
ঢাকা: দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ! ইরফান খানের কাজ দেখে বুঝেছি- কমই বেশি, যত মাপা অভিনয় করা যায়, তত সুন্দর।
ইরফানের খানের স্ত্রী সুতপা আর তাঁদের বড় ছেলে বাবিলের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনেমা সমালোচক অনুপমা চোপড়া। চমৎকার সব প্রশ্ন আর তার চেয়েও চমৎকার উত্তর। ইরফানের সাথে স্মৃতি, বাবা হিসেবে ইরফান কেমন ছিলেন, স্বামী হিসেবে কেমন ছিলেন- সব উঠে এসেছে ইন্টারভিউতে। স্ত্রী, সন্তান দুইজনেই একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন- ইরফান ছিলেন আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড। সুতপা চমৎকার একটা লাইন বললেন- আমাদের বিয়ে ছিল না, আমাদের দুজনের একটা সংগঠন ছিল।
ইরফানের স্মৃতির পাশাপাশি খুব ছোট্ট করে নেপোটিজম, ফেমিনিজমের ব্যাপারেও আলাপ হল। এত সুন্দর করে বললেন সুতপা!
এমনই একটি সাক্ষাৎকার যেখানে যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি কান্না করছেন, যিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তিনিও কান্না করছেন-আর দর্শক হিসেবে সেটা দেখে আপনিও কাঁদবেন।
ডিয়ার ইরফান খান, আই মিস ইউ লাইক হেল! স্বামীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে একান্ত সাক্ষাত্কারে ইরফান খানের জীবনের নানান অজানা কথা জানিয়েছেন স্ত্রী সুতপা শিকদার।
নিজের যা পছন্দ নয়, কোনওভাবেই সে কাজ করতেন না ইরফান। তাই তো সচরাচার কোনও বলিউড পার্টিতে দেখা মিলত না ‘মকবুল’ তারকার। সুতপা শিকদার স্মৃতির সরণি বেয়ে জানান, একবার এক প্রথম সারির নায়িকার সামনে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন ইরফান।
রূপের প্রশংসা পছন্দ সব নারীরই। আর তিনি নায়িকা হলে তো কথাই নেই! নায়িকাকে নিজের হাতের জাদুই ছোঁয়া যিনি আরও সুন্দরী করে তোলেন সেই রূপটান শিল্পীরও যে যথেষ্ট প্রশংসা প্রাপ্য তা অনেকসময়ই আমরা ভুলে যাই। কিন্তু ভোলেননি ইরফান। সেই মেক-আপ আর্টিস্টের মন খুলে প্রশংসা করেন তিনি। কিন্তু পাশে বসে থাকা সেই অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র প্রশংসা করেননি। মুখে কোনওরকম শব্দ উচ্চারণ না করলেও এই ঘটনায় স্বভাবতই মনোক্ষুণ্ন হয়েছিলেন সেই নায়িকা, তা বলাই বহুল্য।
ইরফানের এমন আচরণের জন্য অনেকেই হয়ত তাঁকে অহংকারি ভেবে ভুল করত জানান সুতপা, তবে ইরফান পত্নীর কথায়-‘কে কি বললো তার তোয়াক্কা করতেন না ইরফান। আমরা সকলেই জানি এই ইন্ডাস্ট্রিতে শো অফ কতটা জরুরি। পার্টি যে ফেক কিছু একটা, সেই কারণে ও পার্টিতে যেত না। খুব বেশি মেলামেশা করত না। কারণ ও মিথ্যা বলতে পারত না। ও কাউকে দেখে বলতে পারত না- উফ ফিল্মটা দুর্দান্ত হয়েছে, যদি না মন থেকে ও সেটা অনুভব করত বা বিশ্বাস করত’।
ধর্ম নিয়ে কোনো দিনই বেশি মাতামাতি করতেন না ইরফান। সুতপা জানিয়েছেন, ইরফানের এক বার এক ঘটনা সকলকে চমকে দিয়েছিল। শিবের বারে উপোস করবেন বলে, একবার উদ্যত হয়েছিলেন। সকল আত্মীয় স্বজনকে চমক দিয়ে ইরফান বলেছিলেন, দু’ বছর ধরে চেষ্টা করছেন তবে করে উঠতে পারেননি। তবে এবার থেকে সপ্তাহে একদিন তিনি উপোস করবেন। সুতপার কথায়, ইরফান নিজের ধর্ম নিজে তৈরি করতেন এবং তাঁর কাছে ধর্ম মানে আধ্যাত্মিকতা।
ইরফান স্ত্রী সুতপা বলেন, ‘আমার তো মনে হত ও নিজের ধর্ম নিজেই তৈরি করত। যদি কোনো কিছুই না হত, অথবা ওর ক্যানসার না হত, হয়তো ও শোবিজের দুনিয়া ত্যাগ করে, নিজের সন্ধানে কোনো কিছুর চেষ্টা করতো। হয়তো সে নিজের সন্ধান, এই দুনিয়া বা আরো অন্য কিছুর সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন। ও এসবের মধ্যে ছিল এবং এসব নিয়ে চর্চা ও পড়াশোনা করত। কীভাবে ঠিক বোঝাবো? একধরণের দার্শনিক হয় না এই জগতে, ঠিক তেমন! এমন একটা সত্যি যেটাকে তিনি বিশ্বাস করতেন। ধর্ম মানে ওর কাছে আধ্যাত্মিক বিষয় ছিল। একটা সময় ও উপনিষদ, রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ পড়েছে... কিন্তু ও ধার্মিক গোছের মানুষ ছিল না। অশ্ব, মহাবীর ও সব পড়েছে’। সুতপা বলেন, ইরফান কখনোই কোনও লিঙ্গবৈষম্য, ধর্মীয় ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না।
স্বামীর ব্যাপারে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ইরফান-স্ত্রী জানান,‘ইরফানের অন্যতম গুণ ছিল যে উনি মিথ্যা কথা বলতেন না। কোনওরকম ভণিতা করতেন না। যদি রেগে যেতেন সেটা যতটা সত্যিভাবে প্রকাশ করতেন আবার যখন ভালোবাসতেন কোনও কিছু সেটাও উচ্চস্বরে খোলাখুলি প্রকাশ করতেন!’
ইরফান-পুত্র বাবিল জানালেন মৃত্যুর আগে তাঁকে কাছে টেনে ইরফান বলেছিলেন, তিনি আর বাঁচবেন না। মৃত্যুশয্যায় তাঁর বাবা’র বলা শেষ কিছু কথার মধ্যে যা অন্যতম ছিল বলেই জানিয়েছেন বাবিল।
বাবিল আরও জানান যে, ইরফানের মৃত্যুর দু’তিনদিন আগে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে তখন জ্ঞান হারাচ্ছেন মৃত্যুমুখী ইরফান। এরপর ইশারায় বাবিলকে ডেকে হাসিমুখে, ধীর স্বরে তিনি বলেন,‘আমার যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে এবার।’ যা শুনে তৎক্ষণাৎ মাথা ঝাঁকিয়ে প্রতিবাদ করে ওঠে ইরফানপুত্র। বাবিলের কথায়,‘আমার মুখে একথা শোনার পর ফের একবার মুখে হাসি ফুটিয়ে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা।’

ঢাকা: দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ! ইরফান খানের কাজ দেখে বুঝেছি- কমই বেশি, যত মাপা অভিনয় করা যায়, তত সুন্দর।
ইরফানের খানের স্ত্রী সুতপা আর তাঁদের বড় ছেলে বাবিলের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনেমা সমালোচক অনুপমা চোপড়া। চমৎকার সব প্রশ্ন আর তার চেয়েও চমৎকার উত্তর। ইরফানের সাথে স্মৃতি, বাবা হিসেবে ইরফান কেমন ছিলেন, স্বামী হিসেবে কেমন ছিলেন- সব উঠে এসেছে ইন্টারভিউতে। স্ত্রী, সন্তান দুইজনেই একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন- ইরফান ছিলেন আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড। সুতপা চমৎকার একটা লাইন বললেন- আমাদের বিয়ে ছিল না, আমাদের দুজনের একটা সংগঠন ছিল।
ইরফানের স্মৃতির পাশাপাশি খুব ছোট্ট করে নেপোটিজম, ফেমিনিজমের ব্যাপারেও আলাপ হল। এত সুন্দর করে বললেন সুতপা!
এমনই একটি সাক্ষাৎকার যেখানে যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি কান্না করছেন, যিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তিনিও কান্না করছেন-আর দর্শক হিসেবে সেটা দেখে আপনিও কাঁদবেন।
ডিয়ার ইরফান খান, আই মিস ইউ লাইক হেল! স্বামীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে একান্ত সাক্ষাত্কারে ইরফান খানের জীবনের নানান অজানা কথা জানিয়েছেন স্ত্রী সুতপা শিকদার।
নিজের যা পছন্দ নয়, কোনওভাবেই সে কাজ করতেন না ইরফান। তাই তো সচরাচার কোনও বলিউড পার্টিতে দেখা মিলত না ‘মকবুল’ তারকার। সুতপা শিকদার স্মৃতির সরণি বেয়ে জানান, একবার এক প্রথম সারির নায়িকার সামনে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন ইরফান।
রূপের প্রশংসা পছন্দ সব নারীরই। আর তিনি নায়িকা হলে তো কথাই নেই! নায়িকাকে নিজের হাতের জাদুই ছোঁয়া যিনি আরও সুন্দরী করে তোলেন সেই রূপটান শিল্পীরও যে যথেষ্ট প্রশংসা প্রাপ্য তা অনেকসময়ই আমরা ভুলে যাই। কিন্তু ভোলেননি ইরফান। সেই মেক-আপ আর্টিস্টের মন খুলে প্রশংসা করেন তিনি। কিন্তু পাশে বসে থাকা সেই অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র প্রশংসা করেননি। মুখে কোনওরকম শব্দ উচ্চারণ না করলেও এই ঘটনায় স্বভাবতই মনোক্ষুণ্ন হয়েছিলেন সেই নায়িকা, তা বলাই বহুল্য।
ইরফানের এমন আচরণের জন্য অনেকেই হয়ত তাঁকে অহংকারি ভেবে ভুল করত জানান সুতপা, তবে ইরফান পত্নীর কথায়-‘কে কি বললো তার তোয়াক্কা করতেন না ইরফান। আমরা সকলেই জানি এই ইন্ডাস্ট্রিতে শো অফ কতটা জরুরি। পার্টি যে ফেক কিছু একটা, সেই কারণে ও পার্টিতে যেত না। খুব বেশি মেলামেশা করত না। কারণ ও মিথ্যা বলতে পারত না। ও কাউকে দেখে বলতে পারত না- উফ ফিল্মটা দুর্দান্ত হয়েছে, যদি না মন থেকে ও সেটা অনুভব করত বা বিশ্বাস করত’।
ধর্ম নিয়ে কোনো দিনই বেশি মাতামাতি করতেন না ইরফান। সুতপা জানিয়েছেন, ইরফানের এক বার এক ঘটনা সকলকে চমকে দিয়েছিল। শিবের বারে উপোস করবেন বলে, একবার উদ্যত হয়েছিলেন। সকল আত্মীয় স্বজনকে চমক দিয়ে ইরফান বলেছিলেন, দু’ বছর ধরে চেষ্টা করছেন তবে করে উঠতে পারেননি। তবে এবার থেকে সপ্তাহে একদিন তিনি উপোস করবেন। সুতপার কথায়, ইরফান নিজের ধর্ম নিজে তৈরি করতেন এবং তাঁর কাছে ধর্ম মানে আধ্যাত্মিকতা।
ইরফান স্ত্রী সুতপা বলেন, ‘আমার তো মনে হত ও নিজের ধর্ম নিজেই তৈরি করত। যদি কোনো কিছুই না হত, অথবা ওর ক্যানসার না হত, হয়তো ও শোবিজের দুনিয়া ত্যাগ করে, নিজের সন্ধানে কোনো কিছুর চেষ্টা করতো। হয়তো সে নিজের সন্ধান, এই দুনিয়া বা আরো অন্য কিছুর সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন। ও এসবের মধ্যে ছিল এবং এসব নিয়ে চর্চা ও পড়াশোনা করত। কীভাবে ঠিক বোঝাবো? একধরণের দার্শনিক হয় না এই জগতে, ঠিক তেমন! এমন একটা সত্যি যেটাকে তিনি বিশ্বাস করতেন। ধর্ম মানে ওর কাছে আধ্যাত্মিক বিষয় ছিল। একটা সময় ও উপনিষদ, রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ পড়েছে... কিন্তু ও ধার্মিক গোছের মানুষ ছিল না। অশ্ব, মহাবীর ও সব পড়েছে’। সুতপা বলেন, ইরফান কখনোই কোনও লিঙ্গবৈষম্য, ধর্মীয় ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না।
স্বামীর ব্যাপারে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ইরফান-স্ত্রী জানান,‘ইরফানের অন্যতম গুণ ছিল যে উনি মিথ্যা কথা বলতেন না। কোনওরকম ভণিতা করতেন না। যদি রেগে যেতেন সেটা যতটা সত্যিভাবে প্রকাশ করতেন আবার যখন ভালোবাসতেন কোনও কিছু সেটাও উচ্চস্বরে খোলাখুলি প্রকাশ করতেন!’
ইরফান-পুত্র বাবিল জানালেন মৃত্যুর আগে তাঁকে কাছে টেনে ইরফান বলেছিলেন, তিনি আর বাঁচবেন না। মৃত্যুশয্যায় তাঁর বাবা’র বলা শেষ কিছু কথার মধ্যে যা অন্যতম ছিল বলেই জানিয়েছেন বাবিল।
বাবিল আরও জানান যে, ইরফানের মৃত্যুর দু’তিনদিন আগে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে তখন জ্ঞান হারাচ্ছেন মৃত্যুমুখী ইরফান। এরপর ইশারায় বাবিলকে ডেকে হাসিমুখে, ধীর স্বরে তিনি বলেন,‘আমার যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে এবার।’ যা শুনে তৎক্ষণাৎ মাথা ঝাঁকিয়ে প্রতিবাদ করে ওঠে ইরফানপুত্র। বাবিলের কথায়,‘আমার মুখে একথা শোনার পর ফের একবার মুখে হাসি ফুটিয়ে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা।’

ঢাকা: দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ! ইরফান খানের কাজ দেখে বুঝেছি- কমই বেশি, যত মাপা অভিনয় করা যায়, তত সুন্দর।
ইরফানের খানের স্ত্রী সুতপা আর তাঁদের বড় ছেলে বাবিলের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনেমা সমালোচক অনুপমা চোপড়া। চমৎকার সব প্রশ্ন আর তার চেয়েও চমৎকার উত্তর। ইরফানের সাথে স্মৃতি, বাবা হিসেবে ইরফান কেমন ছিলেন, স্বামী হিসেবে কেমন ছিলেন- সব উঠে এসেছে ইন্টারভিউতে। স্ত্রী, সন্তান দুইজনেই একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন- ইরফান ছিলেন আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড। সুতপা চমৎকার একটা লাইন বললেন- আমাদের বিয়ে ছিল না, আমাদের দুজনের একটা সংগঠন ছিল।
ইরফানের স্মৃতির পাশাপাশি খুব ছোট্ট করে নেপোটিজম, ফেমিনিজমের ব্যাপারেও আলাপ হল। এত সুন্দর করে বললেন সুতপা!
এমনই একটি সাক্ষাৎকার যেখানে যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি কান্না করছেন, যিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তিনিও কান্না করছেন-আর দর্শক হিসেবে সেটা দেখে আপনিও কাঁদবেন।
ডিয়ার ইরফান খান, আই মিস ইউ লাইক হেল! স্বামীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে একান্ত সাক্ষাত্কারে ইরফান খানের জীবনের নানান অজানা কথা জানিয়েছেন স্ত্রী সুতপা শিকদার।
নিজের যা পছন্দ নয়, কোনওভাবেই সে কাজ করতেন না ইরফান। তাই তো সচরাচার কোনও বলিউড পার্টিতে দেখা মিলত না ‘মকবুল’ তারকার। সুতপা শিকদার স্মৃতির সরণি বেয়ে জানান, একবার এক প্রথম সারির নায়িকার সামনে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন ইরফান।
রূপের প্রশংসা পছন্দ সব নারীরই। আর তিনি নায়িকা হলে তো কথাই নেই! নায়িকাকে নিজের হাতের জাদুই ছোঁয়া যিনি আরও সুন্দরী করে তোলেন সেই রূপটান শিল্পীরও যে যথেষ্ট প্রশংসা প্রাপ্য তা অনেকসময়ই আমরা ভুলে যাই। কিন্তু ভোলেননি ইরফান। সেই মেক-আপ আর্টিস্টের মন খুলে প্রশংসা করেন তিনি। কিন্তু পাশে বসে থাকা সেই অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র প্রশংসা করেননি। মুখে কোনওরকম শব্দ উচ্চারণ না করলেও এই ঘটনায় স্বভাবতই মনোক্ষুণ্ন হয়েছিলেন সেই নায়িকা, তা বলাই বহুল্য।
ইরফানের এমন আচরণের জন্য অনেকেই হয়ত তাঁকে অহংকারি ভেবে ভুল করত জানান সুতপা, তবে ইরফান পত্নীর কথায়-‘কে কি বললো তার তোয়াক্কা করতেন না ইরফান। আমরা সকলেই জানি এই ইন্ডাস্ট্রিতে শো অফ কতটা জরুরি। পার্টি যে ফেক কিছু একটা, সেই কারণে ও পার্টিতে যেত না। খুব বেশি মেলামেশা করত না। কারণ ও মিথ্যা বলতে পারত না। ও কাউকে দেখে বলতে পারত না- উফ ফিল্মটা দুর্দান্ত হয়েছে, যদি না মন থেকে ও সেটা অনুভব করত বা বিশ্বাস করত’।
ধর্ম নিয়ে কোনো দিনই বেশি মাতামাতি করতেন না ইরফান। সুতপা জানিয়েছেন, ইরফানের এক বার এক ঘটনা সকলকে চমকে দিয়েছিল। শিবের বারে উপোস করবেন বলে, একবার উদ্যত হয়েছিলেন। সকল আত্মীয় স্বজনকে চমক দিয়ে ইরফান বলেছিলেন, দু’ বছর ধরে চেষ্টা করছেন তবে করে উঠতে পারেননি। তবে এবার থেকে সপ্তাহে একদিন তিনি উপোস করবেন। সুতপার কথায়, ইরফান নিজের ধর্ম নিজে তৈরি করতেন এবং তাঁর কাছে ধর্ম মানে আধ্যাত্মিকতা।
ইরফান স্ত্রী সুতপা বলেন, ‘আমার তো মনে হত ও নিজের ধর্ম নিজেই তৈরি করত। যদি কোনো কিছুই না হত, অথবা ওর ক্যানসার না হত, হয়তো ও শোবিজের দুনিয়া ত্যাগ করে, নিজের সন্ধানে কোনো কিছুর চেষ্টা করতো। হয়তো সে নিজের সন্ধান, এই দুনিয়া বা আরো অন্য কিছুর সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন। ও এসবের মধ্যে ছিল এবং এসব নিয়ে চর্চা ও পড়াশোনা করত। কীভাবে ঠিক বোঝাবো? একধরণের দার্শনিক হয় না এই জগতে, ঠিক তেমন! এমন একটা সত্যি যেটাকে তিনি বিশ্বাস করতেন। ধর্ম মানে ওর কাছে আধ্যাত্মিক বিষয় ছিল। একটা সময় ও উপনিষদ, রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ পড়েছে... কিন্তু ও ধার্মিক গোছের মানুষ ছিল না। অশ্ব, মহাবীর ও সব পড়েছে’। সুতপা বলেন, ইরফান কখনোই কোনও লিঙ্গবৈষম্য, ধর্মীয় ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না।
স্বামীর ব্যাপারে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ইরফান-স্ত্রী জানান,‘ইরফানের অন্যতম গুণ ছিল যে উনি মিথ্যা কথা বলতেন না। কোনওরকম ভণিতা করতেন না। যদি রেগে যেতেন সেটা যতটা সত্যিভাবে প্রকাশ করতেন আবার যখন ভালোবাসতেন কোনও কিছু সেটাও উচ্চস্বরে খোলাখুলি প্রকাশ করতেন!’
ইরফান-পুত্র বাবিল জানালেন মৃত্যুর আগে তাঁকে কাছে টেনে ইরফান বলেছিলেন, তিনি আর বাঁচবেন না। মৃত্যুশয্যায় তাঁর বাবা’র বলা শেষ কিছু কথার মধ্যে যা অন্যতম ছিল বলেই জানিয়েছেন বাবিল।
বাবিল আরও জানান যে, ইরফানের মৃত্যুর দু’তিনদিন আগে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে তখন জ্ঞান হারাচ্ছেন মৃত্যুমুখী ইরফান। এরপর ইশারায় বাবিলকে ডেকে হাসিমুখে, ধীর স্বরে তিনি বলেন,‘আমার যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে এবার।’ যা শুনে তৎক্ষণাৎ মাথা ঝাঁকিয়ে প্রতিবাদ করে ওঠে ইরফানপুত্র। বাবিলের কথায়,‘আমার মুখে একথা শোনার পর ফের একবার মুখে হাসি ফুটিয়ে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা।’

ঢাকা: দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ! ইরফান খানের কাজ দেখে বুঝেছি- কমই বেশি, যত মাপা অভিনয় করা যায়, তত সুন্দর।
ইরফানের খানের স্ত্রী সুতপা আর তাঁদের বড় ছেলে বাবিলের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনেমা সমালোচক অনুপমা চোপড়া। চমৎকার সব প্রশ্ন আর তার চেয়েও চমৎকার উত্তর। ইরফানের সাথে স্মৃতি, বাবা হিসেবে ইরফান কেমন ছিলেন, স্বামী হিসেবে কেমন ছিলেন- সব উঠে এসেছে ইন্টারভিউতে। স্ত্রী, সন্তান দুইজনেই একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন- ইরফান ছিলেন আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড। সুতপা চমৎকার একটা লাইন বললেন- আমাদের বিয়ে ছিল না, আমাদের দুজনের একটা সংগঠন ছিল।
ইরফানের স্মৃতির পাশাপাশি খুব ছোট্ট করে নেপোটিজম, ফেমিনিজমের ব্যাপারেও আলাপ হল। এত সুন্দর করে বললেন সুতপা!
এমনই একটি সাক্ষাৎকার যেখানে যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি কান্না করছেন, যিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তিনিও কান্না করছেন-আর দর্শক হিসেবে সেটা দেখে আপনিও কাঁদবেন।
ডিয়ার ইরফান খান, আই মিস ইউ লাইক হেল! স্বামীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে একান্ত সাক্ষাত্কারে ইরফান খানের জীবনের নানান অজানা কথা জানিয়েছেন স্ত্রী সুতপা শিকদার।
নিজের যা পছন্দ নয়, কোনওভাবেই সে কাজ করতেন না ইরফান। তাই তো সচরাচার কোনও বলিউড পার্টিতে দেখা মিলত না ‘মকবুল’ তারকার। সুতপা শিকদার স্মৃতির সরণি বেয়ে জানান, একবার এক প্রথম সারির নায়িকার সামনে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন ইরফান।
রূপের প্রশংসা পছন্দ সব নারীরই। আর তিনি নায়িকা হলে তো কথাই নেই! নায়িকাকে নিজের হাতের জাদুই ছোঁয়া যিনি আরও সুন্দরী করে তোলেন সেই রূপটান শিল্পীরও যে যথেষ্ট প্রশংসা প্রাপ্য তা অনেকসময়ই আমরা ভুলে যাই। কিন্তু ভোলেননি ইরফান। সেই মেক-আপ আর্টিস্টের মন খুলে প্রশংসা করেন তিনি। কিন্তু পাশে বসে থাকা সেই অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র প্রশংসা করেননি। মুখে কোনওরকম শব্দ উচ্চারণ না করলেও এই ঘটনায় স্বভাবতই মনোক্ষুণ্ন হয়েছিলেন সেই নায়িকা, তা বলাই বহুল্য।
ইরফানের এমন আচরণের জন্য অনেকেই হয়ত তাঁকে অহংকারি ভেবে ভুল করত জানান সুতপা, তবে ইরফান পত্নীর কথায়-‘কে কি বললো তার তোয়াক্কা করতেন না ইরফান। আমরা সকলেই জানি এই ইন্ডাস্ট্রিতে শো অফ কতটা জরুরি। পার্টি যে ফেক কিছু একটা, সেই কারণে ও পার্টিতে যেত না। খুব বেশি মেলামেশা করত না। কারণ ও মিথ্যা বলতে পারত না। ও কাউকে দেখে বলতে পারত না- উফ ফিল্মটা দুর্দান্ত হয়েছে, যদি না মন থেকে ও সেটা অনুভব করত বা বিশ্বাস করত’।
ধর্ম নিয়ে কোনো দিনই বেশি মাতামাতি করতেন না ইরফান। সুতপা জানিয়েছেন, ইরফানের এক বার এক ঘটনা সকলকে চমকে দিয়েছিল। শিবের বারে উপোস করবেন বলে, একবার উদ্যত হয়েছিলেন। সকল আত্মীয় স্বজনকে চমক দিয়ে ইরফান বলেছিলেন, দু’ বছর ধরে চেষ্টা করছেন তবে করে উঠতে পারেননি। তবে এবার থেকে সপ্তাহে একদিন তিনি উপোস করবেন। সুতপার কথায়, ইরফান নিজের ধর্ম নিজে তৈরি করতেন এবং তাঁর কাছে ধর্ম মানে আধ্যাত্মিকতা।
ইরফান স্ত্রী সুতপা বলেন, ‘আমার তো মনে হত ও নিজের ধর্ম নিজেই তৈরি করত। যদি কোনো কিছুই না হত, অথবা ওর ক্যানসার না হত, হয়তো ও শোবিজের দুনিয়া ত্যাগ করে, নিজের সন্ধানে কোনো কিছুর চেষ্টা করতো। হয়তো সে নিজের সন্ধান, এই দুনিয়া বা আরো অন্য কিছুর সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন। ও এসবের মধ্যে ছিল এবং এসব নিয়ে চর্চা ও পড়াশোনা করত। কীভাবে ঠিক বোঝাবো? একধরণের দার্শনিক হয় না এই জগতে, ঠিক তেমন! এমন একটা সত্যি যেটাকে তিনি বিশ্বাস করতেন। ধর্ম মানে ওর কাছে আধ্যাত্মিক বিষয় ছিল। একটা সময় ও উপনিষদ, রামকৃষ্ণ পরমহংস, বিবেকানন্দ পড়েছে... কিন্তু ও ধার্মিক গোছের মানুষ ছিল না। অশ্ব, মহাবীর ও সব পড়েছে’। সুতপা বলেন, ইরফান কখনোই কোনও লিঙ্গবৈষম্য, ধর্মীয় ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না।
স্বামীর ব্যাপারে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ইরফান-স্ত্রী জানান,‘ইরফানের অন্যতম গুণ ছিল যে উনি মিথ্যা কথা বলতেন না। কোনওরকম ভণিতা করতেন না। যদি রেগে যেতেন সেটা যতটা সত্যিভাবে প্রকাশ করতেন আবার যখন ভালোবাসতেন কোনও কিছু সেটাও উচ্চস্বরে খোলাখুলি প্রকাশ করতেন!’
ইরফান-পুত্র বাবিল জানালেন মৃত্যুর আগে তাঁকে কাছে টেনে ইরফান বলেছিলেন, তিনি আর বাঁচবেন না। মৃত্যুশয্যায় তাঁর বাবা’র বলা শেষ কিছু কথার মধ্যে যা অন্যতম ছিল বলেই জানিয়েছেন বাবিল।
বাবিল আরও জানান যে, ইরফানের মৃত্যুর দু’তিনদিন আগে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে তখন জ্ঞান হারাচ্ছেন মৃত্যুমুখী ইরফান। এরপর ইশারায় বাবিলকে ডেকে হাসিমুখে, ধীর স্বরে তিনি বলেন,‘আমার যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে এবার।’ যা শুনে তৎক্ষণাৎ মাথা ঝাঁকিয়ে প্রতিবাদ করে ওঠে ইরফানপুত্র। বাবিলের কথায়,‘আমার মুখে একথা শোনার পর ফের একবার মুখে হাসি ফুটিয়ে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা।’

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’
অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।
ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ!
২৯ এপ্রিল ২০২১
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের সিনেমা
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
অ্যানাকোন্ডা
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।
দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।
দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ!
২৯ এপ্রিল ২০২১
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)
রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)
স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)
নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)
এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ!
২৯ এপ্রিল ২০২১
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
২ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

দেখতে দেখতে একটা বছর অতিক্রান্ত, আজও মেনে নিতে কষ্ট হয় ইরফান খান আর নেই। গত বছর ২৯শে এপ্রিল চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন ভার্সেটাইল অভিনেতা ইরফান খান। অভিনয় করছেন-এই ব্যাপারটাই মনে হত না কখনও। নিজের দুইটা চোখের ওপর সে কী অদ্ভুত এক নিয়ন্ত্রণ!
২৯ এপ্রিল ২০২১
গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।
১৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৩ ঘণ্টা আগে