Ajker Patrika

একটা পরিষ্কার ব্যাপারকে সবাই ঘোলা করছেন

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯: ২৭
একটা পরিষ্কার ব্যাপারকে সবাই ঘোলা করছেন

বেশ কিছু শর্ত আরোপের কারণে সব রকম প্রস্তুতি শেষেও হুমায়ূন আহমেদের ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাস নিয়ে ছবি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। এমনকি অনুদানের টাকাও ফেরত দিচ্ছেন। কী এমন শর্ত, যার কারণে অনুদান পেয়েও ছবি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অমিতাভ? কথা হলো হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান

কী এমন শর্ত দিয়েছেন, যে কারণে ছবি না বানানোর সিন্ধান্ত নিয়েছেন অমিতাভ রেজা?

একটা পরিষ্কার ব্যাপারকে সবাই ঘোলা করছেন। গল্প, উপন্যাস কিংবা কবিতা যা-ই হোক না কেন, লেখকের মৃত্যুর পর তাঁর সৃষ্টি নিয়ে কাজ করতে চাইলে লেখকের পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিতে হয়। কপিরাইট বাবদ একটা অর্থ নির্ধারণও করতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। যিনি বানাবেন, তিনি যদি সেই অর্থ দেন তাহলে ছবি বানাবেন, যদি তাঁর সামর্থ্য না থাকে তাহলে বানাবেন না। অনুমতি পেলে বানানোর পর দেখানোও উচিত। কারণ একটা সৃষ্টি তো যেনতেনভাবে কিছু একটা তৈরি করে নষ্ট করা যাবে না।  লেখকের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। আন্তর্জাতিকভাবে কপিরাইট আইনে যা আছে, সেটাই আমাদের শর্ত। আলাদা বা অতিরিক্ত কিছু নেই। স্ট্যান্ডার্ড একটা ফরম্যাট। এবং এটা একজন আইনজীবী বানিয়েছেন।

মেহের আফরোজ শাওনহুমায়ূন আহমেদের ট্রাস্টি বোর্ডে কারা আছেন?

প্রথমত হুমায়ূন আহমেদের কোনো ট্রাস্টি বোর্ড নেই। হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো সৃষ্টি থেকে নতুন কিছু তৈরি বা এ ধরনের বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিবারের ১২ জন। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর চারজন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান। নোভা আহমেদ, শিলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ ও নুহাশ হুমায়ূন। তাঁর ভাইবোনেরা এবং আমি। পরিবারের সবাই আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিই। কেউ ছবি বানাতে চাইলে অবশ্যই কপিরাইটের ব্যাপার আসবে। সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। অমিতাভ রেজা যেহেতু সেটা পারছেন না, উনি ওভাবেই জানিয়েছেন, ‘আমি এই টাকাটা দিতে পারব না, তাই ছবি বানাতে পারছি না’।

হুমায়ূন আহমেদহুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুর আগেই নাকি অনুমতি দিয়েছিলেন অমিতাভ রেজাকে?

হুমায়ূন আহমেদকে যদি কেউ এসে বলতেন, এটা বানাতে চাই। খুব সহজভাবে তিনি বলতেন, ‘হ্যাঁ বানাও’। কিন্তু এটাকে কি অনুমতি বলবেন? লিখিত একটা ব্যাপার তো আছে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ব্যাপারটি নানা কারণে আরও শক্তপোক্ত হয়েছে। তা না হলে অমিতাভ রেজা অনুমতির জন্য পরিবারের কাছে কেন এসেছেন? একটা তো অফিশিয়াল কাগজপত্র লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসার জন্য যখন বিদেশে যাচ্ছিলেন, এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছে। সেখানে অমিতাভ রেজা কথা বলেছেন। এটা সত্যি। কিন্তু সেটা যদি অনুমতি হতো, তাহলে এখন তো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতেন না। সবকিছুরই একটা আইনগত ভিত্তি আছে। আমরা কিন্তু ইতিবাচক ছিলাম। নইলে তো পুরো পরিবার বসতাম না। অমিতাভ রেজার সঙ্গে পরিবারের সবার মিটিং হয়েছে। আমরা একসঙ্গেই মিটিং করেছি। কেউ একটা জামা নেবেন, সেই জামার জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা আছে তা যদি পছন্দ না হয়, কিনবেন না! এটাই তো স্বাভাবিক। আমাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদ এক্সক্লুসিভ। আমরা হুমায়ূন আহমেদকে যে উচ্চতায় ভাবি, সেই উচ্চতায় কেউ যদি ছবি বানাতে না চান, বানাবেন না। আর এসব বিষয়ে শুধু আমাকে কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে?

মেহের আফরোজ শাওনআপনি তো তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সদস্য...

আমি শাওন একমাত্র পরিবার না। হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো বিষয়ে পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন। সবাই তাঁদের মতামত দেন। কিন্তু কোনো ইস্যু হলে আমাকেই কেন প্রশ্ন করা হয় বুঝে আসে না। আমিই কেন ইস্যু হয়ে উঠি? তাঁর উত্তরাধিকার বা ভোগীও তো একা নই। আমার একার দায়িত্বও না। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত কখনো আমার একার হওয়া উচিত না, এখন পর্যন্ত হয়ওনি।

ভ্যালু বা মূল্য নির্ধারণ বাধা হয়ে দাঁড়ালে ভবিষ্যতে হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে ছবি বানাতে নির্মাতারা যদি সাহস না করেন?

এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আন্তর্জাতিকভাবেই এই নিয়ম আছে। আমরা কেন মানব না? বা কেউ না মানলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব না? কপিরাইট ভ্যালু তো দিতে হবে। এই ভ্যালুটা তো পরিবারই ঠিক করবে। যিনি অনুমতি নেবেন, তিনি তো ভ্যালু ঠিক করবেন না। অমিতাভ রেজা মনে করছেন এটা তিনি অ্যাফোর্ট করতে পারবেন না বা করতে চান না। তাই, ছবিটা উনি বানাচ্ছেন না। এটা কোনো বাধা নয়।

অমিতাভ রেজাহুমায়ূন আহমেদের গল্প কিংবা উপন্যাস নিয়ে কাজ করার আপনার কোনো প্ল্যানিং আছে?

আপাতত নেই। তবে এমন কিছু হলে অবশ্যই সেটা সবাইকে জানাব। তবে কয়েকজন অনুমতি নিয়েছেন। কথা বলেছেন নেওয়ার জন্য। তারাই তাদের সময়মতো সেই কাজগুলোর ঘোষণা দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা ও করাচির দুই উৎসবে বয়াতির ‘নয়া মানুষ’

বিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার পোস্টার; ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার পোস্টার; ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।

২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় রওনক হাসান। ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় রওনক হাসান। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’। 

এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।

নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

‘নয়া মানুষ’ সিনেমার দৃশ্যে মৌসুমী হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
‘নয়া মানুষ’ সিনেমার দৃশ্যে মৌসুমী হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।

আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কবরীর শেষ সিনেমার প্রিমিয়ার হবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিনেত্রী কবরী। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী কবরী। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।

২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।

শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’

তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।

পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিলারা জামানকে নিয়ে ৭ পর্বের ধারাবাহিক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।

মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

জামিল হোসেন
জামিল হোসেন

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’

দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’

উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কনসার্টের জন্য প্রস্তুত আজম খানের ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত