খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বায়োপিক বানানোর জন্য অনেকেই তো ছিলেন, যাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয় এবং যাঁদের জীবনের গল্প আরও ড্রামাটিক। জীবনানন্দ দাশকে বেছে নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে?
সায়ন্তন: আমরা যাঁরা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, তাঁদের কাছে জীবনানন্দ তো একজন বাঙালি হিসেবে খুবই এমিনেন্ট ফ্যাক্টর। তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু ছবি করব, সেটা যখন আমি ম্যাচিউরড হই, তারপর সেই ভাবনাচিন্তাটা গ্রো করে। সিনেমার জগতে যখন ঢুকি, তখন থেকেই এটা আমাকে হন্ট করত। যদি সত্যিই কবির একটা বায়োপিক বানানো যায়! এবং সেটা শুধুমাত্র কবি কখন জন্মেছিলেন, জন্মে এই করেছিলেন, সেই করেছিলেন, লিখেছিলেন, তাঁর এই এই সমস্যা ঘটেছিল… হ্যানাত্যানা না।
আপনি আরও ব্যাপকভাবে কবিকে ধরতে চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যে, সেটা ‘ঝরা পালক’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা গেছে। জীবনানন্দকে পর্দায় আনতে গিয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে?
সায়ন্তন: একজন কবির বায়োপিক বানাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় যেটা অবস্ট্রাকল বা সবচেয়ে বড় যে জটিলতা, সেটা হচ্ছে—কবির বায়োপিক তো তাঁর কবিতাও। মানে তাঁর শিল্পজীবন এবং তাঁর যে রিয়েল টাইমলাইন—এই দুটোই তো ইমপর্ট্যান্ট।
একটা গ্যাংস্টারের জীবনী বানাতে গেলে… তিনি কখন জন্মেছিলেন, কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, কাকে কাকে মেরেছিলেন—এসব বললেই হয়ে যায়। কিন্তু একজন কবির জীবনে সেই অর্থে কোনো ড্রামা থাকে না। হ্যাঁ, জীবনানন্দের জীবনে এনাফ ড্রামা ছিল, তাঁর বৈবাহিক জীবন ঘিরে এবং তাঁর প্রেমজীবন ঘিরে। তো যেটা গল্প সেটা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, কবির জীবনী এবং কবির এন্টায়ার শিল্পকর্ম—এই দুটোকে কী করে মার্জ করা যায়! কবিতাও তো তাঁর জীবন। সৃষ্টি তাঁর জীবনের চেয়েও বড়; বিশেষ করে জীবনানন্দের মতো একজন শিল্পীর কাছে।
তো এই দুটোকে মার্জ করাটা, আমাদের সিনেমার ল্যাঙ্গুয়েজে, চিত্রনাট্যে এবং এক্সিকিউশনে কীভাবে সেই ভাষাটা খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
জীবনানন্দের ‘মাল্যবান’ আপনার সিনেমার মূল সূত্র। এ ছাড়া আর কোনো রিসোর্সের সাহায্য নিয়েছেন চিত্রনাট্য করতে গিয়ে?
সায়ন্তন: জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে অনেক বই রয়েছে। দুটো ইমপর্ট্যান্ট বই, যেটা তাঁর লিটারারি বায়োপিক। (একটি) ক্লিনটন বি সিলি বলে একজন লেখক লিখেছেন। তিনিও কবি ছিলেন; দীর্ঘদিন বরিশালে ছিলেন। বাংলা ভাষাটা প্রায় বাঙালির মতোই রপ্ত করছিলেন ক্লিনটন। তাঁর একটা বই ‘আ পোয়েট অ্যাপার্ট’। এবং আপনাদের বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটা বই ‘একজন কমলালেবু’, যেটা জয়া আহসান আমাকে এনে দিয়েছিল; ইন্ডিয়াতে পাওয়া যায় না। এই দুটো বই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল চিত্রনাট্য করতে গিয়ে। তা ছাড়া এখানকার এমিনেন্ট জীবনীকার ভূমেন্দ্র গুহর একটা বই আছে জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা, ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’ নামে। এবং আরও বেশ কয়েকটি বই আমাকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছে ‘ঝরা পালক’ সিনেমার চিত্রনাট্য করতে গিয়ে।
‘ঝরা পালক’-এ জীবনানন্দকে কতখানি ধরেছেন? আমি দেখলাম রাহুল করেছেন তাঁর যুবকবেলার চরিত্রটা। পরিণত বয়সে ব্রাত্য বসু। তার মানে যৌবন থেকে শুরু করে কবির পুরো জীবনটাই থাকছে সিনেমায়?
সায়ন্তন: জীবনানন্দের জীবন এবং তাঁর শিল্পজীবন; এই দুটোই ক্রমাগত মার্জ করতে করতে গেছে পুরো ছবিতে। এবং এই ছবিটা এ কারণে প্লেইন ন্যারেটিভ নয়। একটা রিল টাইম, একটা রিয়েল টাইম এবং তার সঙ্গে রিসেন্ট টাইম; তিনটে সময়ের সংযোগ ঘটেছে চিত্রনাট্যে। ছবিটা দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আসলে একজন ফিল্মমেকারের কাছে এ ধরনের একটা ছবি বানিয়ে সেটা নিয়ে বলা খুবই ডিফিকাল্ট।
‘ঝরা পালক’-এর শুটিং কোথায়, কীভাবে হয়েছে? সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলেন…
সায়ন্তন: শুটিং আমরা অলমোস্ট (পুরোটাই) কলকাতায় করেছি। কিছুটা শুটিং করেছি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তেহট্ট থেকে অনেক দূরে গিয়ে। সেখানে জীবনানন্দের রূপসী বাংলার যে চিত্রকল্প, সেগুলো পেয়েছি। বরিশাল যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই সময় যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরিশালের যে অভাব, সেটা খানিকটা বর্ডারের কাছাকাছি গিয়ে ধানসিঁড়ি নদীর বদলে জলঙ্গী নদীকে আমরা ব্যবহার করেছি। জলঙ্গী নদীও জীবনানন্দের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে। সেটা আমরা ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করেছি। সো দ্যাট ওয়াজ ভেরি উইয়ার্ড এক্সপেরিয়েন্স।
জলঙ্গী নদীতে শুট করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার, সিনেমাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী ও এডিটর প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের কনফিউশন হচ্ছিল, বোধ হয় আমরা ধানসিঁড়িতে আছি। আমরা তিনজনে মিলে গেছিলাম শুটিংয়ে। আমার মনে হয় কোনো এডিটর (এর আগে) শুটিংয়ে গেছে কিনা! এটা যদি কাইন্ডলি লিখেন খুব ভালো হয়। কারণ, প্রদীপ্ত নিজেও একজন ফিল্মমেকার। সে এতটাই ইনভলভ ছিল পুরো ছবিতে! ধানসিঁড়ির খোঁজে আমরা গেছিলাম, সত্যিই আমরা জলঙ্গী নদীটিকে ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করতে পারি কি না! আমাদের ভেতরে সেই প্যাশনটা আছে কি না! সেটা ছবিটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা তার সঙ্গে জাস্টিস করতে পেরেছি কি না।
কলকাতা ফেস্টে তো দেখানো হলো ছবিটা এ বছর…
সায়ন্তন: কলকাতা ফেস্টে দেখানো হয়েছে। দেখে অনেকেই খুব প্রশংসা করেছেন। কবি জয় গোস্বামী ছবিটাকে বাংলা চলচ্চিত্রে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটা ‘এমিনেন্ট পিস অব ওয়ার্ক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ছবিটা উনি দুবার দেখেছেন। এ ছাড়া আরও অনেক গুণীজন—সুমন মুখোপাধ্যায়, পরিচালক, যিনি জয়া আহসানকে নিয়ে ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ বলে আরেকটা ছবি করেছেন। তিনি ছবিটা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে ছবিটা দেখানো হয়েছিল। তিনিও ছবিটা দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরে আমরা ছবিটা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। ‘ঝরা পালক’ বাংলাদেশেও রিলিজ করার প্ল্যান করছি আমরা।
কবির স্ত্রী লাবণ্য চরিত্রে জয়া আহসানকে কাস্ট করার কারণ কী?
সায়ন্তন: প্রথম যখন লাবণ্য চরিত্রের ভিজুয়ালাইজেশন শুরু করি, তখন জয়া ছাড়া ইনফ্যাক্ট আর কারও মুখই আমার সামনে আসেনি। এই রকম পানপাতা একটা অদ্ভুত বাঙালি মুখ, যেটা একই সঙ্গে বনলতা সেন, সুরঞ্জনা এবং লাবণ্য। লাবণ্যর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের যে কেমিস্ট্রি ছিল। লাবণ্য অসামান্য বিদুষী এবং সুন্দরী নারী ছিলেন। জীবনানন্দ সারা জীবন বলে গেছেন, তাঁর তুলনায় জীবনানন্দ নিজে তাঁর কাছে খুব অযোগ্য। জীবনানন্দকে ক্রিয়েটিভ সাপোর্ট এবং ফ্যামিলিগতভাবে… এসব নিয়ে অনেক ধরনের গুজব আছে যে, উনাকে অত্যাচার করা হয়েছিল। লাবণ্য উনাকে নিজের ঘরে অবধি ঢুকতে দিতেন না। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসে এসব এসেছে। যে জন্য লাবণ্য তাঁর জীবদ্দশায় এই বইটি প্রকাশ করতে খুব দ্বিধাবোধ করেছিলেন।
তো সে ক্ষেত্রে লাবণ্য চরিত্রের যে ব্যক্তিত্ব, যে সৌন্দর্য এবং তাঁর যে বিদূষীয়ানা—এই তিনটির সংমিশ্রণ জয়া আহসান ছাড়া আর কারও কথা আমার মাথায় আসেনি পরিচালক হিসেবে। আরও একটা প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি। বাংলাদেশের মাটির যে গন্ধ, সেটা জয়া আহসানের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই ছবিতে ফুটে উঠেছে। সেটা একটা অমূল্য প্রাপ্তি একজন পরিচালক হিসেবে আমার কাছে। এবং দর্শকের কাছেও সেটা অবশ্যই একটা প্রাপ্তি হবে বলে আশা করছি।
সে কারণে লাবণ্য এবং জয়া আহসান এখানে একাকার হয়ে গেছেন।
জয়া আহসান নিজে এ চরিত্রটা করতে করতে মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বাইরে লাবণ্য হয়ে উঠতেন। সেটা আমরা দেখেছি। এবং তাঁর যে ইনভলভমেন্ট, যেটা আমি আগেও বললাম, শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, আমাকে বেশ কিছু বই দিয়ে উনি সাহায্য করেছেন। চিত্রনাট্যে উনি অনেক ইনপুট দিয়েছেন একজন নারী হিসেবে নারীর পারস্পেকটিভ।
আমরা প্র্যাকটিক্যালি চেয়েছিলাম, মাল্যবানের একটা অ্যান্টিথিসিস বানাতে। মাল্যবানই তো এই ছবির মূল টেক্সট। কারণ, এটি কবির লেখা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, যেখানে জীবন এবং শিল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেখানে মাল্যবানের অ্যান্টিথিসিস তৈরি করার জন্য লাবণ্যরূপী জয়া আহসান বা জয়া আহসানরূপী লাবণ্য এই ছবিতে একটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে আছে।
দেখুন ‘ঝরা পালক’ সিনেমার ট্রেলার:

বায়োপিক বানানোর জন্য অনেকেই তো ছিলেন, যাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয় এবং যাঁদের জীবনের গল্প আরও ড্রামাটিক। জীবনানন্দ দাশকে বেছে নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে?
সায়ন্তন: আমরা যাঁরা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, তাঁদের কাছে জীবনানন্দ তো একজন বাঙালি হিসেবে খুবই এমিনেন্ট ফ্যাক্টর। তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু ছবি করব, সেটা যখন আমি ম্যাচিউরড হই, তারপর সেই ভাবনাচিন্তাটা গ্রো করে। সিনেমার জগতে যখন ঢুকি, তখন থেকেই এটা আমাকে হন্ট করত। যদি সত্যিই কবির একটা বায়োপিক বানানো যায়! এবং সেটা শুধুমাত্র কবি কখন জন্মেছিলেন, জন্মে এই করেছিলেন, সেই করেছিলেন, লিখেছিলেন, তাঁর এই এই সমস্যা ঘটেছিল… হ্যানাত্যানা না।
আপনি আরও ব্যাপকভাবে কবিকে ধরতে চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যে, সেটা ‘ঝরা পালক’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা গেছে। জীবনানন্দকে পর্দায় আনতে গিয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে?
সায়ন্তন: একজন কবির বায়োপিক বানাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় যেটা অবস্ট্রাকল বা সবচেয়ে বড় যে জটিলতা, সেটা হচ্ছে—কবির বায়োপিক তো তাঁর কবিতাও। মানে তাঁর শিল্পজীবন এবং তাঁর যে রিয়েল টাইমলাইন—এই দুটোই তো ইমপর্ট্যান্ট।
একটা গ্যাংস্টারের জীবনী বানাতে গেলে… তিনি কখন জন্মেছিলেন, কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, কাকে কাকে মেরেছিলেন—এসব বললেই হয়ে যায়। কিন্তু একজন কবির জীবনে সেই অর্থে কোনো ড্রামা থাকে না। হ্যাঁ, জীবনানন্দের জীবনে এনাফ ড্রামা ছিল, তাঁর বৈবাহিক জীবন ঘিরে এবং তাঁর প্রেমজীবন ঘিরে। তো যেটা গল্প সেটা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, কবির জীবনী এবং কবির এন্টায়ার শিল্পকর্ম—এই দুটোকে কী করে মার্জ করা যায়! কবিতাও তো তাঁর জীবন। সৃষ্টি তাঁর জীবনের চেয়েও বড়; বিশেষ করে জীবনানন্দের মতো একজন শিল্পীর কাছে।
তো এই দুটোকে মার্জ করাটা, আমাদের সিনেমার ল্যাঙ্গুয়েজে, চিত্রনাট্যে এবং এক্সিকিউশনে কীভাবে সেই ভাষাটা খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
জীবনানন্দের ‘মাল্যবান’ আপনার সিনেমার মূল সূত্র। এ ছাড়া আর কোনো রিসোর্সের সাহায্য নিয়েছেন চিত্রনাট্য করতে গিয়ে?
সায়ন্তন: জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে অনেক বই রয়েছে। দুটো ইমপর্ট্যান্ট বই, যেটা তাঁর লিটারারি বায়োপিক। (একটি) ক্লিনটন বি সিলি বলে একজন লেখক লিখেছেন। তিনিও কবি ছিলেন; দীর্ঘদিন বরিশালে ছিলেন। বাংলা ভাষাটা প্রায় বাঙালির মতোই রপ্ত করছিলেন ক্লিনটন। তাঁর একটা বই ‘আ পোয়েট অ্যাপার্ট’। এবং আপনাদের বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটা বই ‘একজন কমলালেবু’, যেটা জয়া আহসান আমাকে এনে দিয়েছিল; ইন্ডিয়াতে পাওয়া যায় না। এই দুটো বই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল চিত্রনাট্য করতে গিয়ে। তা ছাড়া এখানকার এমিনেন্ট জীবনীকার ভূমেন্দ্র গুহর একটা বই আছে জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা, ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’ নামে। এবং আরও বেশ কয়েকটি বই আমাকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছে ‘ঝরা পালক’ সিনেমার চিত্রনাট্য করতে গিয়ে।
‘ঝরা পালক’-এ জীবনানন্দকে কতখানি ধরেছেন? আমি দেখলাম রাহুল করেছেন তাঁর যুবকবেলার চরিত্রটা। পরিণত বয়সে ব্রাত্য বসু। তার মানে যৌবন থেকে শুরু করে কবির পুরো জীবনটাই থাকছে সিনেমায়?
সায়ন্তন: জীবনানন্দের জীবন এবং তাঁর শিল্পজীবন; এই দুটোই ক্রমাগত মার্জ করতে করতে গেছে পুরো ছবিতে। এবং এই ছবিটা এ কারণে প্লেইন ন্যারেটিভ নয়। একটা রিল টাইম, একটা রিয়েল টাইম এবং তার সঙ্গে রিসেন্ট টাইম; তিনটে সময়ের সংযোগ ঘটেছে চিত্রনাট্যে। ছবিটা দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আসলে একজন ফিল্মমেকারের কাছে এ ধরনের একটা ছবি বানিয়ে সেটা নিয়ে বলা খুবই ডিফিকাল্ট।
‘ঝরা পালক’-এর শুটিং কোথায়, কীভাবে হয়েছে? সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলেন…
সায়ন্তন: শুটিং আমরা অলমোস্ট (পুরোটাই) কলকাতায় করেছি। কিছুটা শুটিং করেছি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তেহট্ট থেকে অনেক দূরে গিয়ে। সেখানে জীবনানন্দের রূপসী বাংলার যে চিত্রকল্প, সেগুলো পেয়েছি। বরিশাল যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই সময় যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরিশালের যে অভাব, সেটা খানিকটা বর্ডারের কাছাকাছি গিয়ে ধানসিঁড়ি নদীর বদলে জলঙ্গী নদীকে আমরা ব্যবহার করেছি। জলঙ্গী নদীও জীবনানন্দের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে। সেটা আমরা ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করেছি। সো দ্যাট ওয়াজ ভেরি উইয়ার্ড এক্সপেরিয়েন্স।
জলঙ্গী নদীতে শুট করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার, সিনেমাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী ও এডিটর প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের কনফিউশন হচ্ছিল, বোধ হয় আমরা ধানসিঁড়িতে আছি। আমরা তিনজনে মিলে গেছিলাম শুটিংয়ে। আমার মনে হয় কোনো এডিটর (এর আগে) শুটিংয়ে গেছে কিনা! এটা যদি কাইন্ডলি লিখেন খুব ভালো হয়। কারণ, প্রদীপ্ত নিজেও একজন ফিল্মমেকার। সে এতটাই ইনভলভ ছিল পুরো ছবিতে! ধানসিঁড়ির খোঁজে আমরা গেছিলাম, সত্যিই আমরা জলঙ্গী নদীটিকে ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করতে পারি কি না! আমাদের ভেতরে সেই প্যাশনটা আছে কি না! সেটা ছবিটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা তার সঙ্গে জাস্টিস করতে পেরেছি কি না।
কলকাতা ফেস্টে তো দেখানো হলো ছবিটা এ বছর…
সায়ন্তন: কলকাতা ফেস্টে দেখানো হয়েছে। দেখে অনেকেই খুব প্রশংসা করেছেন। কবি জয় গোস্বামী ছবিটাকে বাংলা চলচ্চিত্রে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটা ‘এমিনেন্ট পিস অব ওয়ার্ক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ছবিটা উনি দুবার দেখেছেন। এ ছাড়া আরও অনেক গুণীজন—সুমন মুখোপাধ্যায়, পরিচালক, যিনি জয়া আহসানকে নিয়ে ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ বলে আরেকটা ছবি করেছেন। তিনি ছবিটা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে ছবিটা দেখানো হয়েছিল। তিনিও ছবিটা দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরে আমরা ছবিটা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। ‘ঝরা পালক’ বাংলাদেশেও রিলিজ করার প্ল্যান করছি আমরা।
কবির স্ত্রী লাবণ্য চরিত্রে জয়া আহসানকে কাস্ট করার কারণ কী?
সায়ন্তন: প্রথম যখন লাবণ্য চরিত্রের ভিজুয়ালাইজেশন শুরু করি, তখন জয়া ছাড়া ইনফ্যাক্ট আর কারও মুখই আমার সামনে আসেনি। এই রকম পানপাতা একটা অদ্ভুত বাঙালি মুখ, যেটা একই সঙ্গে বনলতা সেন, সুরঞ্জনা এবং লাবণ্য। লাবণ্যর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের যে কেমিস্ট্রি ছিল। লাবণ্য অসামান্য বিদুষী এবং সুন্দরী নারী ছিলেন। জীবনানন্দ সারা জীবন বলে গেছেন, তাঁর তুলনায় জীবনানন্দ নিজে তাঁর কাছে খুব অযোগ্য। জীবনানন্দকে ক্রিয়েটিভ সাপোর্ট এবং ফ্যামিলিগতভাবে… এসব নিয়ে অনেক ধরনের গুজব আছে যে, উনাকে অত্যাচার করা হয়েছিল। লাবণ্য উনাকে নিজের ঘরে অবধি ঢুকতে দিতেন না। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসে এসব এসেছে। যে জন্য লাবণ্য তাঁর জীবদ্দশায় এই বইটি প্রকাশ করতে খুব দ্বিধাবোধ করেছিলেন।
তো সে ক্ষেত্রে লাবণ্য চরিত্রের যে ব্যক্তিত্ব, যে সৌন্দর্য এবং তাঁর যে বিদূষীয়ানা—এই তিনটির সংমিশ্রণ জয়া আহসান ছাড়া আর কারও কথা আমার মাথায় আসেনি পরিচালক হিসেবে। আরও একটা প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি। বাংলাদেশের মাটির যে গন্ধ, সেটা জয়া আহসানের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই ছবিতে ফুটে উঠেছে। সেটা একটা অমূল্য প্রাপ্তি একজন পরিচালক হিসেবে আমার কাছে। এবং দর্শকের কাছেও সেটা অবশ্যই একটা প্রাপ্তি হবে বলে আশা করছি।
সে কারণে লাবণ্য এবং জয়া আহসান এখানে একাকার হয়ে গেছেন।
জয়া আহসান নিজে এ চরিত্রটা করতে করতে মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বাইরে লাবণ্য হয়ে উঠতেন। সেটা আমরা দেখেছি। এবং তাঁর যে ইনভলভমেন্ট, যেটা আমি আগেও বললাম, শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, আমাকে বেশ কিছু বই দিয়ে উনি সাহায্য করেছেন। চিত্রনাট্যে উনি অনেক ইনপুট দিয়েছেন একজন নারী হিসেবে নারীর পারস্পেকটিভ।
আমরা প্র্যাকটিক্যালি চেয়েছিলাম, মাল্যবানের একটা অ্যান্টিথিসিস বানাতে। মাল্যবানই তো এই ছবির মূল টেক্সট। কারণ, এটি কবির লেখা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, যেখানে জীবন এবং শিল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেখানে মাল্যবানের অ্যান্টিথিসিস তৈরি করার জন্য লাবণ্যরূপী জয়া আহসান বা জয়া আহসানরূপী লাবণ্য এই ছবিতে একটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে আছে।
দেখুন ‘ঝরা পালক’ সিনেমার ট্রেলার:

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩৬ মিনিট আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৪৪ মিনিট আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
১ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৪৪ মিনিট আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
১ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩৬ মিনিট আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
১ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩৬ মিনিট আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৪৪ মিনিট আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৩৬ মিনিট আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৪৪ মিনিট আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
১ ঘণ্টা আগে