হাত দেবে না। লিখে দেন। তিনি এডিটরকে লিখিত পারমিশন দিয়ে গেলেন। সুস্থ হয়ে ফিরে এসে দু-তিনটি শট অ্যাডজাস্ট করা ছাড়া আর কিছুই করেননি। অনেকে মনে করেন, তিনি এডিট করেননি। সব বাজে কথা। এখন আমরা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ যেভাবে দেখি, সেটি তাঁরই পরিকল্পনায়, ঋত্বিকেরই হাতে তৈরি।
এ সিনেমায় ঋত্বিক ঘটক আর ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান ছাড়া বাইরের কেউ কাজ করেননি। সবাই বাংলাদেশের। ক্যামেরা, এডিটিং, সাউন্ড—সবই এখানকার। তিতাস একটি কমপ্লিট বাংলাদেশি ফিল্ম। কোনোভাবেই যৌথ প্রযোজনার নয়। তিতাস করতে খরচ হয়েছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তখন ১ লাখ টাকায় একটি সিনেমা হতো। আমার আট গুণ খরচ হয়েছিল। ফেরত এসেছিল এক লাখ ২৩ হাজার টাকা। আমি এখনো বছরে এক-দুইবার দেখি সিনেমাটি। যত বয়স বাড়ছে, ততই ভিন্নমাত্রায় তিতাস ধরা পড়ছে আমার চোখে।

ঋত্বিক ঘটকের সিনেমায় বারবার ফিরে এসেছে মানুষের ছিন্নমূল হওয়ার যন্ত্রণাদীর্ণ জীবনগাথা, সম্পর্কের জটিলতা ও ভাঙন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় সেখান থেকে সরে এসে একটি জনপদে বহমান জীবনকে পর্দায় প্রতিফলিত করেন তিনি। এ সিনেমা তৈরি হওয়ার গল্প জানিয়েছেন প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।
১৯৬৪-৬৫ সালে পত্রপত্রিকায় ঋত্বিক ঘটকের কিছু লেখা পড়ে আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের উপায় হয় ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একুশে ফেব্রুয়ারি পালন উপলক্ষে আমাদের এক সংগঠনের আয়োজনে সত্যজিৎ রায়, শ্যামল মিত্র ঢাকায় আসেন। সত্যজিৎ রায়ের পিএস বরুণ বক্সি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সত্যজিৎ বাবুর ছবি করবেন?’ বললাম, সিনেমা একটি করতে পারি, যদি ঋত্বিক ঘটককে পাওয়া যায়। মাস দেড়েক পরে ফোন দিলেন, ‘ঋত্বিককে পেয়েছি, চলে আসেন’। চলে গেলাম। ঋত্বিকের সঙ্গে দেখা হলো, কথা হলো। তাঁর ছবি দেখলাম, স্পেশালি অ্যারেঞ্জ করা হলো ‘সুবর্ণরেখা’। দেখার পর মনে হচ্ছিল, কোনো মানুষ এই ছবি বানায়নি। তাঁকে বললাম, ‘আমি আপনার কোন সিনেমা করব?’ তিনি বললেন, ‘আমার তো তিতাস করার শখ।’ বললাম, ডান। একটি ট্রাস্টের কাছে তিতাসের রাইট ছিল। তাতে ট্রাস্টি ছিলেন সত্যজিৎ রায়। যখন জানালাম, আমরা ঋত্বিক ঘটককে দিয়ে উপন্যাসটি অবলম্বনে সিনেমা করতে চাই, তখন সত্যজিৎ বলেন, ‘ঋত্বিকবাবু যদি করেন, তাহলে এটি দেওয়া যেতে পারে।’
ঋত্বিক ঘটককে লোকেশন দেখানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে এলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আরিচা, নারায়ণগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে লোকেশন দেখলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই শুটিং শুরু হয়েছে, ১৯৭৩ সালের ২৭ জুলাই রিলিজ হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি দিন ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে এক খাটে ঘুমিয়েছি, যতবার ইন্ডিয়ায় গেছেন, সঙ্গে গেছি। এক কাজে মুম্বাই গেলেন, আমিও গেলাম। তাঁর তো ঠিক নেই, খেয়ালি মানুষ—তাই সব সময় তাঁর সঙ্গে থাকতাম।
কলাকুশলী, অভিনেতা—সব তিনি দেখে দেখে নিয়েছেন। আমরা তাঁকে সাহায্য করেছি। তিতাসের পারে প্রায় ২৫ শতাংশ শুটিং হয়েছে। সেখানে আমরা সেট তৈরি করে শুটিং করেছি। আমাদের কাছে একটি বড় জেনারেটর ছিল, সেটি লঞ্চের সঙ্গে বাঁধা থাকত। তখন বর্ষাকাল, পানি অনেক। কোনো অসুবিধা ছিল না। যেখানে খুশি জেনারেটর লাগিয়ে নিতাম। লঞ্চে অবশ্য অনেক কষ্ট করে শুটিং ইউনিট থাকত। এফডিসিতে তিন-চার দিন ইনডোর শুটিং হয়েছে। জেলেপাড়ার শুটিং দুই জায়গায় হয়েছে। কিছু আরিচায়, কিছু তিতাসের ঘাটে।
শুটিং, ডাবিং—সব কাজেই ছিলেন ঋত্বিক ঘটক। এডিটিংয়ের শেষ পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় এডিটরকে বললেন, ‘এই বাকিটুকু কেটেকুটে ছবিটিকে রিলিজ করে দেবেন।’ বললাম, আর কেউ আপনার ছবিতে হাত দেবে না। লিখে দেন। তিনি এডিটরকে লিখিত পারমিশন দিয়ে গেলেন। সুস্থ হয়ে ফিরে এসে দু-তিনটি শট অ্যাডজাস্ট করা ছাড়া আর কিছুই করেননি। অনেকে মনে করেন, তিনি এডিট করেননি। সব বাজে কথা। এখন আমরা ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ যেভাবে দেখি, সেটি তাঁরই পরিকল্পনায়, ঋত্বিকেরই হাতে তৈরি।
এ সিনেমায় ঋত্বিক ঘটক আর ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান ছাড়া বাইরের কেউ কাজ করেননি। সবাই বাংলাদেশের। ক্যামেরা, এডিটিং, সাউন্ড—সবই এখানকার। তিতাস একটি কমপ্লিট বাংলাদেশি ফিল্ম। কোনোভাবেই যৌথ প্রযোজনার নয়। তিতাস করতে খরচ হয়েছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তখন ১ লাখ টাকায় একটি সিনেমা হতো। আমার আট গুণ খরচ হয়েছিল। ফেরত এসেছিল এক লাখ ২৩ হাজার টাকা। আমি এখনো বছরে এক-দুইবার দেখি সিনেমাটি। যত বয়স বাড়ছে, ততই ভিন্নমাত্রায় তিতাস ধরা পড়ছে আমার চোখে।

ছবিতে যে ৪০ বছরের ব্যক্তির গল্প উঠে আসবে, তাঁর নাম মেঘ। এই চরিত্রে দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। তিনি বিয়ে করবেন না বলেই ঠিক করেন, কিন্তু বাবা হতে চান। আর তাই সারোগেসির মাধ্যমে তিনি যমজ সন্তানের বাবা হন।
১০ মে ২০২১
২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিনে প্রকাশ পেয়েছে ‘কিং’ সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। প্রথম ঝলকে অ্যাকশন মুডে চমক দিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর লুকও এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি শাহরুখের কস্টিউম জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
৫ মিনিট আগে
ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
১ দিন আগে
যমজ ঋত্বিক কুমার ঘটক ও বোন প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ২ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ৩টায়। ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঋত্বিক কুমার ঘটক ও প্রতীতি দেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি।
১ দিন আগে