আজ বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর ৮৮তম জন্মদিন। ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের লুধিয়ানার শাহনেওয়ালে তাঁর জন্ম। তাঁর আসল নাম ধর্ম সিং দেওল। তাঁর বলিউডে আসার পথে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও দীর্ঘ সংগ্রাম।
ধর্মেন্দ্রের বাবা ছিলেন শিক্ষক, স্বাভাবিক ভাবেই তিনি চাইতেন ধর্মেন্দ্র যেন পড়াশোনায় মনোযোগী হন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ছিল অভিনয়ের ঝোঁক, দিলীপ কুমার ও মতিলালের অভিনয় দেখেই তিনি অনুপ্রাণিত হন, সিদ্ধান্ত নেন পড়াশোনা ছেড়ে অভিনয়কেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেবেন।
পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে রোজগার করতে ধর্মেন্দ্রকে মাঠে কাজ করতে হতো শৈশব থেকেই। কাবাডি ও হকি খেলতে ভালোবাসতেন। তবে সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন অভিনয়কেই, তাই প্রতিনিয়ত মায়ের কাছে অভিনয়ের কথা বলতেন।
ধর্মেন্দ্র তাঁর মায়ের পরামর্শে ১৯৫৮ সালে ফিল্মফেয়ারের ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে চিঠি পাঠান, নির্বাচিতও হন প্রতিযোগী হিসেবে। অভিনয় প্রতিভা প্রমাণ করে তিনি এই প্রতিযোগিতায় জেতেন। এরপর পাঞ্জাব ছেড়ে মুম্বাইয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ফিল্মফেয়ারের প্রতিযোগিতায় বিমল রায়ের দেখা পান ধর্মেন্দ্র। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন বিমল রায় ও তাঁর সহকারী দেবু সেন। দেবু সেন ধর্মেন্দ্রকে বিমল রায়ের কাছে নিয়ে যান। গল্পের ছলে বিমল রায় ধর্মেন্দ্রকে ‘বন্দিনী’ সিনেমার জন্য নিতে চান। চোখে জল চলে আসে ধর্মেন্দ্রর, কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি!
‘বন্দিনী’ ধর্মেন্দ্রের অভিনীত প্রথম সিনেমা। তবে মুক্তিতে দেরি হওয়ার এরই মধ্যে তিনি আরও পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেন। ফলে তাঁর ষষ্ঠ সিনেমা হিসেবে মুক্তি পায় ‘বন্দিনী’। বন্দিনী মুক্তি পাওয়ার আবার বেকার হয়ে পড়েন। অধিকাংশ দিনই তাঁর কাছে খাবার কেনার টাকা থাকত না। না খেয়েই ছোটখাটো চরিত্রে হলেও সুযোগ পাওয়ার আশায় পরিচালকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন।
ধর্মেন্দ্রর মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমা ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’, ১৯৬০ সালে চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ধর্মেন্দ্র চলচ্চিত্র শিল্পে আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমাটিতে মাত্র ৫১ রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে যার বর্তমান পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৪ হাজার রুপির কিছু বেশি!
১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি অনেক চলচ্চিত্রে সহ–অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন। সেসময় বলিউডে বন্ধুরা তাঁকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। সংগ্রামের সময়ের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কোথাও কোনো সুযোগ না পেয়ে আমি একসময় পাঞ্জাব ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সেই সময় মনোজ কুমার আমাকে আটকান এবং লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
ধর্মেন্দ্র বরাবরই মনে করেন তাঁর চেহারায় ইতিবাচক দিকের সঙ্গে নেতিবাচক দিকও রয়েছে। তাঁর মতে, এই চেহারাই তাঁর অভিনয়ের ওপর থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়েছে চিরকাল। পরিচালকেরা তাঁর অভিনয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন ‘আবেদনময় চেহারা’। এমনটাই মনে হয়েছে তাঁর।
১৯৬৬ সালে ‘ফুল ও পাত্থর’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি বলিউডের ‘অ্যাকশন হিরো’ রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর একে একে ‘জীবন–মৃত্যু ‘, ‘ইয়াদো কি বারাত’, ‘চারাস’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘সীতা অওর গীতা’, ‘শোলে’, ‘দোস্ত’, ‘আজাদ’ ইত্যাদি সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পাকাপাকি ভাবে নিজের জায়গা করে নেন।
সিনেমায় সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্ক ধর্মেন্দ্রর পিছু ছাড়েনি। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন প্রকাশ কউরকে, তাঁর ছেলে সানি ও ববি দেওলের কথা সবাই জানলেও তাঁর দুটি মেয়েও আছে— বিজেতা ও অজিতা। স্ত্রী–সন্তান থাকার পরও প্রেমে পড়েন ‘ড্রিমগার্ল’ হেমা মালিনীর।
প্রথম স্ত্রীকে রেখেই শুধু হেমা মালিনীকে বিয়ে করার জন্য তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এখনো দুই স্ত্রীকে নিয়েই থাকেন তিনি। হেমা মালিনী ও তাঁর দুই মেয়ে এশা ও অহনা দেওল। তিনি ছয় সন্তানের প্রতি কখনো বৈষম্য করেননি। আলাদা থাকলেও কখনো দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেননি।
২০০৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) টিকিটে রাজস্থানের বিকানেরে এমএলএ নির্বাচিত হন। তাঁর নিজস্ব প্রোডাকশন হাউসও রয়েছে। আপনে, ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানার মতো সিনেমা তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের তৈরি।
পদ্মভূষণ বিজয়ী এই প্রবীণ অভিনেতাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘রকি অওর রানি’তে। সিনেমাটিতে ধর্মেন্দ্রের অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। নব্বই ছুঁই ছুঁই বয়স হলেও তিনি অভিনয় থেকে সম্পূর্ণ সরে যাননি। তাঁর ইচ্ছা, ভালো চরিত্র পেলে জীবনের শেষদিন অবধি অভিনয় চালিয়ে যাবেন।
আজ বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর ৮৮তম জন্মদিন। ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের লুধিয়ানার শাহনেওয়ালে তাঁর জন্ম। তাঁর আসল নাম ধর্ম সিং দেওল। তাঁর বলিউডে আসার পথে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও দীর্ঘ সংগ্রাম।
ধর্মেন্দ্রের বাবা ছিলেন শিক্ষক, স্বাভাবিক ভাবেই তিনি চাইতেন ধর্মেন্দ্র যেন পড়াশোনায় মনোযোগী হন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ছিল অভিনয়ের ঝোঁক, দিলীপ কুমার ও মতিলালের অভিনয় দেখেই তিনি অনুপ্রাণিত হন, সিদ্ধান্ত নেন পড়াশোনা ছেড়ে অভিনয়কেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেবেন।
পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে রোজগার করতে ধর্মেন্দ্রকে মাঠে কাজ করতে হতো শৈশব থেকেই। কাবাডি ও হকি খেলতে ভালোবাসতেন। তবে সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন অভিনয়কেই, তাই প্রতিনিয়ত মায়ের কাছে অভিনয়ের কথা বলতেন।
ধর্মেন্দ্র তাঁর মায়ের পরামর্শে ১৯৫৮ সালে ফিল্মফেয়ারের ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে চিঠি পাঠান, নির্বাচিতও হন প্রতিযোগী হিসেবে। অভিনয় প্রতিভা প্রমাণ করে তিনি এই প্রতিযোগিতায় জেতেন। এরপর পাঞ্জাব ছেড়ে মুম্বাইয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ফিল্মফেয়ারের প্রতিযোগিতায় বিমল রায়ের দেখা পান ধর্মেন্দ্র। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন বিমল রায় ও তাঁর সহকারী দেবু সেন। দেবু সেন ধর্মেন্দ্রকে বিমল রায়ের কাছে নিয়ে যান। গল্পের ছলে বিমল রায় ধর্মেন্দ্রকে ‘বন্দিনী’ সিনেমার জন্য নিতে চান। চোখে জল চলে আসে ধর্মেন্দ্রর, কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি!
‘বন্দিনী’ ধর্মেন্দ্রের অভিনীত প্রথম সিনেমা। তবে মুক্তিতে দেরি হওয়ার এরই মধ্যে তিনি আরও পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেন। ফলে তাঁর ষষ্ঠ সিনেমা হিসেবে মুক্তি পায় ‘বন্দিনী’। বন্দিনী মুক্তি পাওয়ার আবার বেকার হয়ে পড়েন। অধিকাংশ দিনই তাঁর কাছে খাবার কেনার টাকা থাকত না। না খেয়েই ছোটখাটো চরিত্রে হলেও সুযোগ পাওয়ার আশায় পরিচালকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন।
ধর্মেন্দ্রর মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমা ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’, ১৯৬০ সালে চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ধর্মেন্দ্র চলচ্চিত্র শিল্পে আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমাটিতে মাত্র ৫১ রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে যার বর্তমান পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৪ হাজার রুপির কিছু বেশি!
১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি অনেক চলচ্চিত্রে সহ–অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন। সেসময় বলিউডে বন্ধুরা তাঁকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। সংগ্রামের সময়ের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কোথাও কোনো সুযোগ না পেয়ে আমি একসময় পাঞ্জাব ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সেই সময় মনোজ কুমার আমাকে আটকান এবং লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
ধর্মেন্দ্র বরাবরই মনে করেন তাঁর চেহারায় ইতিবাচক দিকের সঙ্গে নেতিবাচক দিকও রয়েছে। তাঁর মতে, এই চেহারাই তাঁর অভিনয়ের ওপর থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়েছে চিরকাল। পরিচালকেরা তাঁর অভিনয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন ‘আবেদনময় চেহারা’। এমনটাই মনে হয়েছে তাঁর।
১৯৬৬ সালে ‘ফুল ও পাত্থর’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি বলিউডের ‘অ্যাকশন হিরো’ রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর একে একে ‘জীবন–মৃত্যু ‘, ‘ইয়াদো কি বারাত’, ‘চারাস’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘সীতা অওর গীতা’, ‘শোলে’, ‘দোস্ত’, ‘আজাদ’ ইত্যাদি সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পাকাপাকি ভাবে নিজের জায়গা করে নেন।
সিনেমায় সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্ক ধর্মেন্দ্রর পিছু ছাড়েনি। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন প্রকাশ কউরকে, তাঁর ছেলে সানি ও ববি দেওলের কথা সবাই জানলেও তাঁর দুটি মেয়েও আছে— বিজেতা ও অজিতা। স্ত্রী–সন্তান থাকার পরও প্রেমে পড়েন ‘ড্রিমগার্ল’ হেমা মালিনীর।
প্রথম স্ত্রীকে রেখেই শুধু হেমা মালিনীকে বিয়ে করার জন্য তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এখনো দুই স্ত্রীকে নিয়েই থাকেন তিনি। হেমা মালিনী ও তাঁর দুই মেয়ে এশা ও অহনা দেওল। তিনি ছয় সন্তানের প্রতি কখনো বৈষম্য করেননি। আলাদা থাকলেও কখনো দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেননি।
২০০৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) টিকিটে রাজস্থানের বিকানেরে এমএলএ নির্বাচিত হন। তাঁর নিজস্ব প্রোডাকশন হাউসও রয়েছে। আপনে, ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানার মতো সিনেমা তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের তৈরি।
পদ্মভূষণ বিজয়ী এই প্রবীণ অভিনেতাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘রকি অওর রানি’তে। সিনেমাটিতে ধর্মেন্দ্রের অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। নব্বই ছুঁই ছুঁই বয়স হলেও তিনি অভিনয় থেকে সম্পূর্ণ সরে যাননি। তাঁর ইচ্ছা, ভালো চরিত্র পেলে জীবনের শেষদিন অবধি অভিনয় চালিয়ে যাবেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নায়ক রুবেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশের পাশাপাশি যাঁরা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের হুঁশিয়ার করে দিলেন রুবেলের বড় ভাই অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্দেশক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
১৯ মিনিট আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানের সঙ্গে ৬ দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। তবে সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হয়েছে তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। দুই দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম এই বিষয়ে সেই অর্থে কোনো তথ্য দেয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
১০ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগে