Ajker Patrika

বাংলা সিনেমার প্রযোজক নায়িকারা

বিনোদন প্রতিবেদক
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৬
বাংলা সিনেমার প্রযোজক নায়িকারা

জয়া আহসান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি তে সিনেমা’। সে প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে প্রযোজনা করেছেন ‘দেবী’। সিনেমা দুটি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছে। লকডাউনের মধ্যে গত বছর নির্মাণ করেছেন নাম ঠিক না হওয়া দ্বিতীয় সিনেমার কাজ। পরিচালনা করেছেন পিপলু আর খান। খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবেন তাঁর প্রযোজনায় তৃতীয় সিনেমা ‘ফুড়ুৎ’।

জয়া আহসান প্রযোজিত প্রথম ভারতীয় সিনেমার নাম ‘ওসিডি’। বানাবেন সৌকর্য ঘোষাল। তিনি জয়াকে নিয়ে এর আগে ‘ভূতপুরী’ বানিয়েছেন। প্রযোজনা নিয়ে জয়া বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট জার্নির পর প্রযোজনায় আসা যেতেই পারে। কেননা, একটা সময়ে এখানকার সবকিছু হাতের তালুর রেখার মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। যদি কাজটা তারা ভালোভাবে করে, ফাঁক-ফোকরগুলো পূরণ করতে পারে, তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব। পাশাপাশি একটা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিও থাকে, যাতে টাকাটা ঘরে আসে। তবে আফসোস হয় যে, এত সম্ভাবনা থাকার পরও কেন ইন্ডাস্ট্রি একটা সিস্টেমের মধ্যে আসছে না!’

নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক থেকেনুসরাত ইমরোজ তিশা

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রথমবার নির্মাণ করছেন ওয়েব সিরিজ। কনটেন্টটির নাম, অভিনয়শিল্পী বা কোন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে–তার কোনোকিছুই প্রকাশ করেননি পরিচালক। জানা গেল, ওয়েব সিরিজটির প্রযোজক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ফারুকীর স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’, ‘আ বার্নিং কোয়েশ্চেন’ সিনেমা দুটির পাশাপাশি ওয়েব সিরিজটিরও প্রযোজক হিসেবে আছেন তিনি।

প্রযোজক হিসেবে নিয়মিত কনটেন্ট নির্মাণ করতে চাই। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান করারও ইচ্ছে আছে। আমি পুরোদস্তুর অভিনেত্রী হলেও এই পরিচয়টা আশা করি উপভোগ করব। প্রযোজক হলে একটা কাজের শুরু থেকে থাকা যায়। তাতে দায়বদ্ধতাও বাড়ে।

নুসরাত ইমরোজ তিশা, অভিনেত্রী


মাহিয়া মাহি। ছবি: ফেসবুক থেকেমাহিয়া মাহি

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আড়াই বছরের মাথায় প্রযোজনার ঘোষণা দেন হালের আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। তরুণ এই নায়িকা জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ছবির পরিচালক হবেন জাকির হোসেন রাজু। পাঁচ বছর চলে গেলেও ‘স্করপিয়ন’ নামের সেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আজও কোনো ছবি নির্মিত হয়নি।
অনেকেই বিষয়টিকে মাহির ‘ফাঁকা আওয়াজ’ বলে মনে করেছিলেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, মাহির অভিষেক হওয়া প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যদি বিরোধে না জড়াতেন, তাহলে হয়তো ঠিক সময়ে শুটিংয়ে গড়াত মাহির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিনেমা। নিজের প্রযোজনায় সিনেমা বানাতে না পারলেও একটি ওয়েব কনটেন্ট প্রযোজনায় করেছেন মাহি। কনটেনন্টটির নাম ‘এইডা কপাল’। ত্রিশ মিনিট দৈর্ঘে্যর কনটেন্টটি বানিয়েছেন রায়হান রাফি। সম্প্রতি এর টিজার প্রকাশ হয়েছে অনলাইনে। গত বছর হয়েছে শুটিং। জানা যায়, ‘আঁধার থেকে আঁধারে’ নামের একটি সিনেমা খুব শিগগির শুরু করতে পারেন তিনি।

পরীমনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকেপরীমনি

‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবি দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পরীমনির। তার আগে টেলিভিশন নাটকে টুকটাক অভিনয় করতেন। ক্যারিয়ারের তিন বছরের মাথায় বেশ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ‘সোনার তরী’ নামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দেন পরীমনি। প্রথম সিনেমা হওয়ার কথা ছিল ‘ক্ষত’। শামীম আহমেদ পরিচালিত ছবিতে নায়ক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন জায়েদ খানও। তবে সেসব এখন অতীত।

আমার মনে হয়েছে আরও কিছুটা সময় নেওয়া দরকার। প্রযোজক একটা সিনেমার প্রাণ। শুধু টাকা ঢাললেই প্রযোজক হওয়া যায় না। আমি যে সিনেমা বানাব সেটা পুরোপুরি তদারকি করতে চাই। সেই সময়টা এখন দিতে পারব না বলেই এখনি আগ্রহী হচ্ছি না।

পরীমনি, ঢালিউড নায়িকা

এ ছাড়াও

‘মুসাফির ২’ নামে নতুন সিনেমা প্রযোজনা করছেন চিত্রনায়িকা মারজান জেনিফার। চিত্রনায়িকা ববির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ববস্টার’। এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম সিনেমা বানানো হয় ‘বিজলী’ নামে। ২০১৮ সালে মুক্তি পায় এটি। এরপর আর কোনো খোঁজ নেই।

প্রযোজনার অতীত ইতিহাস

১৯৭৬ সালে প্রথম প্রযোজনায় আসেন নায়িকা সুজাতা। ‘অর্পণ’ সিনেমা প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনাও করেন। নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত সুজাতা প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয় ‘প্রতিনিধি’। ‘সুজাতা প্রোডাকশনস’ ছাড়াও সুজাতা-আজিম মিলে ‘এস এ ফিল্মস’ ও ‘সুফল কথাচিত্র’ নামের আরও দুটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনটি প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘চেনা–অচেনা’ , ‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘রূপবানের রূপকথা’, ‘বদলা’, ‘রং–বেরং’, ‘এখানে আকাশ নীল’ ইত্যাদি।

প্রথম ছবি মুক্তির পাঁচ বছরের মাথায় প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কবরী। শুরুতে শ্রীমতী প্রোডাকশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। পরে প্রথম সিনেমা ‘শীত-বসন্ত’ সেন্সরে জমা দেওয়ার পর আপত্তির মুখে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলতে বাধ্য হন। সুভাষ দত্তের পরিচালনায় পরের ছবি ‘বলাকা মন’ যখন মুক্তি পায়, তখন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে যায় কবরী প্রোডাকশন। কবরীর প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া শেষ ছবি ‘গুন্ডা’।

ববিতা মুভিজের ব্যানারে তৈরি প্রথম ছবি ‘ফুলশয্যা’। এই ছবির পরিচালক ছিলেন সুভাষ দত্ত। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নির্মিত ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ ছবির পরিচালক আখতারুজ্জামান। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ কয়েকটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পায়।

২২ বছর টানা অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নাম লেখান শাবানা। স্বামী ওয়াহিদ সাদিককে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন এসএস প্রোডাকশন হাউস। নিজের প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘মাটির ঘর’ তাঁকে প্রযোজক হিসেবে খ্যাতি এনে দেয়। এরপর ২৫টির বেশি ছবি প্রযোজনা করেছেন শাবানা।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিভিন্ন সময় অভিনয়ের পাশাপাশি আরও অনেক নায়িকা প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এঁদের মধ্যে সুমিতা দেবী, মালতি দে, সুচন্দা, মাহবুবা রহমান, সুলতানা জামান, নীলুফার খায়ের, জোহরা কাজী, রোজিনা, অঞ্জু ঘোষ উল্লেখযোগ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘আন্ধার’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মুক্তি আগামী বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।

রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’

সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’

আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’

এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থিয়েটার হান্টের প্রথম নাটক ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।

ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।

থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নেই শিল্পীদের নাম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’

সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুশবু ছড়ানো কিস্যাকারের চরিত্রে সোমেন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মেহেদী হাসান সোমেন। ছবি: সংগৃহীত
মেহেদী হাসান সোমেন। ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।

জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।

এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।

সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।

২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত