বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমায় ওইভাবে কমেডি চরিত্র আর আসেনি। বিভিন্ন সময় অনেকে চেষ্টা করেছেন দিলদারের বিকল্প তৈরির। কিন্তু সব চেষ্টা হয়েছে ব্যর্থ। তাই মৃত্যুর এত বছর পরেও দিলদার এখনো সমান প্রাসঙ্গিক। সমান জনপ্রিয়। আজ বাংলা সিনেমার এই হাসিমুখের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁকে নিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া কিছু গল্প।
নায়ক-নায়িকার চেয়ে জনপ্রিয়
ঢালিউডে কমেডিয়ান হিসেবে দিলদার ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ‘কমেডি’ শব্দের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নির্মাতারা বলতেন, সিনেমায় গল্প, রোমান্স, অ্যাকশন, সাসপেন্স লাগবে আর লাগবে দিলদার। সে সময়টায় এতটাই অপরিহার্য ছিলেন তিনি। জনপ্রিয়তাও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক নায়ক-নায়িকাকে। নির্মাতা মালেক আফসারী একদিন উত্তরায় শুটিং করছিলেন। নায়ক-নায়িকার অটোগ্রাফ নিতে ভিড় করছিল অনেকে। হট্টগোল দেখে নায়ক-নায়িকা দুজনেই বিরক্ত হচ্ছিলেন। এর মধ্যে শুটিং সেটে আসে দিলদারের গাড়ি। ‘চাল্লি আসছে’ বলে চিৎকার করে উঠল সবাই। নায়ক-নায়িকাকে ফেলে দিলদারের গাড়ি ঘিরে ফেলল অটোগ্রাফ নিতে। এদিকে নায়ক-নায়িকা বসে থাকলেন বেজার মুখে।
ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকারা
তোজাম্মেল হক বকুলের ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হন দিলদার। নির্মাতার কাছে নায়কের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হয়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘আপনি কি আমার পেটে লাথি দিতে আসছেন?’ অনেক অনুরোধের পর রাজি হন দিলদার। তবে তাঁর বিপরীতে কে হবেন নায়িকা? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মৌসুমী, শাবনূরসহ বেশ কয়েকজন নায়িকা। এরপর নূতনের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান নির্মাতা। সম্মতি জানান তিনি। এরপর থেকে নূতনের কাছে অনেক ফোন আসতে শুরু করে, তিনি যেন সিনেমাটি না করেন! কিন্তু দমে যাননি নূতন। সিনেমাটি তৈরির পরেও নির্মাতা ও প্রযোজক ছিলেন ভয়ের মধ্যে। কেন দিলদারকে নিয়ে এই ঝুঁকি নিয়েছেন, হলমালিকদের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে এমন প্রশ্ন। তবে মুক্তির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। প্রথম দিন থেকে হলে ভিড় জমায় দর্শক। প্রযোজক জানান, সে সময় আব্দুল্লাহ প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
সিনেমার গানও গেয়েছেন
নাসরিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। মালেক আফসারীর ‘লাল বাদশা’তেও অভিনয়ের কথা ছিল নাসরিনের। কিন্তু সে সময় তাঁর সঙ্গে দিলদারের মনোমালিন্য চলছে। নাসরিনের কথা শুনে দিলদার সাফ জানিয়ে দেন, তিনি থাকলে এ সিনেমায় অভিনয় করবেন না। পরবর্তী সময়ে এ সিনেমায় তাঁর বিপরীতে নতুন একজনকে নেওয়া হয়। শুটিংয়ের আগে দিলদারকে নির্মাতা জানিয়েছিলেন, তাঁর লিপে গান থাকবে। শুটিংয়ের সময় তাই জানতে চান, গান কোথায়? তখন নির্মাতা জানান, গান তো আপনাকে ও নাসরিনকে কেন্দ্র করে বানানোর কথা ছিল। নতুন অভিনেত্রী কাজ করছে, তাই গান থাকছে না। এ কথা শুনে বিরক্ত হন দিলদার। জানিয়ে দেন, গান না থাকলে তিনি আর শিডিউল দেবেন না। নির্মাতা সে সময় তাঁকে শর্ত দেন, গান থাকবে, যদি তিনি নিজে গাইতে পারেন। পরবর্তী সময়ে দিলদার কণ্ঠ দেন ‘শুধু ডিম দিয়ে পরিচয়’ গানটিতে। বেশ জনপ্রিয়ও হয় তাঁর কণ্ঠে এ গান।
মাতিয়ে রাখতেন শুটিং সেট
পর্দায় অভিনয় দিয়ে যেমন দর্শকদের মাতিয়ে রাখতেন, তেমনি শুটিং সেটেও হাসিখুশি থাকতেন দিলদার। সহশিল্পীদের সাহস জোগাতেন ভালো কাজ করার জন্য। দুলারির সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। ‘দাঙ্গা’ তার মধ্যে অন্যতম, সিনেমাটি ভারতেও রিমেক হয়। টালিউডের ওই সিনেমায়ও ছিলেন দিলদার। তখনো দুলারি ভারতের কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি, বিদেশের মাটিতে গিয়ে তাই অনেকটা ভয়ে ছিলেন। সে সময় তাঁকে সাহস দেন দিলদার। বলেন, দেশের সিনেমায় পারলে ভারতে কেন সে পারবে না! শুটিংয়ে গিয়েও দুলারিকে অনেক সাপোর্ট করেন দিলদার। শুটিংয়ের ফাঁকে দুলারিকে নিয়ে গিয়েছিলেন নিউমার্কেটে। অনেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করছিল, ইনি আপনার কী হয়? মজা করে দিলদার তাঁকে স্ত্রী বলেই পরিচয় দেন। দুজনের উচ্চতার পার্থক্য দেখে সবাই বেশ মজা পাচ্ছিল। দুলারি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, সবাইকে কেন এমনটা বলছেন? দিলদার উত্তর দেন, ‘সমস্যা কী! সবাই তো মজা পাচ্ছে।’ শুধু ক্যামেরার সামনে নয়, পর্দার বাইরেও সবাইকে আনন্দ দিতে পছন্দ করতেন তিনি।
ছিলেন পরিবারকেন্দ্রিক
সিনেমায় ব্যস্ত থাকলেও পরিবারের প্রতি সমান দায়িত্বশীল ছিলেন দিলদার। কখনোই রাত ১০টার পরে শুটিং সেটে থাকতেন না। ফিরে যেতেন বাড়িতে। পরিবারের অর্থনৈতিক দিকটাও সব সময় মাথায় রাখতেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জীবদ্দশায় দুটি বাড়ি করে গেছেন। এখনো সেই বাড়ির ভাড়ার টাকায় চলেন তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম। চেষ্টা করেন গরিব মানুষদের সাধ্যমতো সহায়তা করার। দিলদারের দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ—দুজনেই প্রতিষ্ঠিত। তাঁরাও খেয়াল রাখেন মায়ের। এক সাক্ষাৎকারে রোকেয়া বেগম জানান, দিলদার সব সময় সত্য কথা বলতেন। খারাপ মানুষদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন সবাইকে।

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমায় ওইভাবে কমেডি চরিত্র আর আসেনি। বিভিন্ন সময় অনেকে চেষ্টা করেছেন দিলদারের বিকল্প তৈরির। কিন্তু সব চেষ্টা হয়েছে ব্যর্থ। তাই মৃত্যুর এত বছর পরেও দিলদার এখনো সমান প্রাসঙ্গিক। সমান জনপ্রিয়। আজ বাংলা সিনেমার এই হাসিমুখের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁকে নিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া কিছু গল্প।
নায়ক-নায়িকার চেয়ে জনপ্রিয়
ঢালিউডে কমেডিয়ান হিসেবে দিলদার ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ‘কমেডি’ শব্দের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নির্মাতারা বলতেন, সিনেমায় গল্প, রোমান্স, অ্যাকশন, সাসপেন্স লাগবে আর লাগবে দিলদার। সে সময়টায় এতটাই অপরিহার্য ছিলেন তিনি। জনপ্রিয়তাও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক নায়ক-নায়িকাকে। নির্মাতা মালেক আফসারী একদিন উত্তরায় শুটিং করছিলেন। নায়ক-নায়িকার অটোগ্রাফ নিতে ভিড় করছিল অনেকে। হট্টগোল দেখে নায়ক-নায়িকা দুজনেই বিরক্ত হচ্ছিলেন। এর মধ্যে শুটিং সেটে আসে দিলদারের গাড়ি। ‘চাল্লি আসছে’ বলে চিৎকার করে উঠল সবাই। নায়ক-নায়িকাকে ফেলে দিলদারের গাড়ি ঘিরে ফেলল অটোগ্রাফ নিতে। এদিকে নায়ক-নায়িকা বসে থাকলেন বেজার মুখে।
ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকারা
তোজাম্মেল হক বকুলের ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হন দিলদার। নির্মাতার কাছে নায়কের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হয়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘আপনি কি আমার পেটে লাথি দিতে আসছেন?’ অনেক অনুরোধের পর রাজি হন দিলদার। তবে তাঁর বিপরীতে কে হবেন নায়িকা? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মৌসুমী, শাবনূরসহ বেশ কয়েকজন নায়িকা। এরপর নূতনের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান নির্মাতা। সম্মতি জানান তিনি। এরপর থেকে নূতনের কাছে অনেক ফোন আসতে শুরু করে, তিনি যেন সিনেমাটি না করেন! কিন্তু দমে যাননি নূতন। সিনেমাটি তৈরির পরেও নির্মাতা ও প্রযোজক ছিলেন ভয়ের মধ্যে। কেন দিলদারকে নিয়ে এই ঝুঁকি নিয়েছেন, হলমালিকদের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে এমন প্রশ্ন। তবে মুক্তির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। প্রথম দিন থেকে হলে ভিড় জমায় দর্শক। প্রযোজক জানান, সে সময় আব্দুল্লাহ প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
সিনেমার গানও গেয়েছেন
নাসরিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। মালেক আফসারীর ‘লাল বাদশা’তেও অভিনয়ের কথা ছিল নাসরিনের। কিন্তু সে সময় তাঁর সঙ্গে দিলদারের মনোমালিন্য চলছে। নাসরিনের কথা শুনে দিলদার সাফ জানিয়ে দেন, তিনি থাকলে এ সিনেমায় অভিনয় করবেন না। পরবর্তী সময়ে এ সিনেমায় তাঁর বিপরীতে নতুন একজনকে নেওয়া হয়। শুটিংয়ের আগে দিলদারকে নির্মাতা জানিয়েছিলেন, তাঁর লিপে গান থাকবে। শুটিংয়ের সময় তাই জানতে চান, গান কোথায়? তখন নির্মাতা জানান, গান তো আপনাকে ও নাসরিনকে কেন্দ্র করে বানানোর কথা ছিল। নতুন অভিনেত্রী কাজ করছে, তাই গান থাকছে না। এ কথা শুনে বিরক্ত হন দিলদার। জানিয়ে দেন, গান না থাকলে তিনি আর শিডিউল দেবেন না। নির্মাতা সে সময় তাঁকে শর্ত দেন, গান থাকবে, যদি তিনি নিজে গাইতে পারেন। পরবর্তী সময়ে দিলদার কণ্ঠ দেন ‘শুধু ডিম দিয়ে পরিচয়’ গানটিতে। বেশ জনপ্রিয়ও হয় তাঁর কণ্ঠে এ গান।
মাতিয়ে রাখতেন শুটিং সেট
পর্দায় অভিনয় দিয়ে যেমন দর্শকদের মাতিয়ে রাখতেন, তেমনি শুটিং সেটেও হাসিখুশি থাকতেন দিলদার। সহশিল্পীদের সাহস জোগাতেন ভালো কাজ করার জন্য। দুলারির সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। ‘দাঙ্গা’ তার মধ্যে অন্যতম, সিনেমাটি ভারতেও রিমেক হয়। টালিউডের ওই সিনেমায়ও ছিলেন দিলদার। তখনো দুলারি ভারতের কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি, বিদেশের মাটিতে গিয়ে তাই অনেকটা ভয়ে ছিলেন। সে সময় তাঁকে সাহস দেন দিলদার। বলেন, দেশের সিনেমায় পারলে ভারতে কেন সে পারবে না! শুটিংয়ে গিয়েও দুলারিকে অনেক সাপোর্ট করেন দিলদার। শুটিংয়ের ফাঁকে দুলারিকে নিয়ে গিয়েছিলেন নিউমার্কেটে। অনেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করছিল, ইনি আপনার কী হয়? মজা করে দিলদার তাঁকে স্ত্রী বলেই পরিচয় দেন। দুজনের উচ্চতার পার্থক্য দেখে সবাই বেশ মজা পাচ্ছিল। দুলারি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, সবাইকে কেন এমনটা বলছেন? দিলদার উত্তর দেন, ‘সমস্যা কী! সবাই তো মজা পাচ্ছে।’ শুধু ক্যামেরার সামনে নয়, পর্দার বাইরেও সবাইকে আনন্দ দিতে পছন্দ করতেন তিনি।
ছিলেন পরিবারকেন্দ্রিক
সিনেমায় ব্যস্ত থাকলেও পরিবারের প্রতি সমান দায়িত্বশীল ছিলেন দিলদার। কখনোই রাত ১০টার পরে শুটিং সেটে থাকতেন না। ফিরে যেতেন বাড়িতে। পরিবারের অর্থনৈতিক দিকটাও সব সময় মাথায় রাখতেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জীবদ্দশায় দুটি বাড়ি করে গেছেন। এখনো সেই বাড়ির ভাড়ার টাকায় চলেন তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম। চেষ্টা করেন গরিব মানুষদের সাধ্যমতো সহায়তা করার। দিলদারের দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ—দুজনেই প্রতিষ্ঠিত। তাঁরাও খেয়াল রাখেন মায়ের। এক সাক্ষাৎকারে রোকেয়া বেগম জানান, দিলদার সব সময় সত্য কথা বলতেন। খারাপ মানুষদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন সবাইকে।
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমায় ওইভাবে কমেডি চরিত্র আর আসেনি। বিভিন্ন সময় অনেকে চেষ্টা করেছেন দিলদারের বিকল্প তৈরির। কিন্তু সব চেষ্টা হয়েছে ব্যর্থ। তাই মৃত্যুর এত বছর পরেও দিলদার এখনো সমান প্রাসঙ্গিক। সমান জনপ্রিয়। আজ বাংলা সিনেমার এই হাসিমুখের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁকে নিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া কিছু গল্প।
নায়ক-নায়িকার চেয়ে জনপ্রিয়
ঢালিউডে কমেডিয়ান হিসেবে দিলদার ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ‘কমেডি’ শব্দের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নির্মাতারা বলতেন, সিনেমায় গল্প, রোমান্স, অ্যাকশন, সাসপেন্স লাগবে আর লাগবে দিলদার। সে সময়টায় এতটাই অপরিহার্য ছিলেন তিনি। জনপ্রিয়তাও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক নায়ক-নায়িকাকে। নির্মাতা মালেক আফসারী একদিন উত্তরায় শুটিং করছিলেন। নায়ক-নায়িকার অটোগ্রাফ নিতে ভিড় করছিল অনেকে। হট্টগোল দেখে নায়ক-নায়িকা দুজনেই বিরক্ত হচ্ছিলেন। এর মধ্যে শুটিং সেটে আসে দিলদারের গাড়ি। ‘চাল্লি আসছে’ বলে চিৎকার করে উঠল সবাই। নায়ক-নায়িকাকে ফেলে দিলদারের গাড়ি ঘিরে ফেলল অটোগ্রাফ নিতে। এদিকে নায়ক-নায়িকা বসে থাকলেন বেজার মুখে।
ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকারা
তোজাম্মেল হক বকুলের ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হন দিলদার। নির্মাতার কাছে নায়কের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হয়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘আপনি কি আমার পেটে লাথি দিতে আসছেন?’ অনেক অনুরোধের পর রাজি হন দিলদার। তবে তাঁর বিপরীতে কে হবেন নায়িকা? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মৌসুমী, শাবনূরসহ বেশ কয়েকজন নায়িকা। এরপর নূতনের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান নির্মাতা। সম্মতি জানান তিনি। এরপর থেকে নূতনের কাছে অনেক ফোন আসতে শুরু করে, তিনি যেন সিনেমাটি না করেন! কিন্তু দমে যাননি নূতন। সিনেমাটি তৈরির পরেও নির্মাতা ও প্রযোজক ছিলেন ভয়ের মধ্যে। কেন দিলদারকে নিয়ে এই ঝুঁকি নিয়েছেন, হলমালিকদের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে এমন প্রশ্ন। তবে মুক্তির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। প্রথম দিন থেকে হলে ভিড় জমায় দর্শক। প্রযোজক জানান, সে সময় আব্দুল্লাহ প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
সিনেমার গানও গেয়েছেন
নাসরিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। মালেক আফসারীর ‘লাল বাদশা’তেও অভিনয়ের কথা ছিল নাসরিনের। কিন্তু সে সময় তাঁর সঙ্গে দিলদারের মনোমালিন্য চলছে। নাসরিনের কথা শুনে দিলদার সাফ জানিয়ে দেন, তিনি থাকলে এ সিনেমায় অভিনয় করবেন না। পরবর্তী সময়ে এ সিনেমায় তাঁর বিপরীতে নতুন একজনকে নেওয়া হয়। শুটিংয়ের আগে দিলদারকে নির্মাতা জানিয়েছিলেন, তাঁর লিপে গান থাকবে। শুটিংয়ের সময় তাই জানতে চান, গান কোথায়? তখন নির্মাতা জানান, গান তো আপনাকে ও নাসরিনকে কেন্দ্র করে বানানোর কথা ছিল। নতুন অভিনেত্রী কাজ করছে, তাই গান থাকছে না। এ কথা শুনে বিরক্ত হন দিলদার। জানিয়ে দেন, গান না থাকলে তিনি আর শিডিউল দেবেন না। নির্মাতা সে সময় তাঁকে শর্ত দেন, গান থাকবে, যদি তিনি নিজে গাইতে পারেন। পরবর্তী সময়ে দিলদার কণ্ঠ দেন ‘শুধু ডিম দিয়ে পরিচয়’ গানটিতে। বেশ জনপ্রিয়ও হয় তাঁর কণ্ঠে এ গান।
মাতিয়ে রাখতেন শুটিং সেট
পর্দায় অভিনয় দিয়ে যেমন দর্শকদের মাতিয়ে রাখতেন, তেমনি শুটিং সেটেও হাসিখুশি থাকতেন দিলদার। সহশিল্পীদের সাহস জোগাতেন ভালো কাজ করার জন্য। দুলারির সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। ‘দাঙ্গা’ তার মধ্যে অন্যতম, সিনেমাটি ভারতেও রিমেক হয়। টালিউডের ওই সিনেমায়ও ছিলেন দিলদার। তখনো দুলারি ভারতের কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি, বিদেশের মাটিতে গিয়ে তাই অনেকটা ভয়ে ছিলেন। সে সময় তাঁকে সাহস দেন দিলদার। বলেন, দেশের সিনেমায় পারলে ভারতে কেন সে পারবে না! শুটিংয়ে গিয়েও দুলারিকে অনেক সাপোর্ট করেন দিলদার। শুটিংয়ের ফাঁকে দুলারিকে নিয়ে গিয়েছিলেন নিউমার্কেটে। অনেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করছিল, ইনি আপনার কী হয়? মজা করে দিলদার তাঁকে স্ত্রী বলেই পরিচয় দেন। দুজনের উচ্চতার পার্থক্য দেখে সবাই বেশ মজা পাচ্ছিল। দুলারি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, সবাইকে কেন এমনটা বলছেন? দিলদার উত্তর দেন, ‘সমস্যা কী! সবাই তো মজা পাচ্ছে।’ শুধু ক্যামেরার সামনে নয়, পর্দার বাইরেও সবাইকে আনন্দ দিতে পছন্দ করতেন তিনি।
ছিলেন পরিবারকেন্দ্রিক
সিনেমায় ব্যস্ত থাকলেও পরিবারের প্রতি সমান দায়িত্বশীল ছিলেন দিলদার। কখনোই রাত ১০টার পরে শুটিং সেটে থাকতেন না। ফিরে যেতেন বাড়িতে। পরিবারের অর্থনৈতিক দিকটাও সব সময় মাথায় রাখতেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জীবদ্দশায় দুটি বাড়ি করে গেছেন। এখনো সেই বাড়ির ভাড়ার টাকায় চলেন তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম। চেষ্টা করেন গরিব মানুষদের সাধ্যমতো সহায়তা করার। দিলদারের দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ—দুজনেই প্রতিষ্ঠিত। তাঁরাও খেয়াল রাখেন মায়ের। এক সাক্ষাৎকারে রোকেয়া বেগম জানান, দিলদার সব সময় সত্য কথা বলতেন। খারাপ মানুষদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন সবাইকে।

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমায় ওইভাবে কমেডি চরিত্র আর আসেনি। বিভিন্ন সময় অনেকে চেষ্টা করেছেন দিলদারের বিকল্প তৈরির। কিন্তু সব চেষ্টা হয়েছে ব্যর্থ। তাই মৃত্যুর এত বছর পরেও দিলদার এখনো সমান প্রাসঙ্গিক। সমান জনপ্রিয়। আজ বাংলা সিনেমার এই হাসিমুখের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁকে নিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া কিছু গল্প।
নায়ক-নায়িকার চেয়ে জনপ্রিয়
ঢালিউডে কমেডিয়ান হিসেবে দিলদার ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ‘কমেডি’ শব্দের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নির্মাতারা বলতেন, সিনেমায় গল্প, রোমান্স, অ্যাকশন, সাসপেন্স লাগবে আর লাগবে দিলদার। সে সময়টায় এতটাই অপরিহার্য ছিলেন তিনি। জনপ্রিয়তাও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন অনেক নায়ক-নায়িকাকে। নির্মাতা মালেক আফসারী একদিন উত্তরায় শুটিং করছিলেন। নায়ক-নায়িকার অটোগ্রাফ নিতে ভিড় করছিল অনেকে। হট্টগোল দেখে নায়ক-নায়িকা দুজনেই বিরক্ত হচ্ছিলেন। এর মধ্যে শুটিং সেটে আসে দিলদারের গাড়ি। ‘চাল্লি আসছে’ বলে চিৎকার করে উঠল সবাই। নায়ক-নায়িকাকে ফেলে দিলদারের গাড়ি ঘিরে ফেলল অটোগ্রাফ নিতে। এদিকে নায়ক-নায়িকা বসে থাকলেন বেজার মুখে।
ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকারা
তোজাম্মেল হক বকুলের ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় নায়ক হন দিলদার। নির্মাতার কাছে নায়কের প্রস্তাব পেয়ে অবাক হয়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘আপনি কি আমার পেটে লাথি দিতে আসছেন?’ অনেক অনুরোধের পর রাজি হন দিলদার। তবে তাঁর বিপরীতে কে হবেন নায়িকা? এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মৌসুমী, শাবনূরসহ বেশ কয়েকজন নায়িকা। এরপর নূতনের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান নির্মাতা। সম্মতি জানান তিনি। এরপর থেকে নূতনের কাছে অনেক ফোন আসতে শুরু করে, তিনি যেন সিনেমাটি না করেন! কিন্তু দমে যাননি নূতন। সিনেমাটি তৈরির পরেও নির্মাতা ও প্রযোজক ছিলেন ভয়ের মধ্যে। কেন দিলদারকে নিয়ে এই ঝুঁকি নিয়েছেন, হলমালিকদের কাছ থেকেও শুনতে হয়েছে এমন প্রশ্ন। তবে মুক্তির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। প্রথম দিন থেকে হলে ভিড় জমায় দর্শক। প্রযোজক জানান, সে সময় আব্দুল্লাহ প্রায় ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।
সিনেমার গানও গেয়েছেন
নাসরিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। মালেক আফসারীর ‘লাল বাদশা’তেও অভিনয়ের কথা ছিল নাসরিনের। কিন্তু সে সময় তাঁর সঙ্গে দিলদারের মনোমালিন্য চলছে। নাসরিনের কথা শুনে দিলদার সাফ জানিয়ে দেন, তিনি থাকলে এ সিনেমায় অভিনয় করবেন না। পরবর্তী সময়ে এ সিনেমায় তাঁর বিপরীতে নতুন একজনকে নেওয়া হয়। শুটিংয়ের আগে দিলদারকে নির্মাতা জানিয়েছিলেন, তাঁর লিপে গান থাকবে। শুটিংয়ের সময় তাই জানতে চান, গান কোথায়? তখন নির্মাতা জানান, গান তো আপনাকে ও নাসরিনকে কেন্দ্র করে বানানোর কথা ছিল। নতুন অভিনেত্রী কাজ করছে, তাই গান থাকছে না। এ কথা শুনে বিরক্ত হন দিলদার। জানিয়ে দেন, গান না থাকলে তিনি আর শিডিউল দেবেন না। নির্মাতা সে সময় তাঁকে শর্ত দেন, গান থাকবে, যদি তিনি নিজে গাইতে পারেন। পরবর্তী সময়ে দিলদার কণ্ঠ দেন ‘শুধু ডিম দিয়ে পরিচয়’ গানটিতে। বেশ জনপ্রিয়ও হয় তাঁর কণ্ঠে এ গান।
মাতিয়ে রাখতেন শুটিং সেট
পর্দায় অভিনয় দিয়ে যেমন দর্শকদের মাতিয়ে রাখতেন, তেমনি শুটিং সেটেও হাসিখুশি থাকতেন দিলদার। সহশিল্পীদের সাহস জোগাতেন ভালো কাজ করার জন্য। দুলারির সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলদার। ‘দাঙ্গা’ তার মধ্যে অন্যতম, সিনেমাটি ভারতেও রিমেক হয়। টালিউডের ওই সিনেমায়ও ছিলেন দিলদার। তখনো দুলারি ভারতের কোনো সিনেমায় অভিনয় করেননি, বিদেশের মাটিতে গিয়ে তাই অনেকটা ভয়ে ছিলেন। সে সময় তাঁকে সাহস দেন দিলদার। বলেন, দেশের সিনেমায় পারলে ভারতে কেন সে পারবে না! শুটিংয়ে গিয়েও দুলারিকে অনেক সাপোর্ট করেন দিলদার। শুটিংয়ের ফাঁকে দুলারিকে নিয়ে গিয়েছিলেন নিউমার্কেটে। অনেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করছিল, ইনি আপনার কী হয়? মজা করে দিলদার তাঁকে স্ত্রী বলেই পরিচয় দেন। দুজনের উচ্চতার পার্থক্য দেখে সবাই বেশ মজা পাচ্ছিল। দুলারি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, সবাইকে কেন এমনটা বলছেন? দিলদার উত্তর দেন, ‘সমস্যা কী! সবাই তো মজা পাচ্ছে।’ শুধু ক্যামেরার সামনে নয়, পর্দার বাইরেও সবাইকে আনন্দ দিতে পছন্দ করতেন তিনি।
ছিলেন পরিবারকেন্দ্রিক
সিনেমায় ব্যস্ত থাকলেও পরিবারের প্রতি সমান দায়িত্বশীল ছিলেন দিলদার। কখনোই রাত ১০টার পরে শুটিং সেটে থাকতেন না। ফিরে যেতেন বাড়িতে। পরিবারের অর্থনৈতিক দিকটাও সব সময় মাথায় রাখতেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জীবদ্দশায় দুটি বাড়ি করে গেছেন। এখনো সেই বাড়ির ভাড়ার টাকায় চলেন তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম। চেষ্টা করেন গরিব মানুষদের সাধ্যমতো সহায়তা করার। দিলদারের দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ—দুজনেই প্রতিষ্ঠিত। তাঁরাও খেয়াল রাখেন মায়ের। এক সাক্ষাৎকারে রোকেয়া বেগম জানান, দিলদার সব সময় সত্য কথা বলতেন। খারাপ মানুষদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন সবাইকে।

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৮ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা
১৩ জুলাই ২০২৫
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের সিনেমা
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা
১৩ জুলাই ২০২৫
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা
১৩ জুলাই ২০২৫
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৮ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল দেলোয়ার হোসেন। চলচ্চিত্রে এসে হয়ে যান দিলদার। বদলে যাওয়া এই নামেই ঠাঁই করে নেন দর্শকের হৃদয়ে। চার দশকের কম সময়ে দিলদার দেখা দিয়েছেন ৫০০-র বেশি সিনেমায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে রাজত্ব করতে হয়। কীভাবে কমেডিয়ানের গণ্ডি ডিঙিয়ে হয়ে উঠতে হয় একচ্ছত্র নায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর বাংলা
১৩ জুলাই ২০২৫
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৮ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগে