Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

অফিস, বাড়ি আর নিজের সন্তানের বাইরে কিছু ভাবতে মানুষ ভুলে গেছে: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এখন শুধু বাংলার নন, বলিউডেও তাঁর ব্যস্ততা বেড়েছে। তবু বাংলাদেশের সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তাব পেতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন। বাংলাদেশে আসতে পারবেন, এটাই ছিল তাঁর প্রধান আগ্রহের বিষয়। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর পরিচালনায় ‘গুলমোহর’ সিরিজের শুটিং করতে গত বছর ঢাকায় এসেছিলেন শাশ্বত। অবশেষে ১৫ মে চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে সিরিজটি। সে উপলক্ষে সিরিজটি নিয়ে, ক্যারিয়ারের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আড্ডায় বসলেন তিনি। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর

খায়রুল বাসার নির্ঝর
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ০০: ৩০

প্রথমবার বাংলাদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কেমন হলো।

এর আগে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ফ্লাই করে গেছি, কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। ছোটবেলায় অ্যান্টেনার সঙ্গে বুস্টার লাগালে কলকাতা থেকে বিটিভি দেখা যেত। সেই সূত্রে বাংলাদেশের টেলিনাটকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। সুন্দর সুন্দর নাটক হতো, সেগুলো দেখতাম। এবার প্রথমবার যখন নামি ঢাকা এয়ারপোর্টে, অদ্ভুত এক্সপেরিয়েন্স হলো। ইমিগ্রেশনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি, সেখানে যিনি ছিলেন তিনি ‘ক্যামেরার দিকে তাকান’ বলে আমার দিকে তাকিয়ে ফিক্সড হয়ে গেলেন। সঙ্গে একগাল হাসি। বাংলাদেশে ঢোকার একটু আগে, আপনাদের এয়ারপোর্টে আর্মির একটা বেজ আছে, ছোট অফিস গোছের। সেখানে দুজন ইউনিফর্ম পরা ভদ্রলোক এসে বললেন, ‘কোথায় যাচ্ছেন?’ আমি বললাম শুটিং করতে। বললেন, ‘দেশে তো ঢুকতে দেব না।’ আমি বললাম, মানে? আমি এত দূর থেকে আসছি। বললেন, ‘এখানে তো এক কাপ চা না খেয়ে আপনি দেশে ঢুকতে পারবেন না।’ এভাবে বাংলাদেশে আমার এন্ট্রি হলো। এরপর পুরো সময়টা স্বপ্নের মতো কেটেছে।

শারীরিকভাবে এ দেশে প্রথম এলেও এখানকার মানুষের মনে আপনি আরও আগেই জায়গা করে নিয়েছেন, আপনার কাজ দিয়ে...

এটা তো ভাগ্যের ব্যাপার। সত্যি বলতে, এত বছর ধরে কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকাটা খুবই মুশকিল। যদি না আপনি আপনার ১০০ শতাংশ দেন আপনার কাজের পেছনে। সেটা আমি করার চেষ্টা করেছি, ফাঁকি মারিনি, তার ফল আমি বুঝতে পেরেছি বাংলাদেশের মাটিতে নেমেই।

‘গুলমোহর’ সিরিজের শুটিং করে কেমন লাগল।

খুবই সুন্দর একটা সাবজেক্ট। এ ধরনের কাজ আমাদের এখানে সত্যিই খুব কম হয়। পুরোনো ফ্যামিলির ঐতিহ্য, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড—সব মিলিয়ে চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা। প্রথমবার অন্য দেশের এত বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে কাজ, আমি একটু গুটিয়েই ছিলাম। কিন্তু বাকিরা এত সুন্দরভাবে আমাকে অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছেন, এত সহজ করে তুলেছেন যে একবারের জন্যও মনে হয়নি, আমি দেশের বাইরে কাজ করছি।

গুলমোহরে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আপনার আগ্রহের প্রধান বিষয় কী ছিল।

আমার তো প্রথমেই লোভ লেগেছিল যে বাংলাদেশে গিয়ে এ রকম একটা গল্পে অভিনয় করব, যেটা কোনো দিন করা হয়নি। বাংলাদেশে এত পুরোনো সুন্দর সুন্দর লোকেশন দেখলাম! এত সবুজে ঘেরা জায়গা! এত ওয়ার্ম হার্টেড মানুষজন! আমরা গিয়েছিলাম মাওয়া বলে একটা জায়গায়। জ্যান্ত ইলিশ দেখে পছন্দ করে একদিন সন্ধ্যাবেলা খাওয়াদাওয়া করেও এসেছি। যে পদ্মা নদীর কথা আমরা এত দিন শুনে এসেছি, চোখের সামনে অত বড় একটা নদী! অদ্ভুত লাগছিল! যেটা টাকি শহর থেকে আমরা দেখি। আমরা যখন টাকির এপারে থাকি, ভারতবর্ষে থাকি, তখন অদ্ভুত লাগে। টাকির এদিকে দাঁড়ালে ওদিক থেকে আজানের শব্দ আসে। আর এবার দেশটার ভেতরে দাঁড়িয়ে সেসব দেখলাম, এই অভিজ্ঞতা বলে বোঝানো যাবে না।

বাংলাদেশে এত পুরোনো সুন্দর সুন্দর লোকেশন দেখলাম! এত সবুজে ঘেরা জায়গা! এত ওয়ার্ম হার্টেড মানুষজন! আমরা গিয়েছিলাম মাওয়া বলে একটা জায়গায়। জ্যান্ত ইলিশ দেখে পছন্দ করে একদিন সন্ধ্যাবেলা খাওয়াদাওয়া করেও এসেছি। যে পদ্মা নদীর কথা আমরা এত দিন শুনে এসেছি, চোখের সামনে অত বড় একটা নদী! অদ্ভুত লাগছিল!

নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী খুব বেশি কাজ বানাননি, সেই অর্থে তিনি নতুন। তাঁর পরিচালনায় ভরসা রাখার কারণ কী।

আমাকে আগেই বলা হয়েছিল, উনি নতুন হতে পারেন, কিন্তু কাজটা জানেন। একটা ধারা উনি নিয়ে এসেছেন, যেটা এর আগে হয়তো সেভাবে কেউ করেননি। সেটা কাজ করতে করতে বুঝতে পারলাম, উনার মাথা একদম পরিষ্কার, কী চান কী চান না, উনি জানেন। এ ধরনের ডিরেক্টর পাওয়াটা আজকের দিনে দুষ্কর।

গুলমোহরের মতো পারিবারিক ইমোশনের গল্প এখন অনেক কম হচ্ছে, এ কথা আপনি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন। এর কারণ কী।

এখন এত নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি হয়ে গেছে! মানুষ অফিস, বাড়ি আর নিজের সন্তানের বাইরে কিছু ভাবতে ভুলে গেছে। এই যে ফ্যামিলির একটা ঐতিহ্য, এই যে আমার আজকে ঠাকুরদাদা যেমন আছেন, ঠাকুরদাদার ছোট ভাইও আমার সঙ্গে আছেন। আমার পিসিমা বিধবা হয়ে যাওয়ার পরে বাড়িতে চলে এসেছেন, তিনিও আছেন। এই যে বন্ডিংগুলো, সেগুলো তো এখন ফ্যামিলি থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে। কাজেই ইমোশনও হারাবে।

তাহলে নতুন প্রজন্মের কাছে গুলমোহর সিরিজটি কি ততটা ইমোশনাল হয়ে উঠতে পারবে।

যাদের মন আছে, তাদের কাছে পারবে। যারা ভাবতে পারে, চিন্তা করতে পারে, যারা শুধুই টাকার পেছনে ছুটছে না, সাকসেসের পেছনে ছুটছে না। সে রকম মানুষও তো আছে। সিরিজটা তাদেরকে ছোঁবে। আমি বিশ্বাস করি, সবাইকে কোনো দিন খুশি করা যায় না। কেউ কোনো দিন পারেননি। আমি এমনও শুনেছি, উত্তমকুমারের থেকে অমুক বেটার অ্যাক্টর, অমিতাভ বচ্চন কোনো অ্যাক্টরই নন—এ রকম বলার লোকও আছেন। কাজেই সবাইকে কেউ কোনো দিন খুশি করতে পারেনি। আমিও পারব না। কাজেই যত বেশিসংখ্যক দর্শক আমরা পাব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমার মনে হয়, সে ধরনের মানুষ এখনো আছে বলেই পৃথিবীটা চলছে, পারস্পরিক সম্পর্ক, মূল্যবোধ যাদের কাছে খুব ইমপরট্যান্ট।

আপনি একটা সমৃদ্ধ শৈশব পেয়েছেন। আপনার বাবা বিখ্যাত অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের কারণে ওই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতাদের সান্নিধ্য পেয়েছেন। এটা আপনার জীবনকে প্রভাবিত করেছে?

বাংলায় একটা কথা আছে জানেন তো, গেয়ো যোগী ভিখ পায় না। ছোটবেলায় এদের কোনো দিন পাত্তা দিইনি, বিশ্বাস করুন। উত্তমকুমার কে, সেটা আমি চিনেছি তিনি মারা যাওয়ার পরে। তখন আপামর ভারতবাসী কান ঢাকছেন, অমিতাভ বচ্চন এসে গেছেন। কিন্তু উত্তম জেঠু চলে যাওয়ার পর আমি কলকাতার রাস্তায় যে পরিস্থিতি দেখেছিলাম, তারপর আমার জানতে ইচ্ছে করেছিল, উনি কে! এ তো উত্তম জেঠু, বাবাও শুটিং করেন, উনিও শুটিং করেন। সিনেমা করেন। উনি আলাদা কী!

ছোটবেলায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোলে বসা আমার একটা ছবি আছে, কিন্তু ওটা কোনো দিনই আমার কাছে ইমপরট্যান্ট ছবি বলে মনে হয়নি। ও তো ভানু জেঠু, এ তো উত্তম জেঠু, এ তো সৌমিত্র জেঠু, সাবিত্রী পিসি! পরে তো এদের দেখেই আমি যা শেখার শিখেছি। ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট সিনেমা দেখেই অভিনয় শিখেছি। এবং কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো চরিত্রে তাঁদের কোনো না কোনো ইনফ্লুয়েন্স থেকে যাবেই। প্রভাব কিছু থাকবেই। যাঁরা খুব বড়, কোনো কোনো বিষয়ে তাঁদের থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিছু করা যায় না। কোথাও না কোথাও একটা ছাপ থেকে যায়। উত্তম জেঠু একবার বলেছিলেন, ‘জমিদারের চরিত্র করব, অথচ ছবি বিশ্বাস ঢুকে থাকবে না মনে, এটা তো হতে পারে না।’ আমি কমেডি করব, কোথাও একটা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, জহর রায়, তুলসী চক্রবর্তী ঠিক বেরিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা কখনোই অনুকরণ নয়। অনুসরণ করতে করতে কোথাও ভেতরে থেকে যায়।

আপনি বেশ কিছু বায়োপিক করেছেন। তবে ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় নীলকণ্ঠ বাগচী, মানে ঋত্বিক ঘটকের চরিত্রে আপনার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। এ সিনেমার পেছনের গল্পটা কী।

কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় নীলকণ্ঠ বাগচীর যে চরিত্রটা—ঋত্বিক ঘটকের, সেটা যখন আমাকে করতে বলে, আমার খুব ভয় করেছিল। আমি ঋত্বিক ঘটকের নাম শুনেছি, উনার সিনেমা দেখেছি কিন্তু মানুষটাকে কোনো দিন দেখিনি। আমাকে ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’র ডিভিডি দেওয়া হয়, যাতে উনি অভিনয় করেছিলেন। সেখান থেকে আমি তোলার চেষ্টা করি, মানুষটা কীভাবে তাকাতেন, কীভাবে হাসতেন, কীভাবে বসতেন, এগুলো রপ্ত করার চেষ্টা করেছি। আমার চেহারার সঙ্গে উনার চেহারার কোনো অংশে মিল নেই। সেখানে দাঁড়িয়ে যখন আমাকে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস আর কমলেশ্বর বলে যে তোমাকে চরিত্রটা করতে হবে; সত্যিই একটু চিন্তা হয়েছিল। থিয়েটারে আমার যিনি গুরু ছিলেন, জোছন দস্তিদার, তিনি একটা কথা আমাদের শিখিয়েছিলেন—সৃষ্টির গোড়ার কথায় শুধু সাহস। তো সাহস নিয়ে করে ফেলেছি এবং সেটা মানুষের ভালো লেগেছে।

ফেলুদার সঙ্গে তোপসে হিসেবে আপনাকে আজও মনে রেখেছে দর্শক। এ চরিত্রে আপনাকে নাকি স্বয়ং সত্যজিৎ রায় পছন্দ করেছিলেন?

আমি খুবই ভাগ্যবান। কারণ, আমাকে তোপসে মনোনীত করে গিয়েছিলেন মানিক জেঠুই (সত্যজিৎ রায়)। সেটা একটি বিয়েবাড়িতে। আমাকে বিজয়া জেঠিমা ডাকলেন, ‘এদিকে শোন, কী বলছে!’ উনি (সত্যজিৎ) তখন খাচ্ছিলেন। আমি প্রণাম করে দাঁড়ালাম। উনি বললেন, ‘তুমি খুব ভালো তোপসে হতে পারতে।’ কিন্তু উনি তখন অলরেডি ঘোষণা করে দিয়েছেন, উনি আর ফেলুদা করবেন না। আমি বললাম, আপনি তো আর করবেন না। উনি বললেন, ‘কী করে করব, সন্তোষ (সন্তোষ দত্ত, জটায়ু চরিত্রের অভিনেতা) নেই!’ মানে একজন অভিনেতার প্রতি কতটা ভালোবাসা এবং আস্থা একজন ডিরেক্টরের। জটায়ু চলে গেছে বলে ফেলুদাই আর করলেন না! তারপর উনি আমাকে বলেছিলেন, রবির (অভিনেতা রবি ঘোষ) বয়সটা একটু বাড়লে যদি বাবু (সন্দীপ রায়) কোনো দিন ফেলুদা বানায়, তুমি তোপসে করবে।

পরবর্তী সময়ে ফেলুদার অনেক গল্পে সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে আপনি তোপসে হয়েছেন। আপনাদের জুটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল...

ফেলুদার সবচেয়ে বেশি গল্প কিন্তু আমরাই করেছি—আমি আর বেনুদা (সব্যসাচী চক্রবর্তী)। আমরা বোধ হয় ১০-১২টা গল্প করেছি। আমি চার্বাকে (নাট্যদল) অভিনয় করতাম। বেনুদাও চার্বাকে অভিনয় করতেন। তোপসে যেমন ফেলুদাকে রেসপেক্ট করে, ফেলুদা তাঁর গুরু; আমার কাছেও বাস্তব জীবনে সব্যসাচী চক্রবর্তী একধরনের গুরু। কাজেই রসায়নটা খুব ইজি হয়ে গিয়েছিল।

[নানা বিষয়ে আড্ডা চলতে থাকে আরও কিছুক্ষণ। বিদায়ের আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘আমার খুব ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে গিয়ে মঞ্চনাটক দেখার। এবার সম্ভব হলো না, দেখা যাক পরে কী হয়!’]

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার শুটিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের আয়োজন

৬ ইয়াং স্টারকে নিয়ে ৩ বিচারকের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।

আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।

কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’

সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’

কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রটারড্যাম উৎসবে ‘দেলুপি’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।

রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’

দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেখা হলো শাহরুখ-মেসির, সঙ্গে ছিল খানপুত্র আব্রাম

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৩
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।

মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।

মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।

জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত