ফজলুল হক, অভিনেতা

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য। পরিচালক তারেক মাসুদ মঞ্চে উঠে এলেন। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন, এতক্ষণ আপনারা যে সিনেমা দেখলেন, এর নায়কের সাথে পরিচিত হবেন না? গোটা হল জুড়ে আওয়াজ উঠলো, হ্যাঁ।
তারেক ভাই মঞ্চ থেকে ইশারায় আমাকে ডাকলেন, সামনে চলে এসো। তারেক ভাইয়ের ইঙ্গিত অনুসরণ করে আমাকে দেখার জন্য সকলে পেছনে ফিরে তাকালেন।
আমি একদম পেছন থেকে এগিয়ে যাচ্ছি মঞ্চের দিকে। আশপাশ থেকে তুমুল করতালি। কেউ কেউ অন্যদের থেকে মাথা ডানে-বায়ে সরিয়ে আমাকে দেখছেন। আঙুলের ইশারায় আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এগিয়ে যাওয়ার সময় দু-পাশ থেকে হাত বাড়িয়ে অনেকে হাত মিলাচ্ছেন আমার সাথে। ঠিক এই মুহুর্তে আমি যেন এক মস্ত বড় রাজা! সমস্ত শরীরে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে আমার। আমি মঞ্চে উঠলাম।
তারেক ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন আমাকে, ‘এই হচ্ছে আমাদের রুহুল (রানওয়ে চলচ্চিত্রে আমার নাম রুহুল ছিল)। এখন আরেকটি শো শুরু হবে। আপনারা যদি কেউ আমাদের সাথে কথা বলতে চান, আপনাদের যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, প্রশ্ন থাকে, কোনো পরামর্শ বা অনুভূতি প্রকাশ চান, আমরা বাইরে আছি।’
বেরিয়ে এলাম তারেক ভাইয়ের সাথে। দর্শকদের মধ্যে অনেকে ঘিরে ধরলেন আমাকে। ছবি তুলবেন একসাথে। অটোগ্রাফ চাইলেন আমার। জীবনে প্রথম অটোগ্রাফ দিয়ে চলেছি। এই আনন্দ লেখায় কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়!
অবশ্যই আমার এ সফলতার পেছনে তারেক ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। আমি মহাসৌভাগ্যবান যে, তারেক ভাইয়ের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম।
‘রানওয়ে’-র অডিশনের গল্প আমি অনেকবার বলেছি, আজ না হয় শুটিংয়ের কিছু কথা বলি। আমাদের শুটিং হতো অত্যন্ত সাবলীল ছন্দে। কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। পরদিন কোন কোন দৃশ্যের শুটিং হবে, সেটি সম্ভাব্য কত সময়জুড়ে হতে পারে— তেমন একটি লিস্ট পেয়ে যেতাম আগের দিনই।
আরেকটি বিষয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সারাদিন জুড়ে শুটিং হতো না। যেদিন খুব ভোর থেকে শুটিং শুরু হতো, সেদিন দেখা যেত— বিকেল কিংবা সন্ধ্যার আগেই শুটিং শেষ। আর যেদিন রাতের দৃশ্য থাকতো, সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুটিং শুরু হতো। এভাবে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে শুটিং করেছি। উপভোগ করেছি।
আমার দেখা তারেক মাসুদ একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। কেউ তার সাথে দেখা করতে চেয়েছেন, কথা বলতে চেয়েছেন, অথচ তিনি তাকে অবজ্ঞা করেছেন, সময় দেন নি, এমনটি কখনো হয়নি।
অনেক বড় নির্মাতা বা চলচ্চিত্রবোদ্ধা থেকে শুরু করে একদম নবীন নির্মাতা বা নির্মাণে আগ্রহী ব্যক্তির সাথেও তিনি তাঁর মূল্যবান সময় শেয়ার করেছেন অকপটে। দিগন্ত বিস্তৃত হাসিমুখের এই মানুষটির মধ্যে অহংকার বা আত্নগরিমা ছিল না। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকার চলচ্চিত্রপ্রেমী।
শুটিং চলাকালীন লোকেশনে তারেক ভাইকে দেখে মনে হতো একজন মহারাজা। তিনি যখন হেঁটে বেড়াতেন, সকলে তটস্থ হয়ে থাকত। নিজ নিজ কাজের প্রতি প্রত্যেকের মনযোগ শতভাগ থাকত তখন। তিনি যে কাউকে বকাঝকা করে কথা বলেছেন এমনটি নয়, তাঁর মুখ থেকে একটি অকথ্য শব্দও আমি কখনো শুনিনি।
তাঁকে সবাই যতটা না ভয় পেত, বরং তার চেয়ে বেশি সম্মানে বিনয়ে অবনত হয়ে থাকত। শুটিংয়ের প্রতিটি বিভাগের কাজই তিনি বুঝতেন। ক্যামেরা, লাইট, আর্ট, মেকআপ, সাউন্ড, অভিনয়— সব তিনি পর্যবেক্ষণ করতেন নিবিড়ভাবে। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকা আমি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ অবাক হয়ে দেখতাম।
শুটিংয়ের মজার একটা ঘটনা বলি। কয়েকটা দিন বিরতি পেয়েছি। অলসভাবে ঘুরেফিরে দিন কাটছিল। দাড়ি-গোঁফ বড় হয়ে যাচ্ছিল। কেমন যেন নিজের কাছে বেখাপ্পা লাগছিল নিজেকে। ভাবলাম, কাঁচি চালিয়ে হালকা একটু ছোট করে ফেলি। আয়না হাতে নিয়ে কাঁচি দিয়ে গোঁফটা একটু ছোট করে ফেললাম। মাথাটা ভালো করে ডানে-বায়ে ঘুরিয়ে আয়নায় তাকিয়ে দেখি অন্য এক পাশের তুলনায় আরেকপাশ সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। আবার একটু কেটেকুটে মিলানোর চেষ্টা করলাম।
অনভিজ্ঞ হাতে এবারও ভুল হলো। যে পাশ ছোট করলাম, তা আরেক পাশের তুলনায় সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। এই মিলকরণের খেলা শেষে আয়নায় যখন নিজের চেহারা দেখলাম, নিজেই আঁতকে উঠলাম! একি! গোঁফ অনেক ছোট হয়ে গেছে। এখন যদি শুটিংয়ের কল এসে পড়ে তখন উপায়!
তাড়াতাড়ি করে চলে এলাম তারেক ভাইয়ের অফিসে (তখন মোহাম্মদপুর বাবর রোডে অফিস ছিল)। অফিসে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক। তিনি আদ্যোপান্ত দেখে এবং শুনে চোখ ছানাবড়া করে ফেললেন। জানলাম যে আগামীকাল শুটিং। আমাকে কল দেয়া হতো এখনই।
কালবিলম্ব না করে আমাকে পাঠালেন তারেক ভাইয়ের বাসায়। তারেক ভাইয়ের গাড়ি অফিসে ছিল। সেটিতে করেই তাঁর বাসায় চলে এলাম। মনে মনে দোয়া যতগুলো পারি পড়া শুরু করেছি। তারেক ভাই কি যে বলবেন আজকে! কি দরকার ছিলো এত চালাকি করার!
উৎকন্ঠা নিয়ে তারেক ভাইয়ের বাসায় পৌঁছুলাম। দরজা খুললেন তারেক ভাই নিজেই। আমাকে দেখে তিনি তাকিয়ে আছেন একদৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে। কিছুক্ষণ পর খুব শান্ত গলায় বললেন, এসো ভিতরে এসো। কোন উচ্চবাচ্য না, কড়া কথা না, কটু কথা না, এতো শান্তভাবে তিনি বললেন যে প্রাণ ফিরে পেলাম। এই হলেন তারেক মাসুদ। তিনি জানেন কীভাবে নিজেকে শান্তু ও অবিচল রাখতে হয়। পরের দিন ঠিকই শুটিং করেছিলাম আমরা। ওই অবস্থাতেই।
পিতৃতুল্য তারেক মাসুদকে আমি কী ভীষণ অনুভব করি, তা বোঝাতে পারবো না কোনোদিনই। তিনি আমার সুখ-দুঃখ সব সময়ে পিতার মতোই পাশে ছিলেন। কাঁধে হাত রেখে সাহস দিয়েছেন। সেই দিনের কথাটি আমার এখনও মনে পড়ে। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। সমালোচকদের ভোটে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া আমার জন্য দারুণ একটি অর্জন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের দিন আমার পাশে ছিলেন তারেক মাসুদ, ছিলেন ক্যাথরিন মাসুদ ও ‘রানওয়ে’-তে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা মনি আপা।
আমরা অপেক্ষা করছি। নাম ঘোষণা করা হচ্ছে একেকটি ক্যাটাগরিতে। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে আমি পুরস্কারটি পাই নি। মন খারাপ হয়ে গেল। তারেক ভাই আমার পিঠ চাপড়ে বললেন, মন খারাপ করো না। এতো অল্প সময়ে অনেকে এতদূর পর্যন্ত আসতেও পারে না। তুমি সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পর্যন্ত পেয়েছ, এটি কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। সামনে অনেক পথ বাকি আছে। সেদিন তারেক ভাইয়ের সস্নেহে আমি দুঃখ ভুলে গিয়েছিলাম। সত্যি বলছি, আমার মধ্যে আর একটুও মন খারাপ ছিলো না। এমন পিতা যার কাঁধে হাত রেখে সাহস দেয়, শক্তি যোগায়, তার আর অপূর্ণতা কোথায়?
আজ তারেক ভাই নেই, এটা আমি এখনও মানতে পারি না। জনবহুল এলাকায় পুত্রের সাহস পরীক্ষার জন্য যেমন পুত্রকে রেখে পিতা আড়াল হয়ে পুত্র কি করে পর্যবেক্ষণ করেন, তেমনি আমার সব সময় মনে হয় তারেক ভাই আড়াল থেকে আমাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমি ভয় পেলে তিনি আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে ডাকবেন, ‘রুহুল, এই যে আমি এখানে’।
অনেকেই শুনেছেন হয়তো, তারেক ভাই একটি কথা প্রায়ই বলতেন, দর্শকই আমার প্রাণ। সেই প্রাণ আজও বেঁচে রয়েছে হাজারো দর্শকের মাঝে। বেঁচে থাকবে চিরকাল। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
শুভ জন্মদিন তারেক ভাই।

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য। পরিচালক তারেক মাসুদ মঞ্চে উঠে এলেন। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন, এতক্ষণ আপনারা যে সিনেমা দেখলেন, এর নায়কের সাথে পরিচিত হবেন না? গোটা হল জুড়ে আওয়াজ উঠলো, হ্যাঁ।
তারেক ভাই মঞ্চ থেকে ইশারায় আমাকে ডাকলেন, সামনে চলে এসো। তারেক ভাইয়ের ইঙ্গিত অনুসরণ করে আমাকে দেখার জন্য সকলে পেছনে ফিরে তাকালেন।
আমি একদম পেছন থেকে এগিয়ে যাচ্ছি মঞ্চের দিকে। আশপাশ থেকে তুমুল করতালি। কেউ কেউ অন্যদের থেকে মাথা ডানে-বায়ে সরিয়ে আমাকে দেখছেন। আঙুলের ইশারায় আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এগিয়ে যাওয়ার সময় দু-পাশ থেকে হাত বাড়িয়ে অনেকে হাত মিলাচ্ছেন আমার সাথে। ঠিক এই মুহুর্তে আমি যেন এক মস্ত বড় রাজা! সমস্ত শরীরে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে আমার। আমি মঞ্চে উঠলাম।
তারেক ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন আমাকে, ‘এই হচ্ছে আমাদের রুহুল (রানওয়ে চলচ্চিত্রে আমার নাম রুহুল ছিল)। এখন আরেকটি শো শুরু হবে। আপনারা যদি কেউ আমাদের সাথে কথা বলতে চান, আপনাদের যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে, প্রশ্ন থাকে, কোনো পরামর্শ বা অনুভূতি প্রকাশ চান, আমরা বাইরে আছি।’
বেরিয়ে এলাম তারেক ভাইয়ের সাথে। দর্শকদের মধ্যে অনেকে ঘিরে ধরলেন আমাকে। ছবি তুলবেন একসাথে। অটোগ্রাফ চাইলেন আমার। জীবনে প্রথম অটোগ্রাফ দিয়ে চলেছি। এই আনন্দ লেখায় কিছুতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়!
অবশ্যই আমার এ সফলতার পেছনে তারেক ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। আমি মহাসৌভাগ্যবান যে, তারেক ভাইয়ের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম।
‘রানওয়ে’-র অডিশনের গল্প আমি অনেকবার বলেছি, আজ না হয় শুটিংয়ের কিছু কথা বলি। আমাদের শুটিং হতো অত্যন্ত সাবলীল ছন্দে। কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। পরদিন কোন কোন দৃশ্যের শুটিং হবে, সেটি সম্ভাব্য কত সময়জুড়ে হতে পারে— তেমন একটি লিস্ট পেয়ে যেতাম আগের দিনই।
আরেকটি বিষয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সারাদিন জুড়ে শুটিং হতো না। যেদিন খুব ভোর থেকে শুটিং শুরু হতো, সেদিন দেখা যেত— বিকেল কিংবা সন্ধ্যার আগেই শুটিং শেষ। আর যেদিন রাতের দৃশ্য থাকতো, সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুটিং শুরু হতো। এভাবে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে শুটিং করেছি। উপভোগ করেছি।
আমার দেখা তারেক মাসুদ একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। কেউ তার সাথে দেখা করতে চেয়েছেন, কথা বলতে চেয়েছেন, অথচ তিনি তাকে অবজ্ঞা করেছেন, সময় দেন নি, এমনটি কখনো হয়নি।
অনেক বড় নির্মাতা বা চলচ্চিত্রবোদ্ধা থেকে শুরু করে একদম নবীন নির্মাতা বা নির্মাণে আগ্রহী ব্যক্তির সাথেও তিনি তাঁর মূল্যবান সময় শেয়ার করেছেন অকপটে। দিগন্ত বিস্তৃত হাসিমুখের এই মানুষটির মধ্যে অহংকার বা আত্নগরিমা ছিল না। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকার চলচ্চিত্রপ্রেমী।
শুটিং চলাকালীন লোকেশনে তারেক ভাইকে দেখে মনে হতো একজন মহারাজা। তিনি যখন হেঁটে বেড়াতেন, সকলে তটস্থ হয়ে থাকত। নিজ নিজ কাজের প্রতি প্রত্যেকের মনযোগ শতভাগ থাকত তখন। তিনি যে কাউকে বকাঝকা করে কথা বলেছেন এমনটি নয়, তাঁর মুখ থেকে একটি অকথ্য শব্দও আমি কখনো শুনিনি।
তাঁকে সবাই যতটা না ভয় পেত, বরং তার চেয়ে বেশি সম্মানে বিনয়ে অবনত হয়ে থাকত। শুটিংয়ের প্রতিটি বিভাগের কাজই তিনি বুঝতেন। ক্যামেরা, লাইট, আর্ট, মেকআপ, সাউন্ড, অভিনয়— সব তিনি পর্যবেক্ষণ করতেন নিবিড়ভাবে। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকা আমি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ অবাক হয়ে দেখতাম।
শুটিংয়ের মজার একটা ঘটনা বলি। কয়েকটা দিন বিরতি পেয়েছি। অলসভাবে ঘুরেফিরে দিন কাটছিল। দাড়ি-গোঁফ বড় হয়ে যাচ্ছিল। কেমন যেন নিজের কাছে বেখাপ্পা লাগছিল নিজেকে। ভাবলাম, কাঁচি চালিয়ে হালকা একটু ছোট করে ফেলি। আয়না হাতে নিয়ে কাঁচি দিয়ে গোঁফটা একটু ছোট করে ফেললাম। মাথাটা ভালো করে ডানে-বায়ে ঘুরিয়ে আয়নায় তাকিয়ে দেখি অন্য এক পাশের তুলনায় আরেকপাশ সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। আবার একটু কেটেকুটে মিলানোর চেষ্টা করলাম।
অনভিজ্ঞ হাতে এবারও ভুল হলো। যে পাশ ছোট করলাম, তা আরেক পাশের তুলনায় সামান্য একটু ছোট হয়ে গেছে। এই মিলকরণের খেলা শেষে আয়নায় যখন নিজের চেহারা দেখলাম, নিজেই আঁতকে উঠলাম! একি! গোঁফ অনেক ছোট হয়ে গেছে। এখন যদি শুটিংয়ের কল এসে পড়ে তখন উপায়!
তাড়াতাড়ি করে চলে এলাম তারেক ভাইয়ের অফিসে (তখন মোহাম্মদপুর বাবর রোডে অফিস ছিল)। অফিসে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক। তিনি আদ্যোপান্ত দেখে এবং শুনে চোখ ছানাবড়া করে ফেললেন। জানলাম যে আগামীকাল শুটিং। আমাকে কল দেয়া হতো এখনই।
কালবিলম্ব না করে আমাকে পাঠালেন তারেক ভাইয়ের বাসায়। তারেক ভাইয়ের গাড়ি অফিসে ছিল। সেটিতে করেই তাঁর বাসায় চলে এলাম। মনে মনে দোয়া যতগুলো পারি পড়া শুরু করেছি। তারেক ভাই কি যে বলবেন আজকে! কি দরকার ছিলো এত চালাকি করার!
উৎকন্ঠা নিয়ে তারেক ভাইয়ের বাসায় পৌঁছুলাম। দরজা খুললেন তারেক ভাই নিজেই। আমাকে দেখে তিনি তাকিয়ে আছেন একদৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে। কিছুক্ষণ পর খুব শান্ত গলায় বললেন, এসো ভিতরে এসো। কোন উচ্চবাচ্য না, কড়া কথা না, কটু কথা না, এতো শান্তভাবে তিনি বললেন যে প্রাণ ফিরে পেলাম। এই হলেন তারেক মাসুদ। তিনি জানেন কীভাবে নিজেকে শান্তু ও অবিচল রাখতে হয়। পরের দিন ঠিকই শুটিং করেছিলাম আমরা। ওই অবস্থাতেই।
পিতৃতুল্য তারেক মাসুদকে আমি কী ভীষণ অনুভব করি, তা বোঝাতে পারবো না কোনোদিনই। তিনি আমার সুখ-দুঃখ সব সময়ে পিতার মতোই পাশে ছিলেন। কাঁধে হাত রেখে সাহস দিয়েছেন। সেই দিনের কথাটি আমার এখনও মনে পড়ে। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। সমালোচকদের ভোটে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া আমার জন্য দারুণ একটি অর্জন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের দিন আমার পাশে ছিলেন তারেক মাসুদ, ছিলেন ক্যাথরিন মাসুদ ও ‘রানওয়ে’-তে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা মনি আপা।
আমরা অপেক্ষা করছি। নাম ঘোষণা করা হচ্ছে একেকটি ক্যাটাগরিতে। সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে আমি পুরস্কারটি পাই নি। মন খারাপ হয়ে গেল। তারেক ভাই আমার পিঠ চাপড়ে বললেন, মন খারাপ করো না। এতো অল্প সময়ে অনেকে এতদূর পর্যন্ত আসতেও পারে না। তুমি সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পর্যন্ত পেয়েছ, এটি কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। সামনে অনেক পথ বাকি আছে। সেদিন তারেক ভাইয়ের সস্নেহে আমি দুঃখ ভুলে গিয়েছিলাম। সত্যি বলছি, আমার মধ্যে আর একটুও মন খারাপ ছিলো না। এমন পিতা যার কাঁধে হাত রেখে সাহস দেয়, শক্তি যোগায়, তার আর অপূর্ণতা কোথায়?
আজ তারেক ভাই নেই, এটা আমি এখনও মানতে পারি না। জনবহুল এলাকায় পুত্রের সাহস পরীক্ষার জন্য যেমন পুত্রকে রেখে পিতা আড়াল হয়ে পুত্র কি করে পর্যবেক্ষণ করেন, তেমনি আমার সব সময় মনে হয় তারেক ভাই আড়াল থেকে আমাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমি ভয় পেলে তিনি আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে ডাকবেন, ‘রুহুল, এই যে আমি এখানে’।
অনেকেই শুনেছেন হয়তো, তারেক ভাই একটি কথা প্রায়ই বলতেন, দর্শকই আমার প্রাণ। সেই প্রাণ আজও বেঁচে রয়েছে হাজারো দর্শকের মাঝে। বেঁচে থাকবে চিরকাল। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
শুভ জন্মদিন তারেক ভাই।

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৯ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৯ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।
রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’
আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৯ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।
থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৯ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’
সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৯ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৯ ঘণ্টা আগে
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘খুশবু’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সম্প্রতি খুশবুতে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি চরিত্র—জালাল উদ্দিন কিস্যাকার। সুফির বেশভূষায় শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই কিস্যাকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোমেন। পুরো নাম মেহেদী হাসান সোমেন।
জীবনের নানা টানাপোড়েন আর বেঁচে থাকার সংগ্রামে মানুষ যখন ব্যতিব্যস্ত, তখন এই অস্থির সময়ে শহরে আগমন ঘটে এক কিস্যাকারের। সুফি বেশভূষার এক সাধক, যার শরীর থেকে আতরের খুশবু ছড়ায়। এই শহরের পথে পথে মানুষকে কিস্যা শুনিয়ে বেড়ায় সে। এরই মধ্যে তিনটি পর্বে দেখা গেছে সোমেন অভিনীত চরিত্রটি। সামনে রয়েছে আরও চমক।
এর আগে ‘দেনা পাওনা’, ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সোমেন। ২০০০ সাল থেকে পর্দায় কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয় করেছেন নাটকে, বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়। সোমেন অভিনীত টিভি নাটকের তালিকায় আরও আছে নুরুল আলম আতিকের ‘মনে মনে’, মাতিয়া বানু শুকুর ‘আগুন আলাপন’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ফজলুল কবির তুহিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমায়, আবু রায়হান জুয়েলের ‘এপিঠ ওপিঠ’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায়।
সোমেনের অভিনয়ের শুরু থিয়েটার চর্চার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে আবাহন নাট্য সংসদের সদস্য হিসেবে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন সোমেন। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ঢাকা সুবচন নাট্যদলে। ১৯৯৯ সালে যুক্ত হন প্রাচ্যনাটে। মঞ্চে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি দীপ্ত টিভির ব্যতিক্রমী একটি সেলিব্রিটি শো উপস্থাপনা করেছেন সোমেন। ‘কথোপকথন’ নামের শোটির প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি। প্রথম সিজনে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে, কিচেনে, বারান্দায় বসে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন সোমেন। দ্বিতীয় পর্বে যাবেন আউটডোরে। খোলা প্রান্তরে বা জঙ্গলের ধারে তাঁবু খাটিয়ে আড্ডা জমবে তারকাদের সঙ্গে। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা, নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় রয়েছেন সোমেন। পাশাপাশি একই চ্যানেলে ‘ক্যানভাস’ নামের একটি লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠানেরও প্রথম সিজন শেষ করেছেন তিনি। পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দ্বিতীয় সিজনের।
২০০৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোমেন। এ পর্যন্ত তিনি নির্মাণ করেছেন প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞাপনচিত্র, অর্ধশতাধিক নাটক, ৩টি প্রমাণ্যচিত্র ও ৪টি ধারাবাহিক।

সিনেমার শেষ দৃশ্য চলছে। হল ভর্তি দর্শক। আমি একেবারে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে সিনেমা দেখছেন। সিনেমা শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে গোটা হল ভেঙে পড়ছে। দর্শকদের ভালো লাগা, সত্যিই দেখার মতো একটি দৃশ্য
০৬ ডিসেম্বর ২০২১
ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা
৯ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল।
৯ ঘণ্টা আগে