Ajker Patrika

শতবর্ষে মৃণাল সেন: তাঁর যে পাঁচটি সিনেমা দেখতে পারেন

আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ১২: ৫৬
শতবর্ষে মৃণাল সেন: তাঁর যে পাঁচটি সিনেমা দেখতে পারেন

শতবর্ষে বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান নির্মাতা মৃণাল সেন। ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরের সদর এলাকার ঝিলটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ফরিদপুরে তিনি তাঁর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ালেখা সম্পন্ন করে পশ্চিম বাংলার কলকাতায় স্থায়ী হন। উপমহাদেশে সৎ ও চিন্তাশীল চলচ্চিত্রে তিনি অন্যতম পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ‘ভুবন সোম’। ২৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৬টি চলচ্চিত্র বিষয়ক মৌলিক গ্রন্থও লিখেছেন মৃণাল সেন। জন্মদিনে যেনে নেওয়া যাক তাঁর পাঁচটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে।

ইন্টারভিউ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক‘ইন্টারভিউ’
ইন্টারভিউ মৃণাল সেনের ‘কলকাতা ট্রিলজি’র প্রথম চলচ্চিত্র। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রঞ্জিত মল্লিক। চলচ্চিত্রটিতে সেসময়ের কলকাতার উত্তাল দিনগুলোর ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটিতে সাধারণ মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরেন পরিচালক। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ঔপনিবেশিক ধারণা পুষে রাখার মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল।

‘কলকাতা ৭১ ’। ছবি: সংগৃহীত‘কলকাতা ৭১’ 
মৃণাল সেনের ‘কলকাতা ট্রিলজি’র দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘কলকাতা ৭১ ’। চলচ্চিত্রটিতে কলকাতার খাদ্যসংকট, সত্তরের নকশাল আন্দোলন উঠে এসেছে। এটি চারটি আলাদা গল্পের সমষ্টি। সমরেশ বসু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ সান্যাল ও মৃণাল সেনের চারটি গল্পের ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন উৎপল দত্ত ও মাধবী মুখোপাধ্যায়।

‘পদাতিক’। ছবি: সংগৃহীত‘পদাতিক’
‘কলকাতা ট্রিলজি’র শেষ চলচ্চিত্র ‘পদাতিক’–এ সেই সময়ের কলকাতার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরেছেন মৃণাল সেন। এই চলচ্চিত্রটি ১ আগস্ট ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়। এক রাজনৈতিক কর্মীকে নিয়ে লেখা গল্পে প্রধান চরিত্র করেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।

মৃগয়া চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী‘মৃগয়া’
মৃগয়া চলচ্চিত্রটি ১৯৭৬ সালে ভাগবতী চরণ পানিগ্রাহী রচিত ছোট গল্প ‘শিকার’ এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সম্পর্ক এবং ১৯২০-র ভারতীয় ভূস্বামীদের শোষণ চিত্রায়িত হয়েছে। ২৪ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এ মৃগয়া দুটি পুরস্কার লাভ করে-সেরা কাহিনি চিত্র এবং সেরা অভিনেতা। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান মিঠুন চক্রবর্তী। এটি ১৯৭৭ সালে দশম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন সেন্ট জর্জ পুরস্কার’–এর জন্য মনোনীত হওয়া ছাড়াও সেরা চলচ্চিত্রের জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কারও লাভ করে।

খণ্ডহর চলচ্চিত্রে অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন মৃণাল সেন‘খণ্ডহর’
প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রটি নির্মাণ হয়েছে। শাবানা আজমি, নাসিরউদ্দিন শাহ অভিনীত চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্ত্রে রিগা বিভাগে প্রদর্শিত হয়ছিল। তিন বন্ধুকে ঘিরে চলচ্চিত্রের গল্পটি আবর্তিত হয়। তিন বন্ধু একসময় শহর ছেড়ে এক গণ্ডগ্রামে গিয়ে দিন তিনেকের ছুটি কাটানোর জন্য যান। আর সেই ছুটি কাটানোর অভিজ্ঞতা ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে সিনেমার কাহিনি। চলচ্চিত্রটির জন্য শাবানা আজমি পেয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একই সঙ্গে ছবিটির সম্পাদনকারী মৃন্ময় চক্রবর্তী পেয়েছিলেন সেরা সম্পাদনকারীর পুরস্কার। এ ছাড়া শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্র হিসাবে গোল্ডেন হুগো আর মন্ট্রিয়েল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার জিতে নেয় ‘খণ্ডহর’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণমাধ্যমে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর, ক্ষুব্ধ হেমা মালিনী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৬
অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত

কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (৮৯) স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে যখন তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন আজ মঙ্গলবার সকালে সেই খবরকে উড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী (৭৭)। বর্তমানে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা ধর্মেন্দ্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং স্থিতিশীল আছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

আজ সকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে হেমা মালিনী এই ধরনের গুজবের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি লেখেন: ‘যা ঘটছে তা অমার্জনীয়! যে ব্যক্তি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হচ্ছেন, দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমগুলো কীভাবে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়াতে পারে? এটা চরম অসম্মানজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। দয়া করে পরিবারকে মর্যাদা দিন এবং তাদের ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকারকে সম্মান জানান।’

ধর্মেন্দ্রের স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানোর জন্য তিনি সরাসরি কিছু ‘দায়িত্বশীল চ্যানেল’-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হেমা মালিনীর আগে তাঁদের জ্যেষ্ঠ কন্যা এষা দেওলও ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে বাবার মৃত্যুর খবরকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। তিনি লেখেন, ‘গণমাধ্যম যেন আজ অতিরিক্ত তৎপর এবং তারা মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল এবং সুস্থ হচ্ছেন। আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবারকে কিছুটা ব্যক্তিগত পরিসর দিন। বাবার দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার জন্য ধন্যবাদ।’ এষা তাঁর পোস্টের কমেন্ট সেকশনও বন্ধ করে দিয়েছেন।

অন্যদিকে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের পুত্র সানি দেওলও একটি বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘ধর্মেন্দ্র জি স্থিতিশীল এবং পর্যবেক্ষণে আছেন। পরবর্তী মন্তব্য ও আপডেটগুলো যথাসময়ে জানানো হবে। দয়া করে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। দ্রুত আরোগ্যের জন্য সকলের কাছে প্রার্থনা এবং পরিবারের ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার অনুরোধ রইল।’

পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১০ নভেম্বর থেকে তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন। তবে পরিবার জানিয়েছে যে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।

অভিনেতার অসুস্থতার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূল ধারার কয়েকটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভিড় করেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বলিউড তারকারা। হেমা মালিনী, সানি দেওল, ববি দেওল ছাড়াও হাসপাতালে ধর্মেন্দ্রকে দেখতে গিয়েছিলেন সালমান খান, শাহরুখ খান এবং গোবিন্দার মতো তারকারা। সুস্থতার জন্য গোটা বলিউড ও ভক্তরা তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ২৯
প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তাঁর বয়স ৮৯ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দলের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

তবে, পরে ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হেমা মালিনী ও তাঁর মেয়ে এষা দেউল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, মৃত্যুর খবর ভুয়া। ধর্মেন্দ্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।

বলিউডের ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিত এই অভিনেতার ছয় দশকের বেশি সময়ে গড়া এক অসাধারণ চলচ্চিত্রজীবন। তাঁর মৃত্যুর খবরে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে। অসংখ্য অনুরাগী শোকাহত হয়েছেন। অন্তর্জালে সবাই শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন ধর্মেন্দ্রকে। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্ত্রী হেমা মালিনী, দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল, আমিশা প্যাটেল, শাহরুখ খান, সালমান খানসহ অনেকে।

পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সোমবার সকাল থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। এই অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

সোমবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তাঁকে রুটিন চেকআপ ও চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ধর্মেন্দ্রর টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি কিছুটা দুর্বল হয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রাম নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না।’ ধর্মেন্দ্রর ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, ‘এখন উনি আইসিইউতে আছেন। লাইফ সাপোর্টের খবর ভুল। উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’

ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী ও অভিনেত্রী হেমা মালিনী জানান, ‘ওর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। আমরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ তবে শেষ পর্যন্ত ভক্তদের আশঙ্কাই সত্যি হলো।

ধর্মেন্দ্রর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, পাঞ্জাবের নসরালি গ্রামে। প্রকৃত নাম ধর্মসিং দেওল। ১৯৬০ সালে অভিনয়জীবন শুরু হলেও এর আগে ধর্মেন্দ্রর পথ মোটেই সহজ ছিল না। এক সাধারণ গ্রামের ছেলেকে যে লড়াই করে তারকা হতে হয়েছিল, তা সিনেমার চেয়েও নাটকীয়।

দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান হয়েও ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি ছিল প্রবল টান। পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে তরুণ বয়সে ধর্মেন্দ্র ভারতীয় রেলে কেরানির পদে চাকরি নেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর। তখন তাঁর প্রথম বিয়ে হয় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১২৫ রুপি। কিন্তু ধর্মেন্দ্র বুঝেছিলেন, রেলের চাকরিতে তাঁর মন বসছে না। তিনি জানতেন, জীবনের উদ্দেশ্য অন্য কোথাও—সিনেমায়, আলোয় আর ক্যামেরার সামনে।

১৯৬০ সালে ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতা জিতে তাঁর মুম্বাইয়ে যাত্রা। সেখান থেকেই শুরু ইতিহাস। পরিচালক অর্জুন হিঙ্গোরানির ছবিতে ‘দিল ভি তেরা, হাম ভি তেরে’তে (১৯৬০) প্রথম সুযোগ পান ধর্মেন্দ্র। পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মাত্র ৫১ রুপি। সেখান থেকেই শুরু এক কিংবদন্তির যাত্রা। ‘ফুল অউর পাত্থার’ (১৯৬৬) ধর্মেন্দ্রকে একঝটকায় বলিউডের অ্যাকশন নায়কে পরিণত করে। পরের দুই দশকে তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দি সিনেমার এক অপ্রতিরোধ্য মুখ। ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘জাদুগর’, ‘ধরম বীর’, ‘দোস্ত’, ‘আনপাড়’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’—প্রতিটি চলচ্চিত্রেই তিনি যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন।

ধর্মেন্দ্রর জীবনের বড় অধ্যায় হেমা মালিনীকে ঘিরে। ১৯৮০ সালে এই জুটির বিয়ে হয়, যা বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটি। একসঙ্গে তাঁরা কাজ করেছেন ৩০টির বেশি ছবিতে। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘ড্রিমগার্ল’, ‘শরিফ বদমাশ’, ‘জুগনু’, ‘দোস্ত’ আজও জনপ্রিয়। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সংসারে ধর্মেন্দ্রর দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল—দুজনেই বলিউডের পরিচিত মুখ। হেমা মালিনীর সংসারে তাঁর দুই মেয়ে—এশা দেওল ও অহনা দেওল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যর্থতার কারণ জানালেন আদর আজাদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আদর আজাদ। ছবি: সংগৃহীত
আদর আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

শোবিজে আদর আজাদের পথচলা শুরু ১১ বছর আগে। ২০১৪ সালে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও ছোট পর্দা ঘুরে নাম লেখান সিনেমায়। ২০২২ সালে সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আদর আজাদের। ‘লাইভ’, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’, ‘টগর’, ‘জীবন জুয়া’সহ এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ১০টির মতো সিনেমা। কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তবে এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি আদরের কোনো সিনেমা। সম্প্রতি নিজের এই ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা।

সাফল্য না পেলেও পিছু হটেননি আদর। নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সিনেমায়। সম্প্রতি আদর আজাদ যুক্ত হয়েছেন জাহিদ হোসেনের ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ সিনেমায়। এর মহরতে নিজের ব্যর্থতা নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘সিনেমা আসলে ওয়ান ম্যান শো না। এটি পুরো টিমের জার্নি। সিনেমায় যদি ১০০টি বিভাগ থাকে, তাহলে কোনো বিভাগেই বিন্দুমাত্র খাদ রাখা যাবে না। আমার সিনেমাগুলোতে হয়তো ওই ধরনের ত্রুটি ছিল। গল্পে কোনো ত্রুটি ছিল, তা বলব না। যখন কোনো গল্প আমাকে ভাবায়, তখনই কাজটা করি। প্রতিটি গল্প, প্রতিটি চরিত্র আমার কাছে নতুন। ঠিক কোন কারণে ক্লিক হচ্ছে না বা কী ধরনের ভুল ছিল, তা বলতে পারব না। তবে ভুল থেকেই তো মানুষ শিক্ষা নেয়।’

সিনেমার ব্যর্থতায় নিজের দোষ নেই বলে মনে করেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, ‘কোনো সিনেমায় পারফরমার হিসেবে আমাকে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না। উদাহরণ দিয়ে বলি, তিরন্দাজ যখন তির ছোড়ে, তখন বাতাসের গতিবিধিও মাথায় রাখতে হয়। বাতাস কোন দিকে বইছে, সেই হিসাবে টার্গেট পয়েন্ট ঠিক করতে হয়। কখনো ১০-এ ১০ হয়, কখনো হয় না। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছে। সিনেমার সব বিভাগের কাজ যখন একই মানের হবে, তখনই ক্লিক করবে।’

আদর আজাদ মনে করেন, অভিনেতা হিসেবে তিনি ভালো করছেন বলেই নিয়মিত সিনেমায় সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘মাত্রই ‘‘ট্রাইব্যুনাল’’ নামের একটি সিনেমা শেষ করলাম। এখন ঢাকাইয়া দেবদাস সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যদি খারাপ করতাম, তাহলে আমাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করত না। আমাকে নিয়ে কিন্তু চিন্তা করা হচ্ছে, পরিকল্পনা হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। এটাই আমার কাছে অনেক কিছু। আমার ক্যারিয়ার হয়তো কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে, কিন্তু কাজ তো হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, একটা চলচ্চিত্রে সবার মেধা ব্যবহার করতে হবে। প্রমোশন, মার্কেটিং থেকে শুরু করে সবকিছু ১০-এ ১০ হওয়া উচিত। তাহলেই একটা বিগ সাকসেস অচিরেই আমরা পেয়ে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়ে করলেন প্রিয়াঙ্কা জামান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
রাকিবুল হাসান ও প্রিয়াঙ্কা জামান। ছবি: সংগৃহীত
রাকিবুল হাসান ও প্রিয়াঙ্কা জামান। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। পাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং নারায়ণগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। ৯ নভেম্বর পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। গতকাল বিয়ের পরদিন ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব রওনা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ও রাকিবুল। ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁদের।

এর আগে বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, তিনি এমন একজন ছেলেকে বিয়ে করতে চান, যিনি ধর্মপরায়ণ ও ভালো মনের মানুষ এবং প্রিয়াঙ্কাকে অনেক ভালোবাসবে। সৌদি যাওয়ার আগে প্রিয়াঙ্কা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাকিবের সঙ্গে পরিচয় বেশি দিনের নয়। অল্প দিনের পরিচয়ে আমি তাকে জানার চেষ্টা করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি সে কেমন মানুষ, তার মানসিকতা কেমন। আমার মনে হয়েছে, জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখেছি, রাকিব ঠিক তেমন একজন। তার বিনয় এবং কেয়ারিং আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিয়ের পরদিনই আমরা ওমরাহ করার জন্য সৌদি যাচ্ছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি এবং বাকি জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকতে পারি।’

প্রিয়াঙ্কা জামান জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকায় তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।

উল্লেখ্য, এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা জামান সজীব চিশতীর ‘গয়নার বাক্স’সহ আরও দুটি নাটকে কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জে শুটিং করেছেন কামরুল হুদার রচনা ও কামরুল হাসান সুজনের পরিচালনায় ২৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘মার্ডার’-এর। প্রিয়াঙ্কা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল ডিপজল প্রযোজিত ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে তাঁর। এই তালিকায় আছে মান্নান গাজীপুরীর ‘কী করে বলবো তোমায়’, অপূর্ব রানার ‘যন্ত্রণা’, মোহাম্মদ আসলামের ‘তবুও প্রেম দামী’ ইত্যাদি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত