Ajker Patrika

তিন ডাকসাইটের চোখে সত্যজিৎ

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৪: ৪৫
তিন ডাকসাইটের চোখে সত্যজিৎ

যে তিনজন মানুষ সত্যজিৎ রায়ের বিষয়ে এখানে কথা বলেছেন, একবারের জন্য হলেও সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা উপলক্ষে তাঁদের দেখা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।

১৯৭৫ সালে সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে। সেখান থেকেই এই লেখাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। সে সংকলনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখার্জী, শর্মিলা ঠাকুরসহ ভারতের আরও কয়েকজন শিল্পীর চোখে সত্যজিৎ রায় কেমন ছিলেন, তার বর্ণনা আছে। আমরা তো সেগুলো বাংলাতেই পড়ে নিতে পারব। এখানে ভিনদেশী তিন চলচ্চিত্র বোদ্ধার কথাই শুনি বরং।

জর্জ সাদ্যুল ছিলেন তুখোড় ফরাসী সাংবাদিক। চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতেন তিনি। ছিলেন স্যুরিয়ালিস্ট, ১৯৩২ সালে পরিণত হয়েছিলেন কমিউনিস্টে। বিশ্ব চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর লেখা বই l'Histoire générale du cinéma, সমীহ জাগানিয়া। ১৯০৪ সালে জন্ম নেওয়া এই সাংবাদিক মারা যান ১৯৬৭ সালে। সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

ফরাসি সাংবাদিক জর্জ সাদ্যুল। ছবি: সংগৃহীতসাদ্যুল লিখছেন, ‘রায় সম্পর্কে জানা `কিংবদন্তী’গুলো সম্পর্কে বলি: নিজেরাই আমরা কারও গায়ে কোনো একটা তকমা এঁকে দিই, তারপর তা প্রচার করি। প্যারিসে আমি কয়েকবার সত্যজিৎ রায়কে দেখেছি। ওর কয়েকটি সিনেমা দেখেছি এবং তা থেকে ব্যক্তি সত্যজিৎ ও তাঁর নান্দনিক পথযাত্রা সম্পর্কে নিজের একটা ধারণা জন্মেছে। কলকাতার এই শিল্পী শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন সেই দিনটিতে, যেদিন তিনি ঝাঁ ও ক্লদ রেনোয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। এরা দুজন বাংলায় গিয়েছিলেন ‘দ্য রিভার’–এর শুটিং করতে। তাঁদের এই সাক্ষাতের পরই রায় চিৎকার করে উঠেছিলেন—‘আমিও সিনেমা পরিচালক!’ এবং তারপর তিনি ‘পথের পাঁচালী’র জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর আগ পর্যন্ত এই ছবি সম্পর্কে ভারতে কোনো আলোড়নই ওঠেনি। কানেও ছবিটি নিয়ে আলোড়ন উঠত না, যদি না আঁদ্রে বাজেন ছবিটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ না করতেন। ‘বছরের সেরা মানবিক দলিল’ পুরস্কারটা পেয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’। ইউরোপের স্বীকৃতি না পেলে সত্যজিৎ রায়ের পক্ষে তাঁর চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ত। ‘অপরাজিত’ ছবির জন্য ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে `স্বর্ণ সিংহ’ লাভ করলেও তাতে ভারতে তাঁর জনপ্রিয়তা আসেনি। বছরের পর বছর তিনি ছবি তৈরি করেছেন, কিন্তু সেটা দেশের বাজারে জায়গা করে নিতে পারেনি। ইংল্যান্ড আর আমেরিকার বাজারে তাতে সাফল্য এসেছে। তাই অনেকেই বলাবলি করত, পূর্বদেশের এই চলচ্চিত্র পরিচালক সম্পূর্ণই পশ্চিমা–নির্ভর। কিন্তু এই কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি ও কলকাতায় দীর্ঘ সময় বসবাস করে এবং কয়েক ঘণ্টা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলার পর সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে গড়ে ওঠা ওইসব কিংবদন্তী আর টিকে থাকেনি। ভারতে সত্যজিৎ রায়কে কেউ চেনে না—এ কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি কিংবা কলকাতার রাস্তায় নেমে এলেই পথচারীর দল কীভাবে তাঁকে ঘিরে ধরত এবং অটোগ্রাফ নিত, সেটা তো আমি নিজ চোখে দেখেছি। রাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রীরা তাঁকে সমীহ করে কথা বলতেন।

জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়াকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু এটুকু বললেই চলে যে, তিনি চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পরিচালক। জাপানের টোকিওয় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১০ সালে। সে শহরেই মারা গেছেন ১৯৯৮ সালে।

সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে রচিত একটি রুশ সংকলনের জন্য মস্কোতে ১৯৭৫ সালে কুরোসাওয়ার মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, প্রথমবারের মতো সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ দেখার পর আমার ভেতরটা যেভাবে আন্দোলিত হয়ে উঠেছিল, সেটা এখনো ভুলতে পারি না। এরপরও বারবার আমি এই ছবি দেখেছি, আর প্রতিবারই আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে সেটা। যেন পূর্ণযৌবনা নদী বয়ে চলেছে ধীরে চলচ্চিত্রের সকল শৌকর্য নিয়ে। মানুষের জন্ম হয়, সে বেঁচে থাকে ও একসময় মরে যায়। সত্যজিৎ রায় মানবজীবনের এই স্বাভাবিক চক্রটি নিয়েই ছবি তৈরি করেন এবং তা করেন এমন অবলীলায় যে, তাতে অমসৃণ কিছু থাকে না। অথচ তা প্রবলভাবে দর্শক–শ্রোতার আবেগকে গ্রাস করে নেয়। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের ভাষা খুবই সুক্ষ্ণ, তাতেই তার পূর্ণতা। রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল টোকিওতে। মনে আছে, আমার মনে কী এক অসামান্য ছাপ ফেলেছিল শিল্পীর অবয়ব—উচ্চতায় অনেকখানি, হাত–পায়ের ভঙ্গি আকর্ষণীয়, অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। আর তা দেখেই আমার মাথায় ভাবনাটা এল—এ রকম মানুষের পক্ষেই এ ধরনের বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব। তখনই আমি তাঁর প্রতি আরও গভীরভাবে আকৃষ্ট হলাম। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর ছবিগুলোর মধ্যে আমি শুধু তিনটি ছবি দেখেছি. ‘পথের পাচালী’, ‘অপরাজিত’, আর ‘অপুর সংসার’। পৃথিবীর সকল পরিচালককে আমি বলব, এখনই সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখে ফেলুন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী, আর ‘অপরাজিত’। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র না দেখার অর্থ পৃথিবীতে বসবাস করে সূর্য ও চাঁদকে না দেখা।

গ্রিগরি চুখরাইয়ের নাম অনেকেরই মনে পড়ে যাবে ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবিটির কথা মনে করিয়ে দিলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এ রকম কাব্যিক ছবি খুব কমই হয়েছে। সে ছবি গ্রিগরি চুখরাইয়ের তৈরি। চুখরাইও সত্যজিৎ রায়কে চলচ্চিত্র জগতের এক মহাশক্তি বলেই মনে করেন।

ইউক্রেনের পরিচালক গিগরি চুখরাই। ছবি: সংগৃহীতচুখরাইয়ের জন্ম ১৯২১ সালে ইউক্রেনের মেলিতাপোলে। মস্কোতে মারা যান ২০০১ সালে। চুখরাই লিখছেন, ‘আধুনিক চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক। রাষ্ট্রের সীমানা আর ভাষার অবোধ্যতা দূর হয়ে যায় প্রায় বিনাশ্রমে। বলা যায়, সাহিত্যের চেয়েও দ্রুত অন্য ভাষাভাষীকে আকৃষ্ট করে চলচ্চিত্রের ভাষা। কোনো দেশের লাখ লাখ মানুষ সিনেমা দেখে, অন্য দেশের মানুষ তা উপভোগ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সব দেশের সবার কথা মাথায় রেখে কিন্তু পরিচালক ছবি নির্মাণ করেন না। যদি কেউ নিজের দেশ, নিজ সংস্কৃতির ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক ছবি নির্মাণ করার কথা ভাবেন, তাহলে তার সে ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়বে। সে রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জাতীয় জীবনের প্রতিফলন আছে যে ছবিতে, সে ছবিই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র হিসেবে টিকে যায়। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাও সফল হয়েছে তার জাতীয় সংস্কৃতির চরিত্রের জন্যই। ভারতীয় বাণিজ্যিক ছবিই সর্বপ্রথম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। এরই ফাঁকে একসময় রাশিয়ায় আসে সাতিয়াজিৎ রায়ের নাম, যদিও ভারতীয় উচ্চারণে তা ‘শত্যোজিৎ রায়’।

চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের ছবি সম্পর্কে বলা যায়, ভারতকে ভেতরের চোখ দিয়ে দেখা। ওপরের চাকচিক্য নয়, ভেতরটাই উঠে আসে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে। সত্যজিৎ রায়ের ছবি মানেই একজন শিল্পীর সৃষ্টি, একজন সৃষ্টিশীল মানুষের কারবার, যে মানুষটি দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর দর্শন ও নান্দনিক ভাবনার ভিত্তির ওপর। অপু ট্রিলজি, জলসাঘর, চারুলতা, অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি সত্যজিৎ রায়কে সম্মান এনে দিয়েছে। আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে পথের পাঁচালী। একটি দরিদ্র পরিবারকে নিয়েই এর গল্প। গল্পের শুরুতে মনে করতে চাই বা না চাই, মনে হবে এটা ইতালির নিওরিয়ালিস্ট ছবির মতো। নব্যবাস্তবতাবাদী ছবির সঙ্গেই এর যত মিল। ক্রিয়েটিভ টেকনিকগুলোও একরকম মনে হবে। যদিও স্বাধীনতা–পূর্ব ভারতের দারিদ্র্য আর বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী ইতালির দারিদ্র্যের তুলনা চলে না, তবুও ছবি হিসেবে তা একই রকম লাগবে। কিন্তু ছবিটি যখন এগিয়ে যেতে থাকবে, তখন বুঝতে পারা যাবে যে, এটা নিওরিয়ালাজিম মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ নয়। এটা সত্যজিৎ রায়ের তৈরি বাস্তবতা এবং এর চলচ্চিত্রের ভাষাও সত্যজিৎ রায়েরই। ছবিতে ইন্দিরা ঠাকরুণের যে চেহারা হাজির করা হয়েছে, তা নান্দনিকতা বহির্ভূত। বার্ধক্য তাঁকে এতটাই কাহিল করে তুলেছে যে, তাঁর দিকে তাকাতেই অস্বস্তি হয়। কিন্তু ছবিটি দেখা শুরু করার একটু পর থেকেই আমি নিজের অজান্তেই এই বৃদ্ধাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমার জন্য এই বৃদ্ধা হয়ে পড়লেন অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। কীভাবে এই জাদু ঘটে গেল, তার ব্যাখ্যা খুব সহজ নয়। মানে, ব্যাখ্যা করা সম্ভব সবকিছুই এবং তা দরকারিও। যেকোনো ব্যাখ্যার জন্যই দরকার ঠিক শব্দটি খুঁজে পাওয়া। কিন্তু এখানে শব্দ নয়, জাদুটা আসলে শিল্পের। শিল্পই ঘটিয়ে দিল এই জাদুটি। একজন বড় শিল্পীই এই জাদুকরি কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। এই বিধ্বস্ত কুৎসিৎ পরিবর্তিত হলো বিধ্বস্ত সুন্দর মন্দিরে। আর এটা ঘটতে পারল এ জন্য যে, পরিচালক তাঁর নন্দনতাত্ত্বিক আবহে মূল্যবান করে তুলেছেন মানুষের মনকে, মানুষকে। এ ধরনের ছবি বানাতে ভেতরের সাহস লাগে, আর নিজ জাতির প্রতি লাগে অমলিন ভালোবাসা। কেউ কেউ আছেন, যারা মনে করেন, নিজ জাতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের ঠিক উপায় হচ্ছে, তার আলোকিত সেরা জিনিসগুলোর উপস্থাপন। সত্যজিৎ রায় সেটা মনে করেন না। তিনি মনে করেন, দেখাতে হবে সেটাই, যা সত্য। আমিও তাঁর সঙ্গে একমত। সত্যজিৎ রায়ের ছবির কাব্যময়তাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কত সুক্ষ্ণভাবেই না তাঁর ছবিতে প্রকৃতি, বৃষ্টি, ফুল, আকাশ, পানি নিজের শব্দে সত্যের প্রকাশ ঘটায়। প্রকৃতির এ রকম নান্দনিক উপস্থাপনা কেবল তাঁর পক্ষেই করা সম্ভব, যিনি নিজে গভীরভাবে তা অনুভব করেন। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে প্রকৃতিও জীবন্ত, পরিচালকের সঙ্গেই সে শ্বাস–প্রশ্বাস নেয়। প্রকৃতি, চরিত্র, দৃশ্য—সবমিলে একটা সংগীতের সৃষ্টি হয়, সবকিছুর যেন একটাই ত্বক, একই অণু–পরমাণু, সব যেন একসঙ্গে মিলেমিশে গেছে।

সত্যজিতের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতি হাতড়ে চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ১৯৬৩ সালে। সে সময় আমরা একসঙ্গে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরিবোর্ডে ছিলাম। তিনি শুধু তাঁর পেশাদারি মনোভাব এবং বিশাল তাত্ত্বিক জ্ঞান দিয়ে আমাকে আকৃষ্ট করেননি। তিনি আকৃষ্ট করেছেন তাঁর উচ্চ মূল্যবোধ ও সরলতা দিয়ে। জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে যে জটিল সমস্যাগুলোয় পড়তাম, সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে সে বিষয়ে ঠিক পরামর্শটি পেতাম। সব ব্যাপারেই তাঁর কিছু না কিছু বলার ছিল। খুব মুশকিল হয়, যখন কেউ তাঁর বিবেচনাবোধ দিয়ে দোদুল্যমান হয়। নিজস্ব নীতিও খুব দরকারি। আরেকটা বিষয়ে বলি। অনেকেই মনে করেন, সত্যজিৎ রায়ের সব ছবিই একইভাবে নির্মিত। রায়ের নান্দনিক ভাষা এক ছবি থেকে আরেক ছবিতে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত ছবি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র ভাষা, ‘পথের পাচালী’ বা গ্রামকেন্দ্রিক ছবির ভাষা থেকে একেবারে আলাদা। রায় বেড়ে উঠেছেন ভারতের ধ্রুপদী সংস্কৃতির আওতায়। কিন্তু তিনি নিশ্বাস–প্রশ্বাস নিয়েছেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভুবনে। দেশ ও আন্তর্জাতিকতা—দুইয়ের মিলনই সত্যজিৎ রায়কে করে তুলেছে বিশ্বমানের চলচ্চিত্রকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আন্ধার’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মুক্তি আগামী বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।

রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’

সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’

আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’

এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থিয়েটার হান্টের প্রথম নাটক ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।

ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।

থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নেই শিল্পীদের নাম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’

সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুশবু ছড়ানো কিস্যাকারের চরিত্রে সোমেন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মেহেদী হাসান সোমেন। ছবি: সংগৃহীত
মেহেদী হাসান সোমেন। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।

জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।

এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।

সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।

২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত