২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল মৌ খানের। তবে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘বান্ধব’। ছয় বছর আগে মুক্তির জন্য ছাড়পত্র পেলেও এত দিন আটকে ছিল সিনেমাটি। অবশেষে আগামী ৩ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সুজন বড়ুয়া পরিচালিত বান্ধব। সিনেমা ও অন্যান্য বিষয়ে মৌ খানের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ
দীর্ঘ অপেক্ষার পর মুক্তি পাচ্ছে বান্ধব। কেমন লাগছে?
অনেক ভালো লাগছে। কারণ এটা আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা। বান্ধব দিয়েই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আমার যাত্রা শুরু। প্রথম যেকোনো কিছু নিয়েই সবার মধ্যে আলাদা ভালো লাগা থাকে। এত বছর পর আমার সেই ‘প্রথম’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, এটা খুব খুশির ব্যাপার।
এত দিন কেন আটকে ছিল সিনেমাটি?
পরিচালক ও প্রযোজক সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। সেন্সর পাওয়ার পর করোনা মহামারি চলে এল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় চলে যায়। গত বছরও মুক্তির পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁরা সরে আসেন।
২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল আপনার। ওই বছর সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিল বান্ধব। সে সময়ে সিনেমাটি মুক্তি পেলে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য নিশ্চয় ভালো হতো। কোনো আক্ষেপ কাজ করে কি?
আক্ষেপ অবশ্যই আছে। একজন শিল্পী যখন কোনো সিনেমায় কাজ করেন, তখন তাঁর চিন্তা থাকে সেটি দর্শকের কাছে কবে পৌঁছাবে। আর প্রথম সিনেমা হলে তো চিন্তাটা আরও বেশি থাকে। কারণ সিনেমা মুক্তি মানেই পরিচিতি বৃদ্ধি, অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণের এবং স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ। কিন্তু কোনো কাজ অনেক বছর আটকে থাকলে সেটা শিল্পীর জন্য কষ্টদায়ক। সিনেমা নির্মাণের পর সেটা যদি দর্শকদের দেখানোই না যায়, তবে এর চেয়ে বড় কষ্ট তো আর কিছু হতে পারে না।
বান্ধব সিনেমার গল্প এবং আপনার অভিনীত চরিত্র নিয়ে বলুন।
এই সিনেমার গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে। সুজন বড়ুয়া দাদার কাছে গল্পটি শোনার পর রাজি হই। বলতে পারেন, গল্পের প্রেমে পড়েই সিনেমায় রাজি হওয়া। বান্ধব তৈরি হয়েছে একজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর গল্প নিয়ে। নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে কীভাবে সে বেড়ে ওঠে, তা নিয়ে কাহিনি। আমি অভিনয় করেছি অন্যতম প্রধান চরিত্রে। এটা কোনো নায়ক-নায়িকানির্ভর গল্প না। পুরো যাত্রাটাই আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। একজন অভিনেত্রী হিসেবে কাজটা করে আমার ভালো লেগেছে। আমি অনেক আশাবাদী।
এখন প্রযুক্তিতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। এত বছর আগের সিনেমা, এখন মুক্তি পাচ্ছে। এটার কোনো প্রভাব পড়বে কি?
মনে হয় না সেভাবে প্রভাব পড়বে। আমাদের সিনেমায় সেভাবে প্রযুক্তির কোনো ব্যবহার হয়নি। এটা গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত হয়েছে। যতটা সম্ভব ন্যাচারাল আবহেই শুটিং করা হয়েছে। আমি এখানে মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেছি। আমার মনে হয়, বান্ধবের গল্পটা এখনো প্রাসঙ্গিক। তাই দেরিতে মুক্তি পেলেও এটা পিছিয়ে থাকবে বলে মনে করি না।
আপনার আরও কয়েকটি সিনেমা আটকে আছে। সেগুলোর কী খবর?
ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে ‘বাংলার হারকিউলিস’ আর শফিক হাসান পরিচালিত ‘বাহাদুরী’ সিনেমা দুটি আটকে আছে। যতদূর জানি সিনেমা দুটির মুক্তি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। শিগগির হয়তো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তির ঘোষণা আসবে। এ ছাড়া শাপলা মিডিয়ার একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু শাপলা মিডিয়া নতুন আর কোনো সিনেমা মুক্তি দেবে বলে মনে হয় না।
‘হঠাৎ বৃষ্টি’র রিমেকে অভিনয় করছেন। এই সিনেমা নিয়ে জানতে চাই।
হঠাৎ বৃষ্টি সিনেমায় শ্রীলেখা মিত্র যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আমাকে সেই চরিত্রে দেখা যাবে। আগের সিনেমায় চরিত্রটির নাম প্রীতি থাকলেও এবার নাম বদলে সানজানা করা হয়েছে। তবে গল্প একই আছে।
‘হঠাৎ বৃষ্টি’ জনপ্রিয় সিনেমা। স্বাভাবিকভাবেই রিমেক মুক্তি পেলে আগের সিনেমার সঙ্গে তুলনা চলে আসে। বিষয়টি কতটা চ্যালেঞ্জিং?
অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি কাজটি খুব উপভোগ করছি। কারণ বলিউডে ‘সিরফ তুম’ সিনেমায় এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা সেন এবং বাংলায় অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। তাঁরা দুজনই অনেক গুণী শিল্পী। একই চরিত্রে আমি অভিনয় করছি, এটা আমার জন্য অনেক গর্বের। সিনেমার কাজও খুব ভালো হচ্ছে। সব মিলিয়ে আবার হঠাৎ বৃষ্টি নিয়ে আমি খুব এক্সাইটেড।
সম্প্রতি ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। কেমন চলছে ব্যবসা?
কয়েক মাস আগে ছোট করে শুরু করেছি। একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা তো আমার মূল পেশা না। আমার মূল ফোকাস হচ্ছে সিনেমা। পাশাপাশি কিছু একটা করার চিন্তা থেকে ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়া।
নতুন আর কোনো সিনেমার খবর?
হঠাৎ বৃষ্টি সিনেমার কাজ এখনো চলছে। এ ছাড়া জাফর আল মামুনের পরিচালনায় ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’ সিনেমার কাজ করছি। বাস্তবধর্মী গল্পের সিনেমাটির কাহিনি মূলত রেলস্টেশনের শিশুদের নিয়ে। আগামী অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে শুটিং। এতে আমার সঙ্গে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর মুক্তি পাচ্ছে বান্ধব। কেমন লাগছে?
অনেক ভালো লাগছে। কারণ এটা আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা। বান্ধব দিয়েই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আমার যাত্রা শুরু। প্রথম যেকোনো কিছু নিয়েই সবার মধ্যে আলাদা ভালো লাগা থাকে। এত বছর পর আমার সেই ‘প্রথম’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, এটা খুব খুশির ব্যাপার।
এত দিন কেন আটকে ছিল সিনেমাটি?
পরিচালক ও প্রযোজক সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। সেন্সর পাওয়ার পর করোনা মহামারি চলে এল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় চলে যায়। গত বছরও মুক্তির পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁরা সরে আসেন।
২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল আপনার। ওই বছর সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিল বান্ধব। সে সময়ে সিনেমাটি মুক্তি পেলে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য নিশ্চয় ভালো হতো। কোনো আক্ষেপ কাজ করে কি?
আক্ষেপ অবশ্যই আছে। একজন শিল্পী যখন কোনো সিনেমায় কাজ করেন, তখন তাঁর চিন্তা থাকে সেটি দর্শকের কাছে কবে পৌঁছাবে। আর প্রথম সিনেমা হলে তো চিন্তাটা আরও বেশি থাকে। কারণ সিনেমা মুক্তি মানেই পরিচিতি বৃদ্ধি, অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণের এবং স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ। কিন্তু কোনো কাজ অনেক বছর আটকে থাকলে সেটা শিল্পীর জন্য কষ্টদায়ক। সিনেমা নির্মাণের পর সেটা যদি দর্শকদের দেখানোই না যায়, তবে এর চেয়ে বড় কষ্ট তো আর কিছু হতে পারে না।
বান্ধব সিনেমার গল্প এবং আপনার অভিনীত চরিত্র নিয়ে বলুন।
এই সিনেমার গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে। সুজন বড়ুয়া দাদার কাছে গল্পটি শোনার পর রাজি হই। বলতে পারেন, গল্পের প্রেমে পড়েই সিনেমায় রাজি হওয়া। বান্ধব তৈরি হয়েছে একজন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর গল্প নিয়ে। নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে কীভাবে সে বেড়ে ওঠে, তা নিয়ে কাহিনি। আমি অভিনয় করেছি অন্যতম প্রধান চরিত্রে। এটা কোনো নায়ক-নায়িকানির্ভর গল্প না। পুরো যাত্রাটাই আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। একজন অভিনেত্রী হিসেবে কাজটা করে আমার ভালো লেগেছে। আমি অনেক আশাবাদী।
এখন প্রযুক্তিতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। এত বছর আগের সিনেমা, এখন মুক্তি পাচ্ছে। এটার কোনো প্রভাব পড়বে কি?
মনে হয় না সেভাবে প্রভাব পড়বে। আমাদের সিনেমায় সেভাবে প্রযুক্তির কোনো ব্যবহার হয়নি। এটা গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত হয়েছে। যতটা সম্ভব ন্যাচারাল আবহেই শুটিং করা হয়েছে। আমি এখানে মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেছি। আমার মনে হয়, বান্ধবের গল্পটা এখনো প্রাসঙ্গিক। তাই দেরিতে মুক্তি পেলেও এটা পিছিয়ে থাকবে বলে মনে করি না।
আপনার আরও কয়েকটি সিনেমা আটকে আছে। সেগুলোর কী খবর?
ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে ‘বাংলার হারকিউলিস’ আর শফিক হাসান পরিচালিত ‘বাহাদুরী’ সিনেমা দুটি আটকে আছে। যতদূর জানি সিনেমা দুটির মুক্তি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। শিগগির হয়তো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তির ঘোষণা আসবে। এ ছাড়া শাপলা মিডিয়ার একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু শাপলা মিডিয়া নতুন আর কোনো সিনেমা মুক্তি দেবে বলে মনে হয় না।
‘হঠাৎ বৃষ্টি’র রিমেকে অভিনয় করছেন। এই সিনেমা নিয়ে জানতে চাই।
হঠাৎ বৃষ্টি সিনেমায় শ্রীলেখা মিত্র যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আমাকে সেই চরিত্রে দেখা যাবে। আগের সিনেমায় চরিত্রটির নাম প্রীতি থাকলেও এবার নাম বদলে সানজানা করা হয়েছে। তবে গল্প একই আছে।
‘হঠাৎ বৃষ্টি’ জনপ্রিয় সিনেমা। স্বাভাবিকভাবেই রিমেক মুক্তি পেলে আগের সিনেমার সঙ্গে তুলনা চলে আসে। বিষয়টি কতটা চ্যালেঞ্জিং?
অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি কাজটি খুব উপভোগ করছি। কারণ বলিউডে ‘সিরফ তুম’ সিনেমায় এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা সেন এবং বাংলায় অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। তাঁরা দুজনই অনেক গুণী শিল্পী। একই চরিত্রে আমি অভিনয় করছি, এটা আমার জন্য অনেক গর্বের। সিনেমার কাজও খুব ভালো হচ্ছে। সব মিলিয়ে আবার হঠাৎ বৃষ্টি নিয়ে আমি খুব এক্সাইটেড।
সম্প্রতি ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। কেমন চলছে ব্যবসা?
কয়েক মাস আগে ছোট করে শুরু করেছি। একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা তো আমার মূল পেশা না। আমার মূল ফোকাস হচ্ছে সিনেমা। পাশাপাশি কিছু একটা করার চিন্তা থেকে ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়া।
নতুন আর কোনো সিনেমার খবর?
হঠাৎ বৃষ্টি সিনেমার কাজ এখনো চলছে। এ ছাড়া জাফর আল মামুনের পরিচালনায় ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’ সিনেমার কাজ করছি। বাস্তবধর্মী গল্পের সিনেমাটির কাহিনি মূলত রেলস্টেশনের শিশুদের নিয়ে। আগামী অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে শুটিং। এতে আমার সঙ্গে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৫’। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উৎসবের প্রথম দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরিবেশিত হবে যাত্রাপালা
১ ঘণ্টা আগেসিকুয়েলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তামিল নির্মাতা সি প্রেম কুমার। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘৯৬’ ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছিল ২০১৮ সালে। সাত বছর পর সিনেমাটির দ্বিতীয় পর্ব নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রেম কুমার। এরই মধ্যে চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেগান নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী দেবলীনা সুর। দুর্গাপূজা এলে সেই ব্যস্ততা বেড়ে যায় আরও। দেবলীনা জানান, এবার দুর্গাপূজাতেও টিভি থেকে শুরু করে পূজামণ্ডপ পর্যন্ত রয়েছে তাঁর ব্যস্ততা। সেই সঙ্গে রয়েছে নিজের নতুন গান প্রকাশ।
১২ ঘণ্টা আগে‘যারা চলে গেছেন তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ রুপি, আর যারা আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জন্য ২ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। আমি জানি, এই অর্থ যথেষ্ঠ নয়। তবুও এই মুহূর্তে আমার দায়িত্ব হলো আমার প্রিয়জনদের পাশে দাঁড়ানো।’
১ দিন আগে