নাজমুল হক নাঈম

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনার চেষ্টায় আছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাঁর নেওয়া ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় ২০১৮ সাল থেকে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ওই বছর এপ্রিলে রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর ‘ব্ল্যাক প্যানথার’। এর পর থেকে গত পাঁচ বছরে সিনেমা দেখিয়ে সৌদি আরবের আয় বেড়েছে ৭০ গুণের বেশি।
সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার (জিসিএএম) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সিনেমা চালুর পর পাঁচ বছরে এই খাত থেকে সৌদি আরবের আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারেরও বেশি; যা সৌদি আরবের মুদ্রায় ৫৩ কোটি ৫০ লাখ রিয়াল। প্রথম বছরে এই আয় ছিল ২০ লাখ ডলার।
জিসিএএম বলছে, সৌদি আরবের ২১টি বড় শহরে ৭টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ৬৯টি সিনেমা হল চলছে। যার দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৪ হাজারের বেশি। হলগুলোতে গত পাঁচ বছরে এক কোটির বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে টম ক্রুজ অভিনীত অ্যাকশন ড্রামা ফিল্ম ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’। ১২ লাখেরও বেশি টিকিট বিক্রি করে সিনেমাটি আয় করেছে ৮ কোটি ৪০ লাখ রিয়ালের বেশি।
সৌদি আরবের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের সিনেমা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ শতাংশ। একই বছরে দেশে সিনেমা নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ৭০০-এর বেশি; যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৩০০-এর বেশি।
সৌদির ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি স্ট্র্যাটেজিক গিয়ারস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ভিশন-২০৩০’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া (জিসিএএম) বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সেগুলো হলো—
● আগে টিকিটপ্রতি ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো; ২০২১ সাল থেকে তা কমিয়ে এলাকা ভেদে ১৫, ১০ ও ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
● সৌদি আরবে শুটিং করা সব চলচ্চিত্রের জন্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।
● ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লোহিত সাগর তহবিল নামে এক কোটি চার লাখ ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে এ তহবিল থেকে ১৪ জন নির্মাতাকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় পর্বের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
● ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ চলচ্চিত্র প্রযোজনার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকারের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়।
হলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘সৌদির তরুণ নির্মাতাদের দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, পাশাপাশি এ দেশের সিনেমা শিল্পের অগ্রগতিতে আমি আনন্দিত। আমি এখানে প্রায় এক সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে তাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো ঘুরে দেখিয়েছে, তাদের প্রচেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দেশটির জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশেরই বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
চীনের পরিবর্তনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘চীনের পরিকল্পনাও ঠিক এমনই ছিল। তাদের ব্যবসাও বড় ছিল না। এখন চীনের বাজার বেশ বড় হয়েছে।’
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক প্রযোজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করার উদ্দেশ্যেই এসব উৎসবে অংশ নিচ্ছে তারা।
আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘৪৮তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’–এ অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। কমিশন আল-উলা ফিল্ম, এনইওএম, দ্য কিংসহ চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি সংস্থার সহযোগিতায় উৎসবটিতে থাকছে সৌদি প্যাভিলিয়ন।
গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নেদারল্যান্ডসে শুরু হওয়া রটারডাম আরব ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও আলজেরিয়া, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, সিরিয়া, তিউনিসিয়ার সঙ্গে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব।
উৎসবটিতে সৌদির ৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এগুলো হলো সৌদির বক্স অফিসের রেকর্ড গড়া কমেডি-ড্রামা ‘সাত্তার’, মোহাম্মদ হাম্মাদ পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ইয়াল্লাহ, ইয়াল্লাহ, বীনাহ’ এবং সৌদির প্রথম মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘ভ্যালি রোড’।
এ উৎসবে ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আরবের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহিত করতে থাকছে নানা কর্মশালা।
বিদেশ অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজ দেশেও উৎসবের আয়োজন করছে সৌদি আরব। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় ‘রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। করোনা মহামারি শেষে গত বছরের ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দরনগরী জেদ্দার রিটজ কার্লটন হোটেলে হয়ে গেল উৎসবের দ্বিতীয় আসর। এতে অংশ নিয়েছিল ৬১টি দেশের ১৬১টি সিনেমা। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছে সৌদির দুটি সিনেমা।
উৎসবটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের জনপ্রিয় তারকাদের। ভারতীয় তথা দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের কথা বিবেচনায় রেখে সৌদি সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বলিউড তারকাদের। অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, হৃতিক রোশন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সোনম কাপুর, কারিনা কাপুর, সাইফ আলী খান, প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি ও নির্মাতা শেখর কাপুর।
২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে সর্বসাধারণের জন্য সিনেমা প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া হয়। রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা ‘ব্ল্যাক প্যানথার’।
সৌদি আরবে সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চার বছর পূর্তির সময় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছিল সিনেমাশিল্প দেশটির ৪ হাজার ৪০০ বেশি তরুণের চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে।

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনার চেষ্টায় আছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাঁর নেওয়া ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় ২০১৮ সাল থেকে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ওই বছর এপ্রিলে রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর ‘ব্ল্যাক প্যানথার’। এর পর থেকে গত পাঁচ বছরে সিনেমা দেখিয়ে সৌদি আরবের আয় বেড়েছে ৭০ গুণের বেশি।
সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার (জিসিএএম) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সিনেমা চালুর পর পাঁচ বছরে এই খাত থেকে সৌদি আরবের আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারেরও বেশি; যা সৌদি আরবের মুদ্রায় ৫৩ কোটি ৫০ লাখ রিয়াল। প্রথম বছরে এই আয় ছিল ২০ লাখ ডলার।
জিসিএএম বলছে, সৌদি আরবের ২১টি বড় শহরে ৭টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ৬৯টি সিনেমা হল চলছে। যার দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৪ হাজারের বেশি। হলগুলোতে গত পাঁচ বছরে এক কোটির বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে টম ক্রুজ অভিনীত অ্যাকশন ড্রামা ফিল্ম ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’। ১২ লাখেরও বেশি টিকিট বিক্রি করে সিনেমাটি আয় করেছে ৮ কোটি ৪০ লাখ রিয়ালের বেশি।
সৌদি আরবের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের সিনেমা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ শতাংশ। একই বছরে দেশে সিনেমা নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ৭০০-এর বেশি; যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৩০০-এর বেশি।
সৌদির ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি স্ট্র্যাটেজিক গিয়ারস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ভিশন-২০৩০’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া (জিসিএএম) বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সেগুলো হলো—
● আগে টিকিটপ্রতি ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো; ২০২১ সাল থেকে তা কমিয়ে এলাকা ভেদে ১৫, ১০ ও ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
● সৌদি আরবে শুটিং করা সব চলচ্চিত্রের জন্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।
● ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লোহিত সাগর তহবিল নামে এক কোটি চার লাখ ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে এ তহবিল থেকে ১৪ জন নির্মাতাকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় পর্বের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
● ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ চলচ্চিত্র প্রযোজনার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকারের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়।
হলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘সৌদির তরুণ নির্মাতাদের দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, পাশাপাশি এ দেশের সিনেমা শিল্পের অগ্রগতিতে আমি আনন্দিত। আমি এখানে প্রায় এক সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে তাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো ঘুরে দেখিয়েছে, তাদের প্রচেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দেশটির জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশেরই বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
চীনের পরিবর্তনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘চীনের পরিকল্পনাও ঠিক এমনই ছিল। তাদের ব্যবসাও বড় ছিল না। এখন চীনের বাজার বেশ বড় হয়েছে।’
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক প্রযোজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করার উদ্দেশ্যেই এসব উৎসবে অংশ নিচ্ছে তারা।
আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘৪৮তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’–এ অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। কমিশন আল-উলা ফিল্ম, এনইওএম, দ্য কিংসহ চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি সংস্থার সহযোগিতায় উৎসবটিতে থাকছে সৌদি প্যাভিলিয়ন।
গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নেদারল্যান্ডসে শুরু হওয়া রটারডাম আরব ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও আলজেরিয়া, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, সিরিয়া, তিউনিসিয়ার সঙ্গে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব।
উৎসবটিতে সৌদির ৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এগুলো হলো সৌদির বক্স অফিসের রেকর্ড গড়া কমেডি-ড্রামা ‘সাত্তার’, মোহাম্মদ হাম্মাদ পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ইয়াল্লাহ, ইয়াল্লাহ, বীনাহ’ এবং সৌদির প্রথম মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘ভ্যালি রোড’।
এ উৎসবে ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আরবের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহিত করতে থাকছে নানা কর্মশালা।
বিদেশ অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজ দেশেও উৎসবের আয়োজন করছে সৌদি আরব। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় ‘রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। করোনা মহামারি শেষে গত বছরের ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দরনগরী জেদ্দার রিটজ কার্লটন হোটেলে হয়ে গেল উৎসবের দ্বিতীয় আসর। এতে অংশ নিয়েছিল ৬১টি দেশের ১৬১টি সিনেমা। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছে সৌদির দুটি সিনেমা।
উৎসবটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের জনপ্রিয় তারকাদের। ভারতীয় তথা দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের কথা বিবেচনায় রেখে সৌদি সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বলিউড তারকাদের। অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, হৃতিক রোশন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সোনম কাপুর, কারিনা কাপুর, সাইফ আলী খান, প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি ও নির্মাতা শেখর কাপুর।
২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে সর্বসাধারণের জন্য সিনেমা প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া হয়। রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা ‘ব্ল্যাক প্যানথার’।
সৌদি আরবে সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চার বছর পূর্তির সময় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছিল সিনেমাশিল্প দেশটির ৪ হাজার ৪০০ বেশি তরুণের চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে।
নাজমুল হক নাঈম

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনার চেষ্টায় আছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাঁর নেওয়া ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় ২০১৮ সাল থেকে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ওই বছর এপ্রিলে রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর ‘ব্ল্যাক প্যানথার’। এর পর থেকে গত পাঁচ বছরে সিনেমা দেখিয়ে সৌদি আরবের আয় বেড়েছে ৭০ গুণের বেশি।
সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার (জিসিএএম) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সিনেমা চালুর পর পাঁচ বছরে এই খাত থেকে সৌদি আরবের আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারেরও বেশি; যা সৌদি আরবের মুদ্রায় ৫৩ কোটি ৫০ লাখ রিয়াল। প্রথম বছরে এই আয় ছিল ২০ লাখ ডলার।
জিসিএএম বলছে, সৌদি আরবের ২১টি বড় শহরে ৭টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ৬৯টি সিনেমা হল চলছে। যার দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৪ হাজারের বেশি। হলগুলোতে গত পাঁচ বছরে এক কোটির বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে টম ক্রুজ অভিনীত অ্যাকশন ড্রামা ফিল্ম ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’। ১২ লাখেরও বেশি টিকিট বিক্রি করে সিনেমাটি আয় করেছে ৮ কোটি ৪০ লাখ রিয়ালের বেশি।
সৌদি আরবের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের সিনেমা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ শতাংশ। একই বছরে দেশে সিনেমা নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ৭০০-এর বেশি; যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৩০০-এর বেশি।
সৌদির ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি স্ট্র্যাটেজিক গিয়ারস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ভিশন-২০৩০’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া (জিসিএএম) বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সেগুলো হলো—
● আগে টিকিটপ্রতি ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো; ২০২১ সাল থেকে তা কমিয়ে এলাকা ভেদে ১৫, ১০ ও ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
● সৌদি আরবে শুটিং করা সব চলচ্চিত্রের জন্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।
● ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লোহিত সাগর তহবিল নামে এক কোটি চার লাখ ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে এ তহবিল থেকে ১৪ জন নির্মাতাকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় পর্বের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
● ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ চলচ্চিত্র প্রযোজনার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকারের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়।
হলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘সৌদির তরুণ নির্মাতাদের দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, পাশাপাশি এ দেশের সিনেমা শিল্পের অগ্রগতিতে আমি আনন্দিত। আমি এখানে প্রায় এক সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে তাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো ঘুরে দেখিয়েছে, তাদের প্রচেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দেশটির জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশেরই বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
চীনের পরিবর্তনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘চীনের পরিকল্পনাও ঠিক এমনই ছিল। তাদের ব্যবসাও বড় ছিল না। এখন চীনের বাজার বেশ বড় হয়েছে।’
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক প্রযোজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করার উদ্দেশ্যেই এসব উৎসবে অংশ নিচ্ছে তারা।
আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘৪৮তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’–এ অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। কমিশন আল-উলা ফিল্ম, এনইওএম, দ্য কিংসহ চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি সংস্থার সহযোগিতায় উৎসবটিতে থাকছে সৌদি প্যাভিলিয়ন।
গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নেদারল্যান্ডসে শুরু হওয়া রটারডাম আরব ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও আলজেরিয়া, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, সিরিয়া, তিউনিসিয়ার সঙ্গে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব।
উৎসবটিতে সৌদির ৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এগুলো হলো সৌদির বক্স অফিসের রেকর্ড গড়া কমেডি-ড্রামা ‘সাত্তার’, মোহাম্মদ হাম্মাদ পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ইয়াল্লাহ, ইয়াল্লাহ, বীনাহ’ এবং সৌদির প্রথম মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘ভ্যালি রোড’।
এ উৎসবে ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আরবের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহিত করতে থাকছে নানা কর্মশালা।
বিদেশ অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজ দেশেও উৎসবের আয়োজন করছে সৌদি আরব। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় ‘রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। করোনা মহামারি শেষে গত বছরের ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দরনগরী জেদ্দার রিটজ কার্লটন হোটেলে হয়ে গেল উৎসবের দ্বিতীয় আসর। এতে অংশ নিয়েছিল ৬১টি দেশের ১৬১টি সিনেমা। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছে সৌদির দুটি সিনেমা।
উৎসবটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের জনপ্রিয় তারকাদের। ভারতীয় তথা দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের কথা বিবেচনায় রেখে সৌদি সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বলিউড তারকাদের। অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, হৃতিক রোশন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সোনম কাপুর, কারিনা কাপুর, সাইফ আলী খান, প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি ও নির্মাতা শেখর কাপুর।
২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে সর্বসাধারণের জন্য সিনেমা প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া হয়। রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা ‘ব্ল্যাক প্যানথার’।
সৌদি আরবে সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চার বছর পূর্তির সময় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছিল সিনেমাশিল্প দেশটির ৪ হাজার ৪০০ বেশি তরুণের চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে।

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনার চেষ্টায় আছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাঁর নেওয়া ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনায় ২০১৮ সাল থেকে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ওই বছর এপ্রিলে রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর ‘ব্ল্যাক প্যানথার’। এর পর থেকে গত পাঁচ বছরে সিনেমা দেখিয়ে সৌদি আরবের আয় বেড়েছে ৭০ গুণের বেশি।
সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার (জিসিএএম) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সিনেমা চালুর পর পাঁচ বছরে এই খাত থেকে সৌদি আরবের আয় হয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারেরও বেশি; যা সৌদি আরবের মুদ্রায় ৫৩ কোটি ৫০ লাখ রিয়াল। প্রথম বছরে এই আয় ছিল ২০ লাখ ডলার।
জিসিএএম বলছে, সৌদি আরবের ২১টি বড় শহরে ৭টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ৬৯টি সিনেমা হল চলছে। যার দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৪ হাজারের বেশি। হলগুলোতে গত পাঁচ বছরে এক কোটির বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে টম ক্রুজ অভিনীত অ্যাকশন ড্রামা ফিল্ম ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’। ১২ লাখেরও বেশি টিকিট বিক্রি করে সিনেমাটি আয় করেছে ৮ কোটি ৪০ লাখ রিয়ালের বেশি।
সৌদি আরবের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের সিনেমা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ শতাংশ। একই বছরে দেশে সিনেমা নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ৭০০-এর বেশি; যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৩০০-এর বেশি।
সৌদির ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি স্ট্র্যাটেজিক গিয়ারস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ভিশন-২০৩০’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদি আরবের জেনারেল কমিশন ফর অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া (জিসিএএম) বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সেগুলো হলো—
● আগে টিকিটপ্রতি ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো; ২০২১ সাল থেকে তা কমিয়ে এলাকা ভেদে ১৫, ১০ ও ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
● সৌদি আরবে শুটিং করা সব চলচ্চিত্রের জন্য ৪০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে।
● ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে লোহিত সাগর তহবিল নামে এক কোটি চার লাখ ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে এ তহবিল থেকে ১৪ জন নির্মাতাকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় পর্বের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
● ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ চলচ্চিত্র প্রযোজনার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকারের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়।
হলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘সৌদির তরুণ নির্মাতাদের দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, পাশাপাশি এ দেশের সিনেমা শিল্পের অগ্রগতিতে আমি আনন্দিত। আমি এখানে প্রায় এক সপ্তাহ ছিলাম। আমাকে তাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো ঘুরে দেখিয়েছে, তাদের প্রচেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
মাইকেল বে মনে করেন, সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দেশটির জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশেরই বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
চীনের পরিবর্তনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘চীনের পরিকল্পনাও ঠিক এমনই ছিল। তাদের ব্যবসাও বড় ছিল না। এখন চীনের বাজার বেশ বড় হয়েছে।’
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক প্রযোজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করার উদ্দেশ্যেই এসব উৎসবে অংশ নিচ্ছে তারা।
আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘৪৮তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’–এ অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব। কমিশন আল-উলা ফিল্ম, এনইওএম, দ্য কিংসহ চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি সংস্থার সহযোগিতায় উৎসবটিতে থাকছে সৌদি প্যাভিলিয়ন।
গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নেদারল্যান্ডসে শুরু হওয়া রটারডাম আরব ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও আলজেরিয়া, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, সিরিয়া, তিউনিসিয়ার সঙ্গে অংশ নিচ্ছে সৌদি আরব।
উৎসবটিতে সৌদির ৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এগুলো হলো সৌদির বক্স অফিসের রেকর্ড গড়া কমেডি-ড্রামা ‘সাত্তার’, মোহাম্মদ হাম্মাদ পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ইয়াল্লাহ, ইয়াল্লাহ, বীনাহ’ এবং সৌদির প্রথম মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘ভ্যালি রোড’।
এ উৎসবে ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আরবের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহিত করতে থাকছে নানা কর্মশালা।
বিদেশ অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজ দেশেও উৎসবের আয়োজন করছে সৌদি আরব। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় ‘রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। করোনা মহামারি শেষে গত বছরের ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দরনগরী জেদ্দার রিটজ কার্লটন হোটেলে হয়ে গেল উৎসবের দ্বিতীয় আসর। এতে অংশ নিয়েছিল ৬১টি দেশের ১৬১টি সিনেমা। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছে সৌদির দুটি সিনেমা।
উৎসবটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের জনপ্রিয় তারকাদের। ভারতীয় তথা দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের কথা বিবেচনায় রেখে সৌদি সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বলিউড তারকাদের। অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, হৃতিক রোশন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, সোনম কাপুর, কারিনা কাপুর, সাইফ আলী খান, প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি ও নির্মাতা শেখর কাপুর।
২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে সর্বসাধারণের জন্য সিনেমা প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া হয়। রাজধানী রিয়াদের ‘এএমসি’ সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা ‘ব্ল্যাক প্যানথার’।
সৌদি আরবে সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চার বছর পূর্তির সময় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছিল সিনেমাশিল্প দেশটির ৪ হাজার ৪০০ বেশি তরুণের চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৭ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৭ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

আজ মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। নির্বাচিত সেসব অনুষ্ঠানের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিটিভি
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’। সকাল ১০টায় প্রচারিত হবে নৃত্যানুষ্ঠান ‘বিজয় পতাকা’। বেলা ১১টায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠান। রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘মানচিত্র’, মুক্তিযুদ্ধ, মানুষের সংগ্রাম-আবেগ ও আত্মত্যাগ আর ভালোবাসার গল্প নিয়ে রচিত হয়েছে নাটকের কাহিনি। কাজী আসাদের রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মামুন মাহমুদ। অভিনয় করেছেন সাব্বির আহমেদ, কাজী আসাদ, আইনুন নাহার পুতুল, বাবুল আহমেদ, আবদুর রহমান প্রমুখ।
চ্যানেল আই
বেলা ১১টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আই চত্বর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ‘হৃদয়ে লাল সবুজ, বিজয়ের ৫৪ বছর’। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হবে বাংলা চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রয়েছে ‘ইকোসাইড ১৯৭১’। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন মুকিত মজুমদার বাবু। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘ডাক্তার বাড়ি’। শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গল্প অবলম্বনে এটি পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি বাড়ির সদস্যরা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন সেই কাহিনি উঠে এসেছে নাটকে। অভিনয় করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, আহসান হাবিব নাসিম, নরেশ ভূঁইয়া, রিয়া মনি প্রমুখ।
দীপ্ত টিভি
বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিজয় দিবসে ছায়ানট নিবেদিত অনুষ্ঠান ‘আমার বাংলা’। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে দেখা যাবে প্রামাণ্য কাহিনিচিত্র ‘স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ’। এতে দেখা যাবে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক বিজয় অর্জিত হলেও কার্যত দেশ শত্রুমুক্ত হয় আরও দেড় মাস পর। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে পাকিস্তানি ও বিহারিদের দ্বারা অবরুদ্ধ ঢাকার মিরপুর মুক্তকরণই ছিল মূলত স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ। দৈনিক পত্রিকা বা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধে মিরপুর যুদ্ধের কিছু বিষয় উঠে আসলেও পুরো ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে জনসমক্ষে আসেনি। তাই এই ঘটনা পর্দায় তুলে আনতে কাজ শুরু করে পাভেল নামের একজন তরুণ নির্মাতা। কাহিনিচিত্রটির গবেষণা ও চিত্রনাট্য করেছেন মারুফ হাসান ও চিত্রনাট্য সম্পাদনা করেছেন নাসিমুল হাসান। পরিচালনা করেছেন ফিরোজ কবির ডলার।
বাংলাভিশন
বিকেল ৫টা ১০মিনিটে প্রচার হবে মহান বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে ৭১’। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদ। সঞ্চালনা করেছেন সাকিলা মতিন মৃদুলা, প্রযোজনায় রফিকুল ইসলাম ফারুকী।

বৈশাখী টেলিভিশন
সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে দেশের গানের অনুষ্ঠান ‘জন্মভূমি’। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে থাকছে সিনেমার গান নিয়ে অনুষ্ঠান মিউজিক অ্যালবাম। আজ প্রচারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গান। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমাটি দেখা যাবে বেলা ১০টায়। নাটক ‘বীরাঙ্গনা’ প্রচারিত হবে রাত ১০টায়। টিপু আলম মিলনের গল্পে চিত্রনাট্য করেছেন আনন জামান। পরিচালনা শুদ্ধমান চৈতন্য। অভিনয়ে রওনক হাসান, অপর্ণা ঘোষ, মনোজ প্রামাণিক প্রমুখ।
মাছরাঙা টেলিভিশন
রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘শেষ প্রহর’। রচনা শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয় করেছেন শাশ্বত দত্ত, আইশা খান, আবুল হায়াত প্রমুখ। গল্পে দেখা যাবে, আনুশকা কানাডা থেকে দেশে এসেছে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করার উদ্দেশে। বাবা মারা যাওয়ায় দেশে তার আর কেউ নেই। তাই বাবার বন্ধু হায়াত আঙ্কেলের বাসায় উঠেছে সে। আনুশকার জমি বিক্রির কথা শুনে হায়াত আঙ্কেল একটু দুঃখ পান। এদিকে হায়াত সাহেবের পরিবারে এক ঝামেলা তৈরি হয়। স্থানীয় এক নেতা তার একটি জমি কিনতে চায়। কিন্তু হায়াত সাহেব তার কাছে জমি বিক্রি করতে চান না। কারণ, সে একজন রাজাকার। কোনোভাবেই এই জমি তার কাছে বিক্রি করবে না সে। হায়াত সাহেবের কথা শুনে আনুশকার চোখ খুলে যায়। নতুন করে দেশ নিয়ে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভাবতে শুরু করে।

আজ মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। নির্বাচিত সেসব অনুষ্ঠানের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিটিভি
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’। সকাল ১০টায় প্রচারিত হবে নৃত্যানুষ্ঠান ‘বিজয় পতাকা’। বেলা ১১টায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠান। রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘মানচিত্র’, মুক্তিযুদ্ধ, মানুষের সংগ্রাম-আবেগ ও আত্মত্যাগ আর ভালোবাসার গল্প নিয়ে রচিত হয়েছে নাটকের কাহিনি। কাজী আসাদের রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মামুন মাহমুদ। অভিনয় করেছেন সাব্বির আহমেদ, কাজী আসাদ, আইনুন নাহার পুতুল, বাবুল আহমেদ, আবদুর রহমান প্রমুখ।
চ্যানেল আই
বেলা ১১টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আই চত্বর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ‘হৃদয়ে লাল সবুজ, বিজয়ের ৫৪ বছর’। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রচারিত হবে বাংলা চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রয়েছে ‘ইকোসাইড ১৯৭১’। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন মুকিত মজুমদার বাবু। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘ডাক্তার বাড়ি’। শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গল্প অবলম্বনে এটি পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি বাড়ির সদস্যরা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন সেই কাহিনি উঠে এসেছে নাটকে। অভিনয় করেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, আহসান হাবিব নাসিম, নরেশ ভূঁইয়া, রিয়া মনি প্রমুখ।
দীপ্ত টিভি
বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিজয় দিবসে ছায়ানট নিবেদিত অনুষ্ঠান ‘আমার বাংলা’। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে দেখা যাবে প্রামাণ্য কাহিনিচিত্র ‘স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ’। এতে দেখা যাবে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক বিজয় অর্জিত হলেও কার্যত দেশ শত্রুমুক্ত হয় আরও দেড় মাস পর। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে পাকিস্তানি ও বিহারিদের দ্বারা অবরুদ্ধ ঢাকার মিরপুর মুক্তকরণই ছিল মূলত স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধ। দৈনিক পত্রিকা বা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধে মিরপুর যুদ্ধের কিছু বিষয় উঠে আসলেও পুরো ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে জনসমক্ষে আসেনি। তাই এই ঘটনা পর্দায় তুলে আনতে কাজ শুরু করে পাভেল নামের একজন তরুণ নির্মাতা। কাহিনিচিত্রটির গবেষণা ও চিত্রনাট্য করেছেন মারুফ হাসান ও চিত্রনাট্য সম্পাদনা করেছেন নাসিমুল হাসান। পরিচালনা করেছেন ফিরোজ কবির ডলার।
বাংলাভিশন
বিকেল ৫টা ১০মিনিটে প্রচার হবে মহান বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে ৭১’। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এবং মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদ। সঞ্চালনা করেছেন সাকিলা মতিন মৃদুলা, প্রযোজনায় রফিকুল ইসলাম ফারুকী।

বৈশাখী টেলিভিশন
সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে দেশের গানের অনুষ্ঠান ‘জন্মভূমি’। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে থাকছে সিনেমার গান নিয়ে অনুষ্ঠান মিউজিক অ্যালবাম। আজ প্রচারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গান। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমাটি দেখা যাবে বেলা ১০টায়। নাটক ‘বীরাঙ্গনা’ প্রচারিত হবে রাত ১০টায়। টিপু আলম মিলনের গল্পে চিত্রনাট্য করেছেন আনন জামান। পরিচালনা শুদ্ধমান চৈতন্য। অভিনয়ে রওনক হাসান, অপর্ণা ঘোষ, মনোজ প্রামাণিক প্রমুখ।
মাছরাঙা টেলিভিশন
রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক ‘শেষ প্রহর’। রচনা শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয় করেছেন শাশ্বত দত্ত, আইশা খান, আবুল হায়াত প্রমুখ। গল্পে দেখা যাবে, আনুশকা কানাডা থেকে দেশে এসেছে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করার উদ্দেশে। বাবা মারা যাওয়ায় দেশে তার আর কেউ নেই। তাই বাবার বন্ধু হায়াত আঙ্কেলের বাসায় উঠেছে সে। আনুশকার জমি বিক্রির কথা শুনে হায়াত আঙ্কেল একটু দুঃখ পান। এদিকে হায়াত সাহেবের পরিবারে এক ঝামেলা তৈরি হয়। স্থানীয় এক নেতা তার একটি জমি কিনতে চায়। কিন্তু হায়াত সাহেব তার কাছে জমি বিক্রি করতে চান না। কারণ, সে একজন রাজাকার। কোনোভাবেই এই জমি তার কাছে বিক্রি করবে না সে। হায়াত সাহেবের কথা শুনে আনুশকার চোখ খুলে যায়। নতুন করে দেশ নিয়ে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভাবতে শুরু করে।

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৭ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৭ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য মামুন, মাবরুর রশীদ বান্নাহ ও অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে হুমকি দেওয়া হয়েছে ডাল্টন সৌভাত হীরা নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।
অ্যাকাউন্টটি থেকে আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে চমক ও বান্নাহর ফোন নম্বর ফাঁস করা হয়েছে, তাঁদের লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হুমকিদাতা। তাঁদেরকে কোনো কাজে নিতেও শোবিজসংশ্লিষ্টদের নিষেধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি পাওয়ার কথা জানান চমক। তবে কোনো ধরনের হুমকিতে ভীত নন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
রুকাইয়া জাহান চমক বলেন, ‘রোববার রাতে আমার ফোনে ২০০ থেকে ৩০০ কল এসেছে। শেষ পর্যন্ত ফোন নম্বর বন্ধ করতে বাধ্য হই। এতগুলো ফোনকল, হত্যার হুমকি, মনে হচ্ছিল আমার জীবনে দেশের জন্য কিছু একটা তো করেছি। যার কারণে এরা আমার পেছনে এভাবে লেগেছে। কিছু না করলে পেছনে লাগত না—এতটুকু সান্ত্বনা নিজেকে দিতে পারছি। এই দেশের মানুষের কোনো কাজে আমি আসতে পেরেছি, এটাই তো বড় কথা। ওরা যদি সত্যি আমাকে মেরে ফেলে, এটা আমার জন্য সুন্দর উপহার হবে। আমার জন্য আশীর্বাদ হবে যে আমি আমার দেশের জন্য মারা গেছি।’
চমক আরও বলেন, ‘৭০ বছরে বয়সে গিয়ে বৃদ্ধ হয়ে মরার চেয়ে দেশের জন্য মৃত্যু হলে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। অনেকেই আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন, ফোন করে সতর্ক করছেন। তাঁদেরকে বলব, মন খারাপ করবেন না। আমি যদি মরে যাই, তাতে আমার দুঃখ নেই। যাঁরা হুমকি দিচ্ছে তাদের বলতে চাই, তোমরা আমাকে নিয়ে যত বাজে কথা বলবা তত মনে করব আমি কিছু করতে পেরেছি। তোমাদের হুমকিতে বাসায় বসে থাকার মানুষ আমি না।’
মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে অনন্য মামুন বলেন, ‘হাদিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা তো জানে না হাদি আমার কাছে একটা ভালোবাসার নাম। আর মৃত্যুর ভয় কখনো পাই না। যেদিন পৃথিবীতে এসেছি, সেদিনই আল্লাহ তাআলা আমার মৃত্যুর তারিখ ঠিক করে রেখেছে।’
চমক ও মামুন হুমকি প্রসঙ্গে কথা বললেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি নির্মাতা বান্নাহ।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য মামুন, মাবরুর রশীদ বান্নাহ ও অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে হুমকি দেওয়া হয়েছে ডাল্টন সৌভাত হীরা নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।
অ্যাকাউন্টটি থেকে আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে চমক ও বান্নাহর ফোন নম্বর ফাঁস করা হয়েছে, তাঁদের লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হুমকিদাতা। তাঁদেরকে কোনো কাজে নিতেও শোবিজসংশ্লিষ্টদের নিষেধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি পাওয়ার কথা জানান চমক। তবে কোনো ধরনের হুমকিতে ভীত নন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
রুকাইয়া জাহান চমক বলেন, ‘রোববার রাতে আমার ফোনে ২০০ থেকে ৩০০ কল এসেছে। শেষ পর্যন্ত ফোন নম্বর বন্ধ করতে বাধ্য হই। এতগুলো ফোনকল, হত্যার হুমকি, মনে হচ্ছিল আমার জীবনে দেশের জন্য কিছু একটা তো করেছি। যার কারণে এরা আমার পেছনে এভাবে লেগেছে। কিছু না করলে পেছনে লাগত না—এতটুকু সান্ত্বনা নিজেকে দিতে পারছি। এই দেশের মানুষের কোনো কাজে আমি আসতে পেরেছি, এটাই তো বড় কথা। ওরা যদি সত্যি আমাকে মেরে ফেলে, এটা আমার জন্য সুন্দর উপহার হবে। আমার জন্য আশীর্বাদ হবে যে আমি আমার দেশের জন্য মারা গেছি।’
চমক আরও বলেন, ‘৭০ বছরে বয়সে গিয়ে বৃদ্ধ হয়ে মরার চেয়ে দেশের জন্য মৃত্যু হলে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে। অনেকেই আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন, ফোন করে সতর্ক করছেন। তাঁদেরকে বলব, মন খারাপ করবেন না। আমি যদি মরে যাই, তাতে আমার দুঃখ নেই। যাঁরা হুমকি দিচ্ছে তাদের বলতে চাই, তোমরা আমাকে নিয়ে যত বাজে কথা বলবা তত মনে করব আমি কিছু করতে পেরেছি। তোমাদের হুমকিতে বাসায় বসে থাকার মানুষ আমি না।’
মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে অনন্য মামুন বলেন, ‘হাদিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা তো জানে না হাদি আমার কাছে একটা ভালোবাসার নাম। আর মৃত্যুর ভয় কখনো পাই না। যেদিন পৃথিবীতে এসেছি, সেদিনই আল্লাহ তাআলা আমার মৃত্যুর তারিখ ঠিক করে রেখেছে।’
চমক ও মামুন হুমকি প্রসঙ্গে কথা বললেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি নির্মাতা বান্নাহ।

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৭ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৭ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন। ভিডিওতে মডেল হয়েছেন আবদুল্লাহ আল সেন্টু, ফাতিমা আক্তার ইয়ামন এবং আশিকুর রহমান চমন।
নতুন এই গান নিয়ে সংগীতশিল্পী আকরাম হোসেন জানান, প্রচলিত কথা ও সুরে নির্মিত পালে লাগে নারে হাওয়া গানটি প্রেম, বিচ্ছেদ ও স্মৃতির দোলাচলকে ধারণ করে। ভিডিওর গল্প আবর্তিত হয়েছে অসম বয়সী এক দম্পতির বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে। সেখানে একটি গানের দলের পরিবেশনায় পালে লাগে নারে হাওয়া ধীরে ধীরে আন্দোলিত করে এক তরুণীর জীবনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো স্মৃতি।
ভিডিও নির্দেশক খন্দকার সুমন বলেন, ‘গানটি যখন প্রথম শুনি, তখন অদ্ভুত একধরনের স্মৃতিকাতরতা অনুভব করি। সেই অনুভূতিই গানটিকে ভিজ্যুয়ালি ধারণ করাতে আগ্রহ তৈরি করে। মিউজিক ভিডিওটির শুটিং হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলীতে। ন্যারেটিভ ভিজ্যুয়াল স্টাইলে নির্মিত ভিডিওটি প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্গত অনুভূতির মধ্যে একধরনের নীরব সংলাপ তৈরি করে।’
পালে লাগে নারে হাওয়া প্রযোজনা করেছে আইডিয়া এক্সচেঞ্জ। নির্বাহী প্রযোজক মাসুদ রানা নকীব। গানটির কপিরাইট ও প্রকাশনা স্বত্ব জি সিরিজ মিউজিকের।

জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন। ভিডিওতে মডেল হয়েছেন আবদুল্লাহ আল সেন্টু, ফাতিমা আক্তার ইয়ামন এবং আশিকুর রহমান চমন।
নতুন এই গান নিয়ে সংগীতশিল্পী আকরাম হোসেন জানান, প্রচলিত কথা ও সুরে নির্মিত পালে লাগে নারে হাওয়া গানটি প্রেম, বিচ্ছেদ ও স্মৃতির দোলাচলকে ধারণ করে। ভিডিওর গল্প আবর্তিত হয়েছে অসম বয়সী এক দম্পতির বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে। সেখানে একটি গানের দলের পরিবেশনায় পালে লাগে নারে হাওয়া ধীরে ধীরে আন্দোলিত করে এক তরুণীর জীবনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো স্মৃতি।
ভিডিও নির্দেশক খন্দকার সুমন বলেন, ‘গানটি যখন প্রথম শুনি, তখন অদ্ভুত একধরনের স্মৃতিকাতরতা অনুভব করি। সেই অনুভূতিই গানটিকে ভিজ্যুয়ালি ধারণ করাতে আগ্রহ তৈরি করে। মিউজিক ভিডিওটির শুটিং হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলীতে। ন্যারেটিভ ভিজ্যুয়াল স্টাইলে নির্মিত ভিডিওটি প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্গত অনুভূতির মধ্যে একধরনের নীরব সংলাপ তৈরি করে।’
পালে লাগে নারে হাওয়া প্রযোজনা করেছে আইডিয়া এক্সচেঞ্জ। নির্বাহী প্রযোজক মাসুদ রানা নকীব। গানটির কপিরাইট ও প্রকাশনা স্বত্ব জি সিরিজ মিউজিকের।

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৭ ঘণ্টা আগে
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে। এখন তিনি ছোট পর্দার ব্যস্ততম অভিনেতাদের একজন। অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার পর ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য আর নিয়মিত ভিডিও বানাতে পারেননি শামীম। দেড় বছর আগে এই চ্যানেল থেকে তাঁর গাওয়া একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। সম্প্রতি আবারও ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেতা। এবার এই ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাটক বানিয়েছেন তিনি। নাম ‘আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স’। এই নাটক দিয়ে নাট্য প্রযোজনায় নাম লেখালেন শামীম।
গতকাল ছিল শামীম হাসান সরকারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে প্রকাশ পেয়েছে শামীম প্রযোজিত প্রথম নাটক। আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স নাটকের গল্প রচনা ও পরিচালনা করেছেন সহীদ উন নবী। দুই যমজ ভাইকে নিয়ে গল্প। এতে দু্ই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার। দুই নায়িকার চরিত্রে আছেন সামান্থা পারভেজ ও লামিমা লাম। আরও আছেন মাসুম বাশার, মিলি বাশার, তমাল মাহবুব প্রমুখ।
নাটক প্রযোজনা প্রসঙ্গে শামীম হাসান সরকার বলেন, ‘২০১৩ সালে ম্যাংগো স্কোয়াডের যাত্রা শুরু। এরপর অনেক ভিডিও বানিয়েছি এই প্ল্যাটফর্মের জন্য। ম্যাংগো স্কোয়াড মানুষের আবেগের জায়গা। তাই দর্শকদের জন্য এবার ম্যাংগো স্কোয়াড থেকে নাটক প্রযোজনা করলাম। মাঝে কিছুটা সময় অনিয়মিত হলেও এখন থেকে অ্যাকটিভ থাকবে ম্যাংগো স্কোয়াড।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই নাটক প্রযোজনায় আসা। এর মধ্যে তিনটি নাটক তৈরি হয়েছে। একটি গতকাল প্রকাশিত হলো। প্রতি মাসে অন্তত একটি করে নাটক প্রযোজনার চিন্তা আছে। আশা করছি বরাবরের মতো এবারও সবাইকে পাশে পাব।’
শামীম জানান, জন্মদিনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়েই কেটেছে সময়।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি করে ঢুকেছিলেন চাকরিতে। সেই চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার হয়েছিলেন শামীম হাসান সরকার। ম্যাংগো স্কোয়াড নামের ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে পান পরিচিতি। সেই সুবাদে আসেন নাটকে। এখন তিনি ছোট পর্দার ব্যস্ততম অভিনেতাদের একজন। অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার পর ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য আর নিয়মিত ভিডিও বানাতে পারেননি শামীম। দেড় বছর আগে এই চ্যানেল থেকে তাঁর গাওয়া একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। সম্প্রতি আবারও ম্যাংগো স্কোয়াডের জন্য কাজ শুরু করেছেন এই অভিনেতা। এবার এই ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাটক বানিয়েছেন তিনি। নাম ‘আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স’। এই নাটক দিয়ে নাট্য প্রযোজনায় নাম লেখালেন শামীম।
গতকাল ছিল শামীম হাসান সরকারের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে প্রকাশ পেয়েছে শামীম প্রযোজিত প্রথম নাটক। আতা অ্যান্ড তোতা ব্রাদার্স নাটকের গল্প রচনা ও পরিচালনা করেছেন সহীদ উন নবী। দুই যমজ ভাইকে নিয়ে গল্প। এতে দু্ই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার। দুই নায়িকার চরিত্রে আছেন সামান্থা পারভেজ ও লামিমা লাম। আরও আছেন মাসুম বাশার, মিলি বাশার, তমাল মাহবুব প্রমুখ।
নাটক প্রযোজনা প্রসঙ্গে শামীম হাসান সরকার বলেন, ‘২০১৩ সালে ম্যাংগো স্কোয়াডের যাত্রা শুরু। এরপর অনেক ভিডিও বানিয়েছি এই প্ল্যাটফর্মের জন্য। ম্যাংগো স্কোয়াড মানুষের আবেগের জায়গা। তাই দর্শকদের জন্য এবার ম্যাংগো স্কোয়াড থেকে নাটক প্রযোজনা করলাম। মাঝে কিছুটা সময় অনিয়মিত হলেও এখন থেকে অ্যাকটিভ থাকবে ম্যাংগো স্কোয়াড।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই নাটক প্রযোজনায় আসা। এর মধ্যে তিনটি নাটক তৈরি হয়েছে। একটি গতকাল প্রকাশিত হলো। প্রতি মাসে অন্তত একটি করে নাটক প্রযোজনার চিন্তা আছে। আশা করছি বরাবরের মতো এবারও সবাইকে পাশে পাব।’
শামীম জানান, জন্মদিনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়েই কেটেছে সময়।

মার্ভেল থেকে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ও অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার সিনেমা—টানা পাঁচ বছর সৌদি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে রুপালি পর্দা। নাটক-সিনেমার ওপর থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ঢল।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অনুষ্ঠান সূচি। আয়োজনে থাকছে আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি। সকাল ৯টায় রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘দেশপ্রেম ও বিজয়ের গল্প’।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। হাদির সুস্থতা কামনা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন শোবিজ তারকারাও। হাদিকে নিয়ে পোস্ট করার পর নির্মাতা অনন্য...
৭ ঘণ্টা আগে
জি সিরিজ থেকে প্রকাশিত হলো প্রচলিত লোকগান ‘পালে লাগে নারে হাওয়া’। গানটি গেয়েছেন আকরাম হোসেন। সংগীত আয়োজন করেছেন আকাশ রহমান, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন।
৭ ঘণ্টা আগে