মীর রাকিব হাসান
বেশ কিছু শর্ত আরোপের কারণে সব রকম প্রস্তুতি শেষেও হুমায়ূন আহমেদের ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাস নিয়ে ছবি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। এমনকি অনুদানের টাকাও ফেরত দিচ্ছেন। কী এমন শর্ত, যার কারণে অনুদান পেয়েও ছবি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অমিতাভ? কথা হলো হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান
কী এমন শর্ত দিয়েছেন, যে কারণে ছবি না বানানোর সিন্ধান্ত নিয়েছেন অমিতাভ রেজা?
একটা পরিষ্কার ব্যাপারকে সবাই ঘোলা করছেন। গল্প, উপন্যাস কিংবা কবিতা যা-ই হোক না কেন, লেখকের মৃত্যুর পর তাঁর সৃষ্টি নিয়ে কাজ করতে চাইলে লেখকের পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিতে হয়। কপিরাইট বাবদ একটা অর্থ নির্ধারণও করতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। যিনি বানাবেন, তিনি যদি সেই অর্থ দেন তাহলে ছবি বানাবেন, যদি তাঁর সামর্থ্য না থাকে তাহলে বানাবেন না। অনুমতি পেলে বানানোর পর দেখানোও উচিত। কারণ একটা সৃষ্টি তো যেনতেনভাবে কিছু একটা তৈরি করে নষ্ট করা যাবে না। লেখকের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। আন্তর্জাতিকভাবে কপিরাইট আইনে যা আছে, সেটাই আমাদের শর্ত। আলাদা বা অতিরিক্ত কিছু নেই। স্ট্যান্ডার্ড একটা ফরম্যাট। এবং এটা একজন আইনজীবী বানিয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদের ট্রাস্টি বোর্ডে কারা আছেন?
প্রথমত হুমায়ূন আহমেদের কোনো ট্রাস্টি বোর্ড নেই। হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো সৃষ্টি থেকে নতুন কিছু তৈরি বা এ ধরনের বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিবারের ১২ জন। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর চারজন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান। নোভা আহমেদ, শিলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ ও নুহাশ হুমায়ূন। তাঁর ভাইবোনেরা এবং আমি। পরিবারের সবাই আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিই। কেউ ছবি বানাতে চাইলে অবশ্যই কপিরাইটের ব্যাপার আসবে। সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। অমিতাভ রেজা যেহেতু সেটা পারছেন না, উনি ওভাবেই জানিয়েছেন, ‘আমি এই টাকাটা দিতে পারব না, তাই ছবি বানাতে পারছি না’।
হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুর আগেই নাকি অনুমতি দিয়েছিলেন অমিতাভ রেজাকে?
হুমায়ূন আহমেদকে যদি কেউ এসে বলতেন, এটা বানাতে চাই। খুব সহজভাবে তিনি বলতেন, ‘হ্যাঁ বানাও’। কিন্তু এটাকে কি অনুমতি বলবেন? লিখিত একটা ব্যাপার তো আছে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ব্যাপারটি নানা কারণে আরও শক্তপোক্ত হয়েছে। তা না হলে অমিতাভ রেজা অনুমতির জন্য পরিবারের কাছে কেন এসেছেন? একটা তো অফিশিয়াল কাগজপত্র লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসার জন্য যখন বিদেশে যাচ্ছিলেন, এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছে। সেখানে অমিতাভ রেজা কথা বলেছেন। এটা সত্যি। কিন্তু সেটা যদি অনুমতি হতো, তাহলে এখন তো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতেন না। সবকিছুরই একটা আইনগত ভিত্তি আছে। আমরা কিন্তু ইতিবাচক ছিলাম। নইলে তো পুরো পরিবার বসতাম না। অমিতাভ রেজার সঙ্গে পরিবারের সবার মিটিং হয়েছে। আমরা একসঙ্গেই মিটিং করেছি। কেউ একটা জামা নেবেন, সেই জামার জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা আছে তা যদি পছন্দ না হয়, কিনবেন না! এটাই তো স্বাভাবিক। আমাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদ এক্সক্লুসিভ। আমরা হুমায়ূন আহমেদকে যে উচ্চতায় ভাবি, সেই উচ্চতায় কেউ যদি ছবি বানাতে না চান, বানাবেন না। আর এসব বিষয়ে শুধু আমাকে কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে?
আপনি তো তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সদস্য...
আমি শাওন একমাত্র পরিবার না। হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো বিষয়ে পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন। সবাই তাঁদের মতামত দেন। কিন্তু কোনো ইস্যু হলে আমাকেই কেন প্রশ্ন করা হয় বুঝে আসে না। আমিই কেন ইস্যু হয়ে উঠি? তাঁর উত্তরাধিকার বা ভোগীও তো একা নই। আমার একার দায়িত্বও না। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত কখনো আমার একার হওয়া উচিত না, এখন পর্যন্ত হয়ওনি।
ভ্যালু বা মূল্য নির্ধারণ বাধা হয়ে দাঁড়ালে ভবিষ্যতে হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে ছবি বানাতে নির্মাতারা যদি সাহস না করেন?
এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আন্তর্জাতিকভাবেই এই নিয়ম আছে। আমরা কেন মানব না? বা কেউ না মানলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব না? কপিরাইট ভ্যালু তো দিতে হবে। এই ভ্যালুটা তো পরিবারই ঠিক করবে। যিনি অনুমতি নেবেন, তিনি তো ভ্যালু ঠিক করবেন না। অমিতাভ রেজা মনে করছেন এটা তিনি অ্যাফোর্ট করতে পারবেন না বা করতে চান না। তাই, ছবিটা উনি বানাচ্ছেন না। এটা কোনো বাধা নয়।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প কিংবা উপন্যাস নিয়ে কাজ করার আপনার কোনো প্ল্যানিং আছে?
আপাতত নেই। তবে এমন কিছু হলে অবশ্যই সেটা সবাইকে জানাব। তবে কয়েকজন অনুমতি নিয়েছেন। কথা বলেছেন নেওয়ার জন্য। তারাই তাদের সময়মতো সেই কাজগুলোর ঘোষণা দেবেন।
বেশ কিছু শর্ত আরোপের কারণে সব রকম প্রস্তুতি শেষেও হুমায়ূন আহমেদের ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাস নিয়ে ছবি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। এমনকি অনুদানের টাকাও ফেরত দিচ্ছেন। কী এমন শর্ত, যার কারণে অনুদান পেয়েও ছবি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অমিতাভ? কথা হলো হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান
কী এমন শর্ত দিয়েছেন, যে কারণে ছবি না বানানোর সিন্ধান্ত নিয়েছেন অমিতাভ রেজা?
একটা পরিষ্কার ব্যাপারকে সবাই ঘোলা করছেন। গল্প, উপন্যাস কিংবা কবিতা যা-ই হোক না কেন, লেখকের মৃত্যুর পর তাঁর সৃষ্টি নিয়ে কাজ করতে চাইলে লেখকের পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিতে হয়। কপিরাইট বাবদ একটা অর্থ নির্ধারণও করতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। যিনি বানাবেন, তিনি যদি সেই অর্থ দেন তাহলে ছবি বানাবেন, যদি তাঁর সামর্থ্য না থাকে তাহলে বানাবেন না। অনুমতি পেলে বানানোর পর দেখানোও উচিত। কারণ একটা সৃষ্টি তো যেনতেনভাবে কিছু একটা তৈরি করে নষ্ট করা যাবে না। লেখকের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। আন্তর্জাতিকভাবে কপিরাইট আইনে যা আছে, সেটাই আমাদের শর্ত। আলাদা বা অতিরিক্ত কিছু নেই। স্ট্যান্ডার্ড একটা ফরম্যাট। এবং এটা একজন আইনজীবী বানিয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদের ট্রাস্টি বোর্ডে কারা আছেন?
প্রথমত হুমায়ূন আহমেদের কোনো ট্রাস্টি বোর্ড নেই। হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো সৃষ্টি থেকে নতুন কিছু তৈরি বা এ ধরনের বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিবারের ১২ জন। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর চারজন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান। নোভা আহমেদ, শিলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ ও নুহাশ হুমায়ূন। তাঁর ভাইবোনেরা এবং আমি। পরিবারের সবাই আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিই। কেউ ছবি বানাতে চাইলে অবশ্যই কপিরাইটের ব্যাপার আসবে। সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। অমিতাভ রেজা যেহেতু সেটা পারছেন না, উনি ওভাবেই জানিয়েছেন, ‘আমি এই টাকাটা দিতে পারব না, তাই ছবি বানাতে পারছি না’।
হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুর আগেই নাকি অনুমতি দিয়েছিলেন অমিতাভ রেজাকে?
হুমায়ূন আহমেদকে যদি কেউ এসে বলতেন, এটা বানাতে চাই। খুব সহজভাবে তিনি বলতেন, ‘হ্যাঁ বানাও’। কিন্তু এটাকে কি অনুমতি বলবেন? লিখিত একটা ব্যাপার তো আছে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ব্যাপারটি নানা কারণে আরও শক্তপোক্ত হয়েছে। তা না হলে অমিতাভ রেজা অনুমতির জন্য পরিবারের কাছে কেন এসেছেন? একটা তো অফিশিয়াল কাগজপত্র লাগবে। হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসার জন্য যখন বিদেশে যাচ্ছিলেন, এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছে। সেখানে অমিতাভ রেজা কথা বলেছেন। এটা সত্যি। কিন্তু সেটা যদি অনুমতি হতো, তাহলে এখন তো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতেন না। সবকিছুরই একটা আইনগত ভিত্তি আছে। আমরা কিন্তু ইতিবাচক ছিলাম। নইলে তো পুরো পরিবার বসতাম না। অমিতাভ রেজার সঙ্গে পরিবারের সবার মিটিং হয়েছে। আমরা একসঙ্গেই মিটিং করেছি। কেউ একটা জামা নেবেন, সেই জামার জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা আছে তা যদি পছন্দ না হয়, কিনবেন না! এটাই তো স্বাভাবিক। আমাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদ এক্সক্লুসিভ। আমরা হুমায়ূন আহমেদকে যে উচ্চতায় ভাবি, সেই উচ্চতায় কেউ যদি ছবি বানাতে না চান, বানাবেন না। আর এসব বিষয়ে শুধু আমাকে কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে?
আপনি তো তাঁর স্ত্রী, পরিবারের সদস্য...
আমি শাওন একমাত্র পরিবার না। হুমায়ূন আহমেদের যেকোনো বিষয়ে পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন। সবাই তাঁদের মতামত দেন। কিন্তু কোনো ইস্যু হলে আমাকেই কেন প্রশ্ন করা হয় বুঝে আসে না। আমিই কেন ইস্যু হয়ে উঠি? তাঁর উত্তরাধিকার বা ভোগীও তো একা নই। আমার একার দায়িত্বও না। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত কখনো আমার একার হওয়া উচিত না, এখন পর্যন্ত হয়ওনি।
ভ্যালু বা মূল্য নির্ধারণ বাধা হয়ে দাঁড়ালে ভবিষ্যতে হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে ছবি বানাতে নির্মাতারা যদি সাহস না করেন?
এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আন্তর্জাতিকভাবেই এই নিয়ম আছে। আমরা কেন মানব না? বা কেউ না মানলে কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব না? কপিরাইট ভ্যালু তো দিতে হবে। এই ভ্যালুটা তো পরিবারই ঠিক করবে। যিনি অনুমতি নেবেন, তিনি তো ভ্যালু ঠিক করবেন না। অমিতাভ রেজা মনে করছেন এটা তিনি অ্যাফোর্ট করতে পারবেন না বা করতে চান না। তাই, ছবিটা উনি বানাচ্ছেন না। এটা কোনো বাধা নয়।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প কিংবা উপন্যাস নিয়ে কাজ করার আপনার কোনো প্ল্যানিং আছে?
আপাতত নেই। তবে এমন কিছু হলে অবশ্যই সেটা সবাইকে জানাব। তবে কয়েকজন অনুমতি নিয়েছেন। কথা বলেছেন নেওয়ার জন্য। তারাই তাদের সময়মতো সেই কাজগুলোর ঘোষণা দেবেন।
প্রথম দিন ভারতে মাত্র ১১ কোটি রুপি আয় করে ‘সিতারে জমিন পার’। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ভরাডুবির পথে এগোচ্ছে সিতারে জমিন পার। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই বদলে গেল চিত্র। এদিন ভারতে সিনেমাটির আয় দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি রুপি।
৪ ঘণ্টা আগেআয়কর বকেয়া থাকার অভিযোগে ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সময়মতো কর পরিশোধ না করার এই তালিকায় আছে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), শবনম পারভীন, পারভীন জাহান মৌসুমী, আহমেদ শরীফ ও নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যাঞ্চলের নাম।
৫ ঘণ্টা আগেনিজের ভুলের জন্য সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক পার্থ মজুমদারের কছে ক্ষমা চাইলেন গজলশিল্পী মেজবাহ আহমেদ। এক অডিও বার্তায় নিজের ভুল স্বীকার করে মেজবাহ জানিয়েছেন, যা ঘটেছে, তা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল।
৯ ঘণ্টা আগেছাত্র আন্দোলনের সময় নিশ্চুপ থাকা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও ভাইরালসহ বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এর জেরে শোবিজে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর নতুন কোনো কাজের খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। আগে শেষ করা কাজের মুক্তির সময়েও প্রচারে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন।
১৭ ঘণ্টা আগে