মীর রাকিব হাসান, ঢাকা
স্বামী ছিলেন বাংলাদেশের এক নম্বর তারকা। তবু খায়রুন্নেসা লক্ষী নিজে সব সময় আড়ালেই থেকেছেন। নায়করাজ রাজ্জাকের জীবনের সব বাঁক কাছ থেকে দেখেছেন লক্ষী। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ১৯৬৪ সালে কলকাতা ছেড়ে যখন এ দেশে আসেন নায়করাজ, তখন বড় ছেলে বাপ্পারাজের বয়স আট মাস। একটি অনিশ্চয়তা সবার চোখে-মুখে। এরপর নায়করাজের অভিনেতা হিসেবে উত্তরণ এবং নায়করাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া। জীবনসঙ্গী হিসেবে শুরু থেকেই ছায়ার মতো ছিলেন লক্ষী। রাজ্জাক তুমুল ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর বাচ্চা ও ঘরসংসার সামলাতে লাগলেন লক্ষী। চার বছর হলো নায়করাজ আর নেই। তাকে ছাড়া কেমন আছেন লক্ষী? কণিষ্ঠ ছেলে সম্রাট বলেন, ‘আম্মা সুস্থ আছেন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও সন্তান ও নাতি-নাতনিরা মিলে চেষ্টা করি তাঁকে প্রফুল্ল রাখতে। মেজোজন বাপ্পী বিদেশে থাকে। আব্বা যেভাবে রেখে গেছেন সেভাবেই আছি আমরা। ওই সিদ্ধান্ত, ওই নিয়মকানুন এখনো আছে। আমি আর সম্রাট বউ-বাচ্চাদের নিয়ে আছি মায়ের কাছে।’
বাপ্পারাজের সন্তানদের জন্মের সময় রাজ্জাকের তুমুল ব্যস্ততা। যখন অবসর মিলল তখন কনিষ্ঠ ছেলে সম্রাটের মেয়ে আরিশা ও আরিবা ছোট ছোট। সেই সুবাদে সম্রাটের দুই মেয়ের খেলার সাথি হয়ে উঠেছিলেন রাজ্জাক। জীবনের শেষ সময়টা রাজ্জাকের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছিল নাতি-নাতনিরাই। তারা ভীষণ মিস করে। সম্রাট বলেন, ‘আমার ছোট মেয়ের সঙ্গে বেশি অ্যাটাচমেন্ট ছিল আব্বার। ও তো সবার ছোট ছিল। প্রায়ই মনে করে। যখন আপসেট হয়, তখন দাদির কাছে গিয়ে বসে থাকে। দাদাকে নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। প্রতি সন্ধ্যায় আমার এক মেয়ে আব্বার চুল আঁচড়ে দিত, আরেক মেয়ে ম্যাসাজ করে দিত। আব্বা কোথাও গেলে ওদের হরেক রকম আবদার থাকত। আব্বাও ওদের জন্য গিফট নিয়ে আসতেন। প্রায়ই ওদের কোলে নিয়ে বসে থাকতেন আব্বা। আমরা শাসন করলেও আব্বা ওদের ডেকে বুকে জড়িয়ে নিতেন।’
একটা সময় হইচই আর মানুষের আনাগোনায় ভরে ছিল লক্ষীকুঞ্জ। কত সিনেমার জন্ম এই গুলশান-২-এর লক্ষীকুঞ্জে। সেই দিনগুলো ভীষণ মিস করে এই পরিবার। সম্রাট বলেন, ‘আব্বার সমসাময়িক অনেকেই নেই। কবরী আন্টি চলে গেলেন, শাবানা আন্টি বিদেশে, ববিতা আন্টির সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা হয়। আব্বা বেঁচে থাকতে ওনাদের ডাকতেন। আড্ডা হতো। আব্বাও যেতেন, খোঁজখবর নিতেন। পরিবারের একটা অ্যাটাচমেন্ট ছিল। তার মধ্যে করোনার কারণে দুই-আড়াই বছর সবাই সবার থেকে দূরে দূরে।’ এখন আর তেমন বাইরের মানুষের আনাগোনায় মৌ মৌ করে না এই লক্ষীকুঞ্জ। ছোট্ট নাতনিদের কোলে নিয়ে বসে থাকেন না নায়করাজ। ভুল হলে ধমক দিয়ে শুধরে দেওয়ার সেই মানুষটার অভাবে শুধুই শূন্যতা চারদিকে।
স্বামী ছিলেন বাংলাদেশের এক নম্বর তারকা। তবু খায়রুন্নেসা লক্ষী নিজে সব সময় আড়ালেই থেকেছেন। নায়করাজ রাজ্জাকের জীবনের সব বাঁক কাছ থেকে দেখেছেন লক্ষী। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ১৯৬৪ সালে কলকাতা ছেড়ে যখন এ দেশে আসেন নায়করাজ, তখন বড় ছেলে বাপ্পারাজের বয়স আট মাস। একটি অনিশ্চয়তা সবার চোখে-মুখে। এরপর নায়করাজের অভিনেতা হিসেবে উত্তরণ এবং নায়করাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া। জীবনসঙ্গী হিসেবে শুরু থেকেই ছায়ার মতো ছিলেন লক্ষী। রাজ্জাক তুমুল ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর বাচ্চা ও ঘরসংসার সামলাতে লাগলেন লক্ষী। চার বছর হলো নায়করাজ আর নেই। তাকে ছাড়া কেমন আছেন লক্ষী? কণিষ্ঠ ছেলে সম্রাট বলেন, ‘আম্মা সুস্থ আছেন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও সন্তান ও নাতি-নাতনিরা মিলে চেষ্টা করি তাঁকে প্রফুল্ল রাখতে। মেজোজন বাপ্পী বিদেশে থাকে। আব্বা যেভাবে রেখে গেছেন সেভাবেই আছি আমরা। ওই সিদ্ধান্ত, ওই নিয়মকানুন এখনো আছে। আমি আর সম্রাট বউ-বাচ্চাদের নিয়ে আছি মায়ের কাছে।’
বাপ্পারাজের সন্তানদের জন্মের সময় রাজ্জাকের তুমুল ব্যস্ততা। যখন অবসর মিলল তখন কনিষ্ঠ ছেলে সম্রাটের মেয়ে আরিশা ও আরিবা ছোট ছোট। সেই সুবাদে সম্রাটের দুই মেয়ের খেলার সাথি হয়ে উঠেছিলেন রাজ্জাক। জীবনের শেষ সময়টা রাজ্জাকের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছিল নাতি-নাতনিরাই। তারা ভীষণ মিস করে। সম্রাট বলেন, ‘আমার ছোট মেয়ের সঙ্গে বেশি অ্যাটাচমেন্ট ছিল আব্বার। ও তো সবার ছোট ছিল। প্রায়ই মনে করে। যখন আপসেট হয়, তখন দাদির কাছে গিয়ে বসে থাকে। দাদাকে নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। প্রতি সন্ধ্যায় আমার এক মেয়ে আব্বার চুল আঁচড়ে দিত, আরেক মেয়ে ম্যাসাজ করে দিত। আব্বা কোথাও গেলে ওদের হরেক রকম আবদার থাকত। আব্বাও ওদের জন্য গিফট নিয়ে আসতেন। প্রায়ই ওদের কোলে নিয়ে বসে থাকতেন আব্বা। আমরা শাসন করলেও আব্বা ওদের ডেকে বুকে জড়িয়ে নিতেন।’
একটা সময় হইচই আর মানুষের আনাগোনায় ভরে ছিল লক্ষীকুঞ্জ। কত সিনেমার জন্ম এই গুলশান-২-এর লক্ষীকুঞ্জে। সেই দিনগুলো ভীষণ মিস করে এই পরিবার। সম্রাট বলেন, ‘আব্বার সমসাময়িক অনেকেই নেই। কবরী আন্টি চলে গেলেন, শাবানা আন্টি বিদেশে, ববিতা আন্টির সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা হয়। আব্বা বেঁচে থাকতে ওনাদের ডাকতেন। আড্ডা হতো। আব্বাও যেতেন, খোঁজখবর নিতেন। পরিবারের একটা অ্যাটাচমেন্ট ছিল। তার মধ্যে করোনার কারণে দুই-আড়াই বছর সবাই সবার থেকে দূরে দূরে।’ এখন আর তেমন বাইরের মানুষের আনাগোনায় মৌ মৌ করে না এই লক্ষীকুঞ্জ। ছোট্ট নাতনিদের কোলে নিয়ে বসে থাকেন না নায়করাজ। ভুল হলে ধমক দিয়ে শুধরে দেওয়ার সেই মানুষটার অভাবে শুধুই শূন্যতা চারদিকে।
গ্লাসগোর রাস্তায় শুটিং দেখতে জড়ো হয়েছেন অনেকে। ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন হল্যান্ড। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি তুলছেন। স্পাইডার-ম্যানের পোশাক পরা এক শিশুকে কাছে টেনে নেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেঅভিনেত্রী ভূমি পেডনেকারও শুরু করলেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে খানিকটা ভিন্ন পথে হেঁটেছেন। মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। এ উদ্যোগে ভূমির সঙ্গে আছেন তাঁর বোন সমীক্ষা পেডনেকার।
১৫ ঘণ্টা আগেসেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় যাতে প্রেমিকাকে বারবার জড়িয়ে ধরতে পারেন ধর্মেন্দ্র, সেই ব্যবস্থা করেছিলেন। স্পটবয়দের প্রত্যেককে ২০ রুপি দিয়ে বলেছিলেন, শটটি কোনো না কোনোভাবে বারবার ভেস্তে দিতে; যাতে বারবার রিটেকের প্রয়োজন হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যক্তিগত বিষয় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। সিনেমা, সমাজ, পরিবেশ, সংস্কৃতি—নানা বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাক্ষাৎকার দিলেও, ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ তিনি সব সময় এড়িয়ে যান। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জয়া জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে আছেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে